অটোরিকশাটি ট্রেনের সামনের অংশে আটকে গেলে প্রায় আধা কিলোমিটার পর্যন্ত টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায়
শনিবার কক্সবাজারের রামুতে ট্রেনের ধাক্কায় দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া অটোরিকশা -সংবাদ
কক্সবাজারের রামুতে অটোরিকশায় ট্রেনের ধাক্কায় নারী-শিশুসহ নিহত হয়েছেন পাঁচজন। তাদের চারজনই একই পরিবারের। শনিবার,(২ আগস্ট ২০২৫) দুপুর দেড়টার দিকে রামুর রশিদনগর এলাকার রেল ক্রসিংয়ে ঢাকাগামী কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন রামু থানার ওসি তৈয়বুর রহমান।
নিহতরা হলেন কক্সবাজার সদর উপজেলার পোকখালী ইউনিয়নের পূর্ব গোমাতলী এলাকার বাসিন্দা রেনু আরা (৩৫), তার বোন আসমা আরা (১৩), রেনু আরার তিন বছর ও দেড় বছর বয়সী দুই ছেলে আশেক উল্লাহ ও আতা উল্লাহ এবং অটোরিকশারচালক ঈদগাঁও মেহেরঘোনা এলাকার ছৈয়দ নুরের ছেলে হাবিব উল্লাহ (৪০)।
রশিদনগরের ইউপি সদস্য বদি আলম বলেন, অটোরিকশাটি রশিদনগর রেলক্রসিং পেরিয়ে রেল লাইনের ওপর উঠে পড়লে কক্সবাজার এক্সপ্রেস সেটিকে ধাক্কা দেয়। ‘এ সময় অটোরিকশাটি ট্রেনের সামনের অংশে আটকে গেলে প্রায় আধা কিলোমিটার পর্যন্ত টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায় ট্রেন। এতে নিহতদের দেহ ছিন্ন-ভিন্ন হয়ে বিভিন্ন জায়গায় ছিটকে পড়ে।’
রেলওয়ের রামু স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার আক্তার হোসেন বলেন, ‘দুর্ঘটনাস্থল আমার স্টেশন থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে। সম্ভবত এটি একটি লেভেল ক্রসিং। ‘লেভেল ক্রসিংগুলো ছোটো হওয়ায় এখানে কোনো গেইট বা ব্যারিয়ার থাকে না। তবে সতর্কীকরণ নির্দেশনা বোর্ড লাগানো থাকে। গেইট ব্যারিয়ার থাকে বড় ক্রসিংগুলোতে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই দুর্ঘটনার পর কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনটি
গন্তব্যে চলে গেছে। কিন্তু রামুর পানিরছড়া এলাকায় ঢাকা থেকে কক্সবাজারগামী পর্যটক এক্সপ্রেস আটকে রাখেন বিক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করে র্যাব পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। পরে বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটে ট্রেনটি ছেড়ে দেন স্থানীয়রা। ট্রেনটি কক্সবাজার পৌঁছেছে বলেও জানান সহকারী স্টেশন মাস্টার আক্তার হোসেন।
অটোরিকশাটি ট্রেনের সামনের অংশে আটকে গেলে প্রায় আধা কিলোমিটার পর্যন্ত টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায়
শনিবার কক্সবাজারের রামুতে ট্রেনের ধাক্কায় দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া অটোরিকশা -সংবাদ
শনিবার, ০২ আগস্ট ২০২৫
কক্সবাজারের রামুতে অটোরিকশায় ট্রেনের ধাক্কায় নারী-শিশুসহ নিহত হয়েছেন পাঁচজন। তাদের চারজনই একই পরিবারের। শনিবার,(২ আগস্ট ২০২৫) দুপুর দেড়টার দিকে রামুর রশিদনগর এলাকার রেল ক্রসিংয়ে ঢাকাগামী কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন রামু থানার ওসি তৈয়বুর রহমান।
নিহতরা হলেন কক্সবাজার সদর উপজেলার পোকখালী ইউনিয়নের পূর্ব গোমাতলী এলাকার বাসিন্দা রেনু আরা (৩৫), তার বোন আসমা আরা (১৩), রেনু আরার তিন বছর ও দেড় বছর বয়সী দুই ছেলে আশেক উল্লাহ ও আতা উল্লাহ এবং অটোরিকশারচালক ঈদগাঁও মেহেরঘোনা এলাকার ছৈয়দ নুরের ছেলে হাবিব উল্লাহ (৪০)।
রশিদনগরের ইউপি সদস্য বদি আলম বলেন, অটোরিকশাটি রশিদনগর রেলক্রসিং পেরিয়ে রেল লাইনের ওপর উঠে পড়লে কক্সবাজার এক্সপ্রেস সেটিকে ধাক্কা দেয়। ‘এ সময় অটোরিকশাটি ট্রেনের সামনের অংশে আটকে গেলে প্রায় আধা কিলোমিটার পর্যন্ত টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায় ট্রেন। এতে নিহতদের দেহ ছিন্ন-ভিন্ন হয়ে বিভিন্ন জায়গায় ছিটকে পড়ে।’
রেলওয়ের রামু স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার আক্তার হোসেন বলেন, ‘দুর্ঘটনাস্থল আমার স্টেশন থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে। সম্ভবত এটি একটি লেভেল ক্রসিং। ‘লেভেল ক্রসিংগুলো ছোটো হওয়ায় এখানে কোনো গেইট বা ব্যারিয়ার থাকে না। তবে সতর্কীকরণ নির্দেশনা বোর্ড লাগানো থাকে। গেইট ব্যারিয়ার থাকে বড় ক্রসিংগুলোতে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই দুর্ঘটনার পর কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনটি
গন্তব্যে চলে গেছে। কিন্তু রামুর পানিরছড়া এলাকায় ঢাকা থেকে কক্সবাজারগামী পর্যটক এক্সপ্রেস আটকে রাখেন বিক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করে র্যাব পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। পরে বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটে ট্রেনটি ছেড়ে দেন স্থানীয়রা। ট্রেনটি কক্সবাজার পৌঁছেছে বলেও জানান সহকারী স্টেশন মাস্টার আক্তার হোসেন।