রাজধানীর গুলশানে চাঁদা তুলতে গিয়ে গ্রেপ্তার হওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান রিয়াদের বাসা থেকে প্রায় তিন লাখ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। গুলশান থানার ওসি হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, এই টাকা সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসা থেকে আদায়কৃত ১০ লাখ টাকার অংশ বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সকালে বাড্ডার একটি ভাড়া বাসার কক্ষ থেকে ২ লাখ ৯৮ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। ওসি জানান, “রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের সময় রিয়াদ স্বীকার করে বাড্ডায় তার আরেকটি ভাড়া বাসা আছে। সেখানে অভিযান চালিয়ে টাকাগুলো উদ্ধার করা হয়।”
রিয়াদের সহযোগী অপু মামলার দুই নম্বর আসামি। তিনি বর্তমানে পলাতক।
গুলশান থানার ওসি বলেন, “বাসার একটি কক্ষে রিয়াদ থাকত। ফ্ল্যাটে আরও কয়েকজন ভাড়াটিয়া থাকেন। রিয়াদের কক্ষে আধুনিক আসবাব ও দামি পোশাক পাওয়া গেছে।”
এছাড়া রিয়াদের পশ্চিম রাজাবাজারের বাসা থেকে ট্রেড জোন নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে দেওয়া মোট চারটি চেক পাওয়া গেছে। এই চেকগুলোর দুইটি এক কোটি, একটি ১৫ লাখ ও একটি ১০ লাখ টাকার। তবে চেকগুলো তারিখ ও প্রাপকের নামবিহীন। পুলিশ জানায়, এ চেকগুলো ক্যাশ করা সম্ভব হয়নি, কারণ সংশ্লিষ্ট ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত অর্থ ছিল না।
গুলশান থানার ওসি আরও জানান, চাঁদা হিসেবে নেওয়া ১০ লাখ টাকার মধ্যে রিয়াদ ৫ লাখ পেয়েছে। বাকিটা অপুসহ অন্যদের মধ্যে ভাগ হয়। তিনি বলেন, “আমরা এখন পর্যন্ত ২ লাখ ৯৮ হাজার টাকা উদ্ধার করতে পেরেছি।”
রিয়াদের সাউথইস্ট ব্যাংকে একটি অ্যাকাউন্ট পাওয়া গেছে। এর লেনদেন যাচাই করছে পুলিশ। গুলশান থানা পুলিশ দাবি করেছে, সরকার পতনের পর রিয়াদ ও অপু মিলে একটি গ্রুপ গড়ে তোলে এবং জমি দখলসহ বিভিন্ন ব্যক্তিকে ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থ আদায় করত।
তবে এখনও পর্যন্ত ট্রেড জোন থেকে চেক আদায়ের ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। কলাবাগান থানার ওসি ফাজলে আশিক জানিয়েছেন, “চেক সংক্রান্ত বিষয়ে কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেনি।”
গত শনিবার সন্ধ্যায় গুলশান-২ নম্বরে সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আক্তারের বাসায় চাঁদা তুলতে গিয়ে রিয়াদসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে চারজনের বয়স ২১ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে এবং একজন শিশু। আদালত চারজনকে সাত দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে।
এ ঘটনার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সংগঠনের ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক ইব্রাহিম হোসেন মুন্না, সদস্য সিয়াম ও সাদাবকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় কমিটি ছাড়া দেশের সব কমিটির কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।
শুক্রবার, ০১ আগস্ট ২০২৫
রাজধানীর গুলশানে চাঁদা তুলতে গিয়ে গ্রেপ্তার হওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান রিয়াদের বাসা থেকে প্রায় তিন লাখ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। গুলশান থানার ওসি হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, এই টাকা সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসা থেকে আদায়কৃত ১০ লাখ টাকার অংশ বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সকালে বাড্ডার একটি ভাড়া বাসার কক্ষ থেকে ২ লাখ ৯৮ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। ওসি জানান, “রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের সময় রিয়াদ স্বীকার করে বাড্ডায় তার আরেকটি ভাড়া বাসা আছে। সেখানে অভিযান চালিয়ে টাকাগুলো উদ্ধার করা হয়।”
রিয়াদের সহযোগী অপু মামলার দুই নম্বর আসামি। তিনি বর্তমানে পলাতক।
গুলশান থানার ওসি বলেন, “বাসার একটি কক্ষে রিয়াদ থাকত। ফ্ল্যাটে আরও কয়েকজন ভাড়াটিয়া থাকেন। রিয়াদের কক্ষে আধুনিক আসবাব ও দামি পোশাক পাওয়া গেছে।”
এছাড়া রিয়াদের পশ্চিম রাজাবাজারের বাসা থেকে ট্রেড জোন নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে দেওয়া মোট চারটি চেক পাওয়া গেছে। এই চেকগুলোর দুইটি এক কোটি, একটি ১৫ লাখ ও একটি ১০ লাখ টাকার। তবে চেকগুলো তারিখ ও প্রাপকের নামবিহীন। পুলিশ জানায়, এ চেকগুলো ক্যাশ করা সম্ভব হয়নি, কারণ সংশ্লিষ্ট ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত অর্থ ছিল না।
গুলশান থানার ওসি আরও জানান, চাঁদা হিসেবে নেওয়া ১০ লাখ টাকার মধ্যে রিয়াদ ৫ লাখ পেয়েছে। বাকিটা অপুসহ অন্যদের মধ্যে ভাগ হয়। তিনি বলেন, “আমরা এখন পর্যন্ত ২ লাখ ৯৮ হাজার টাকা উদ্ধার করতে পেরেছি।”
রিয়াদের সাউথইস্ট ব্যাংকে একটি অ্যাকাউন্ট পাওয়া গেছে। এর লেনদেন যাচাই করছে পুলিশ। গুলশান থানা পুলিশ দাবি করেছে, সরকার পতনের পর রিয়াদ ও অপু মিলে একটি গ্রুপ গড়ে তোলে এবং জমি দখলসহ বিভিন্ন ব্যক্তিকে ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থ আদায় করত।
তবে এখনও পর্যন্ত ট্রেড জোন থেকে চেক আদায়ের ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। কলাবাগান থানার ওসি ফাজলে আশিক জানিয়েছেন, “চেক সংক্রান্ত বিষয়ে কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেনি।”
গত শনিবার সন্ধ্যায় গুলশান-২ নম্বরে সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আক্তারের বাসায় চাঁদা তুলতে গিয়ে রিয়াদসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে চারজনের বয়স ২১ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে এবং একজন শিশু। আদালত চারজনকে সাত দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে।
এ ঘটনার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সংগঠনের ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক ইব্রাহিম হোসেন মুন্না, সদস্য সিয়াম ও সাদাবকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় কমিটি ছাড়া দেশের সব কমিটির কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।