দুর্নীতি, বিদ্বেষমূলক ও বেআইনি রায় প্রদানসহ জাল-জালিয়াতির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় দেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে সাত দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৩০ জুলাই) ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) রিমান্ডের এই আদেশ দেন। শুনানিকালে খায়রুল হকের পক্ষে কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না।
জানা যায়, শাহবাগ থানায় দায়ের হওয়া মামলার পরিপ্রেক্ষিতে খায়রুল হকের বিরুদ্ধে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ২৪ জুলাই রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে খায়রুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাঁকে জুলাই আন্দোলনের সময় ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে যুবদলকর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদ হত্যার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল এবং জাল রায় প্রদানের অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের একটি মামলায়ও তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
২০০৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তিনি প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং ২০১১ সালের ১৭ মে অবসর নেন। বিচারপতি থাকাকালে তিনি সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল, ফতোয়া অবৈধ ঘোষণা, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায় ও সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর রায়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ রায় দেন, যা দেশে-বিদেশে তীব্র রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।
অবসরের পর ২০১৩ সালের ২৩ জুলাই খায়রুল হককে তিন বছরের জন্য আইন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরে কয়েক দফা মেয়াদ বাড়ানো হয়। ২০২৩ সালের ১৩ আগস্ট তিনি ওই পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫
দুর্নীতি, বিদ্বেষমূলক ও বেআইনি রায় প্রদানসহ জাল-জালিয়াতির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় দেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে সাত দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৩০ জুলাই) ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) রিমান্ডের এই আদেশ দেন। শুনানিকালে খায়রুল হকের পক্ষে কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না।
জানা যায়, শাহবাগ থানায় দায়ের হওয়া মামলার পরিপ্রেক্ষিতে খায়রুল হকের বিরুদ্ধে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ২৪ জুলাই রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে খায়রুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাঁকে জুলাই আন্দোলনের সময় ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে যুবদলকর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদ হত্যার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল এবং জাল রায় প্রদানের অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের একটি মামলায়ও তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
২০০৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তিনি প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং ২০১১ সালের ১৭ মে অবসর নেন। বিচারপতি থাকাকালে তিনি সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল, ফতোয়া অবৈধ ঘোষণা, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায় ও সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর রায়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ রায় দেন, যা দেশে-বিদেশে তীব্র রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।
অবসরের পর ২০১৩ সালের ২৩ জুলাই খায়রুল হককে তিন বছরের জন্য আইন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরে কয়েক দফা মেয়াদ বাড়ানো হয়। ২০২৩ সালের ১৩ আগস্ট তিনি ওই পদ থেকে পদত্যাগ করেন।