একজন ব্যবহারকারীর জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে সর্বোচ্চ ১০টি সিম রাখার সীমা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। ইতিমধ্যে ১০টির বেশি নিবন্ধিত সিম রয়েছে এমন গ্রাহকদের অতিরিক্ত সিম ধাপে ধাপে বন্ধ করে দেওয়া হবে। তবে এর আগে ব্যবহারকারীদের নিজ উদ্যোগে অপ্রয়োজনীয় সিম বাতিল করার সুযোগ দেওয়া হবে।
বিটিআরসির তথ্য অনুযায়ী, নতুন এই সীমাবদ্ধতা কার্যকর হলে দেশের প্রায় ২৬ লাখ ব্যবহারকারীর ৬৭ লাখ সিম বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এই প্রক্রিয়া আগামী নভেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ এমদাদ উল বারী জানান, ১ আগস্ট থেকে তিন মাস সময় দেওয়া হবে সিম স্বেচ্ছায় বাতিলের জন্য। এরপর বিভিন্ন ধাপে বাড়তি সিম বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া হবে। তবে এতে যাতে গ্রাহকদের ভোগান্তি না হয়, তা নিশ্চিত করতে সময় নিয়ে কাজ করছে সংস্থাটি।
এর আগে গত মে মাসে বিটিআরসি একজন ব্যবহারকারীর সিম সংখ্যা ১৫ থেকে কমিয়ে ১০টিতে আনার সিদ্ধান্ত নেয়। জাতীয় নিরাপত্তা, অপারেটরদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা এবং আন্তর্জাতিক অনুশীলন বিবেচনায় এনে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
বিটিআরসির তথ্য বলছে, বর্তমানে দেশে নিবন্ধিত প্রকৃত সিম ব্যবহারকারী আছেন ৬ কোটি ৭৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৪৫ জন। তাঁদের মধ্যে ৮০.৩২ শতাংশ ব্যবহারকারীর সিম ৫টির নিচে, আর ১৬.২৩ শতাংশ ব্যবহারকারী ৬ থেকে ১০টি সিম ব্যবহার করেন। মাত্র ৩.৪৫ শতাংশ ব্যবহারকারীর সিম সংখ্যা ১০টির বেশি।
বিটিআরসির ভেন্ডর প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন মনিটরিং প্ল্যাটফর্ম (সিবিভিএমপি) অতিরিক্ত সিমধারীদের তালিকা তৈরি করবে এবং তা সংশ্লিষ্ট অপারেটরদের জানাবে। অপারেটররা এসব গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ করবে এবং সিমের সংখ্যা ১০টিতে নামিয়ে আনতে প্রতি সপ্তাহে অন্তত একটি করে এসএমএস পাঠাবে। এছাড়া অপারেটরদের ওয়েবসাইট ও প্রচার মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।
ব্যবহারকারীরা *১৬০০১# নম্বরে ডায়াল করে জানতে পারবেন, তাঁদের জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে কতটি সিম রয়েছে। অতিরিক্ত সিম থাকলে তা ‘ট্রান্সফার অব ওনারশিপ’ করাও সম্ভব।
যাঁদের নামে একাধিক অপারেটরের সিম রয়েছে, তাঁদের প্রত্যেক অপারেটরের অন্তত একটি সিম রেখে সর্বোচ্চ ১০টি সিম নির্ধারণ করা হবে। সর্বশেষ ৬ মাসে যেসব সিমে সর্বোচ্চ রাজস্ব আদায় হয়েছে, সেগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। অপারেটরের পছন্দের সিমও এই বিবেচনায় আসতে পারে।
বিটিআরসি জানিয়েছে, ভুলবশত কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিম বাতিল হয়ে গেলে গ্রাহক অপারেটরের সঙ্গে যোগাযোগ করে পুনরায় তা নিবন্ধন করতে পারবেন।
বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫
একজন ব্যবহারকারীর জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে সর্বোচ্চ ১০টি সিম রাখার সীমা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। ইতিমধ্যে ১০টির বেশি নিবন্ধিত সিম রয়েছে এমন গ্রাহকদের অতিরিক্ত সিম ধাপে ধাপে বন্ধ করে দেওয়া হবে। তবে এর আগে ব্যবহারকারীদের নিজ উদ্যোগে অপ্রয়োজনীয় সিম বাতিল করার সুযোগ দেওয়া হবে।
বিটিআরসির তথ্য অনুযায়ী, নতুন এই সীমাবদ্ধতা কার্যকর হলে দেশের প্রায় ২৬ লাখ ব্যবহারকারীর ৬৭ লাখ সিম বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এই প্রক্রিয়া আগামী নভেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ এমদাদ উল বারী জানান, ১ আগস্ট থেকে তিন মাস সময় দেওয়া হবে সিম স্বেচ্ছায় বাতিলের জন্য। এরপর বিভিন্ন ধাপে বাড়তি সিম বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া হবে। তবে এতে যাতে গ্রাহকদের ভোগান্তি না হয়, তা নিশ্চিত করতে সময় নিয়ে কাজ করছে সংস্থাটি।
এর আগে গত মে মাসে বিটিআরসি একজন ব্যবহারকারীর সিম সংখ্যা ১৫ থেকে কমিয়ে ১০টিতে আনার সিদ্ধান্ত নেয়। জাতীয় নিরাপত্তা, অপারেটরদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা এবং আন্তর্জাতিক অনুশীলন বিবেচনায় এনে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
বিটিআরসির তথ্য বলছে, বর্তমানে দেশে নিবন্ধিত প্রকৃত সিম ব্যবহারকারী আছেন ৬ কোটি ৭৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৪৫ জন। তাঁদের মধ্যে ৮০.৩২ শতাংশ ব্যবহারকারীর সিম ৫টির নিচে, আর ১৬.২৩ শতাংশ ব্যবহারকারী ৬ থেকে ১০টি সিম ব্যবহার করেন। মাত্র ৩.৪৫ শতাংশ ব্যবহারকারীর সিম সংখ্যা ১০টির বেশি।
বিটিআরসির ভেন্ডর প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন মনিটরিং প্ল্যাটফর্ম (সিবিভিএমপি) অতিরিক্ত সিমধারীদের তালিকা তৈরি করবে এবং তা সংশ্লিষ্ট অপারেটরদের জানাবে। অপারেটররা এসব গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ করবে এবং সিমের সংখ্যা ১০টিতে নামিয়ে আনতে প্রতি সপ্তাহে অন্তত একটি করে এসএমএস পাঠাবে। এছাড়া অপারেটরদের ওয়েবসাইট ও প্রচার মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।
ব্যবহারকারীরা *১৬০০১# নম্বরে ডায়াল করে জানতে পারবেন, তাঁদের জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে কতটি সিম রয়েছে। অতিরিক্ত সিম থাকলে তা ‘ট্রান্সফার অব ওনারশিপ’ করাও সম্ভব।
যাঁদের নামে একাধিক অপারেটরের সিম রয়েছে, তাঁদের প্রত্যেক অপারেটরের অন্তত একটি সিম রেখে সর্বোচ্চ ১০টি সিম নির্ধারণ করা হবে। সর্বশেষ ৬ মাসে যেসব সিমে সর্বোচ্চ রাজস্ব আদায় হয়েছে, সেগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। অপারেটরের পছন্দের সিমও এই বিবেচনায় আসতে পারে।
বিটিআরসি জানিয়েছে, ভুলবশত কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিম বাতিল হয়ে গেলে গ্রাহক অপারেটরের সঙ্গে যোগাযোগ করে পুনরায় তা নিবন্ধন করতে পারবেন।