বাংলাদেশের ওপর ভারত নিবিড়ভাবে নজর রাখছে বলে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর। ভারতের জাতীয় স্বার্থ ও নিরাপত্তার জন্যই নয়াদিল্লি বাংলাদেশের যে ব্যাপারে বিশেষভাবে মনযোগী বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। শুক্রবার ভারতের সংবাদমাধ্যম এ খবর জানিয়েছে।
শুক্রবার ভারতের পার্লামেন্ট লোকসভায় বর্ষাকালীন অধিবেশনে তাকে বিজেপির এক এমপি বলেন, সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ে সালতানাত-ই-বাংলা নামের একটি ইসলামপন্থি গোষ্ঠী তথাকথিত ‘গ্রেটার বাংলাদেশ’ নামের একটি মানচিত্র প্রকাশ করে। ভারতের একাধিক রাজ্য সেই মানচিত্রে বাংলাদেশি ভূখ- হিসেবে প্রদর্শন করা হয়।
অধিবেশনে ওই এমপি বলেন, ‘বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে যে সালতানাত-ই-বাংলা নামের এই গোষ্ঠীটি তুরস্কভিত্তিক এনজিও তার্কিশ ইউথ ফেডারেশনের সহায়তা ও মদতপুষ্ট। আমরা এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’
এমন প্রশ্নের জবাবে জয়শঙ্কর বলেন, ‘আমরা এ ইস্যুতে বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। সরকারি ফ্যাক্টচেকার প্ল্যাটফরম বাংলাফ্যাক্টের বরাত দিয়ে বাংলাদেশের সরকার আমাদের জানিয়েছে যে, ‘২০২৫ সালের ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একটি ইতিহাস সম্পর্কিত প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে মধ্যযুগের বাংলার একটি মানচিত্র প্রদর্শন করা হয়েছিল।’ ওই প্রদর্শনীর যারা আয়োজক ছিলেন, তারা বাংলাদেশের সরকারকে বলেছেন যে, কোনো বিদেশি সংস্থা বা গোষ্ঠীর সঙ্গে তাদের সম্পর্ক নেই। বাংলাদেশের সরকারের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে ‘সালতানাত-ই-
বাংলা’ নামের কোনো সংগঠন বা গোষ্ঠীর অস্তিত্ব বাংলাদেশে নেই।
জয়শঙ্কর বলেন, ‘আমরা জাতীয় স্বার্থসংক্রান্ত বিষয়গুলোতে বাংলাদেশের প্রতি বিশেষভাবে মনোযোগী। ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাসংক্রান্ত বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশের ওপর আমরা নিবিড় নজর রাখছি এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আমরা এগোচ্ছি।
শনিবার, ০২ আগস্ট ২০২৫
বাংলাদেশের ওপর ভারত নিবিড়ভাবে নজর রাখছে বলে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর। ভারতের জাতীয় স্বার্থ ও নিরাপত্তার জন্যই নয়াদিল্লি বাংলাদেশের যে ব্যাপারে বিশেষভাবে মনযোগী বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। শুক্রবার ভারতের সংবাদমাধ্যম এ খবর জানিয়েছে।
শুক্রবার ভারতের পার্লামেন্ট লোকসভায় বর্ষাকালীন অধিবেশনে তাকে বিজেপির এক এমপি বলেন, সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ে সালতানাত-ই-বাংলা নামের একটি ইসলামপন্থি গোষ্ঠী তথাকথিত ‘গ্রেটার বাংলাদেশ’ নামের একটি মানচিত্র প্রকাশ করে। ভারতের একাধিক রাজ্য সেই মানচিত্রে বাংলাদেশি ভূখ- হিসেবে প্রদর্শন করা হয়।
অধিবেশনে ওই এমপি বলেন, ‘বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে যে সালতানাত-ই-বাংলা নামের এই গোষ্ঠীটি তুরস্কভিত্তিক এনজিও তার্কিশ ইউথ ফেডারেশনের সহায়তা ও মদতপুষ্ট। আমরা এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’
এমন প্রশ্নের জবাবে জয়শঙ্কর বলেন, ‘আমরা এ ইস্যুতে বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। সরকারি ফ্যাক্টচেকার প্ল্যাটফরম বাংলাফ্যাক্টের বরাত দিয়ে বাংলাদেশের সরকার আমাদের জানিয়েছে যে, ‘২০২৫ সালের ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একটি ইতিহাস সম্পর্কিত প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে মধ্যযুগের বাংলার একটি মানচিত্র প্রদর্শন করা হয়েছিল।’ ওই প্রদর্শনীর যারা আয়োজক ছিলেন, তারা বাংলাদেশের সরকারকে বলেছেন যে, কোনো বিদেশি সংস্থা বা গোষ্ঠীর সঙ্গে তাদের সম্পর্ক নেই। বাংলাদেশের সরকারের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে ‘সালতানাত-ই-
বাংলা’ নামের কোনো সংগঠন বা গোষ্ঠীর অস্তিত্ব বাংলাদেশে নেই।
জয়শঙ্কর বলেন, ‘আমরা জাতীয় স্বার্থসংক্রান্ত বিষয়গুলোতে বাংলাদেশের প্রতি বিশেষভাবে মনোযোগী। ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাসংক্রান্ত বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশের ওপর আমরা নিবিড় নজর রাখছি এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আমরা এগোচ্ছি।