সরকারি স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, হাসপাতাল এবং সরকারি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ছাদে সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। লক্ষ্য দুই থেকে তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন। এতে সাত থেকে সাড়ে দশ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হতে পারে।
ব্যবহার হবে সরকারি স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান
প্রকল্প ব্যয়ে হিসাব বের করতে ওয়েবে সোলার ক্যালকুলেটর
প্রকল্প প্রস্তাব পেলে আর্থিক সহযোগিতা দেবে সরকার
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিদ্যুৎ বিভাগের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানানো হয়েছে। প্রকল্পের যথাযথ পরিকল্পনা প্রাপ্তি সাপেক্ষে অর্থ বিভাগ প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা সংবাদকে বলেন, ‘অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়নে আর্থিক সহযোগিতা পেতে জার্মান এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন (জিআইজেড), বিশ্বব্যাংক এবং অন্য দাতা সংস্থাগুলোর সঙ্গেও যোগাযোগ করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘জেলা-উপজেলা পর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং পাইলট প্রকল্প চালু করার জন্য জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) সঙ্গে সভা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সভায় এসপিদেরও (পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট) রাখার কথা বলা হয়েছে।’
সোলার ক্যালকুলেটর
ছাদে সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে কতটুকু জায়গায় কী পরিমাণ ব্যয় হবে তার হিসাব বের করতে একটি ইন্টারেক্টিভ রুফটপ সোলার ক্যালকুলেটর তৈরি করা হয়েছে। আগ্রহী উদ্যোক্তা বা যে কোনো ব্যক্তি ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি) ওয়েব সাইটে গিয়ে অথবা https://onlineapplication.dpdc.org.bd/solar _calculator_bn.php এই লিংকে গিয়ে ক্যালকুলেটরটি ব্যবহার করে ছাদে সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনে বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভাবনা এবং ইনস্টলেশন (স্থাপন) খরচের বিষয়ে ধারণা নিতে পারবেন।
জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ক্যালকুলেটর ব্যবহার করে প্রাক্কলন প্রস্তুত করবে এবং সংশ্লিষ্ট
মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব জমা দেবে। একটি কারিগরি কমিটি জমা দেয়া তথ্য পর্যালোচনা করবে এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ে তহবিলের জন্য প্রকল্প সুপারিশ করবে।
ছাদে সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনে দুটি বিনিয়োগ মডেল অনুসরণ করা হবে সরকারি অফিসের জন্য মূলধন ব্যয় (ক্যাপিটাল এক্সপেন্ডিচার- ক্যাপএক্স) মডেল এবং শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের জন্য পরিচালন ব্যয় (অপারেটিং এক্সপেন্ডিচার-অপএক্স) মডেল।
কর্মী প্রশিক্ষণ
প্রকল্প বাস্তবায়নে সহযোগিতা করার জন্য ‘ইনস্টলেশন ও রক্ষণাবেক্ষণ কর্মী’ তৈরি করা হবে, যাদের প্রশিক্ষণ দেবে বিভিন্ন কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান। অন্যান্য প্রশিক্ষিত কর্মী নিয়োগের জন্য আউটসোর্সিং সংস্থাগুলোকে যুক্ত করা হবে।
এই উদ্যোগের সমন্বয় করতে প্রতিটি মন্ত্রণালয় দুজন করে ‘ফোকাল পয়েন্ট’ কর্মকর্তা নিয়োগ করবে। জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট (এসপি), ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি), ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি (ডেসকো)সহ বিদ্যুৎ বিতরণে নিযুক্ত অন্যান্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান এবং মূল স্টেকহোল্ডাররা প্রকল্প বাস্তবায়নে সহজ করতে সহায়তা করবে।
প্রকল্পটি বিভিন্ন অর্থায়ন এবং পুনঃঅর্থায়ন চ্যানেল ব্যবহার করবে, যার মধ্যে রয়েছে ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড (ইডকল), জিআইজেড বাংলাদেশ, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এবং বাংলাদেশ গ্রিন ফান্ডের সহায়তা।
বর্তমানে দেশে সৌরশক্তি থেকে ১৫৬৩.৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতি ২০২৫ অনুযায়ী, সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে মোট বিদ্যুতের চাহিদার ২০ শতাংশ এবং ২০৪০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ পূরণ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
শনিবার, ০২ আগস্ট ২০২৫
সরকারি স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, হাসপাতাল এবং সরকারি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ছাদে সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। লক্ষ্য দুই থেকে তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন। এতে সাত থেকে সাড়ে দশ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হতে পারে।
ব্যবহার হবে সরকারি স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান
প্রকল্প ব্যয়ে হিসাব বের করতে ওয়েবে সোলার ক্যালকুলেটর
প্রকল্প প্রস্তাব পেলে আর্থিক সহযোগিতা দেবে সরকার
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিদ্যুৎ বিভাগের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানানো হয়েছে। প্রকল্পের যথাযথ পরিকল্পনা প্রাপ্তি সাপেক্ষে অর্থ বিভাগ প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা সংবাদকে বলেন, ‘অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়নে আর্থিক সহযোগিতা পেতে জার্মান এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন (জিআইজেড), বিশ্বব্যাংক এবং অন্য দাতা সংস্থাগুলোর সঙ্গেও যোগাযোগ করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘জেলা-উপজেলা পর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং পাইলট প্রকল্প চালু করার জন্য জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) সঙ্গে সভা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সভায় এসপিদেরও (পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট) রাখার কথা বলা হয়েছে।’
সোলার ক্যালকুলেটর
ছাদে সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে কতটুকু জায়গায় কী পরিমাণ ব্যয় হবে তার হিসাব বের করতে একটি ইন্টারেক্টিভ রুফটপ সোলার ক্যালকুলেটর তৈরি করা হয়েছে। আগ্রহী উদ্যোক্তা বা যে কোনো ব্যক্তি ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি) ওয়েব সাইটে গিয়ে অথবা https://onlineapplication.dpdc.org.bd/solar _calculator_bn.php এই লিংকে গিয়ে ক্যালকুলেটরটি ব্যবহার করে ছাদে সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনে বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভাবনা এবং ইনস্টলেশন (স্থাপন) খরচের বিষয়ে ধারণা নিতে পারবেন।
জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ক্যালকুলেটর ব্যবহার করে প্রাক্কলন প্রস্তুত করবে এবং সংশ্লিষ্ট
মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব জমা দেবে। একটি কারিগরি কমিটি জমা দেয়া তথ্য পর্যালোচনা করবে এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ে তহবিলের জন্য প্রকল্প সুপারিশ করবে।
ছাদে সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনে দুটি বিনিয়োগ মডেল অনুসরণ করা হবে সরকারি অফিসের জন্য মূলধন ব্যয় (ক্যাপিটাল এক্সপেন্ডিচার- ক্যাপএক্স) মডেল এবং শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের জন্য পরিচালন ব্যয় (অপারেটিং এক্সপেন্ডিচার-অপএক্স) মডেল।
কর্মী প্রশিক্ষণ
প্রকল্প বাস্তবায়নে সহযোগিতা করার জন্য ‘ইনস্টলেশন ও রক্ষণাবেক্ষণ কর্মী’ তৈরি করা হবে, যাদের প্রশিক্ষণ দেবে বিভিন্ন কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান। অন্যান্য প্রশিক্ষিত কর্মী নিয়োগের জন্য আউটসোর্সিং সংস্থাগুলোকে যুক্ত করা হবে।
এই উদ্যোগের সমন্বয় করতে প্রতিটি মন্ত্রণালয় দুজন করে ‘ফোকাল পয়েন্ট’ কর্মকর্তা নিয়োগ করবে। জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট (এসপি), ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি), ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি (ডেসকো)সহ বিদ্যুৎ বিতরণে নিযুক্ত অন্যান্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান এবং মূল স্টেকহোল্ডাররা প্রকল্প বাস্তবায়নে সহজ করতে সহায়তা করবে।
প্রকল্পটি বিভিন্ন অর্থায়ন এবং পুনঃঅর্থায়ন চ্যানেল ব্যবহার করবে, যার মধ্যে রয়েছে ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড (ইডকল), জিআইজেড বাংলাদেশ, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এবং বাংলাদেশ গ্রিন ফান্ডের সহায়তা।
বর্তমানে দেশে সৌরশক্তি থেকে ১৫৬৩.৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতি ২০২৫ অনুযায়ী, সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে মোট বিদ্যুতের চাহিদার ২০ শতাংশ এবং ২০৪০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ পূরণ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।