এক কেজি ওজনের ইলিশ মাছের কেজি ২ হাজার ৫০০ টাকা, চাল-ডাল-তেল, মাছ-মাংস, কাঁচামরিচ ও সবজির দাম বাড়তি
নিত্যপণ্যের বাজারে বেড়েছে দেশি পেঁয়াজের দাম। কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানি না হলে পেয়াজের দাম আরও বাড়বে। তিন-চার দিনের ব্যবধানে বেড়েছে ডিমের দামও। বাড়তি দাম থেকে আরও বেড়েছে সবজি দাম। তিন সপ্তাহ ধরে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ। আগের বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে চাল-ডাল-তেল, মাছ-মাংসসহ প্রায়সব পণ্য।
বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের চাল। রাজধানির খোলা বাজারগুলোতে খুচরায় স্বর্ণা জাতের মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে কেজি ৬০ টাকা আর পাইজাম জাতের মোটা চাল ৬৫ টাকায়। মাঝারি মানের চাল বিআর আটাশ জাতের চাল কেজি ৬৮ থেকে ৭০ টাকায়। এছাড়া ব্র্যান্ডভেদে মিনিকেট ও সরু নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকায়।
রাজধানির কারওয়ান বাজারের বরিশাল রাইস এজিন্সির চাল বিক্রেতা আল হাসিব সংবাদকে জানান চালের দাম আরও বাড়তে পারে! কমার কোনো ‘স্কোপ’ নাই।
টিসিবির শুক্রবারের ঢাকা মহানগরির মূল্যতালিকায় দেখা যায়, মাঝারী মানের চাল, ২ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল, পাম অয়েল লুজ, সুপার পাম অয়েল লুজ, মাঝারী ও ছোট দানার মসুর ডাল, মুগ ডাল, অ্যাংকার ডাল, দেশী পেঁয়াজ ও এলাচের দাম বেড়েছে। তবে কমেছে ব্রয়লার মুরগী, খেজুর ও ডিমের দাম।
শুক্রবার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম। ডজনে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকায়, যা গত সপ্তাহে পাওয়া যেত ১২০ থেকে ১২৫ টাকায়। এছাড়া দেশি হাস ও দেশি মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়।
সেগুন বাগিচা বাজারের ডিম বিক্রেতা এনামুল সংবাদকে বলেন, ‘৫ দিন ধরে ডিমের দাম বাড়ছে। ডজনে ১৫ টাকা। গত সপ্তাহে আমরা ১২০ টাকা ডজন বিক্রি করেছি। সেই ডিম আজ বিক্রি করছি ১৩৫ টাকা।
তিনি আরো বলেন, আমরা যাদের কাছ থেকে ডিম কিনি তাদের কাছে দাম বাড়ার কথা জিগাইলে নানান কথা বলে। বলে খামারে বৃষ্টি।
তিন দিনের ব্যবধানে খুচরা ও পাইকারী উভয় বাজারে বেড়েছে দেশি পেঁয়াজের দাম। কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়ে বাজারভেদে খুচরায় কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়।
রাজধানী শ্যামলী কাঁচাবাজারের কাঁচা মশলা বিক্রেতা কামাল উদ্দিন সংবাদকে বলেন, ‘পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। আদার দামও বাড়ছে। আদা কেজিতে বাড়ছে ৪০ টাকা, আর পেঁয়াজ কেজিতে ৫ টাকা। গত সপ্তাহে আদা বিক্রি করছিলাম কেজি ১৮০ টাকা, সেই আদা আজ বিক্রি করছি ২২০ টাকা। দুইদিন আগেও পেঁয়াজ কেজি বিক্রি করছি ৬৫ টাকা আজ বিক্রি করছি ৭০ টাকা। আগের কেনা ছিল বিধায় ৭০ টাকা বিক্রি করছি। আজ পাইকারি বাজারের রেট অনুসারে কাল থেকে খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম আরো বাড়বো। আজ পাইকারি বাজারের রেট চলতেছে ৬৫ থেকে ৬৮ টাকা। গত সপ্তাহে পাইকারি বাজারে কেজি ছিল ৫৫ থেকে ৫৬ টাকা।’ ‘সকাল থেকে বৃষ্টির কারণে বেচা বিক্রি অনেক কম,’ বলে জানান কামাল।
কারওয়ান বাজারের দেশি পেঁয়াজের পাইকারী আড়ত ঘুরে খুচরা বিক্রেতা কামালের কথার সত্যতা মিল পাওয়া যায়। পাইকারী বাজারে কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৬৬ টাকায়। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ৫৫ থেকে ৫৬ টাকায়। বাজারে দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে কেজি ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, আমদানি রসুন ১৮০ টাকা। আর শুকনো মরিচ কেজি ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়।
