সোয়া ২ কোটির চেক উদ্ধার, মামলা প্রক্রিয়াধীন, ১১টি চেকে ৫ কোটি টাকা লিখে নেয়ার অভিযোগ
রাজধানীর গুলশানে সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদা দাবির ঘটনায় গ্রেপ্তার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা আব্দুর রাজ্জাক বিন সোলাইমান ওরফে রিয়াদের বাসা থেকে ২ কোটি ২৫ লাখ টাকার চারটি চেক উদ্ধার করেছে পুলিশ। চেকগুলো কলাবাগান থানায় জমা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় নতুন করে মামলা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, মব সৃষ্টির ভয় দেখিয়ে রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদের কাছ থেকে ১১টি চেকে ৫ কোটি টাকা লিখিয়ে নেয়া হয়। যার মধ্যে ৪টি উদ্ধার করা হয়েছে। অ্যাকাউন্টে টাকা না থাকায় তুলতে পারেননি বর্তমানে রিমান্ডে থাকা রিয়াদসহ ৫ সমন্বয়ক।
এ বিষয়ে বুধবার,(৩০ জুলাই ২০২৫) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, রাজধানীর গুলশানে সাবেক সংসদ সদস্যের বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির ঘটনায় রিমান্ডে থাকা আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর নাখালপাড়ায় রিয়াদের ভাড়া বাসা থেকে চারটি চেক উদ্ধার করা হয়। চেকে মোট টাকা ২ কোটি ২৫ লাখ। এ ঘটনায় কলাবাগান থানায় আলাদা একটি মামলা করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
এক প্রশ্নের জবাবে তালেবুর রহমান বলেন, ভুক্তভোগী আগেই যদি পুলিশকে জানাতেন, তাহলে এ অপরাধ ঠেকানো যেত। পুলিশ বিষয়গুলো খতিয়ে দেখছে, কী কারণে তারা চাঁদা দিয়েছিলেন। তাদের কোনো দুর্বলতা ছিল কিনা। গুলশানে চাঁদাবাজির সঙ্গে আর কেউ জড়িত কিনা, জানতে চাইলে তালেবুর রহমান বলেন, কারও দলীয় পরিচয় মুখ্য বিষয় নয়। তদন্ত চলছে। আর কেউ জড়িত আছে কিনা, তা তদন্তে জানা যাবে।
এদিকে গুলশানে চাঁদা নেয়ার ঘটনায় হাতেনাতে গ্রেপ্তারের পর তদন্তে আরেক সাবেক সংসদ সদস্যের কাছ চেক লিখিয়ে নেয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসলে গুরুত্বসহকারে তদন্ত শুরু করে
পুলিশ। পুলিশ সূত্র জানায়, যে ৪টি চেক উদ্ধার করা হয়েছে সেগুলো জনতা ব্যাংকের। দুটি চেকে এক কোটি করে দুই কোটি, একটি চেকে ১৫ লাখ ও আরেকটিতে ১০ লাখ টাকার পরিমাণ লেখা আছে। তবে চেকে কোনো তারিখ উল্লেখ নেই।
জানা গেছে, গত ২৬ জুন বিকেল ৫টার দিকে গ্রীন রোডে সাবেক সংসদ সদস্যের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিট জোন প্রাইভেট কোম্পানি লিমিটেড নামে প্রতিষ্ঠানে সমন্বয়ক পরিচয়ে রিয়াদের নেতৃত্বে ৬ জন প্রবেশ করে। সেই সময়ে নিজ প্রতিষ্ঠানের অফিসে অবস্থান করছিলেন রংপুরের সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ। পরবর্তীতে নগদ টাকা আদায়ের চেষ্টা করে। কিন্তু কোনো টাকা না পেয়ে আজাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের চেক বইয়ের ১১টি পাতায় ৫ কোটি টাকা লিখিয়ে নিয়ে চলে যায়। লিখিয়ে নেয়া চেকগুলো জনতা ব্যাংকের একটির অ্যাকাউন্টের।
