অধিকাংশ সড়ক ও বাড়িঘর এখনও ডুবে আছে, জনদুর্ভোগ চরমে
নোয়াখালীতে গত জুলাই মাসজুড়ে থেমে থেমে ভারী বৃষ্টিপাত, ফেনীর মুহুরী নদীর বাঁধ ভেঙ্গে পানি প্রবেশ করায় গত এক মাসের স্থায়ী জলাবদ্ধতায় হাজার হাজার পরিবার বর্তমানে দুর্বিষহ জীবন-যাপন করছে। জেলার অধিকাংশ সড়ক ও বাড়িঘর এখনো পানিতে ডুবে আছে। এতে পানিবন্দি মানুষের জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।
এখনো জেলার কবিরহাট, সদর, কোম্পানীগঞ্জ, সেনবাগ, সুবর্ণচর, বেগমগঞ্জ ও হাতিয়া উপজেলার নিচু এলাকার রাস্তা-ঘাট ও বাড়ি-ঘরে জলাবদ্ধতা রয়েছে। তবে কবিরহাট, সদর, কোম্পানীগঞ্জ, সেনবাগ ছাড়াও বেগমগঞ্জের অধিকাংশ এলাকায় এখনো পানির পরিমাণ বেশি। এসব এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, টানা জলাবদ্ধতায় তারা বর্তমানে চরম ভোগান্তির মধ্যে রয়েছেন।
এদিকে, বন্যা ও জলাবদ্ধতা থেকে নোয়াখালীবাসীকে রক্ষায় জেলার চৌমুহনী শহরসহ বিভিন্ন উপজেলায় সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় গুরুত্বপূর্ণ খালগুলো দখলমুক্ত ও পরিষ্কারসহ বাঁধ কেটে পানি চলাচল স্বাভাবিককরণের কাজ চলমান রেখেছে স্থানীয় প্রশাসন।
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ১৬টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় গত এক মাস ধরে চলছে জলাবদ্ধতা। ডুবে আছে সড়ক, বসতঘর, স্কুল, মসজিদসহ জনজীবনের প্রায় সবকিছু। কোথাও হাঁটু পানি, কোথাও কোমর পানি। নৌকা ও বাঁশের সাঁকোই এখন চলাচলের ভরসা। প্রশাসনের উদ্যোগ সত্ত্বেও কিছুতেই এ জনদুর্ভোগ কমছে না।
এদিকে, মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে গত কয়েক দিনের ভারি বৃষ্টিপাতে নোয়াখালীর বিভিন্ন নিম্নাঞ্চলে আবারও জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। আগের পানি নামতে না নামতেই নতুন করে বৃষ্টিতে আবারও পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বিশেষ করে গত একমাস ধরে থেমে থেমে মুষলধারে বৃষ্টিতে জেলার প্রত্যন্ত এলাকার অধিকাংশ সড়ক ও বাড়ি-ঘর আবারো ডুবে গেছে। এতে করে হাজার হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে আছে।
পানি নিষ্কাশনের সঠিক ব্যবস্থাপনা না থাকায় সাধারণ মানুষ পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। জলাবদ্ধতার কারণে বিপাকে পড়েন অফিস-আদালতের কর্মজীবী, ব্যবসায়ী ও পথচারীরা। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, জেলা শহরসহ বিভিন্ন উপজেলা শহরগুলোতে অপরিকল্পিত নগরায়ণ, পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থার অভাব, খাল-জলাশয় এবং পুল- কালভার্ডগুলোর মুখ ভরাট হয়ে দ্রুত পানি সরতে পারছে না। ফলে এই দুর্ভোগ দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে। বিশেষ করে বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর, চৌমুহনী পৌরসভা, হাজীপুর, রসুলপুর, বেগমগঞ্জ, মিরওয়ারিশপুর, জিরতলী, শরীফপুর, কুতুবপুর ও কাদিরপুর এলাকার অনেক গ্রামীণ সড়ক ডুবে গেছে ও বসতবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে।
হাজীপুর এলাকার বাসিন্দা রেজোয়ান বলেন, পানি নামছে ধীরগতিতে। গত একমাস ধরে অনেক মানুষ এখনো পানিবন্দী। সড়ক ডুবে থাকায় চলাচল কষ্টকর হয়ে পড়েছে। বাণিজ্যকেন্দ্র চৌমুহনীসহ জেলা শহরের অলি-গলির রাস্তাঘাট, এমনকি অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাসাবাড়িতে পানি ঢুকে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
এর জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকে দায়ী করছেন স্থানীয়দের অনেকে।
চলমান খাল পরিস্কার ও খাল পাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত রাখতে সেনাবাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আরো জোর হস্তক্ষেপ কামনা করছে এলাকাবাসী।
অধিকাংশ সড়ক ও বাড়িঘর এখনও ডুবে আছে, জনদুর্ভোগ চরমে
শনিবার, ০২ আগস্ট ২০২৫
নোয়াখালীতে গত জুলাই মাসজুড়ে থেমে থেমে ভারী বৃষ্টিপাত, ফেনীর মুহুরী নদীর বাঁধ ভেঙ্গে পানি প্রবেশ করায় গত এক মাসের স্থায়ী জলাবদ্ধতায় হাজার হাজার পরিবার বর্তমানে দুর্বিষহ জীবন-যাপন করছে। জেলার অধিকাংশ সড়ক ও বাড়িঘর এখনো পানিতে ডুবে আছে। এতে পানিবন্দি মানুষের জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।
এখনো জেলার কবিরহাট, সদর, কোম্পানীগঞ্জ, সেনবাগ, সুবর্ণচর, বেগমগঞ্জ ও হাতিয়া উপজেলার নিচু এলাকার রাস্তা-ঘাট ও বাড়ি-ঘরে জলাবদ্ধতা রয়েছে। তবে কবিরহাট, সদর, কোম্পানীগঞ্জ, সেনবাগ ছাড়াও বেগমগঞ্জের অধিকাংশ এলাকায় এখনো পানির পরিমাণ বেশি। এসব এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, টানা জলাবদ্ধতায় তারা বর্তমানে চরম ভোগান্তির মধ্যে রয়েছেন।
এদিকে, বন্যা ও জলাবদ্ধতা থেকে নোয়াখালীবাসীকে রক্ষায় জেলার চৌমুহনী শহরসহ বিভিন্ন উপজেলায় সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় গুরুত্বপূর্ণ খালগুলো দখলমুক্ত ও পরিষ্কারসহ বাঁধ কেটে পানি চলাচল স্বাভাবিককরণের কাজ চলমান রেখেছে স্থানীয় প্রশাসন।
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ১৬টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় গত এক মাস ধরে চলছে জলাবদ্ধতা। ডুবে আছে সড়ক, বসতঘর, স্কুল, মসজিদসহ জনজীবনের প্রায় সবকিছু। কোথাও হাঁটু পানি, কোথাও কোমর পানি। নৌকা ও বাঁশের সাঁকোই এখন চলাচলের ভরসা। প্রশাসনের উদ্যোগ সত্ত্বেও কিছুতেই এ জনদুর্ভোগ কমছে না।
এদিকে, মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে গত কয়েক দিনের ভারি বৃষ্টিপাতে নোয়াখালীর বিভিন্ন নিম্নাঞ্চলে আবারও জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। আগের পানি নামতে না নামতেই নতুন করে বৃষ্টিতে আবারও পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বিশেষ করে গত একমাস ধরে থেমে থেমে মুষলধারে বৃষ্টিতে জেলার প্রত্যন্ত এলাকার অধিকাংশ সড়ক ও বাড়ি-ঘর আবারো ডুবে গেছে। এতে করে হাজার হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে আছে।
পানি নিষ্কাশনের সঠিক ব্যবস্থাপনা না থাকায় সাধারণ মানুষ পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। জলাবদ্ধতার কারণে বিপাকে পড়েন অফিস-আদালতের কর্মজীবী, ব্যবসায়ী ও পথচারীরা। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, জেলা শহরসহ বিভিন্ন উপজেলা শহরগুলোতে অপরিকল্পিত নগরায়ণ, পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থার অভাব, খাল-জলাশয় এবং পুল- কালভার্ডগুলোর মুখ ভরাট হয়ে দ্রুত পানি সরতে পারছে না। ফলে এই দুর্ভোগ দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে। বিশেষ করে বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর, চৌমুহনী পৌরসভা, হাজীপুর, রসুলপুর, বেগমগঞ্জ, মিরওয়ারিশপুর, জিরতলী, শরীফপুর, কুতুবপুর ও কাদিরপুর এলাকার অনেক গ্রামীণ সড়ক ডুবে গেছে ও বসতবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে।
হাজীপুর এলাকার বাসিন্দা রেজোয়ান বলেন, পানি নামছে ধীরগতিতে। গত একমাস ধরে অনেক মানুষ এখনো পানিবন্দী। সড়ক ডুবে থাকায় চলাচল কষ্টকর হয়ে পড়েছে। বাণিজ্যকেন্দ্র চৌমুহনীসহ জেলা শহরের অলি-গলির রাস্তাঘাট, এমনকি অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাসাবাড়িতে পানি ঢুকে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
এর জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকে দায়ী করছেন স্থানীয়দের অনেকে।
চলমান খাল পরিস্কার ও খাল পাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত রাখতে সেনাবাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আরো জোর হস্তক্ষেপ কামনা করছে এলাকাবাসী।