স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়নের অনুরোধ জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনুসকে চিঠি দিয়েছে কমিশন; যাতে তিনটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
রোববার কমিশনের প্রধান জাতীয় অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খান এ চিঠি পাঠান।
সুপারিশ বাস্তবায়নে প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের জাতীয় স্বাস্থ্য উপদেষ্টা কমিটি গঠনসহ তিনটি প্রস্তাব দেওয়া হয়।
কমিশনের তরফে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের সময়ও চাওয়া হয়েছে।
কমিশনের প্রধান ও জাতীয় অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খান রোববার বলেন, “স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের জন্য কোনো অগ্রগতি হচ্ছে না। এ কারণে কমিশনের সব সদস্যের সম্মতিতে প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়কে এই চিঠি দেওয়া হয়েছে।”
চিঠিতে বলা হয়, গত ৫ মে স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের তৈরি চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করা হলেও এখন পর্যন্ত ওই প্রতিবেদনের সুপারিশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখা যায়নি। এমনকি কমিশনের সঙ্গে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কোনো আনুষ্ঠানিক বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়নি।
“আমরা বিশ্বাস করি, কমিশনের সুপারিশসমূহ স্বাস্থ্যখাতের বহুবিধ কাঠামোগত দুর্বলতা, সুশাসনের অভাব এবং নীতিগত সংকট উত্তরণে একটি সময়োপযোগী, বাস্তবমুখী ও সুসংহত রূপরেখা প্রদান করেছে। এ প্রেক্ষাপটে কমিশনের কার্যকর সম্পৃক্ততা ব্যতিরেকে সুপারিশ বাস্তবায়ন একটি অসম্পূর্ণ ও অগ্রহণযোগ্য প্রক্রিয়ায় রূপ নিতে পারে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।”
কমিশনের তিন প্রস্তাব হল:
স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়নে প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের জাতীয় স্বাস্থ্য উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা।
একটি স্বাধীন ও স্থায়ী ‘বাংলাদেশ স্বাস্থ্য কমিশন’ গঠন করা, যা স্বাস্থ্যখাতের পরিকল্পনা, তদারকি, মাননিয়ন্ত্রণ ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে এবং সরাসরি প্রধান উপদেষ্টাকে রিপোর্ট করবে।
প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা জনগণের জন্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যে নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় নীতিগত, প্রশাসনিক, সাংগঠনিক ও বাজেট ব্যবস্থা নেওয়া।
চিঠিতে বলা হয়, জাতীয় সংকটের সময় দূরদর্শিতা ও মানবিকতা প্রদর্শন করে প্রধান উপদেষ্টা যেভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তেমনিভাবে এই গুরুত্বপূর্ণ খাতের সংস্কারে ভূমিকা পালন করবেন বলে তাদের আশা।
“আপনার দৃঢ় ভূমিকাই পারে একটি কার্যকর ও জনগণের আস্থাভাজন স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে। আমরা কমিশনের পক্ষ থেকে এই মহৎ কর্মে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত রয়েছি। এ প্রসঙ্গে আপনার সাক্ষাৎ কামনা করছি, যাতে সরাসরি আপনাকে কমিশনের প্রস্তাবনার গুরুত্ব ও বাস্তবায়নের কৌশল নিয়ে সংক্ষিপ্তভাবে অবহিত করতে পারি।”
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্রীয় পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে বিভিন্ন খাত সংস্কারের উদ্যোগ নেয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালের ১৮ নভেম্বর গঠিত হয় স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশন। এই কমিশনের প্রধান করা হয় জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খানকে।
কমিশন চলতি বছরের ৫ মে প্রধান উপদেষ্টার কাছে তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়।
রোববার, ০৩ আগস্ট ২০২৫
স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়নের অনুরোধ জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনুসকে চিঠি দিয়েছে কমিশন; যাতে তিনটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
রোববার কমিশনের প্রধান জাতীয় অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খান এ চিঠি পাঠান।
সুপারিশ বাস্তবায়নে প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের জাতীয় স্বাস্থ্য উপদেষ্টা কমিটি গঠনসহ তিনটি প্রস্তাব দেওয়া হয়।
কমিশনের তরফে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের সময়ও চাওয়া হয়েছে।
কমিশনের প্রধান ও জাতীয় অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খান রোববার বলেন, “স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের জন্য কোনো অগ্রগতি হচ্ছে না। এ কারণে কমিশনের সব সদস্যের সম্মতিতে প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়কে এই চিঠি দেওয়া হয়েছে।”
চিঠিতে বলা হয়, গত ৫ মে স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের তৈরি চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করা হলেও এখন পর্যন্ত ওই প্রতিবেদনের সুপারিশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখা যায়নি। এমনকি কমিশনের সঙ্গে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কোনো আনুষ্ঠানিক বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়নি।
“আমরা বিশ্বাস করি, কমিশনের সুপারিশসমূহ স্বাস্থ্যখাতের বহুবিধ কাঠামোগত দুর্বলতা, সুশাসনের অভাব এবং নীতিগত সংকট উত্তরণে একটি সময়োপযোগী, বাস্তবমুখী ও সুসংহত রূপরেখা প্রদান করেছে। এ প্রেক্ষাপটে কমিশনের কার্যকর সম্পৃক্ততা ব্যতিরেকে সুপারিশ বাস্তবায়ন একটি অসম্পূর্ণ ও অগ্রহণযোগ্য প্রক্রিয়ায় রূপ নিতে পারে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।”
কমিশনের তিন প্রস্তাব হল:
স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়নে প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের জাতীয় স্বাস্থ্য উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা।
একটি স্বাধীন ও স্থায়ী ‘বাংলাদেশ স্বাস্থ্য কমিশন’ গঠন করা, যা স্বাস্থ্যখাতের পরিকল্পনা, তদারকি, মাননিয়ন্ত্রণ ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে এবং সরাসরি প্রধান উপদেষ্টাকে রিপোর্ট করবে।
প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা জনগণের জন্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যে নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় নীতিগত, প্রশাসনিক, সাংগঠনিক ও বাজেট ব্যবস্থা নেওয়া।
চিঠিতে বলা হয়, জাতীয় সংকটের সময় দূরদর্শিতা ও মানবিকতা প্রদর্শন করে প্রধান উপদেষ্টা যেভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তেমনিভাবে এই গুরুত্বপূর্ণ খাতের সংস্কারে ভূমিকা পালন করবেন বলে তাদের আশা।
“আপনার দৃঢ় ভূমিকাই পারে একটি কার্যকর ও জনগণের আস্থাভাজন স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে। আমরা কমিশনের পক্ষ থেকে এই মহৎ কর্মে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত রয়েছি। এ প্রসঙ্গে আপনার সাক্ষাৎ কামনা করছি, যাতে সরাসরি আপনাকে কমিশনের প্রস্তাবনার গুরুত্ব ও বাস্তবায়নের কৌশল নিয়ে সংক্ষিপ্তভাবে অবহিত করতে পারি।”
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্রীয় পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে বিভিন্ন খাত সংস্কারের উদ্যোগ নেয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালের ১৮ নভেম্বর গঠিত হয় স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশন। এই কমিশনের প্রধান করা হয় জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খানকে।
কমিশন চলতি বছরের ৫ মে প্রধান উপদেষ্টার কাছে তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়।