ঘটনার সময়ের ভীতিকর পরিস্থিতি তুলে ধরে সাবেক সংসদ সদস্যের প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার ও শ্যালক সাইফুল ইসলাম বলেন, রিয়াদের নেতৃত্বে সমন্বয়করা অফিসে প্রবেশ করেন। কিন্তু সাবেক সংসদ সদস্য আজাদ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান। এই সময়ে তারা বলেন, আমরা আপনার অফিসে ৬ জন এসেছি কিন্তু নিচে ২০০ জন আছে। আপনি কি চান আপনার গালে কেউ থাপ্পড় মারুক কিংবা জুতা দিয়ে বাড়ি মারুক? এটা না চাইলে টাকা দেন। এভাবে নানা ধরনের হুমকি-ধমকি দিয়ে তারা টাকা দাবি করতে থাকে। এ সময় আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমার কাছে এক টাকাও নেই। তখন তারা তার টেবিলের ড্রয়ার সার্চ করে। সেখানে ব্যাংকের চেক বই পায়। এরপর সেই চেকে জোর করে ৫ কোটি টাকা লিখিয়ে নিয়ে চলে যায়।
তালেবুর রহমান জানান, চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার আবদুর রাজ্জাক আগে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। ঘটনায় জড়িত থাকায় তাকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের উদ্যোগে গঠিত এই সংগঠনটি ছাত্র রাজনীতিতে নতুন হলেও সম্প্রতি আলোচনায় উঠে আসে।
গত ২৬ জুলাই রাজধানীর গুলশানে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজির অভিযোগে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদসহ ৫ জনকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। চাঁদাবাজির অভিযোগে গুলশান থানায় ৬ জনকে আসামি করে মামলা করেন শাম্মী আহমেদের স্বামী সিদ্দিক আবু জাফর। গ্রেপ্তার মধ্যে একজন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় অন্য ৪ জনকে ৭ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত। রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া ৪ জন হলেন ইব্রাহীম হোসেন মুন্না, মো. সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব ও রিয়াদ।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ১৭ জুলাই সকাল ১০টায় আসামি বৈষম্যবিরোধী নেতা রিয়াদ ও অপু গুলশানের ৮৩ নম্বর রোডে সাবেক এমপি শাম্মী আহম্মেদের বাসায় যান। তখন তারা হুমকি-ধমকি দিয়ে ৫০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার দাবি করেন। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে আওয়ামী লীগের ‘দোসর’ আখ্যায়িত করে পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করানোর হুমকি দেন এবং টাকা চেয়ে চাপ দিতে থাকেন তারা।
এক পর্যায়ে সিদ্দিক আবু জাফর বাধ্য হয়ে নিজের কাছে থাকা নগদ ৫ লাখ টাকা ও ভাইয়ের কাছে থেকে নিয়ে আরও ৫ লাখ টাকা দেন। এর পর ১৯ জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে রিয়াদ ও অপু বাদীর বাসায় প্রবেশ করে তার ফ্ল্যাটের দরজায় সজোরে ধাক্কা মারেন। বিষয়টি গুলশান থানা পুলিশকে মোবাইল ফোনে অবহিত করলে আসামিরা চলে যায়। ২৬ জুলাই বিকেল সাড়ে ৫টায় আবার রিয়াদের নেতৃত্বে অন্য আসামিরা বাদীর বাসার সামনে এসে তাকে খুঁজতে থাকেন। বাসার দারোয়ান মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তাকে বিষয়টি জানান। তখন আসামিদের দাবি করা বাকি ৪০ লাখ টাকা না দিলে তাকে পুলিশে ধরিয়ে দিবেন বলে হুমকি দিতে থাকেন। পরবর্তীতে পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করলে তাৎক্ষণিক গুলশান থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পাঁচজনকে হাতেনাতে আটক করে।