রাজধানির কারওয়ান বাজার পেঁয়াজের আড়তে পাল্লা হিসেবে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করছেন শহিদুল।
তিনি সংবাদকে বলেন, ‘পাবনার পেঁয়াজ কেজি ৭০ টাকা আর পাল্লা (১ পাল্লা সমান ৫ কেজি) নিলে ৩৫০ টাকা।’ কবে বাড়লো দাম? জবাবে তিনি বলেন, ‘দুই-তিন দিন ধরে। দুই দিন আগে এক পাল্লা বিক্রি করেছি ৩০০ টাকা।’
হঠাৎ করে পেয়াজের দাম বাড়ার কারণ কী? এ প্রশ্নের জবাব দেন এ আড়তের আরেক দেশি পেঁয়াজ বিক্রেতা সম্পদ আলী। তিনি সংবাদকে বলেন, ‘বাংলাদেশের পেঁয়াজ দিয়া বাংলাদেশ চলতাছে। অনেকদিন ধরে পেঁয়াজের আমদানি একেবারেই নাই। বাজারে পেঁয়াজ কম। না থাকলে তো দাম বাড়বো। অন্য দেশ থেকে যদি পেঁয়াজ না আসে দাম আরও বাড়বো।’
বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে কাঁচামরিচ। গত জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে রাজধানির বাজারগুলোতে মানভেদে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছিল কেজি ৮০ থেকে ১২০ টাকায়। দ্বিতীয় সপ্তাহে পণ্যটির দাম কয়েকগুন বেড়ে বিক্রি হয় ৩২০ থেকে ৪০০ টাকায়। রান্নায় ব্যবহারিত অতি প্রয়োজনীয় এই পণ্যটি শুক্রবার বিক্রি হয়েছে কেজি ২০ থেকে ২২০ টাকায়।
সপ্তাহের ব্যবধানে আরও বেড়েছে সবজির দাম। কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। গত সপ্তাহে লম্বা বেগুন ও বরবটি কেজি ৮০ টাকা বিক্রি হলেও শুক্রবার বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকায়। গোল বেগুন কেজিতে ২০ টাকা বেড়ি বিক্রি হচ্ছে কেজি ১২০ টাকায়। ঝিঙ্গা-চিচিঙ্গা-কাঁকরোল-করলা-পটোল-ঢেঁড়সসহ বেশিরভাগ সবজির কেজি বাজারভেদে ৭০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারে এক কেজি আলু পাওয়া যাচ্ছে কেজি ২৫ থেকে ৩০ টাকায় আর কাচা পেপে ৪০ টাকায়।। এছাড়া টমেটো ও গাজর বিক্রি হচ্ছে কেজি ১৪০ থেকে ১৬০ টাকায়।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সবধরনের মাছ। বাজার, আকার ও ওজনভেদে চাষের কৈ মাছ কেজি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা, তেলাপিয়া ২৫০ টাকা, পাঙ্গাস ২০০ থেকে ২২০ টাকা, রুই ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, শিং ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।এছাড়া দেশি শিং মাছ কেজি ৭০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা , গোলসা ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা, বাইলা ৬০০ টাকা, গচি/গতা ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
শ্যমলী বাজারের মাছ বিক্রেতা মহিন উদ্দিন সংবাদকে বলেন, ‘ এসপ্তাহে দাম আর বাড়তি। মাছেই তো নেই আড়তে। আমরা এই মাছ মিলাইতে চার ঘাটে গিয় মাছ সিরাজগঞ্জের মাছ, আবদুল্লাপুরের মাছ, মইষপুরের মাছ, খালখোলার মাছ নিয়া আসিয়া দোকানটা লাগাইছি (খুলেছি)। ভালো মাছ মিলানো অনেক কঠিন।
রাজধানি কারওয়ান বাজারের মাছ বিক্রেতা রিদয় সংবাদকে বলেন, ‘এক কেজি ওজনের ইলিশ মাছ “একদাম” কেজি ২ হাজার ৫০০ শত টাকা।’
আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে গরু, খাসি ও ছাগলের মাংস। বাজারভেদে গরুর মাংসের কেজি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, ছাগলের মাংস ১১০০ টাকা আর খাসির মাংস ১২০০ টাকায়।
বাজারে পণ্যের দামের বিষয়ে শুক্রবার পল্টনে কথা হয় মাসুদ মিয়ার সঙ্গে। তিনি সংবাদকে বলেন, ‘ বাজারে সবকিছুর দাম বেশি। আজ এক কেজি পেঁয়াজ কিনলাম ৮০ টাকা টাকা নিলো। সাদা এলাচের দামতো অনেক বাড়ছে। ১ পোয়া কাঁচা মরিচ, একটা লাউ আর হাফকেজি পেঁপে কিনলাম ১৮০ টাকায়।’
