নারী সংস্কার কমিশনের সদস্যরা ৪৩৩টি সুপারিশ করলেও তা আমলে নিয়েছে বলে প্রতীয়মান হয় নাই। স্বাস্থ্য কমিশনের প্রতিবেদনের একাই অবস্থা পাশাপাশি দেশে শিক্ষক ও কর্মচারী থাকলেও শিক্ষকে সরাসরি উপেক্ষা করে ‘দক্ষ জনশক্তি গঠনের গালগপ্পো: বলছে শুভঙ্করের ফাঁকির নামান্তর’।
জুলাই সনদের খসড়ায় নারীদের মতামত উপেক্ষিত হয়েছে: অবিলম্বে নারীদের অংশগ্রহণে খসড়ার একটি পুনঃআলোচনার ব্যবস্থা করতে হবে
অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতিতে নারীদের একত্রিত হয়ে নারীর চলমান বৈষম্য রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী ইশতেহারে অন্তর্ভুক্তের ব্যবস্থা করতে হবে
নারী সংস্কার কমিশন সরকারি সিদ্ধান্তে গঠিত এবং কমিশনের মতামতকে সরকারপ্রধান প্রশংসা করলেও পরবর্তীতে দেশের একটি কমিশনের সদস্যদের অবমাননা করে গালি দেয়া, অপমানজনক আচরণ ও বড় ধরনের ভূমিকা আমাদের আহত করেছে তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।
শনিবার,(২ আগস্ট ২০২৫) বেলা ১১টায় ব্র্যাক ইন সেন্টার এ গণসাক্ষরতা অভিযান এবং সব সহযোগী সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে ‘আমাদের দাবি: নারীকে বাদ দিয়ে নারীর ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এসব কথা উঠে আসে। সভাশেষে ১৫টি দাবি খসড়া আকারে উপস্থাপন করা হয়।
সভাপতিত্ব করেন গণসাক্ষরতা অভিযান এর নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী। সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন এর প্রধান শিরীন পারভীন হক। সভায় অন্যান্যদের মাঝে আরও বক্তব্য রাখেন নিজেরা করির কো-অর্ডিনেটর খুশি কবির, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ এর সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম, সাধারণ সম্পাদক ডা. মালেকা বানু, নারীপক্ষের সভানেত্রী গীতা দাস, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন এর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, নারী সংস্কার কমিশনের সদস্য ফেরদৌসী সুলতানা, মাহীন সুলতান, অধ্যাপক শারমিন্দ নিলোর্মী, জুলাই আন্দোলনের সংগঠক শাহজাদী ফানান্না জহুরা ও সামান্তা করিম, সিপিডির রিসার্চ ডিরেক্টর ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, সিএসও অ্যালায়েন্স এর সেক্রেটারিয়েট কো-অর্ডিনেটর ও আইআইডির সিইও সাঈদ আহমেদ, ক্যাথলিক এডুকেশন বোর্ড এর সাধারণ সম্পাদক জ্যোতি এফ গোমেজ, গণসাক্ষরতা অভিযান এর উপ-পরিচালক তপন কুমার দাশসহ অনেকে।
মতবিনিময় সভায় বক্তারা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের গঠন প্রক্রিয়ার মধ্যেও কিছু‘বৈষম্যে হয়েছে’ বলে জানান। ১৫টি দাবি দাবির মধ্যে হচ্ছে কমিশন নিজস্ব গণ্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ থেকে স্বল্প পরিসরে আলোচনা করে প্রতিবেদনগুলো তৈরি করেছে। কমিশনকে অবশ্যই নারী সমাজের সঙ্গে মতবিনিময় করে ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ প্রস্তুত করতে হবে।
বৈষম্য বিলোপ, বিচার ও সংস্কার এই তিনটি বিষয় নিয়ে আলোচনা ও অভ্যুত্থান হয়। কিন্তু বর্তমানে আলোচনা বৈষম্য, বিচার ও সংস্কারকে পরিবর্তে রাজনৈতিক দলগুলোর পাওয়া-না পাওয়া নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে। সুতরাং আমাদের দেশব্যাপী ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে নারীদের ঐক্যবদ্ধ করে কথা বলতে হবে।
নারী প্রতিনিধিত্ব ছাড়া জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের গঠন চরম বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত বলে উল্লেখ করেন।