সোয়া ২ কোটির চেক উদ্ধার, মামলা প্রক্রিয়াধীন, ১১টি চেকে ৫ কোটি টাকা লিখে নেয়ার অভিযোগ
বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫
রাজধানীর গুলশানে সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদা দাবির ঘটনায় গ্রেপ্তার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা আব্দুর রাজ্জাক বিন সোলাইমান ওরফে রিয়াদের বাসা থেকে ২ কোটি ২৫ লাখ টাকার চারটি চেক উদ্ধার করেছে পুলিশ। চেকগুলো কলাবাগান থানায় জমা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় নতুন করে মামলা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, মব সৃষ্টির ভয় দেখিয়ে রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদের কাছ থেকে ১১টি চেকে ৫ কোটি টাকা লিখিয়ে নেয়া হয়। যার মধ্যে ৪টি উদ্ধার করা হয়েছে। অ্যাকাউন্টে টাকা না থাকায় তুলতে পারেননি বর্তমানে রিমান্ডে থাকা রিয়াদসহ ৫ সমন্বয়ক।
এ বিষয়ে বুধবার,(৩০ জুলাই ২০২৫) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, রাজধানীর গুলশানে সাবেক সংসদ সদস্যের বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির ঘটনায় রিমান্ডে থাকা আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর নাখালপাড়ায় রিয়াদের ভাড়া বাসা থেকে চারটি চেক উদ্ধার করা হয়। চেকে মোট টাকা ২ কোটি ২৫ লাখ। এ ঘটনায় কলাবাগান থানায় আলাদা একটি মামলা করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
এক প্রশ্নের জবাবে তালেবুর রহমান বলেন, ভুক্তভোগী আগেই যদি পুলিশকে জানাতেন, তাহলে এ অপরাধ ঠেকানো যেত। পুলিশ বিষয়গুলো খতিয়ে দেখছে, কী কারণে তারা চাঁদা দিয়েছিলেন। তাদের কোনো দুর্বলতা ছিল কিনা। গুলশানে চাঁদাবাজির সঙ্গে আর কেউ জড়িত কিনা, জানতে চাইলে তালেবুর রহমান বলেন, কারও দলীয় পরিচয় মুখ্য বিষয় নয়। তদন্ত চলছে। আর কেউ জড়িত আছে কিনা, তা তদন্তে জানা যাবে।
এদিকে গুলশানে চাঁদা নেয়ার ঘটনায় হাতেনাতে গ্রেপ্তারের পর তদন্তে আরেক সাবেক সংসদ সদস্যের কাছ চেক লিখিয়ে নেয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসলে গুরুত্বসহকারে তদন্ত শুরু করে
পুলিশ। পুলিশ সূত্র জানায়, যে ৪টি চেক উদ্ধার করা হয়েছে সেগুলো জনতা ব্যাংকের। দুটি চেকে এক কোটি করে দুই কোটি, একটি চেকে ১৫ লাখ ও আরেকটিতে ১০ লাখ টাকার পরিমাণ লেখা আছে। তবে চেকে কোনো তারিখ উল্লেখ নেই।
জানা গেছে, গত ২৬ জুন বিকেল ৫টার দিকে গ্রীন রোডে সাবেক সংসদ সদস্যের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিট জোন প্রাইভেট কোম্পানি লিমিটেড নামে প্রতিষ্ঠানে সমন্বয়ক পরিচয়ে রিয়াদের নেতৃত্বে ৬ জন প্রবেশ করে। সেই সময়ে নিজ প্রতিষ্ঠানের অফিসে অবস্থান করছিলেন রংপুরের সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ। পরবর্তীতে নগদ টাকা আদায়ের চেষ্টা করে। কিন্তু কোনো টাকা না পেয়ে আজাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের চেক বইয়ের ১১টি পাতায় ৫ কোটি টাকা লিখিয়ে নিয়ে চলে যায়। লিখিয়ে নেয়া চেকগুলো জনতা ব্যাংকের একটির অ্যাকাউন্টের।
