শ্রীমঙ্গলে আনারসের বাম্পার ফলন -সংবাদ
আনারস এমন একটি ফল, যা ঔষধি ফল হিসেবে ভীষণ উপকারী। বিশেষ করে জ্বর, সর্দিতে এর চাহিদা বাড়ে কয়েকগুণ। এই ফলটির কথা উঠলেই প্রথমেই মনে আসে সিলেটের আনারসের কথা। আর মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল অঞ্চলের আনারস হলে তো কোনো কথাই নেই। সারাদেশের মধ্যে শ্রীমঙ্গলের আনারস একটি বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছে এর স্বাদ ও ঘ্রাণের জন্য। প্রাকৃতিকভাবেই মিষ্টি স্বাদের এই আনারসগুলো সবার কাছে পছন্দের।
শ্রীমঙ্গলের আনারসের বৈশিষ্ট্য হলো এটি আকারে ছোট হলেও স্বাদ ও গন্ধে অনন্য। এর মিষ্টি তীব্রতা এবং রসে ভরপুর ও কোমলতা এটিকে জনপ্রিয় করে তুলেছে। এখানকার জলবায়ু ও মাটি আনারসের ফলনের জন্য উপযুক্ত, যার কারণে শ্রীমঙ্গলের আনারস এত সুস্বাদু হয়। শ্রীমঙ্গলের পাহাড়ি ঢালে প্রাকৃতিক জৈবপদ্ধতিতে আনারস চাষ হয়। মাটির খনিজ এবং পানি ধারণক্ষমতা অনন্য। ফলে কৃত্রিম সার বা রাসায়নিক দ্রব্য ছাড়াই ফল হয় অত্যন্ত মিষ্টি ও রসালো।
গাঢ় সুবাস পাকা আনারস থেকে এক ধরনের স্বাভাবিক ঘ্রাণ পাওয়া যায়, যা অন্য অঞ্চলের তুলনায় অনেক বেশি। এটি অনেকটা ফ্লোরাল ও ফলের মিশ্র গন্ধ। রসালো ও নরম গঠন। সঠিকভাবে পরিপক্ক হয়ে ফল হয় বলে ভেতরের গঠন মোলায়েম, ফাইবার কম। ফলে খাওয়ার সময় জিভে চুলকানি বা টক ভাব থাকে না।
শ্রীমঙ্গলের যেসব এলাকায়
আনারস চাষ বেশি হয়
লাউয়াছড়া, শিমুলবন, খাইছড়া, সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের আশপাশের এলাকার উঁচু-নিচু টিলা ভূমি ও লালচে বেলে মাটিতে আনারস উৎপাদন করা হয়। প্রাকৃতিক বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঝিরির পানিতেই চলে সেচ কাজ।
কম-বসতির এলাকায় চাষ হয় বলে এখানে কার্বাইড, ফরমালিন বা রাসায়নিক ব্যবহার হয় না। জৈব পদ্ধতিতে উৎপাদিত হওয়ায় স্বাস্থ্যসম্মত এই আনারসগুলোর চাহিদা ব্যাপক। এখানকার আনারসকে এও ঞধম (এবড়মৎধঢ়যরপধষ ওহফরপধঃরড়হ) এর জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে। অনেক বছর ধরে ঢাকার নামকরা দোকানগুলোতে ‘শ্রীমঙ্গলের আনারস’ আলাদাভাবে বিক্রি হয়।
শ্রীমঙ্গলের আনারস শুধুমাত্র একটি ফল নয়- এটি প্রাকৃতিক পরিবেশ, পরিশ্রমী কৃষকের যতœ, এবং পাহাড়ি জমির উপহার। এর স্বাদ, ঘ্রাণ, এবং স্বচ্ছতা এমন পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে যে, এটি অনেক সময় ‘বাংলাদেশের হ্যাভেনলি পাইনঅ্যাপল’ বলে পরিচিত। বরাবরের মতো এবারও শ্রীমঙ্গলে
আনারসের ফলন ভালো হয়েছে। বাজারে দামও মিলছে ভালো। তবে হিমাগার না থাকায় বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। দ্রুত বিক্রি করতে হচ্ছে আনারস। বাগান থেকে আনারস তোলার একদিনের মধ্যে বিক্রি না করতে পারলে অনেক ফল নষ্ট হয়। এতে লোকসানে পড়েন চাষিরা। কৃষি বিভাগ জানায়, জেলায় ১ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে আনারস চাষ হয়েছে। শ্রীমঙ্গলে হয়েছে ৪২০ হেক্টর জমিতে। হিমাগার স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
শ্রীমঙ্গলে আনারসের বাম্পার ফলন -সংবাদ
বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫
আনারস এমন একটি ফল, যা ঔষধি ফল হিসেবে ভীষণ উপকারী। বিশেষ করে জ্বর, সর্দিতে এর চাহিদা বাড়ে কয়েকগুণ। এই ফলটির কথা উঠলেই প্রথমেই মনে আসে সিলেটের আনারসের কথা। আর মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল অঞ্চলের আনারস হলে তো কোনো কথাই নেই। সারাদেশের মধ্যে শ্রীমঙ্গলের আনারস একটি বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছে এর স্বাদ ও ঘ্রাণের জন্য। প্রাকৃতিকভাবেই মিষ্টি স্বাদের এই আনারসগুলো সবার কাছে পছন্দের।
শ্রীমঙ্গলের আনারসের বৈশিষ্ট্য হলো এটি আকারে ছোট হলেও স্বাদ ও গন্ধে অনন্য। এর মিষ্টি তীব্রতা এবং রসে ভরপুর ও কোমলতা এটিকে জনপ্রিয় করে তুলেছে। এখানকার জলবায়ু ও মাটি আনারসের ফলনের জন্য উপযুক্ত, যার কারণে শ্রীমঙ্গলের আনারস এত সুস্বাদু হয়। শ্রীমঙ্গলের পাহাড়ি ঢালে প্রাকৃতিক জৈবপদ্ধতিতে আনারস চাষ হয়। মাটির খনিজ এবং পানি ধারণক্ষমতা অনন্য। ফলে কৃত্রিম সার বা রাসায়নিক দ্রব্য ছাড়াই ফল হয় অত্যন্ত মিষ্টি ও রসালো।
গাঢ় সুবাস পাকা আনারস থেকে এক ধরনের স্বাভাবিক ঘ্রাণ পাওয়া যায়, যা অন্য অঞ্চলের তুলনায় অনেক বেশি। এটি অনেকটা ফ্লোরাল ও ফলের মিশ্র গন্ধ। রসালো ও নরম গঠন। সঠিকভাবে পরিপক্ক হয়ে ফল হয় বলে ভেতরের গঠন মোলায়েম, ফাইবার কম। ফলে খাওয়ার সময় জিভে চুলকানি বা টক ভাব থাকে না।
শ্রীমঙ্গলের যেসব এলাকায়
আনারস চাষ বেশি হয়
লাউয়াছড়া, শিমুলবন, খাইছড়া, সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের আশপাশের এলাকার উঁচু-নিচু টিলা ভূমি ও লালচে বেলে মাটিতে আনারস উৎপাদন করা হয়। প্রাকৃতিক বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঝিরির পানিতেই চলে সেচ কাজ।
কম-বসতির এলাকায় চাষ হয় বলে এখানে কার্বাইড, ফরমালিন বা রাসায়নিক ব্যবহার হয় না। জৈব পদ্ধতিতে উৎপাদিত হওয়ায় স্বাস্থ্যসম্মত এই আনারসগুলোর চাহিদা ব্যাপক। এখানকার আনারসকে এও ঞধম (এবড়মৎধঢ়যরপধষ ওহফরপধঃরড়হ) এর জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে। অনেক বছর ধরে ঢাকার নামকরা দোকানগুলোতে ‘শ্রীমঙ্গলের আনারস’ আলাদাভাবে বিক্রি হয়।
শ্রীমঙ্গলের আনারস শুধুমাত্র একটি ফল নয়- এটি প্রাকৃতিক পরিবেশ, পরিশ্রমী কৃষকের যতœ, এবং পাহাড়ি জমির উপহার। এর স্বাদ, ঘ্রাণ, এবং স্বচ্ছতা এমন পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে যে, এটি অনেক সময় ‘বাংলাদেশের হ্যাভেনলি পাইনঅ্যাপল’ বলে পরিচিত। বরাবরের মতো এবারও শ্রীমঙ্গলে
আনারসের ফলন ভালো হয়েছে। বাজারে দামও মিলছে ভালো। তবে হিমাগার না থাকায় বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। দ্রুত বিক্রি করতে হচ্ছে আনারস। বাগান থেকে আনারস তোলার একদিনের মধ্যে বিক্রি না করতে পারলে অনেক ফল নষ্ট হয়। এতে লোকসানে পড়েন চাষিরা। কৃষি বিভাগ জানায়, জেলায় ১ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে আনারস চাষ হয়েছে। শ্রীমঙ্গলে হয়েছে ৪২০ হেক্টর জমিতে। হিমাগার স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।