বর্তমান নির্বাচন কমিশন (ইসি) ‘মেরুদণ্ডহীন’ একটি সংস্থা বলে দাবি করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দীন পাটোয়ারী। ইসিকে তাদের ‘ভুল শোধরানোর’ সুযোগ দেয়া হচ্ছে বলে সতর্ক করে তিনি বলেন, অন্যথায় সাংবিধানিক এই সংস্থার বিরুদ্ধে সার্বিক চিত্র জনগণের সামনে তুলে ধরা হবে। রোববার,(০৩ আগস্ট ২০২৫) ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে এনসিপির প্রতিনিধিদলের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পেতে ইসিতে যারা আবেদন করেছেন, তাদের আবদনের ‘ছোটখাটো’ ত্রুটি সংশোধন করে কাগজপত্র জমা দেয়ার সময় রোববার শেষ হয়। এদিন কমিশনে এসে প্রয়োজনীয় তথ্য দেয় এনসিপি। এ সময় সিইসি এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মুসাও উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে নাসির উদ্দীন পাটোয়ারী সাংবাদিকদের বলেন, ‘দিন দিন এ ইলেকশন কমিশনকে দেখতে পাচ্ছি, ততই বুঝতে পারছি যে এটা মেরুদ-হীন একটা ইলেকশন কমিশন। ইসির অধিকাংশ অঙ্গজুড়ে সামরিক উর্দি পরা পোশাক এবং বাকি যতটুকু যারা আছে তারা দলীয় পোশাকে আবৃত। এখনও ইসিকে ভুল ধরিয়ে দিয়ে সংশোধনের সুযোগ দিচ্ছি। তাদের সে শুভবুদ্ধির উদয় হোক এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আসুক; ভোট নেয়ার প্রসেস থেকে শুরু করে বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নেয়ার জন্য সচেষ্ট হোক।’ ইসিকে সতর্ক করে তিনি বলেন, অন্যথায় সাংবিধানিক সংস্থাটির বিরুদ্ধে সার্বিক চিত্র জনগণের সামনে তুলে ধরা হবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নাসির উদ্দীন বলেন, ‘গত ১৫ বছরে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। নির্বাচন কমিশনের যেসব কর্মচারী ভোটডাকাতির সঙ্গে জড়িত ছিল আমরা তাদের পদত্যাগ চেয়েছিলাম কিন্তু এ পর্যন্ত হয়নি। আমরা আপনাদের সামনে হিন্টস দিয়ে যাচ্ছি। আগে ভোট দেয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে বাংলাদেশের মানুষকে; এবার নেয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত করার জন্য পাঁয়তারা চালাচ্ছে। আমরা এখনও ধৈর্যহারা হইনি।’ সাংবাদিকদের অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ইসি আগের আইনে গঠন ছিল। ইতোমধ্যে ইসি কিছু ‘বিতর্কিত’ বক্তব্য দিয়েছে, যা যেটা প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকেও আসেনি।’
এ ইসির অধীনে নির্বাচনে যাওয়া যাবে কিনা, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে নাসির উদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, আগামীতে পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেবে এনসিপি। তিনি বলেন, ‘এখন আমাদের যে জুলাই সনদ হবে সেখানে এই নির্বাচন কমিশনের সংস্কার প্রক্রিয়া এসেছে। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই আগামী নির্বাচন হবে।’
এনসিপির জহিরুল ইসলাম মুসা সাংবাদিকদের বলেন, ‘দলের নিবন্ধন আবেদনের তথ্য চেয়ে, পর্যবেক্ষণের আলোকে নতুন ডকুমেন্ট আজ জমা দিয়েছি ইসির কাছে। আশা করি, ইসি আমাদের নিবন্ধনের পরের ধাপে কাজে অগ্রসর হবেন।’
শাপলা প্রতীক ও নিবন্ধনের অপেক্ষার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘প্রতীক বরাদ্দ হয় ইসি যখন নিবন্ধন সার্টিফিকেট দেয় তখন। যেহেতু নিবন্ধন সার্টিফিকেট এখনও পাইনি, সেই প্রতীক নিয়ে এখন কথা বলতে পারছি না। বিধিমালার তফসিলে নেই। কিন্তু যে কোনো পর্যায়ে এটা সংশোধনযোগ্য। ইসি চাইলে সংশোধন করতে পারে।’
এনসিপির খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, ‘আমরা গত সপ্তাহে প্রবাসীদের ভোটাধিকারের বিষয়টি নিয়ে এসেছিলাম। আজ (রোববার) সুসংবাদ পেয়েছি যে আমাদের দাবি অনুযায়ী প্রবাসীদের ভোটাধিকারের বাস্তবায়ন পদক্ষেপ, প্রস্তুতি, নিবন্ধন বিষয়ে ইসি দুই সপ্তাহ পর পর অনলাইন ব্রিফিং করবেন।’
