রংপুরের গঙ্গাচড়ার আলদাদপুর বালাপাড়া গ্রামে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ কেন্দ্র করে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বসতবাড়িতে হামলার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার সকালে পুলিশ সদর দপ্তরের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
পুলিশ জানায়, ঘটনায় ভুক্তভোগী এক ব্যক্তি গঙ্গাচড়া মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা এক হাজার থেকে এক হাজার দুইশ’ জনকে আসামি করা হয়েছে। পরবর্তীতে যৌথ অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আলদাদপুর গ্রামটি হিন্দু অধ্যুষিত এবং নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার সীমান্তঘেঁষা। গত শনিবার গ্রামের এক কিশোরের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–কে নিয়ে অবমাননাকর লেখা ও ছবি পোস্ট করার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে পুলিশ ওই রাতেই তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরদিন রোববার সাইবার সুরক্ষা আইনে মামলা দিয়ে তাকে আদালতের মাধ্যমে সম্মিলিত শিশু পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠানো হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ওই কিশোরকে থানায় নেওয়ার পর উত্তেজিত লোকজন প্রথমে তার বাড়ির সামনে মিছিল করে। রাত ১০টার দিকে দ্বিতীয় দফায় আরেকটি মিছিল এসে কিশোরের এক স্বজনের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পরদিন রোববার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে আবারও উত্তেজিত জনতা হামলা চালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে এবং পুলিশের এক কনস্টেবল গুরুতর আহত হন। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গঙ্গাচড়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হামলার ঘটনায় ১৫টি বসতঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে।
বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫
রংপুরের গঙ্গাচড়ার আলদাদপুর বালাপাড়া গ্রামে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ কেন্দ্র করে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বসতবাড়িতে হামলার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার সকালে পুলিশ সদর দপ্তরের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
পুলিশ জানায়, ঘটনায় ভুক্তভোগী এক ব্যক্তি গঙ্গাচড়া মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা এক হাজার থেকে এক হাজার দুইশ’ জনকে আসামি করা হয়েছে। পরবর্তীতে যৌথ অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আলদাদপুর গ্রামটি হিন্দু অধ্যুষিত এবং নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার সীমান্তঘেঁষা। গত শনিবার গ্রামের এক কিশোরের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–কে নিয়ে অবমাননাকর লেখা ও ছবি পোস্ট করার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে পুলিশ ওই রাতেই তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরদিন রোববার সাইবার সুরক্ষা আইনে মামলা দিয়ে তাকে আদালতের মাধ্যমে সম্মিলিত শিশু পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠানো হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ওই কিশোরকে থানায় নেওয়ার পর উত্তেজিত লোকজন প্রথমে তার বাড়ির সামনে মিছিল করে। রাত ১০টার দিকে দ্বিতীয় দফায় আরেকটি মিছিল এসে কিশোরের এক স্বজনের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পরদিন রোববার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে আবারও উত্তেজিত জনতা হামলা চালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে এবং পুলিশের এক কনস্টেবল গুরুতর আহত হন। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গঙ্গাচড়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হামলার ঘটনায় ১৫টি বসতঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে।