মীরসরাই উপজেলার করেরহাট সাইবেনীখিল এলাকার একটি পাহাড় -সংবাদ
মীরসরাই উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের পাহাড়ি এলাকায় চলছে পাহাড় কাটার মহোৎসব। পরিবেশ রক্ষায় প্রশাসন মাঝে মধ্যে তৎপর হলেও কখনো দিনে, কখনো রাতে চলছে যেন চোর-পুলিশ খেলা। অভিযোগ রয়েছে, উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের সাইবেনীখিল, লক্ষিছরা এলাকায় চলছে পাহাড় কাটার মহোৎসব। প্রতিরাতে পিকআপ ভর্তি করে মাটি বিক্রি করছে পাহাড় খেকোরা।
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সাইবেনীখিল গ্রামের পিকআপচালক রিপনের নতুন বাড়ি করা হয়েছে পাহাড় কেটে পাহাড়ের পাদদেশে। পাহাড় কেটে সমতল করে করা হয়েছে বসতি। পাশে পিকআপচালক রুবেল ও তার ভাই রিয়াদের বসতভিটার সামনেও পাহাড় কাটা রয়েছে। যা ওরাই রাতের অন্ধকারে বিক্রি করেছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এমন কয়েকজন জানায়।
আরও কয়েকটি সূত্র থেকে জানা গেছে, জামাল মেম্বারের বাড়ির দক্ষিণ পাশের ছরা ও টিলা থেকে কখনো দিনে কখনো রাতে মাটি কেটে বিক্রি করছে স্থানীয় আলমগীর, মাসুদ ও কালাসহ একটি সিন্ডিকেট। কেউ লক্ষিছরায় পানির মেশিন বসিয়ে বালুর টিলার ওপর পাইপে পানি দিয়ে বালু নিচে নামিয়ে তা ট্রাক ভরে বিক্রি করছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
সম্প্রতি স্থানীয় প্রশাসন কয়েক দফা কয়েকটি স্থানে কিছু মেশিন ও পাইপ জব্দ করার পর চোর চক্র এবার নতুন ফন্দি করা শুরু করে। তারাও সোর্স যুক্ত করে কখনো দিনে, কখনো রাতে চোর পুলিশ খেলায় নামে। তাই বন্ধ হয়নি পাহাড় কাটা বা ছরা থেকে বালু তোলা।
প্রাপ্ত তথ্যে আরো জানা গেছে, কিছু অসাধু চক্রের সহযোগিতায় করেরহাটের পাহাড়ি এলাকায় অবৈধভাবে দীর্ঘদিন ধরে পাহাড় কেটে বাড়ি-ঘর তৈরি করে আসছে। সবুজ প্রকৃতি ঘেরা এই এলাকায় অবাধে পাহাড় কাটার ফলে ধ্বংস হচ্ছে সৌন্দর্য্যবর্ধক প্রকৃতি ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাকারী পাহাড়গুলো। এতে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, এলাকার কিছু পাহাড়খেকো তাদের ব্যক্তিস্বার্থে সরকারি খাস মালিকানাধীন পাহাড় কেটে ঘর-বাড়ি করছে আর কেউ সহযোগিতা করছে। এছাড়া পাহাড় কেটে সেই মাটি বিক্রি করে দেদারসে বেচাকেনাও চলছে। ফলে গোটা এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন কখনো কখনো নামমাত্র অভিযানে এলেও প্রকৃতপক্ষে তেমন কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এই বিষয়ে বনবিভাগের করেরহাট রেঞ্জ এর দায়িত্বরত চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক হারুন অর রশিদ বলেন, পাহাড় কাটার কোনো অভিযোগ পেলেই আমরা তথ্য নিশ্চিত হলে অভিযান পরিচালনা করি। সম্প্রতি আমরা ও উপজেলা প্রশাসনসহ কয়েক দফা
অভিযান করে ১৩টি মেশিন এবং ১৩০০ ফুট পাইপ জব্দ করে তা ধ্বংস করি। আবারও যদি কেউ পাহাড় কাটে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এই বিষয়ে মীরসরাইয়ের সহকারী কমিশনার ভূমি সাইফুল ইসলাম বলেন, সরকারের অনুমতি ছাড়া কোনো প্রকার নদী, খাল বা ছরা থেকে বালু উত্তোলন করা যাবে না। আর কোনোভাবেই পাহাড় কাটা যাবে না। এই বিষয়ে আমাদের কোনো প্রকার ছাড় নেই। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এই বিষয়ে মীরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোমাইয়া আক্তার বলেন, পাহাড় কাটা সম্পূর্ণ বেআইনি কাজ। এটি কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা খবর পেয়েছি একটি চক্র কখনো দিনে, কখনো গভীর রাতে পাহাড়ের মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। যারা এ কাজের সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছি।
মীরসরাই উপজেলার করেরহাট সাইবেনীখিল এলাকার একটি পাহাড় -সংবাদ
শনিবার, ০২ আগস্ট ২০২৫
মীরসরাই উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের পাহাড়ি এলাকায় চলছে পাহাড় কাটার মহোৎসব। পরিবেশ রক্ষায় প্রশাসন মাঝে মধ্যে তৎপর হলেও কখনো দিনে, কখনো রাতে চলছে যেন চোর-পুলিশ খেলা। অভিযোগ রয়েছে, উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের সাইবেনীখিল, লক্ষিছরা এলাকায় চলছে পাহাড় কাটার মহোৎসব। প্রতিরাতে পিকআপ ভর্তি করে মাটি বিক্রি করছে পাহাড় খেকোরা।
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সাইবেনীখিল গ্রামের পিকআপচালক রিপনের নতুন বাড়ি করা হয়েছে পাহাড় কেটে পাহাড়ের পাদদেশে। পাহাড় কেটে সমতল করে করা হয়েছে বসতি। পাশে পিকআপচালক রুবেল ও তার ভাই রিয়াদের বসতভিটার সামনেও পাহাড় কাটা রয়েছে। যা ওরাই রাতের অন্ধকারে বিক্রি করেছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এমন কয়েকজন জানায়।
আরও কয়েকটি সূত্র থেকে জানা গেছে, জামাল মেম্বারের বাড়ির দক্ষিণ পাশের ছরা ও টিলা থেকে কখনো দিনে কখনো রাতে মাটি কেটে বিক্রি করছে স্থানীয় আলমগীর, মাসুদ ও কালাসহ একটি সিন্ডিকেট। কেউ লক্ষিছরায় পানির মেশিন বসিয়ে বালুর টিলার ওপর পাইপে পানি দিয়ে বালু নিচে নামিয়ে তা ট্রাক ভরে বিক্রি করছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
সম্প্রতি স্থানীয় প্রশাসন কয়েক দফা কয়েকটি স্থানে কিছু মেশিন ও পাইপ জব্দ করার পর চোর চক্র এবার নতুন ফন্দি করা শুরু করে। তারাও সোর্স যুক্ত করে কখনো দিনে, কখনো রাতে চোর পুলিশ খেলায় নামে। তাই বন্ধ হয়নি পাহাড় কাটা বা ছরা থেকে বালু তোলা।
প্রাপ্ত তথ্যে আরো জানা গেছে, কিছু অসাধু চক্রের সহযোগিতায় করেরহাটের পাহাড়ি এলাকায় অবৈধভাবে দীর্ঘদিন ধরে পাহাড় কেটে বাড়ি-ঘর তৈরি করে আসছে। সবুজ প্রকৃতি ঘেরা এই এলাকায় অবাধে পাহাড় কাটার ফলে ধ্বংস হচ্ছে সৌন্দর্য্যবর্ধক প্রকৃতি ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাকারী পাহাড়গুলো। এতে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, এলাকার কিছু পাহাড়খেকো তাদের ব্যক্তিস্বার্থে সরকারি খাস মালিকানাধীন পাহাড় কেটে ঘর-বাড়ি করছে আর কেউ সহযোগিতা করছে। এছাড়া পাহাড় কেটে সেই মাটি বিক্রি করে দেদারসে বেচাকেনাও চলছে। ফলে গোটা এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন কখনো কখনো নামমাত্র অভিযানে এলেও প্রকৃতপক্ষে তেমন কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এই বিষয়ে বনবিভাগের করেরহাট রেঞ্জ এর দায়িত্বরত চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক হারুন অর রশিদ বলেন, পাহাড় কাটার কোনো অভিযোগ পেলেই আমরা তথ্য নিশ্চিত হলে অভিযান পরিচালনা করি। সম্প্রতি আমরা ও উপজেলা প্রশাসনসহ কয়েক দফা
অভিযান করে ১৩টি মেশিন এবং ১৩০০ ফুট পাইপ জব্দ করে তা ধ্বংস করি। আবারও যদি কেউ পাহাড় কাটে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এই বিষয়ে মীরসরাইয়ের সহকারী কমিশনার ভূমি সাইফুল ইসলাম বলেন, সরকারের অনুমতি ছাড়া কোনো প্রকার নদী, খাল বা ছরা থেকে বালু উত্তোলন করা যাবে না। আর কোনোভাবেই পাহাড় কাটা যাবে না। এই বিষয়ে আমাদের কোনো প্রকার ছাড় নেই। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এই বিষয়ে মীরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোমাইয়া আক্তার বলেন, পাহাড় কাটা সম্পূর্ণ বেআইনি কাজ। এটি কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা খবর পেয়েছি একটি চক্র কখনো দিনে, কখনো গভীর রাতে পাহাড়ের মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। যারা এ কাজের সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছি।