জলবায়ুর অর্থায়ন নিয়ে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) সম্প্রতি যে উপদেশমূলক রায় দিয়েছে তা আইনিভাবে বাধ্যতামূলক না হলেও দায়ী রাষ্ট্রগুলোর জন্য নৈতিক দায়বদ্ধতা তৈরি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
শনিবার,(০২ আগস্ট ২০২৫) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরে অনুষ্ঠিত এক গোল টেবিল আলোচনায় একথা বলেন তিনি। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ অধিদপ্তর যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, জলবায়ু ন্যায়বিচার প্যারিস চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত থাকলেও আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) পরামর্শমূলক মতামত বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি নৈতিক অবস্থান তৈরি করেছে। কার্বন নিঃসরণকারী রাষ্ট্রগুলোর জন্য নৈতিক চাপ তৈরি করেছে। আর এই নৈতিক চাপ যদি জনগণের চাপের সঙ্গে মিলিত হয় তাহলে এটি কার্যকর রাজনৈতিক এবং নীতিগত পরিবর্তন আনতে পারে।
তিনি বলেন, আইসিজে স্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছেন জলবায়ু সুরক্ষা একটি অধিকার। তারা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা লক্ষ্যমাত্রাকে পুনর্ব্যক্ত করেছে, যা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার সীমিত করা এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে দ্রুত অগ্রসর হওয়ার প্রয়োজনীয়তাকে আবারও সামনে এনেছে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ বলেন, ‘আইসিজে’র মতামত কেবল আন্তর্জাতিক দায়বদ্ধতা নিয়েই নয় এটি আমাদের দেশের জলবায়ু ন্যায়বিচারকেও সামনে নিয়ে এসেছে।
পরিকল্পনা থেকে শুরু করে অর্থ মন্ত্রণালয় সব মন্ত্রণালয়ের এখন জলবায়ু ও ঝুঁকির দৃষ্টিকোণ থেকে কাজ করা জরুরি। এই মতামত জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য একটি শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করেছে।’
অনুষ্ঠানে অন্য বক্তারা আইসিজের রায়কে বাংলাদেশের জন্য জলবায়ু অর্থায়ন ও ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ ক্ষতিপূরণ আদায়ে একটি ঐতিহাসিক সুযোগ হিসেবে উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে অ্যাডভোকেট মো. হাফিজুল ইসলাম খান বলেন, ‘আইসিজে’র মতামত পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছে জলবায়ু কার্যক্রম এখন আর ঐচ্ছিক নয়, এটি একটি বাধ্যতামূলক আইনি দায়িত্ব।’
বাংলাদেশের পক্ষে আইসিজে-তে আইন পরামর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা প্রফেসর পায়াম আখাভান বলেন, ‘বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক আইনকে কৌশলগতভাবে ব্যবহার করে জলবায়ু অর্থায়ন, ক্ষতিপূরণ ও জবাবদিহিতার দাবি আরও জোরালো করতে হবে।’
উল্লেখ্য গত ২৩ জুলাই নেদারল্যান্ডসের হেগ থেকে আইসিজে জলবায়ু অর্থায়ন, ক্ষতিপূরণ, অভিযোজনসহ নানা বিষয়ে একটি উপদেশমূলক মতামত প্রদান করে। এতে বলা হয়, ক্ষতিপূরণ না দিলে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী রাষ্ট্রগুলোর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়া যাবে।
এর আগে ২০২৩ সালের ২৯ মার্চ, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়, যার মাধ্যমে আইসিজে-এর কাছে এই মতামত চাওয়া হয়। বাংলাদেশ ছিল সেই ১৮টি মুখ্য দেশের একটি, যারা এই মতামতের জন্য বিবেচিত প্রশ্নগুলোর খসড়া প্রস্তুত করেছিল।
রোববার, ০৩ আগস্ট ২০২৫
জলবায়ুর অর্থায়ন নিয়ে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) সম্প্রতি যে উপদেশমূলক রায় দিয়েছে তা আইনিভাবে বাধ্যতামূলক না হলেও দায়ী রাষ্ট্রগুলোর জন্য নৈতিক দায়বদ্ধতা তৈরি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
শনিবার,(০২ আগস্ট ২০২৫) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরে অনুষ্ঠিত এক গোল টেবিল আলোচনায় একথা বলেন তিনি। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ অধিদপ্তর যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, জলবায়ু ন্যায়বিচার প্যারিস চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত থাকলেও আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) পরামর্শমূলক মতামত বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি নৈতিক অবস্থান তৈরি করেছে। কার্বন নিঃসরণকারী রাষ্ট্রগুলোর জন্য নৈতিক চাপ তৈরি করেছে। আর এই নৈতিক চাপ যদি জনগণের চাপের সঙ্গে মিলিত হয় তাহলে এটি কার্যকর রাজনৈতিক এবং নীতিগত পরিবর্তন আনতে পারে।
তিনি বলেন, আইসিজে স্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছেন জলবায়ু সুরক্ষা একটি অধিকার। তারা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা লক্ষ্যমাত্রাকে পুনর্ব্যক্ত করেছে, যা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার সীমিত করা এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে দ্রুত অগ্রসর হওয়ার প্রয়োজনীয়তাকে আবারও সামনে এনেছে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ বলেন, ‘আইসিজে’র মতামত কেবল আন্তর্জাতিক দায়বদ্ধতা নিয়েই নয় এটি আমাদের দেশের জলবায়ু ন্যায়বিচারকেও সামনে নিয়ে এসেছে।
পরিকল্পনা থেকে শুরু করে অর্থ মন্ত্রণালয় সব মন্ত্রণালয়ের এখন জলবায়ু ও ঝুঁকির দৃষ্টিকোণ থেকে কাজ করা জরুরি। এই মতামত জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য একটি শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করেছে।’
অনুষ্ঠানে অন্য বক্তারা আইসিজের রায়কে বাংলাদেশের জন্য জলবায়ু অর্থায়ন ও ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ ক্ষতিপূরণ আদায়ে একটি ঐতিহাসিক সুযোগ হিসেবে উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে অ্যাডভোকেট মো. হাফিজুল ইসলাম খান বলেন, ‘আইসিজে’র মতামত পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছে জলবায়ু কার্যক্রম এখন আর ঐচ্ছিক নয়, এটি একটি বাধ্যতামূলক আইনি দায়িত্ব।’
বাংলাদেশের পক্ষে আইসিজে-তে আইন পরামর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা প্রফেসর পায়াম আখাভান বলেন, ‘বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক আইনকে কৌশলগতভাবে ব্যবহার করে জলবায়ু অর্থায়ন, ক্ষতিপূরণ ও জবাবদিহিতার দাবি আরও জোরালো করতে হবে।’
উল্লেখ্য গত ২৩ জুলাই নেদারল্যান্ডসের হেগ থেকে আইসিজে জলবায়ু অর্থায়ন, ক্ষতিপূরণ, অভিযোজনসহ নানা বিষয়ে একটি উপদেশমূলক মতামত প্রদান করে। এতে বলা হয়, ক্ষতিপূরণ না দিলে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী রাষ্ট্রগুলোর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়া যাবে।
এর আগে ২০২৩ সালের ২৯ মার্চ, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়, যার মাধ্যমে আইসিজে-এর কাছে এই মতামত চাওয়া হয়। বাংলাদেশ ছিল সেই ১৮টি মুখ্য দেশের একটি, যারা এই মতামতের জন্য বিবেচিত প্রশ্নগুলোর খসড়া প্রস্তুত করেছিল।