দীর্ঘদিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার পাশাপাশি অসদাচরণের অভিযোগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক যুগ্ম সচিব ধনঞ্জয় কুমার দাসকে সরকারি চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে সরকার। মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২০২৪ সালের ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ধনঞ্জয় কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন, যা ‘পলায়ন’ হিসেবে গণ্য হয়। তদন্তে তার বিরুদ্ধে ‘অসদাচরণ’ এবং ‘পলায়নের’ অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হলেও ‘নাশকতার’ অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি।
এদিকে, বরখাস্তের আদেশের পর মঙ্গলবার রাত পৌনে ১১টার দিকে নিজের ফেইসবুক অ্যাকাউন্টে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ধনঞ্জয়। লিখেছেন, “অবৈধ ইউনুস সরকার আমাকে নাকি বরখাস্ত করছে! আজ থেকে আমি মুক্ত, স্বাধীন। নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে হচ্ছে, এমন অথর্ব সরকারের অধীনে আমাকে একদিনও চাকরি করতে হয়নি।”
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ৩১ আগস্ট ধনঞ্জয়কে বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দিয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয়। তিনি ২ সেপ্টেম্বর সেখানে যোগ দিলেও ৩ থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন।
এরপর ৫ ডিসেম্বর তাঁকে আবারও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয়। কিন্তু সেখানে যোগ না দিয়ে তিনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকেন। এতে তার আচরণ সরকারি কর্মচারী আচরণবিধি এবং বিধিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করা হয়।
এছাড়া জুলাই-আগস্ট বিপ্লবকালীন সময়ে তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে বিভিন্ন ‘রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক’ পোস্ট দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে, যা সহকর্মীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে বলে মন্ত্রণালয়ের ভাষ্য।
প্রজ্ঞাপনে আরও জানানো হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় নিহত ছাত্র রমিজ উদ্দিন আহমেদের পিতা এ কে এম রকিবুল আহমেদ গত ৭ সেপ্টেম্বর ধনঞ্জয়সহ ২২৩ জনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা করেন।
তবে ধনঞ্জয়ের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলায় কারণ দর্শানোর জন্য একাধিকবার নোটিস দেওয়া হলেও তিনি লিখিত জবাব দেননি। এর পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত বোর্ড গঠন করা হয় এবং চূড়ান্ত প্রতিবেদনে তার বিরুদ্ধে অসদাচরণ ও পলায়নের অভিযোগ প্রমাণিত হয়। সরকারি কর্ম কমিশনের সুপারিশক্রমে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।
বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫
দীর্ঘদিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার পাশাপাশি অসদাচরণের অভিযোগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক যুগ্ম সচিব ধনঞ্জয় কুমার দাসকে সরকারি চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে সরকার। মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২০২৪ সালের ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ধনঞ্জয় কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন, যা ‘পলায়ন’ হিসেবে গণ্য হয়। তদন্তে তার বিরুদ্ধে ‘অসদাচরণ’ এবং ‘পলায়নের’ অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হলেও ‘নাশকতার’ অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি।
এদিকে, বরখাস্তের আদেশের পর মঙ্গলবার রাত পৌনে ১১টার দিকে নিজের ফেইসবুক অ্যাকাউন্টে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ধনঞ্জয়। লিখেছেন, “অবৈধ ইউনুস সরকার আমাকে নাকি বরখাস্ত করছে! আজ থেকে আমি মুক্ত, স্বাধীন। নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে হচ্ছে, এমন অথর্ব সরকারের অধীনে আমাকে একদিনও চাকরি করতে হয়নি।”
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ৩১ আগস্ট ধনঞ্জয়কে বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দিয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয়। তিনি ২ সেপ্টেম্বর সেখানে যোগ দিলেও ৩ থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন।
এরপর ৫ ডিসেম্বর তাঁকে আবারও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয়। কিন্তু সেখানে যোগ না দিয়ে তিনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকেন। এতে তার আচরণ সরকারি কর্মচারী আচরণবিধি এবং বিধিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করা হয়।
এছাড়া জুলাই-আগস্ট বিপ্লবকালীন সময়ে তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে বিভিন্ন ‘রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক’ পোস্ট দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে, যা সহকর্মীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে বলে মন্ত্রণালয়ের ভাষ্য।
প্রজ্ঞাপনে আরও জানানো হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় নিহত ছাত্র রমিজ উদ্দিন আহমেদের পিতা এ কে এম রকিবুল আহমেদ গত ৭ সেপ্টেম্বর ধনঞ্জয়সহ ২২৩ জনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা করেন।
তবে ধনঞ্জয়ের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলায় কারণ দর্শানোর জন্য একাধিকবার নোটিস দেওয়া হলেও তিনি লিখিত জবাব দেননি। এর পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত বোর্ড গঠন করা হয় এবং চূড়ান্ত প্রতিবেদনে তার বিরুদ্ধে অসদাচরণ ও পলায়নের অভিযোগ প্রমাণিত হয়। সরকারি কর্ম কমিশনের সুপারিশক্রমে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।