‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন: প্রাপ্তি ও অপ্রাপ্তির খতিয়ান’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় বক্তব্য দিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া।
আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে ‘রিবিল্ডিং দ্য নেশন: বাংলাদেশ ২.০’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
২০২৪ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ নামের প্ল্যাটফর্ম এই সেমিনারের আয়োজন করে। পাঁচটি পৃথক প্যানেল আলোচনায় সাজানো সেমিনারের চতুর্থ প্যানেলে বক্তব্য দেন আসিফ মাহমুদ।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের পথ রুদ্ধ করার কারণে কাঙ্ক্ষিত আমূল পরিবর্তন সম্ভব হয়নি। গণ-অভ্যুত্থানের পর নেতৃত্বদানকারীরা গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে চাইলেও এক-এগারোর অভিজ্ঞতা মাথায় রেখেই অনেক সময় সেই পরিবর্তন বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
আসিফ মাহমুদ আরও বলেন, ‘সরাসরি এক-এগারোর মতো কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা না করলেও নানাভাবে চাপ প্রয়োগ ও রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে সরকারকে কর্তৃত্ববাদী রূপ দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে, অনেক ক্ষেত্রেই তা সফলও হয়েছে।’
তিনি বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের শক্তিগুলোর মধ্যে বিভাজন ছিল বলেই কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন সম্ভব হয়নি।
সেই সময় একটি ঘোষণাপত্র দেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি জানিয়ে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘তবে আজ থেকে তিন দিন পর, ৫ আগস্ট, সেই ঘোষণাপত্র দেওয়ার মতো অবস্থানে আমরা পৌঁছাতে পেরেছি। প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সাংবিধানিক স্বীকৃতির বিষয়ে একটি ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে।’
সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐকমত্যে পৌঁছে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘৮ আগস্টের মধ্যে জুলাই সনদ বা “জুলাই চার্টার” নিয়ে একটি চূড়ান্ত বোঝাপড়ায় পৌঁছানো সম্ভব হবে বলে আমরা আশা করছি।’
এই সনদ বাস্তবায়নে কোনো দল গণভোট, কেউ গণপরিষদ, কেউ সাংবিধানিক কাউন্সিল বা নির্বাচিত সরকারের সদিচ্ছার ওপর ছেড়ে দেওয়ার পক্ষে মত দিচ্ছে। এ বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানো যাবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি আরও বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের পর রাজনৈতিক সচেতনতা বেড়েছে, বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে। এখন বাংলাদেশে এমন একটি সচেতন জনগোষ্ঠী তৈরি হয়েছে, যারা ক্ষমতায় থাকা দলকে প্রভাবিত করতে সক্ষম।’
এই প্যানেল আলোচনায় আরও অংশ নেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, জাতীয় যুবশক্তির আহ্বায়ক মো. তারিকুল ইসলাম, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি রিফাত রশিদ। সঞ্চালনায় ছিলেন প্ল্যাটফর্মটির সাধারণ সম্পাদক হাসান ইমাম।
এর আগে সকাল ও দুপুরে তিনটি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রথম প্যানেলের বিষয় ছিল ‘গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী ছাত্ররাজনীতি: সংকট ও সম্ভাবনা’, দ্বিতীয়টি ছিল ‘ইন্টেরিম, গণকবরে কারা?’ এবং তৃতীয় প্যানেলের বিষয় ছিল ‘সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন: কোন পথে বাংলাদেশ?’
সর্বশেষ প্যানেল আলোচনার বিষয় ছিল ‘অভ্যুত্থান-পরবর্তী সাংস্কৃতিক রাজনীতি’, যেখানে অংশ নেন সাংবাদিক, লেখক ও রাজনীতিবিদেরা।
শনিবার, ০২ আগস্ট ২০২৫
‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন: প্রাপ্তি ও অপ্রাপ্তির খতিয়ান’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় বক্তব্য দিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া।
আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে ‘রিবিল্ডিং দ্য নেশন: বাংলাদেশ ২.০’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
২০২৪ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ নামের প্ল্যাটফর্ম এই সেমিনারের আয়োজন করে। পাঁচটি পৃথক প্যানেল আলোচনায় সাজানো সেমিনারের চতুর্থ প্যানেলে বক্তব্য দেন আসিফ মাহমুদ।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের পথ রুদ্ধ করার কারণে কাঙ্ক্ষিত আমূল পরিবর্তন সম্ভব হয়নি। গণ-অভ্যুত্থানের পর নেতৃত্বদানকারীরা গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে চাইলেও এক-এগারোর অভিজ্ঞতা মাথায় রেখেই অনেক সময় সেই পরিবর্তন বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
আসিফ মাহমুদ আরও বলেন, ‘সরাসরি এক-এগারোর মতো কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা না করলেও নানাভাবে চাপ প্রয়োগ ও রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে সরকারকে কর্তৃত্ববাদী রূপ দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে, অনেক ক্ষেত্রেই তা সফলও হয়েছে।’
তিনি বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের শক্তিগুলোর মধ্যে বিভাজন ছিল বলেই কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন সম্ভব হয়নি।
সেই সময় একটি ঘোষণাপত্র দেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি জানিয়ে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘তবে আজ থেকে তিন দিন পর, ৫ আগস্ট, সেই ঘোষণাপত্র দেওয়ার মতো অবস্থানে আমরা পৌঁছাতে পেরেছি। প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সাংবিধানিক স্বীকৃতির বিষয়ে একটি ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে।’
সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐকমত্যে পৌঁছে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘৮ আগস্টের মধ্যে জুলাই সনদ বা “জুলাই চার্টার” নিয়ে একটি চূড়ান্ত বোঝাপড়ায় পৌঁছানো সম্ভব হবে বলে আমরা আশা করছি।’
এই সনদ বাস্তবায়নে কোনো দল গণভোট, কেউ গণপরিষদ, কেউ সাংবিধানিক কাউন্সিল বা নির্বাচিত সরকারের সদিচ্ছার ওপর ছেড়ে দেওয়ার পক্ষে মত দিচ্ছে। এ বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানো যাবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি আরও বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের পর রাজনৈতিক সচেতনতা বেড়েছে, বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে। এখন বাংলাদেশে এমন একটি সচেতন জনগোষ্ঠী তৈরি হয়েছে, যারা ক্ষমতায় থাকা দলকে প্রভাবিত করতে সক্ষম।’
এই প্যানেল আলোচনায় আরও অংশ নেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, জাতীয় যুবশক্তির আহ্বায়ক মো. তারিকুল ইসলাম, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি রিফাত রশিদ। সঞ্চালনায় ছিলেন প্ল্যাটফর্মটির সাধারণ সম্পাদক হাসান ইমাম।
এর আগে সকাল ও দুপুরে তিনটি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রথম প্যানেলের বিষয় ছিল ‘গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী ছাত্ররাজনীতি: সংকট ও সম্ভাবনা’, দ্বিতীয়টি ছিল ‘ইন্টেরিম, গণকবরে কারা?’ এবং তৃতীয় প্যানেলের বিষয় ছিল ‘সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন: কোন পথে বাংলাদেশ?’
সর্বশেষ প্যানেল আলোচনার বিষয় ছিল ‘অভ্যুত্থান-পরবর্তী সাংস্কৃতিক রাজনীতি’, যেখানে অংশ নেন সাংবাদিক, লেখক ও রাজনীতিবিদেরা।