শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল (সিআর) আবরার বলেছেন, সময় এসেছে শিক্ষার্থীদের শ্রেণীকক্ষে ফিরে যাওয়ার, দেশ গড়ার কারিগর হিসেবে তৈরি করার। একটা অস্থির সময় পার করছে সবাই, যা বিচক্ষণতার মধ্যে দিয়ে পার করতে হবে। শিক্ষার ক্ষেত্রে বিশ্বমানের মাপ কাঠিতে নিজেদের বিবেচনা করার জন্য কাজ করছে সরকার।
তিনি আরও বলেন, বিগত সময়ে মুক্তচিন্তার সুযোগ ছিলো না বলেই শিক্ষার বিকাশ ঘটেনি।
শনিবার,(২ আগস্ট ২০২৫) বিকেলে ঢাকা কলেজের অডিটোরিয়ামে বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ও শিক্ষা ক্যাডারের ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ছাত্রজনতা যে চেতনা ধারণ করে দেশ ‘ফ্যাসিস্ট’ মুক্ত করেছে, সে চেতনাকে বাচিয়ে রেখে শিক্ষাক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করতে হবে। মুক্তচিন্তার সুযোগ না থাকায় বিগত সময়ে শিক্ষার বিকাশ ঘটেনি।
বিসিএস জেনারেল অ্যাডুকেশন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহলের সভাপতিত্বে আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা অধিদপ্তরের সিনিয়র নেত।
’৭৩-এর অধ্যাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ‘কলুষিত’ করেছে।
শনিবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান ভবনে ‘অভ্যুত্থানোত্তর বাংলাদেশে কেমন বিশ্ববিদ্যালয় পেলাম?’ শীর্ষক সেমিনারে অংশ নিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা সিআর আবরার বলেন, ’৭৩-এর অধ্যাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশকে বহুক্ষেত্রে ‘কলুষিত’ করেছে।
তিনি বলেন, ‘অটোনমির (স্বায়ত্তশাসন) নামে শিক্ষকেরা কীভাবে রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে গিয়েছেন এবং জাতীয় রাজনীতির পঙ্কিল যে ধারা, সেটি কীভাবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে কলুষিত করেছে, সেটা আমরা সবাই জানি।’
ঢাবিতে ওই সেমিনারটির আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক।
জুলাই অভ্যুত্থান শিক্ষা খাতে বিকল্প প্রশ্ন উত্থাপন করেছে মন্তব্য করে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে যে কাঠামোগত সমস্যা বিদ্যমান, সেগুলো নতুনভাবে চিন্তা করার দরকার।
রাতারাতি কোনো সরকারের পক্ষে ’৭৩ এর অধ্যাদেশ বাতিল করা সম্ভব নয় মন্তব্য করে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, এটি ভেতর থেকে সংস্কারের বিষয়। এ জন্য সব বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে দাবি তোলা দরকার।
অনুষ্ঠানে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) অচলাবস্থার কথা উল্লেখ করে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, সেখানে শিক্ষক সমিতির নেতারাই প্রশাসনিক ক্ষমতায় থেকেছেন। এতে ‘দ্বৈত ভূমিকা’ তৈরি হয়েছে। এ ধরনের ব্যবস্থার ফাঁকফোকর দিয়ে ছাত্রদেরই বেশি ভোগান্তি হয়েছে।
কুয়েটের ঘটনায় সরকার কিছুই করেনি সেটি বলা সঠিক নয় মন্তব্য করে শিক্ষা উপদেষ্টা আরও বলেন, কুয়েটের ঘটনায় সরকার দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে-একটি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকে, আরেকটি মন্ত্রণালয় থেকে। ইউজিসি তদন্ত করেছে আর্থিক অনিয়মসহ সামগ্রিক পরিস্থিতি, মন্ত্রণালয়ের কমিটি মূলত ঘটনাগুলো কে ঘটিয়েছে, ছাত্রদের দাবি কী ছিল, দায় কার, সেটা খতিয়ে দেখেছে।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে আগে একক সিদ্ধান্ত
নেয়া হতো মন্তব্য করে তিনি বলেন, এখন একটি সার্চ কমিটি গঠিত হয়েছে, যেখানে ইউজিসি প্রতিনিধি, একজন বিশেষজ্ঞ ও ভাইস চ্যান্সেলর থাকেন। এটি গুরুত্বপূর্ণ কাঠামোগত রূপান্তর। এর মাধ্যমে যেসব ভাইস চ্যান্সেলর নিয়োগ পেয়েছেন, তাদের যোগ্যতা নিয়ে বড় প্রশ্ন ওঠেনি বলে শিক্ষা উপদেষ্টার দাবি।
সেমিনারে অন্যদের বক্তব্য দেন ইউজিসির সদস্য তানজিমউদ্দীন খান। সভাপতিত্ব করেন আনু মোহম্মদ। এ সময় ঢাকার বাইরের বিশ্ববিদ্যলয়গুলোর অভ্যুত্থান পরবর্তী বাস্তবতা তুলে ধরেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শুসমিন আফসানা, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষক কাজী ফরিদ, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অভিনু কিবরিয়া প্রমুখ।