কমিশনের সুপারিশ বিবেচনায় নিয়েই জুলাই সনদ ঘোষণা করতে হবে।
জুলাই সনদের খসড়ায় নারীদের মতামত উপেক্ষিত হয়েছে: অবিলম্বে নারীদের অংশগ্রহণে খসড়ার একটি পুনঃআলোচনার ব্যবস্থা করতে হবে ।
অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতিতে নারীদের একত্রিত হয়ে নারীর চলমান বৈষম্য রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী ইশতেহারে অন্তর্ভুক্তের ব্যবস্থা করতে হবে।
নারী নেতৃত্বহীন জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন নারীর অধিকারের অপমান-এজন্য সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করতে হবে।
সব জাতীয় কমিশন, বোর্ড ও কমিটিতে ন্যূনতম ৫০ শতাংশ নারী অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
নতুন প্রজন্মের নারীদের আন্দোলনে যুক্ত ঐক্যবদ্ধভাবে সামনের দিকে যেতে হবে।
জুলাই আন্দোলনে নারীরা/শিক্ষার্থীরা সমাজের কাতারে থাকলেও আজ তারা উপেক্ষিত নারীদের বাদ দিয়ে নারীর ব্যপারে সিদ্ধান্ত নিলে দেশের ৫০ শতাংশ নারী ভোটদানে বিরত থাকবে।
রাষ্ট্রের অসাম্প্রদায়িক চরিত্র নিশ্চিত করতে হবে। পারিবারিক আইনসহ নারী সংশ্লিষ্ট আইন-কানুনগুলোতে সংস্কারে আনতে হবে এবং এক্ষেত্রে নারীদের মতামত নিতে হবে।
সংরক্ষিত নারী আসন বৃদ্ধিকে আমরা স্বাগত জানাই। তবে সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্যদের নির্দিষ্ট এলাকা থেকে জনগণের সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে আসতে হবে।
এছাড়া প্রত্যেক রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনের পূর্বে ইশতেহারে নারী বিষয়ে স্পষ্ট বক্তব্য দিতে হবে।
শনিবার, ০২ আগস্ট ২০২৫
নারী সংস্কার কমিশনের সদস্যরা ৪৩৩টি সুপারিশ করলেও তা আমলে নিয়েছে বলে প্রতীয়মান হয় নাই। স্বাস্থ্য কমিশনের প্রতিবেদনের একাই অবস্থা পাশাপাশি দেশে শিক্ষক ও কর্মচারী থাকলেও শিক্ষকে সরাসরি উপেক্ষা করে ‘দক্ষ জনশক্তি গঠনের গালগপ্পো: বলছে শুভঙ্করের ফাঁকির নামান্তর’।
জুলাই সনদের খসড়ায় নারীদের মতামত উপেক্ষিত হয়েছে: অবিলম্বে নারীদের অংশগ্রহণে খসড়ার একটি পুনঃআলোচনার ব্যবস্থা করতে হবে
অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতিতে নারীদের একত্রিত হয়ে নারীর চলমান বৈষম্য রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী ইশতেহারে অন্তর্ভুক্তের ব্যবস্থা করতে হবে
নারী সংস্কার কমিশন সরকারি সিদ্ধান্তে গঠিত এবং কমিশনের মতামতকে সরকারপ্রধান প্রশংসা করলেও পরবর্তীতে দেশের একটি কমিশনের সদস্যদের অবমাননা করে গালি দেয়া, অপমানজনক আচরণ ও বড় ধরনের ভূমিকা আমাদের আহত করেছে তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।
শনিবার,(২ আগস্ট ২০২৫) বেলা ১১টায় ব্র্যাক ইন সেন্টার এ গণসাক্ষরতা অভিযান এবং সব সহযোগী সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে ‘আমাদের দাবি: নারীকে বাদ দিয়ে নারীর ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এসব কথা উঠে আসে। সভাশেষে ১৫টি দাবি খসড়া আকারে উপস্থাপন করা হয়।
সভাপতিত্ব করেন গণসাক্ষরতা অভিযান এর নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী। সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন এর প্রধান শিরীন পারভীন হক। সভায় অন্যান্যদের মাঝে আরও বক্তব্য রাখেন নিজেরা করির কো-অর্ডিনেটর খুশি কবির, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ এর সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম, সাধারণ সম্পাদক ডা. মালেকা বানু, নারীপক্ষের সভানেত্রী গীতা দাস, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন এর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, নারী সংস্কার কমিশনের সদস্য ফেরদৌসী সুলতানা, মাহীন সুলতান, অধ্যাপক শারমিন্দ নিলোর্মী, জুলাই আন্দোলনের সংগঠক শাহজাদী ফানান্না জহুরা ও সামান্তা করিম, সিপিডির রিসার্চ ডিরেক্টর ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, সিএসও অ্যালায়েন্স এর সেক্রেটারিয়েট কো-অর্ডিনেটর ও আইআইডির সিইও সাঈদ আহমেদ, ক্যাথলিক এডুকেশন বোর্ড এর সাধারণ সম্পাদক জ্যোতি এফ গোমেজ, গণসাক্ষরতা অভিযান এর উপ-পরিচালক তপন কুমার দাশসহ অনেকে।
মতবিনিময় সভায় বক্তারা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের গঠন প্রক্রিয়ার মধ্যেও কিছু‘বৈষম্যে হয়েছে’ বলে জানান। ১৫টি দাবি দাবির মধ্যে হচ্ছে কমিশন নিজস্ব গণ্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ থেকে স্বল্প পরিসরে আলোচনা করে প্রতিবেদনগুলো তৈরি করেছে। কমিশনকে অবশ্যই নারী সমাজের সঙ্গে মতবিনিময় করে ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ প্রস্তুত করতে হবে।
বৈষম্য বিলোপ, বিচার ও সংস্কার এই তিনটি বিষয় নিয়ে আলোচনা ও অভ্যুত্থান হয়। কিন্তু বর্তমানে আলোচনা বৈষম্য, বিচার ও সংস্কারকে পরিবর্তে রাজনৈতিক দলগুলোর পাওয়া-না পাওয়া নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে। সুতরাং আমাদের দেশব্যাপী ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে নারীদের ঐক্যবদ্ধ করে কথা বলতে হবে।
নারী প্রতিনিধিত্ব ছাড়া জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের গঠন চরম বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত বলে উল্লেখ করেন।
কমিশনের সুপারিশ বিবেচনায় নিয়েই জুলাই সনদ ঘোষণা করতে হবে।
জুলাই সনদের খসড়ায় নারীদের মতামত উপেক্ষিত হয়েছে: অবিলম্বে নারীদের অংশগ্রহণে খসড়ার একটি পুনঃআলোচনার ব্যবস্থা করতে হবে ।
অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতিতে নারীদের একত্রিত হয়ে নারীর চলমান বৈষম্য রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী ইশতেহারে অন্তর্ভুক্তের ব্যবস্থা করতে হবে।
নারী নেতৃত্বহীন জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন নারীর অধিকারের অপমান-এজন্য সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করতে হবে।
সব জাতীয় কমিশন, বোর্ড ও কমিটিতে ন্যূনতম ৫০ শতাংশ নারী অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
নতুন প্রজন্মের নারীদের আন্দোলনে যুক্ত ঐক্যবদ্ধভাবে সামনের দিকে যেতে হবে।
জুলাই আন্দোলনে নারীরা/শিক্ষার্থীরা সমাজের কাতারে থাকলেও আজ তারা উপেক্ষিত নারীদের বাদ দিয়ে নারীর ব্যপারে সিদ্ধান্ত নিলে দেশের ৫০ শতাংশ নারী ভোটদানে বিরত থাকবে।
রাষ্ট্রের অসাম্প্রদায়িক চরিত্র নিশ্চিত করতে হবে। পারিবারিক আইনসহ নারী সংশ্লিষ্ট আইন-কানুনগুলোতে সংস্কারে আনতে হবে এবং এক্ষেত্রে নারীদের মতামত নিতে হবে।
সংরক্ষিত নারী আসন বৃদ্ধিকে আমরা স্বাগত জানাই। তবে সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্যদের নির্দিষ্ট এলাকা থেকে জনগণের সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে আসতে হবে।
এছাড়া প্রত্যেক রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনের পূর্বে ইশতেহারে নারী বিষয়ে স্পষ্ট বক্তব্য দিতে হবে।