সরকারের পতন ঘটানো জুলাই আন্দোলনে নিহতদের পরিচয় শনাক্তে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। সেই পদক্ষেপে যাদের পরিচয় শনাক্ত না করেই দাফন করা হয়েছিল, তাদের মরদেহ কবর থেকে তোলার পর ডিএনএ পরীক্ষার কথা বলেছেন তিনি। শনিবার,(২ আগস্ট ২০২৫) রায়েরবাজার কবরস্থান পরিদর্শনে গিয়ে কথা বলছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘দাফন করা অনেককেই শনাক্ত করা যায়নি। কীভাবে শনাক্ত করা যায় সে ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা আছে। এতদিন কবর থেকে মরদেহ উঠানো হোক এটা রাজি হয়নি অনেকেই এখন মোটামুটি সবাই রাজি হয়েছে। সবাই রাজি হলে শনাক্ত করবো ডিএনএর মাধ্যমে। কেউ যদি তাদের গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যেতে চায় ওটাও আমরা অনুমতি দিবো।’ এ কার্যক্রম শুরু হতে বেশি সময় লাগবে না বলে মন্তব্য করেছেন সরকারের এই উপদেষ্টা।
অনেক মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়নি এবং মামলা তদন্ত প্রায় আটকে আছে জানিয়ে সাংবাদিকরা উপদেষ্টার কাছে জানতে চেয়েছেন মরদেহ উঠানোর পর ময়নাতদন্ত হবে কিনা। জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘ডিএনএ যেহেতু হচ্ছে মানে পোস্টমর্টেমের মতো হয়ে যাবে। এটা ডাক্তারের মাধ্যমে হবে তো, এটা একটা কমিটির মাধ্যমে হবে, তারা পুরোটা বলতে পারবেন। আমাদের অনেক শহীদ হয়েছে, অনেক মামলার বিচার শুরু হয়ে গেছে। সববিচার আস্তে আস্তে শুরু হবে।’
জুলাই আন্দোলনে রাজধানীর রায়েরবাজার কবরস্থানে ১১৪ জনকে দাফন করা হয়। যে জায়গায় দাফন করা হয়েছে সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে সে জায়গাটি বিশেষভাবে মার্বেল পাথর, টাইলস দিয়ে ঘিরে দেয়ার কাজ চলছে। পরিদর্শন শেষে সিটি করপোরেশনের কাজের মান নিয়ে তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপনারা দুর্নীতি নিয়ে লেখেন। এখানে দুই নম্বর ইট দেয়া হচ্ছে।’
এর আগে মোহাম্মদপুর থানা পরিদর্শন করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশের মিডিয়াগুলো সরব থাকার কারণে অনেক উপকার হচ্ছে, বিদেশি মিডিয়াগুলো এখন আর আগের মতো সরব না।
তারা আস্তে আস্তে ডাউন হয়ে যাচ্ছে।’ সরকার পতনের বর্ষপূর্তি ৫ আগস্ট ঘিরে কোনো ধরনের শঙ্কা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আপনারা যেভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন সে কারণে কোনো শঙ্কা নেই।’ বসুন্ধরায় আওয়ামী লীগের সভা এবং তাতে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তার সংশ্লিষ্টতা বিষয়ে সাংবাদিকরা দৃষ্টি আর্কষণ করলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, কাউকে ছাড় দেয়ার সুযোগ নেই। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে, তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।
শনিবার, ০২ আগস্ট ২০২৫
সরকারের পতন ঘটানো জুলাই আন্দোলনে নিহতদের পরিচয় শনাক্তে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। সেই পদক্ষেপে যাদের পরিচয় শনাক্ত না করেই দাফন করা হয়েছিল, তাদের মরদেহ কবর থেকে তোলার পর ডিএনএ পরীক্ষার কথা বলেছেন তিনি। শনিবার,(২ আগস্ট ২০২৫) রায়েরবাজার কবরস্থান পরিদর্শনে গিয়ে কথা বলছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘দাফন করা অনেককেই শনাক্ত করা যায়নি। কীভাবে শনাক্ত করা যায় সে ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা আছে। এতদিন কবর থেকে মরদেহ উঠানো হোক এটা রাজি হয়নি অনেকেই এখন মোটামুটি সবাই রাজি হয়েছে। সবাই রাজি হলে শনাক্ত করবো ডিএনএর মাধ্যমে। কেউ যদি তাদের গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যেতে চায় ওটাও আমরা অনুমতি দিবো।’ এ কার্যক্রম শুরু হতে বেশি সময় লাগবে না বলে মন্তব্য করেছেন সরকারের এই উপদেষ্টা।
অনেক মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়নি এবং মামলা তদন্ত প্রায় আটকে আছে জানিয়ে সাংবাদিকরা উপদেষ্টার কাছে জানতে চেয়েছেন মরদেহ উঠানোর পর ময়নাতদন্ত হবে কিনা। জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘ডিএনএ যেহেতু হচ্ছে মানে পোস্টমর্টেমের মতো হয়ে যাবে। এটা ডাক্তারের মাধ্যমে হবে তো, এটা একটা কমিটির মাধ্যমে হবে, তারা পুরোটা বলতে পারবেন। আমাদের অনেক শহীদ হয়েছে, অনেক মামলার বিচার শুরু হয়ে গেছে। সববিচার আস্তে আস্তে শুরু হবে।’
জুলাই আন্দোলনে রাজধানীর রায়েরবাজার কবরস্থানে ১১৪ জনকে দাফন করা হয়। যে জায়গায় দাফন করা হয়েছে সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে সে জায়গাটি বিশেষভাবে মার্বেল পাথর, টাইলস দিয়ে ঘিরে দেয়ার কাজ চলছে। পরিদর্শন শেষে সিটি করপোরেশনের কাজের মান নিয়ে তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপনারা দুর্নীতি নিয়ে লেখেন। এখানে দুই নম্বর ইট দেয়া হচ্ছে।’
এর আগে মোহাম্মদপুর থানা পরিদর্শন করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশের মিডিয়াগুলো সরব থাকার কারণে অনেক উপকার হচ্ছে, বিদেশি মিডিয়াগুলো এখন আর আগের মতো সরব না।
তারা আস্তে আস্তে ডাউন হয়ে যাচ্ছে।’ সরকার পতনের বর্ষপূর্তি ৫ আগস্ট ঘিরে কোনো ধরনের শঙ্কা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আপনারা যেভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন সে কারণে কোনো শঙ্কা নেই।’ বসুন্ধরায় আওয়ামী লীগের সভা এবং তাতে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তার সংশ্লিষ্টতা বিষয়ে সাংবাদিকরা দৃষ্টি আর্কষণ করলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, কাউকে ছাড় দেয়ার সুযোগ নেই। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে, তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।