আগামী ৫ আগস্টকে ঘিরে দেশে নাশকতার আশঙ্কার কথা জানিয়ে গোপন প্রতিবেদন দিয়েছিল পুলিশের বিশেষ শাখা এসবি। তবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ৫ আগস্ট ঘিরে কোনো ধরনের নিরাপত্তার শঙ্কা নেই। বুধবার,(৩০ জুলাই ২০২৫) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেছেন।
এর আগে গত ২৯ জুলাই আইজিপি বাহারুল আলম সাংবাদিকদের বলেছেন, জুলাই-আগস্ট পুরোটা সময়ই সতর্কতার। তবে ১১ দিনের আইনশৃঙ্খলার সতর্কতা-সংক্রান্ত বিশেষ নির্দেশনার বিষয়ে তার কিছু জানা নেই।
অথচ গত ২৮ জুলাই বিশেষ শাখার এই গোপন প্রতিবেদনে, দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট (১১ দিন) পর্যন্ত বিশেষ পুলিশি ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়েছে।
এই গোপন প্রতিবেদন বেশ কয়েকটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। সংবাদেও ওই প্রতিবেদনের একটি কপি পেয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ঐতিহাসিক জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং ফ্যাসিবাদবিরোধী সামাজিক সংগঠনগুলো গত পহেলা জুলাই থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। এর ধারাবাহিকতায় গত ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত কর্মসূচি পালনের সময়কাল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
‘উক্ত সময়ে কর্মসূচি পালনকে কেন্দ্র করে বিতাড়িত ফ্যাসিবাদী শক্তি অনলাইন ও অফ লাইনে প্রচারণা চালিয়ে দেশব্যাপী নৈরাজ্য সৃষ্টি, ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির কর্মসূচিতে বাধা দেয়াসহ দেশব্যাপী বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর অপচেষ্টা চালাতে পারে।’
‘এ পরিস্থিতিতে আপনাদের কার্যাধীন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির স্বাভাবিক রাখাসহ সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তি এবং জানমাল রক্ষার্থে ৬ ধরনের ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে। তার মধ্যে ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত
বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা। ৮ আগস্ট পর্যন্ত নিয়মিত সন্দেহভাজন ব্যক্তিসহ মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস ও অন্যান্য যানবাহন তল্লাশি করা।’
বাস টার্মিনাল, লঞ্চঘাট, রেলস্টেশন ও বিমানবন্দরের পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল অভিযান পরিচালনা করা। মোবাইল প্যাট্রোল জোরদার করা। গুজব ঠেকাতে সাইবার প্যাট্রোলিং কার্যক্রম অব্যাহত রাখাসহ গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধির দরকার রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়াও কোনো অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকলে তা তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, ডিআইজি সিটি এসবি, পুলিশ সুপার, ডিএসবি, আরএসবি (সকল), উপ-পুলিশ কমিশনার সিটি স্পেশাল ব্রাঞ্চ বরিশাল, গাজীপুর, রংপুর ও সিলেট। স্পেশাল পুলিশ সুপার, সিটি স্পেশাল বাঞ্চ, রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও খুলনা। গোপনীয় এই প্রতিবেদনে বিশেষ শাখার ডিআইজি (রাজনৈতিক উইং) অ্যাডিশনাল আইজিপির পক্ষে গত ২৮ জুলাই স্বাক্ষর করেছেন।
অপরাধবিষয়ক আইনজীবী সৈয়দ আহমেদ গাজী সংবাদকে বলেন, বিষয়টি গোপনীয় উল্লেখ থাকার পর তা প্রকাশ করে নিয়ম ভঙ্গ করছে। এই গোপন প্রতিবেদন প্রকাশের কারণে কেউ ক্ষুব্ধ বা ক্ষতিগ্রস্ত হলে ভুক্তভোগী আইনি ব্যবস্থা নিতে পারবেন।
এদিকে বুধবার,(৩০ জুলাই ২০২৫) রাতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি মিডিয়া তালেবুর রহমান সংবাদকে মুঠোফোনে জানান, রাজধানীতে নিরাপত্তার কোনো শঙ্কা দেখছেন না বলে জানান।
উল্লেখ্য, এর আগেও বিশেষ শাখা তাদের গোপন প্রতিবেদনের নামে বিভিন্ন অগ্রিম খবর অনুমান করে বিভিন্ন দপ্তরে পাঠাতো। এখনও একই কায়দায় গোপন প্রতিবেদন তৈরি করছে। তারা আবার বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার করেছে।
বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫
আগামী ৫ আগস্টকে ঘিরে দেশে নাশকতার আশঙ্কার কথা জানিয়ে গোপন প্রতিবেদন দিয়েছিল পুলিশের বিশেষ শাখা এসবি। তবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ৫ আগস্ট ঘিরে কোনো ধরনের নিরাপত্তার শঙ্কা নেই। বুধবার,(৩০ জুলাই ২০২৫) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেছেন।
এর আগে গত ২৯ জুলাই আইজিপি বাহারুল আলম সাংবাদিকদের বলেছেন, জুলাই-আগস্ট পুরোটা সময়ই সতর্কতার। তবে ১১ দিনের আইনশৃঙ্খলার সতর্কতা-সংক্রান্ত বিশেষ নির্দেশনার বিষয়ে তার কিছু জানা নেই।
অথচ গত ২৮ জুলাই বিশেষ শাখার এই গোপন প্রতিবেদনে, দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট (১১ দিন) পর্যন্ত বিশেষ পুলিশি ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়েছে।
এই গোপন প্রতিবেদন বেশ কয়েকটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। সংবাদেও ওই প্রতিবেদনের একটি কপি পেয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ঐতিহাসিক জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং ফ্যাসিবাদবিরোধী সামাজিক সংগঠনগুলো গত পহেলা জুলাই থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। এর ধারাবাহিকতায় গত ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত কর্মসূচি পালনের সময়কাল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
‘উক্ত সময়ে কর্মসূচি পালনকে কেন্দ্র করে বিতাড়িত ফ্যাসিবাদী শক্তি অনলাইন ও অফ লাইনে প্রচারণা চালিয়ে দেশব্যাপী নৈরাজ্য সৃষ্টি, ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির কর্মসূচিতে বাধা দেয়াসহ দেশব্যাপী বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর অপচেষ্টা চালাতে পারে।’
‘এ পরিস্থিতিতে আপনাদের কার্যাধীন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির স্বাভাবিক রাখাসহ সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তি এবং জানমাল রক্ষার্থে ৬ ধরনের ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে। তার মধ্যে ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত
বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা। ৮ আগস্ট পর্যন্ত নিয়মিত সন্দেহভাজন ব্যক্তিসহ মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস ও অন্যান্য যানবাহন তল্লাশি করা।’
বাস টার্মিনাল, লঞ্চঘাট, রেলস্টেশন ও বিমানবন্দরের পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল অভিযান পরিচালনা করা। মোবাইল প্যাট্রোল জোরদার করা। গুজব ঠেকাতে সাইবার প্যাট্রোলিং কার্যক্রম অব্যাহত রাখাসহ গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধির দরকার রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়াও কোনো অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকলে তা তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, ডিআইজি সিটি এসবি, পুলিশ সুপার, ডিএসবি, আরএসবি (সকল), উপ-পুলিশ কমিশনার সিটি স্পেশাল ব্রাঞ্চ বরিশাল, গাজীপুর, রংপুর ও সিলেট। স্পেশাল পুলিশ সুপার, সিটি স্পেশাল বাঞ্চ, রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও খুলনা। গোপনীয় এই প্রতিবেদনে বিশেষ শাখার ডিআইজি (রাজনৈতিক উইং) অ্যাডিশনাল আইজিপির পক্ষে গত ২৮ জুলাই স্বাক্ষর করেছেন।
অপরাধবিষয়ক আইনজীবী সৈয়দ আহমেদ গাজী সংবাদকে বলেন, বিষয়টি গোপনীয় উল্লেখ থাকার পর তা প্রকাশ করে নিয়ম ভঙ্গ করছে। এই গোপন প্রতিবেদন প্রকাশের কারণে কেউ ক্ষুব্ধ বা ক্ষতিগ্রস্ত হলে ভুক্তভোগী আইনি ব্যবস্থা নিতে পারবেন।
এদিকে বুধবার,(৩০ জুলাই ২০২৫) রাতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি মিডিয়া তালেবুর রহমান সংবাদকে মুঠোফোনে জানান, রাজধানীতে নিরাপত্তার কোনো শঙ্কা দেখছেন না বলে জানান।
উল্লেখ্য, এর আগেও বিশেষ শাখা তাদের গোপন প্রতিবেদনের নামে বিভিন্ন অগ্রিম খবর অনুমান করে বিভিন্ন দপ্তরে পাঠাতো। এখনও একই কায়দায় গোপন প্রতিবেদন তৈরি করছে। তারা আবার বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার করেছে।