শনিবার, ০২ আগস্ট ২০২৫
শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল (সিআর) আবরার বলেছেন, সময় এসেছে শিক্ষার্থীদের শ্রেণীকক্ষে ফিরে যাওয়ার, দেশ গড়ার কারিগর হিসেবে তৈরি করার। একটা অস্থির সময় পার করছে সবাই, যা বিচক্ষণতার মধ্যে দিয়ে পার করতে হবে। শিক্ষার ক্ষেত্রে বিশ্বমানের মাপ কাঠিতে নিজেদের বিবেচনা করার জন্য কাজ করছে সরকার।
তিনি আরও বলেন, বিগত সময়ে মুক্তচিন্তার সুযোগ ছিলো না বলেই শিক্ষার বিকাশ ঘটেনি।
শনিবার,(২ আগস্ট ২০২৫) বিকেলে ঢাকা কলেজের অডিটোরিয়ামে বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ও শিক্ষা ক্যাডারের ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ছাত্রজনতা যে চেতনা ধারণ করে দেশ ‘ফ্যাসিস্ট’ মুক্ত করেছে, সে চেতনাকে বাচিয়ে রেখে শিক্ষাক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করতে হবে। মুক্তচিন্তার সুযোগ না থাকায় বিগত সময়ে শিক্ষার বিকাশ ঘটেনি।
বিসিএস জেনারেল অ্যাডুকেশন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহলের সভাপতিত্বে আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা অধিদপ্তরের সিনিয়র নেত।
’৭৩-এর অধ্যাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ‘কলুষিত’ করেছে।
শনিবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান ভবনে ‘অভ্যুত্থানোত্তর বাংলাদেশে কেমন বিশ্ববিদ্যালয় পেলাম?’ শীর্ষক সেমিনারে অংশ নিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা সিআর আবরার বলেন, ’৭৩-এর অধ্যাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশকে বহুক্ষেত্রে ‘কলুষিত’ করেছে।
তিনি বলেন, ‘অটোনমির (স্বায়ত্তশাসন) নামে শিক্ষকেরা কীভাবে রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে গিয়েছেন এবং জাতীয় রাজনীতির পঙ্কিল যে ধারা, সেটি কীভাবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে কলুষিত করেছে, সেটা আমরা সবাই জানি।’
ঢাবিতে ওই সেমিনারটির আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক।
জুলাই অভ্যুত্থান শিক্ষা খাতে বিকল্প প্রশ্ন উত্থাপন করেছে মন্তব্য করে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে যে কাঠামোগত সমস্যা বিদ্যমান, সেগুলো নতুনভাবে চিন্তা করার দরকার।
রাতারাতি কোনো সরকারের পক্ষে ’৭৩ এর অধ্যাদেশ বাতিল করা সম্ভব নয় মন্তব্য করে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, এটি ভেতর থেকে সংস্কারের বিষয়। এ জন্য সব বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে দাবি তোলা দরকার।
অনুষ্ঠানে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) অচলাবস্থার কথা উল্লেখ করে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, সেখানে শিক্ষক সমিতির নেতারাই প্রশাসনিক ক্ষমতায় থেকেছেন। এতে ‘দ্বৈত ভূমিকা’ তৈরি হয়েছে। এ ধরনের ব্যবস্থার ফাঁকফোকর দিয়ে ছাত্রদেরই বেশি ভোগান্তি হয়েছে।
কুয়েটের ঘটনায় সরকার কিছুই করেনি সেটি বলা সঠিক নয় মন্তব্য করে শিক্ষা উপদেষ্টা আরও বলেন, কুয়েটের ঘটনায় সরকার দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে-একটি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকে, আরেকটি মন্ত্রণালয় থেকে। ইউজিসি তদন্ত করেছে আর্থিক অনিয়মসহ সামগ্রিক পরিস্থিতি, মন্ত্রণালয়ের কমিটি মূলত ঘটনাগুলো কে ঘটিয়েছে, ছাত্রদের দাবি কী ছিল, দায় কার, সেটা খতিয়ে দেখেছে।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে আগে একক সিদ্ধান্ত
নেয়া হতো মন্তব্য করে তিনি বলেন, এখন একটি সার্চ কমিটি গঠিত হয়েছে, যেখানে ইউজিসি প্রতিনিধি, একজন বিশেষজ্ঞ ও ভাইস চ্যান্সেলর থাকেন। এটি গুরুত্বপূর্ণ কাঠামোগত রূপান্তর। এর মাধ্যমে যেসব ভাইস চ্যান্সেলর নিয়োগ পেয়েছেন, তাদের যোগ্যতা নিয়ে বড় প্রশ্ন ওঠেনি বলে শিক্ষা উপদেষ্টার দাবি।
সেমিনারে অন্যদের বক্তব্য দেন ইউজিসির সদস্য তানজিমউদ্দীন খান। সভাপতিত্ব করেন আনু মোহম্মদ। এ সময় ঢাকার বাইরের বিশ্ববিদ্যলয়গুলোর অভ্যুত্থান পরবর্তী বাস্তবতা তুলে ধরেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শুসমিন আফসানা, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষক কাজী ফরিদ, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অভিনু কিবরিয়া প্রমুখ।