এক কেজি ওজনের ইলিশ মাছের কেজি ২ হাজার ৫০০ টাকা, চাল-ডাল-তেল, মাছ-মাংস, কাঁচামরিচ ও সবজির দাম বাড়তি
শনিবার, ০২ আগস্ট ২০২৫
নিত্যপণ্যের বাজারে বেড়েছে দেশি পেঁয়াজের দাম। কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানি না হলে পেয়াজের দাম আরও বাড়বে। তিন-চার দিনের ব্যবধানে বেড়েছে ডিমের দামও। বাড়তি দাম থেকে আরও বেড়েছে সবজি দাম। তিন সপ্তাহ ধরে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ। আগের বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে চাল-ডাল-তেল, মাছ-মাংসসহ প্রায়সব পণ্য।
বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের চাল। রাজধানির খোলা বাজারগুলোতে খুচরায় স্বর্ণা জাতের মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে কেজি ৬০ টাকা আর পাইজাম জাতের মোটা চাল ৬৫ টাকায়। মাঝারি মানের চাল বিআর আটাশ জাতের চাল কেজি ৬৮ থেকে ৭০ টাকায়। এছাড়া ব্র্যান্ডভেদে মিনিকেট ও সরু নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকায়।
রাজধানির কারওয়ান বাজারের বরিশাল রাইস এজিন্সির চাল বিক্রেতা আল হাসিব সংবাদকে জানান চালের দাম আরও বাড়তে পারে! কমার কোনো ‘স্কোপ’ নাই।
টিসিবির শুক্রবারের ঢাকা মহানগরির মূল্যতালিকায় দেখা যায়, মাঝারী মানের চাল, ২ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল, পাম অয়েল লুজ, সুপার পাম অয়েল লুজ, মাঝারী ও ছোট দানার মসুর ডাল, মুগ ডাল, অ্যাংকার ডাল, দেশী পেঁয়াজ ও এলাচের দাম বেড়েছে। তবে কমেছে ব্রয়লার মুরগী, খেজুর ও ডিমের দাম।
শুক্রবার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম। ডজনে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকায়, যা গত সপ্তাহে পাওয়া যেত ১২০ থেকে ১২৫ টাকায়। এছাড়া দেশি হাস ও দেশি মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়।
সেগুন বাগিচা বাজারের ডিম বিক্রেতা এনামুল সংবাদকে বলেন, ‘৫ দিন ধরে ডিমের দাম বাড়ছে। ডজনে ১৫ টাকা। গত সপ্তাহে আমরা ১২০ টাকা ডজন বিক্রি করেছি। সেই ডিম আজ বিক্রি করছি ১৩৫ টাকা।
তিনি আরো বলেন, আমরা যাদের কাছ থেকে ডিম কিনি তাদের কাছে দাম বাড়ার কথা জিগাইলে নানান কথা বলে। বলে খামারে বৃষ্টি।
তিন দিনের ব্যবধানে খুচরা ও পাইকারী উভয় বাজারে বেড়েছে দেশি পেঁয়াজের দাম। কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়ে বাজারভেদে খুচরায় কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়।
রাজধানী শ্যামলী কাঁচাবাজারের কাঁচা মশলা বিক্রেতা কামাল উদ্দিন সংবাদকে বলেন, ‘পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। আদার দামও বাড়ছে। আদা কেজিতে বাড়ছে ৪০ টাকা, আর পেঁয়াজ কেজিতে ৫ টাকা। গত সপ্তাহে আদা বিক্রি করছিলাম কেজি ১৮০ টাকা, সেই আদা আজ বিক্রি করছি ২২০ টাকা। দুইদিন আগেও পেঁয়াজ কেজি বিক্রি করছি ৬৫ টাকা আজ বিক্রি করছি ৭০ টাকা। আগের কেনা ছিল বিধায় ৭০ টাকা বিক্রি করছি। আজ পাইকারি বাজারের রেট অনুসারে কাল থেকে খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম আরো বাড়বো। আজ পাইকারি বাজারের রেট চলতেছে ৬৫ থেকে ৬৮ টাকা। গত সপ্তাহে পাইকারি বাজারে কেজি ছিল ৫৫ থেকে ৫৬ টাকা।’ ‘সকাল থেকে বৃষ্টির কারণে বেচা বিক্রি অনেক কম,’ বলে জানান কামাল।
কারওয়ান বাজারের দেশি পেঁয়াজের পাইকারী আড়ত ঘুরে খুচরা বিক্রেতা কামালের কথার সত্যতা মিল পাওয়া যায়। পাইকারী বাজারে কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৬৬ টাকায়। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ৫৫ থেকে ৫৬ টাকায়। বাজারে দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে কেজি ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, আমদানি রসুন ১৮০ টাকা। আর শুকনো মরিচ কেজি ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়।
