জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ জানিয়েছেন, ‘জুলাই সনদ’ নিয়ে আজ বৃহস্পতিবারই সব আলোচনার নিষ্পত্তিতে পৌঁছাতে চায় কমিশন।
তিনি বলেন, সনদে যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে এবং যেসব বিষয়ে মতপার্থক্য রয়ে গেছে, উভয়ের তালিকা তৈরি করে চূড়ান্ত দলিল আকারে সকল রাজনৈতিক দলের স্বাক্ষরের মাধ্যমে তা গ্রহণ করা হবে।
বৃহস্পতিবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের ২৩তম দিনের সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আলী রীয়াজ বলেন, “আজকের মধ্যেই আলোচনা চূড়ান্ত করে ঐক্যমত্যের তালিকা প্রকাশ করতে চাই। সেই লক্ষ্যেই আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ইতোমধ্যে দলগুলো সনদের টেক্সট নিয়ে যেসব পরিবর্তন ও সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছে, তা পর্যালোচনার ভিত্তিতে চূড়ান্ত টেক্সট তৈরি করা হচ্ছে।”
তিনি আরও জানান, সনদের দুটি দিক রয়েছে—একটি হচ্ছে ঐকমত্যের পটভূমি এবং দ্বিতীয়টি ভবিষ্যৎ আলোচনার প্রতিশ্রুতি। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের ওপরই বাস্তবায়নের প্রধান দায়িত্ব বর্তায় বলে তিনি মনে করেন। তবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন প্রয়োজনে আলোচনা এগিয়ে নিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
বৃহস্পতিবারের আলোচ্য বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে: সরকারি কর্ম কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক এবং ন্যায়পাল নিয়োগ সংক্রান্ত বিধান; উচ্চকক্ষের গঠন ও এখতিয়ার; রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি ও ইলেকটোরাল কলেজ; রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও দায়িত্ব; তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা এবং নাগরিকদের মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ ও রাষ্ট্রের মূলনীতি।
আলী রীয়াজ জানান, কমিশনের ছয়টি সুপারিশের সারসংক্ষেপ আগেই দলগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক আলোচনায় প্রায় ১৩টি বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা পেয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তবে যেসব বিষয়ে মতানৈক্য আছে, সেগুলো নোট অব ডিসেন্ট আকারে রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
সংলাপে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান ও আইয়ুব মিয়া।
বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ জানিয়েছেন, ‘জুলাই সনদ’ নিয়ে আজ বৃহস্পতিবারই সব আলোচনার নিষ্পত্তিতে পৌঁছাতে চায় কমিশন।
তিনি বলেন, সনদে যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে এবং যেসব বিষয়ে মতপার্থক্য রয়ে গেছে, উভয়ের তালিকা তৈরি করে চূড়ান্ত দলিল আকারে সকল রাজনৈতিক দলের স্বাক্ষরের মাধ্যমে তা গ্রহণ করা হবে।
বৃহস্পতিবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের ২৩তম দিনের সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আলী রীয়াজ বলেন, “আজকের মধ্যেই আলোচনা চূড়ান্ত করে ঐক্যমত্যের তালিকা প্রকাশ করতে চাই। সেই লক্ষ্যেই আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ইতোমধ্যে দলগুলো সনদের টেক্সট নিয়ে যেসব পরিবর্তন ও সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছে, তা পর্যালোচনার ভিত্তিতে চূড়ান্ত টেক্সট তৈরি করা হচ্ছে।”
তিনি আরও জানান, সনদের দুটি দিক রয়েছে—একটি হচ্ছে ঐকমত্যের পটভূমি এবং দ্বিতীয়টি ভবিষ্যৎ আলোচনার প্রতিশ্রুতি। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের ওপরই বাস্তবায়নের প্রধান দায়িত্ব বর্তায় বলে তিনি মনে করেন। তবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন প্রয়োজনে আলোচনা এগিয়ে নিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
বৃহস্পতিবারের আলোচ্য বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে: সরকারি কর্ম কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক এবং ন্যায়পাল নিয়োগ সংক্রান্ত বিধান; উচ্চকক্ষের গঠন ও এখতিয়ার; রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি ও ইলেকটোরাল কলেজ; রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও দায়িত্ব; তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা এবং নাগরিকদের মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ ও রাষ্ট্রের মূলনীতি।
আলী রীয়াজ জানান, কমিশনের ছয়টি সুপারিশের সারসংক্ষেপ আগেই দলগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক আলোচনায় প্রায় ১৩টি বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা পেয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তবে যেসব বিষয়ে মতানৈক্য আছে, সেগুলো নোট অব ডিসেন্ট আকারে রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
সংলাপে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান ও আইয়ুব মিয়া।