রোববার, ০৩ আগস্ট ২০২৫
বর্তমান নির্বাচন কমিশন (ইসি) ‘মেরুদণ্ডহীন’ একটি সংস্থা বলে দাবি করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দীন পাটোয়ারী। ইসিকে তাদের ‘ভুল শোধরানোর’ সুযোগ দেয়া হচ্ছে বলে সতর্ক করে তিনি বলেন, অন্যথায় সাংবিধানিক এই সংস্থার বিরুদ্ধে সার্বিক চিত্র জনগণের সামনে তুলে ধরা হবে। রোববার,(০৩ আগস্ট ২০২৫) ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে এনসিপির প্রতিনিধিদলের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পেতে ইসিতে যারা আবেদন করেছেন, তাদের আবদনের ‘ছোটখাটো’ ত্রুটি সংশোধন করে কাগজপত্র জমা দেয়ার সময় রোববার শেষ হয়। এদিন কমিশনে এসে প্রয়োজনীয় তথ্য দেয় এনসিপি। এ সময় সিইসি এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মুসাও উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে নাসির উদ্দীন পাটোয়ারী সাংবাদিকদের বলেন, ‘দিন দিন এ ইলেকশন কমিশনকে দেখতে পাচ্ছি, ততই বুঝতে পারছি যে এটা মেরুদ-হীন একটা ইলেকশন কমিশন। ইসির অধিকাংশ অঙ্গজুড়ে সামরিক উর্দি পরা পোশাক এবং বাকি যতটুকু যারা আছে তারা দলীয় পোশাকে আবৃত। এখনও ইসিকে ভুল ধরিয়ে দিয়ে সংশোধনের সুযোগ দিচ্ছি। তাদের সে শুভবুদ্ধির উদয় হোক এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আসুক; ভোট নেয়ার প্রসেস থেকে শুরু করে বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নেয়ার জন্য সচেষ্ট হোক।’ ইসিকে সতর্ক করে তিনি বলেন, অন্যথায় সাংবিধানিক সংস্থাটির বিরুদ্ধে সার্বিক চিত্র জনগণের সামনে তুলে ধরা হবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নাসির উদ্দীন বলেন, ‘গত ১৫ বছরে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। নির্বাচন কমিশনের যেসব কর্মচারী ভোটডাকাতির সঙ্গে জড়িত ছিল আমরা তাদের পদত্যাগ চেয়েছিলাম কিন্তু এ পর্যন্ত হয়নি। আমরা আপনাদের সামনে হিন্টস দিয়ে যাচ্ছি। আগে ভোট দেয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে বাংলাদেশের মানুষকে; এবার নেয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত করার জন্য পাঁয়তারা চালাচ্ছে। আমরা এখনও ধৈর্যহারা হইনি।’ সাংবাদিকদের অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ইসি আগের আইনে গঠন ছিল। ইতোমধ্যে ইসি কিছু ‘বিতর্কিত’ বক্তব্য দিয়েছে, যা যেটা প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকেও আসেনি।’
এ ইসির অধীনে নির্বাচনে যাওয়া যাবে কিনা, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে নাসির উদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, আগামীতে পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেবে এনসিপি। তিনি বলেন, ‘এখন আমাদের যে জুলাই সনদ হবে সেখানে এই নির্বাচন কমিশনের সংস্কার প্রক্রিয়া এসেছে। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই আগামী নির্বাচন হবে।’
এনসিপির জহিরুল ইসলাম মুসা সাংবাদিকদের বলেন, ‘দলের নিবন্ধন আবেদনের তথ্য চেয়ে, পর্যবেক্ষণের আলোকে নতুন ডকুমেন্ট আজ জমা দিয়েছি ইসির কাছে। আশা করি, ইসি আমাদের নিবন্ধনের পরের ধাপে কাজে অগ্রসর হবেন।’
শাপলা প্রতীক ও নিবন্ধনের অপেক্ষার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘প্রতীক বরাদ্দ হয় ইসি যখন নিবন্ধন সার্টিফিকেট দেয় তখন। যেহেতু নিবন্ধন সার্টিফিকেট এখনও পাইনি, সেই প্রতীক নিয়ে এখন কথা বলতে পারছি না। বিধিমালার তফসিলে নেই। কিন্তু যে কোনো পর্যায়ে এটা সংশোধনযোগ্য। ইসি চাইলে সংশোধন করতে পারে।’
এনসিপির খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, ‘আমরা গত সপ্তাহে প্রবাসীদের ভোটাধিকারের বিষয়টি নিয়ে এসেছিলাম। আজ (রোববার) সুসংবাদ পেয়েছি যে আমাদের দাবি অনুযায়ী প্রবাসীদের ভোটাধিকারের বাস্তবায়ন পদক্ষেপ, প্রস্তুতি, নিবন্ধন বিষয়ে ইসি দুই সপ্তাহ পর পর অনলাইন ব্রিফিং করবেন।’