রাজধানির কারওয়ান বাজার পেঁয়াজের আড়তে পাল্লা হিসেবে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করছেন শহিদুল।
তিনি সংবাদকে বলেন, ‘পাবনার পেঁয়াজ কেজি ৭০ টাকা আর পাল্লা (১ পাল্লা সমান ৫ কেজি) নিলে ৩৫০ টাকা।’ কবে বাড়লো দাম? জবাবে তিনি বলেন, ‘দুই-তিন দিন ধরে। দুই দিন আগে এক পাল্লা বিক্রি করেছি ৩০০ টাকা।’
হঠাৎ করে পেয়াজের দাম বাড়ার কারণ কী? এ প্রশ্নের জবাব দেন এ আড়তের আরেক দেশি পেঁয়াজ বিক্রেতা সম্পদ আলী। তিনি সংবাদকে বলেন, ‘বাংলাদেশের পেঁয়াজ দিয়া বাংলাদেশ চলতাছে। অনেকদিন ধরে পেঁয়াজের আমদানি একেবারেই নাই। বাজারে পেঁয়াজ কম। না থাকলে তো দাম বাড়বো। অন্য দেশ থেকে যদি পেঁয়াজ না আসে দাম আরও বাড়বো।’
বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে কাঁচামরিচ। গত জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে রাজধানির বাজারগুলোতে মানভেদে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছিল কেজি ৮০ থেকে ১২০ টাকায়। দ্বিতীয় সপ্তাহে পণ্যটির দাম কয়েকগুন বেড়ে বিক্রি হয় ৩২০ থেকে ৪০০ টাকায়। রান্নায় ব্যবহারিত অতি প্রয়োজনীয় এই পণ্যটি শুক্রবার বিক্রি হয়েছে কেজি ২০ থেকে ২২০ টাকায়।
সপ্তাহের ব্যবধানে আরও বেড়েছে সবজির দাম। কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। গত সপ্তাহে লম্বা বেগুন ও বরবটি কেজি ৮০ টাকা বিক্রি হলেও শুক্রবার বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকায়। গোল বেগুন কেজিতে ২০ টাকা বেড়ি বিক্রি হচ্ছে কেজি ১২০ টাকায়। ঝিঙ্গা-চিচিঙ্গা-কাঁকরোল-করলা-পটোল-ঢেঁড়সসহ বেশিরভাগ সবজির কেজি বাজারভেদে ৭০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারে এক কেজি আলু পাওয়া যাচ্ছে কেজি ২৫ থেকে ৩০ টাকায় আর কাচা পেপে ৪০ টাকায়।। এছাড়া টমেটো ও গাজর বিক্রি হচ্ছে কেজি ১৪০ থেকে ১৬০ টাকায়।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সবধরনের মাছ। বাজার, আকার ও ওজনভেদে চাষের কৈ মাছ কেজি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা, তেলাপিয়া ২৫০ টাকা, পাঙ্গাস ২০০ থেকে ২২০ টাকা, রুই ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, শিং ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।এছাড়া দেশি শিং মাছ কেজি ৭০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা , গোলসা ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা, বাইলা ৬০০ টাকা, গচি/গতা ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
শ্যমলী বাজারের মাছ বিক্রেতা মহিন উদ্দিন সংবাদকে বলেন, ‘ এসপ্তাহে দাম আর বাড়তি। মাছেই তো নেই আড়তে। আমরা এই মাছ মিলাইতে চার ঘাটে গিয় মাছ সিরাজগঞ্জের মাছ, আবদুল্লাপুরের মাছ, মইষপুরের মাছ, খালখোলার মাছ নিয়া আসিয়া দোকানটা লাগাইছি (খুলেছি)। ভালো মাছ মিলানো অনেক কঠিন।
রাজধানি কারওয়ান বাজারের মাছ বিক্রেতা রিদয় সংবাদকে বলেন, ‘এক কেজি ওজনের ইলিশ মাছ “একদাম” কেজি ২ হাজার ৫০০ শত টাকা।’
আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে গরু, খাসি ও ছাগলের মাংস। বাজারভেদে গরুর মাংসের কেজি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, ছাগলের মাংস ১১০০ টাকা আর খাসির মাংস ১২০০ টাকায়।
বাজারে পণ্যের দামের বিষয়ে শুক্রবার পল্টনে কথা হয় মাসুদ মিয়ার সঙ্গে। তিনি সংবাদকে বলেন, ‘ বাজারে সবকিছুর দাম বেশি। আজ এক কেজি পেঁয়াজ কিনলাম ৮০ টাকা টাকা নিলো। সাদা এলাচের দামতো অনেক বাড়ছে। ১ পোয়া কাঁচা মরিচ, একটা লাউ আর হাফকেজি পেঁপে কিনলাম ১৮০ টাকায়।’