জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আসন পুনর্বিন্যাসে গাজীপুরে একটি নতুন আসন যোগ হচ্ছে, আর বাগেরহাটে একটি আসন কমানো হচ্ছে। এমন প্রস্তাব দিয়ে সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ করে খসড়া প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বুধবার (৩০ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে নিজ কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।
বর্তমানে গাজীপুরে পাঁচটি এবং বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন রয়েছে। নতুন প্রস্তাব বাস্তবায়ন হলে গাজীপুরে আসন সংখ্যা হবে ছয়টি এবং বাগেরহাটে কমে দাঁড়াবে তিনটি।
আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, “ভোটার ও জনসংখ্যার ভারসাম্য আনতে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ৬৪ জেলার গড় ভোটার সংখ্যা ধরা হয়েছে ৪ লাখ ২০ হাজার ৫০০ জন। এই গড় অনুসারে গাজীপুরে একটি আসন বাড়ানো এবং বাগেরহাটে একটি কমানো হলে সমতা আসে।”
নির্বাচন কমিশনের কারিগরি কমিটির প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে আনোয়ারুল ইসলাম জানান, সারা দেশের ৩৯ থেকে ৪২টি আসনে সীমানায় ছোটখাটো পরিবর্তন আনা হয়েছে। তবে গত নির্বাচনে থাকা প্রায় আড়াই শতাধিক আসনের সীমানা অপরিবর্তিত থাকছে।
কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সীমানা পুনর্নির্ধারণ প্রস্তাবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে পঞ্চগড়-১ ও ২, রংপুর-৩, সিরাজগঞ্জ-১ ও ২, সাতক্ষীরা-৩ ও ৪, খুলনা-১ থেকে ৬, শরীয়তপুর-২ ও ৩, ঢাকা-২, ৩, ৭, ১০, ১৪ ও ১৯, গাজীপুর-১, ২, ৩, ৫ ও ৬, নারায়ণগঞ্জ-৪ ও ৫, সিলেট-১ ও ৩, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৩, কুমিল্লা-১, ২, ১০ ও ১১, নোয়াখালী-১, ২, ৪ ও ৫ এবং চট্টগ্রাম-৭ ও ৮ আসন।
ইসি জানায়, খসড়া সীমানা পুনর্নির্ধারণ নিয়ে এখন পর্যন্ত প্রায় দেড় হাজার আবেদন জমা পড়েছে। এসব যাচাই-বাছাই করে ৪২টি আসনে সংশোধনের সুপারিশ করেছে কারিগরি কমিটি।
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, “যদি কারও কোনো আপত্তি বা দাবি থাকে, তারা ১০ আগস্ট পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনে লিখিতভাবে আবেদন করতে পারবেন। এরপর শুনানি শেষে চূড়ান্ত সীমানার গেজেট প্রকাশ করা হবে।”
তিনি আরও জানান, ২০২২ সালের জনশুমারি পর্যালোচনা করতে গিয়ে কারিগরি কমিটি কিছু অসামঞ্জস্য পেয়েছে। ফলে কমিশনের হালনাগাদ ভোটার তালিকার ভিত্তিতে গড় ভোটার বিবেচনায় জেলার অবস্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে যেসব জেলায় মাত্র একটি বা তিনটি আসন রয়েছে, সেগুলোতে আসন সংখ্যা পরিবর্তনের প্রস্তাব দেওয়া হয়নি।
বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আসন পুনর্বিন্যাসে গাজীপুরে একটি নতুন আসন যোগ হচ্ছে, আর বাগেরহাটে একটি আসন কমানো হচ্ছে। এমন প্রস্তাব দিয়ে সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ করে খসড়া প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বুধবার (৩০ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে নিজ কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।
বর্তমানে গাজীপুরে পাঁচটি এবং বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন রয়েছে। নতুন প্রস্তাব বাস্তবায়ন হলে গাজীপুরে আসন সংখ্যা হবে ছয়টি এবং বাগেরহাটে কমে দাঁড়াবে তিনটি।
আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, “ভোটার ও জনসংখ্যার ভারসাম্য আনতে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ৬৪ জেলার গড় ভোটার সংখ্যা ধরা হয়েছে ৪ লাখ ২০ হাজার ৫০০ জন। এই গড় অনুসারে গাজীপুরে একটি আসন বাড়ানো এবং বাগেরহাটে একটি কমানো হলে সমতা আসে।”
নির্বাচন কমিশনের কারিগরি কমিটির প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে আনোয়ারুল ইসলাম জানান, সারা দেশের ৩৯ থেকে ৪২টি আসনে সীমানায় ছোটখাটো পরিবর্তন আনা হয়েছে। তবে গত নির্বাচনে থাকা প্রায় আড়াই শতাধিক আসনের সীমানা অপরিবর্তিত থাকছে।
কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সীমানা পুনর্নির্ধারণ প্রস্তাবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে পঞ্চগড়-১ ও ২, রংপুর-৩, সিরাজগঞ্জ-১ ও ২, সাতক্ষীরা-৩ ও ৪, খুলনা-১ থেকে ৬, শরীয়তপুর-২ ও ৩, ঢাকা-২, ৩, ৭, ১০, ১৪ ও ১৯, গাজীপুর-১, ২, ৩, ৫ ও ৬, নারায়ণগঞ্জ-৪ ও ৫, সিলেট-১ ও ৩, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৩, কুমিল্লা-১, ২, ১০ ও ১১, নোয়াখালী-১, ২, ৪ ও ৫ এবং চট্টগ্রাম-৭ ও ৮ আসন।
ইসি জানায়, খসড়া সীমানা পুনর্নির্ধারণ নিয়ে এখন পর্যন্ত প্রায় দেড় হাজার আবেদন জমা পড়েছে। এসব যাচাই-বাছাই করে ৪২টি আসনে সংশোধনের সুপারিশ করেছে কারিগরি কমিটি।
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, “যদি কারও কোনো আপত্তি বা দাবি থাকে, তারা ১০ আগস্ট পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনে লিখিতভাবে আবেদন করতে পারবেন। এরপর শুনানি শেষে চূড়ান্ত সীমানার গেজেট প্রকাশ করা হবে।”
তিনি আরও জানান, ২০২২ সালের জনশুমারি পর্যালোচনা করতে গিয়ে কারিগরি কমিটি কিছু অসামঞ্জস্য পেয়েছে। ফলে কমিশনের হালনাগাদ ভোটার তালিকার ভিত্তিতে গড় ভোটার বিবেচনায় জেলার অবস্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে যেসব জেলায় মাত্র একটি বা তিনটি আসন রয়েছে, সেগুলোতে আসন সংখ্যা পরিবর্তনের প্রস্তাব দেওয়া হয়নি।