ঘটনার সময়ের ভীতিকর পরিস্থিতি তুলে ধরে সাবেক সংসদ সদস্যের প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার ও শ্যালক সাইফুল ইসলাম বলেন, রিয়াদের নেতৃত্বে সমন্বয়করা অফিসে প্রবেশ করেন। কিন্তু সাবেক সংসদ সদস্য আজাদ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান। এই সময়ে তারা বলেন, আমরা আপনার অফিসে ৬ জন এসেছি কিন্তু নিচে ২০০ জন আছে। আপনি কি চান আপনার গালে কেউ থাপ্পড় মারুক কিংবা জুতা দিয়ে বাড়ি মারুক? এটা না চাইলে টাকা দেন। এভাবে নানা ধরনের হুমকি-ধমকি দিয়ে তারা টাকা দাবি করতে থাকে। এ সময় আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমার কাছে এক টাকাও নেই। তখন তারা তার টেবিলের ড্রয়ার সার্চ করে। সেখানে ব্যাংকের চেক বই পায়। এরপর সেই চেকে জোর করে ৫ কোটি টাকা লিখিয়ে নিয়ে চলে যায়।
তালেবুর রহমান জানান, চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার আবদুর রাজ্জাক আগে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। ঘটনায় জড়িত থাকায় তাকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের উদ্যোগে গঠিত এই সংগঠনটি ছাত্র রাজনীতিতে নতুন হলেও সম্প্রতি আলোচনায় উঠে আসে।
গত ২৬ জুলাই রাজধানীর গুলশানে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজির অভিযোগে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদসহ ৫ জনকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। চাঁদাবাজির অভিযোগে গুলশান থানায় ৬ জনকে আসামি করে মামলা করেন শাম্মী আহমেদের স্বামী সিদ্দিক আবু জাফর। গ্রেপ্তার মধ্যে একজন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় অন্য ৪ জনকে ৭ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত। রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া ৪ জন হলেন ইব্রাহীম হোসেন মুন্না, মো. সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব ও রিয়াদ।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ১৭ জুলাই সকাল ১০টায় আসামি বৈষম্যবিরোধী নেতা রিয়াদ ও অপু গুলশানের ৮৩ নম্বর রোডে সাবেক এমপি শাম্মী আহম্মেদের বাসায় যান। তখন তারা হুমকি-ধমকি দিয়ে ৫০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার দাবি করেন। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে আওয়ামী লীগের ‘দোসর’ আখ্যায়িত করে পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করানোর হুমকি দেন এবং টাকা চেয়ে চাপ দিতে থাকেন তারা।
এক পর্যায়ে সিদ্দিক আবু জাফর বাধ্য হয়ে নিজের কাছে থাকা নগদ ৫ লাখ টাকা ও ভাইয়ের কাছে থেকে নিয়ে আরও ৫ লাখ টাকা দেন। এর পর ১৯ জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে রিয়াদ ও অপু বাদীর বাসায় প্রবেশ করে তার ফ্ল্যাটের দরজায় সজোরে ধাক্কা মারেন। বিষয়টি গুলশান থানা পুলিশকে মোবাইল ফোনে অবহিত করলে আসামিরা চলে যায়। ২৬ জুলাই বিকেল সাড়ে ৫টায় আবার রিয়াদের নেতৃত্বে অন্য আসামিরা বাদীর বাসার সামনে এসে তাকে খুঁজতে থাকেন। বাসার দারোয়ান মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তাকে বিষয়টি জানান। তখন আসামিদের দাবি করা বাকি ৪০ লাখ টাকা না দিলে তাকে পুলিশে ধরিয়ে দিবেন বলে হুমকি দিতে থাকেন। পরবর্তীতে পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করলে তাৎক্ষণিক গুলশান থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পাঁচজনকে হাতেনাতে আটক করে।