নাটোর জেলার রাষ্ট্রীয় সুগার মিলস্ লিমিটেডের ভিতর দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতদল সুগার মিলের নিরাপত্তা কর্মীদেরকে বেঁধে রেখে প্রায় কোটি টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। গতকাল শনিবার গভীর রাত থেকে রোববার,(০৩ আগস্ট ২০২৫) ভোর পর্যন্ত এ ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। ডাকাতদল মিলের ভিতর থেকে ৯০ লাখ ৪০ হাজার টাকার যন্ত্রপাতি নিয়ে গেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এই ঘটনায় রোববার মিলের সহকারী ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) অঞ্জন কুমার রায় বাদী হয়ে নাটোর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
চিনি ভবনের উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৯ নিরাপত্তা সদস্য পুলিশ হেফাজতে
সন্দেহের তীর মিলের ভেতরে থাকা লোকজনের দিকে: জেলা এসপি
ঘটনার পর জেলা পুলিশ সুপার আমজান হোসাইনসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তারা বিষয়টি তদন্ত শুরু করেছেন। ঘটনার নেপথ্য উদ্ঘাটনে নিরাপত্তা প্রহরীসহ ৯ জনকে আটক করা হয়েছে। আর ঘটনায় কারা জড়িত তাদেরকে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে বলে জেলা এসপি সংবাদকে নিশ্চিত করেছেন। সন্দেহের তীর মিলের ভিতরে লোকজন জড়িত থাকার সম্ভবনা রয়েছে। এরপরও তদন্ত অব্যাহত আছে।
ঘটনাটি সম্পর্কে মতিঝিল চিনি ভবনের সচিব মজিবুর রহমান সংবাদকে মুঠোফোনে জানান, রাত ৩টার দিকে প্রচ- বৃষ্টির সময় এই ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ঘটনায় চিনি ভবনের পরিচালক উৎপাদন ও প্রকৌশল সাইদুর রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ থেকে তারা ঘটনা তদন্ত শুরু করবেন।
মামলার বাদী নাটোর সুগার মিলের সহকারী ব্যবস্থাপক অঞ্জন কুমার রায় থানায় লিখিত অভিযোগে বলেছেন, ঘটনাটি রাত ৩টা থেকে সোয়া ৪টার মধ্যে যে কোনো সময়। ঘটনায় ডাকাত দলের সংখ্যা অজ্ঞাত ১০ থেকে ১২ জন হবে। ডাকাতরা সুগার মিলের কারখানার ভিতরের প্রধান গেইটে ভেঙে ভিতরে ঢুকে। তারা কারখানার ১০ জন নিরাপত্তা প্রহরীর হাত ও মুখ বেঁধে সবাইকে একত্রিত করে একটি রুমে নিয়ে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে আটকে রাখে। ওই সময় কয়েকজন নিরাপত্তা প্রহরীকে মারপিট করেছে।
এরপর ডাকাতদল কারখানার ভিতরে থাকা মালামাল লুট করে পিকআপ ট্রাকযোগে নিয়ে যায়। তাদের কথা ও ধরনের বুঝা গেছে তারা নাটোরের স্থানীয় ভাষায় কথা বলছে। আশপাশের জেলার কয়েকজন আছে বলে তাদের কথার্বার্তায় বুঝা গেছে। ডাকাতদলের সদস্যদের মধ্যে কয়েকজনের পরনে লুঙ্গি ও ৩ থেকে ৪ জনের পরনে প্যান্ট, ৪ থেকে ৫ জনের পরনে হাফপ্যান্ট ছিল।
ডাকাতদল মালামাল লুট করে ট্রাকযোগে নিয়ে পালিয়ে যায়। ডাকাতরা চলে যাওয়ার পর নিরাপত্তা প্রহরীরা হাতের বাঁধন খুলে চিৎকার করলে মিলের লোকজন ঘটনা জানতে পারে।
লুটকৃত মালামালের মধ্যে রয়েছে, মিল হাউজ গান মেটাল জার্নাল বিয়ারিং। প্রতিটি বিয়ারিংয়ের ওজন ১৬০ কেজি। এই ধরনের ১০টি বিয়ারিং। যার মূল্য প্রায় ৪৫ লাখ টাকা। ওয়েল্ডিং ক্যাবল ১ পিস। মূল্য ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। বিভিন্ন সাইজের ব্রাশ শ্যাফট (ওজন প্রায় ৩শ’ কেজি) ১২টি। মূল্য ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। বিভিন্ন পাম্পের ইম্মেরাল ব্রাশ ৮ পিস। মূল্য প্রায় ৪ লাখ টাকা। বিভিন্ন পাম্পের ইনারপ্লেট ৪ পিস। মূল্য ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা, মিল হাউজের ফিটিং বুশ, ২ পিস। মূল্য ২০ হাজার টাকা। নিরাপ পাম্প ১ পিস। মূল্য প্রায় ৩ লাখ টাকা। ব্যবহৃত আলমারির দরকারি ট্যুলস। মূল্য ৫ লাখ টাকা, মোলাসেল পাম্পের স্টার ও রোটর ব্রাশ ২ পিস। মূল্য ২ লাখ টাকা। মিল হাউজের স্ক্রীল্ড জুন পাম্প ২টি, মূল্য ৬ লাখ টাকা। পুরনো বাতিলকৃত বিভিন্ন সাইজের বুশ ৬০টি। মূল্য ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। ওয়েব্রিজের মালামাল ওলাড সেল-৫ টনের ১৯টিসহ বিভিন্ন মালামাল। মূল্য ২ লাখ টাকা। ইলেকট্রিক্যাল তারসহ বিভিন্ন প্রকারের মালামাল। যার মূল্য ১০ লাখ টাকাসহ লুণ্ঠিত মালামালের আনুমানিক মূল্য ৯০ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
সুগার মিলের সহকারী ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) সংবাদকে জানান, নাটোরে প্রায় ৩৫ একর জায়গার ওপর এই সুগার মিলস্। এতে কারাখানা ছাড়াও আবাসিক, কলোনি, স্কুল, খেলার মাঠ, ভিতরে পুকুরসহ অন্যান্য স্থাপনা রয়েছে। ১৯৮৪ সাল থেকে এই চিনিরকলটি চালু আছে। প্রতিবছর গড়ে ৬ হাজারের বেশি টন চিনি উৎপাদন করা হয়। ১১৮০ জন জনবল থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে ৫২৫ জন জনবল আছে।
সুগার মিলের নিরাপত্তার দায়িত্বে আছে ৩৮ জন শ্রমিক। তারা আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে তিন শিফটে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। ঘটনার দিন রাতে ভিতরে ৮ জন নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছিল। ডাকাতির সময় ওই এলাকায় প্রচণ্ড বৃষ্টি হচ্ছিল। এর মধ্যে ডাকাতি ও ট্রাকযোগে মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে।
ঘটনার পর মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আখলাসুর উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, বৃষ্টির সময় রাতে প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন ডাকাত মিলের ভিতর ঢুকে নৈশপ্রহরীকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে হাত-পা ও মুখ বেঁধে মালামাল লুট করে ট্রাক ভর্তি করে নিয়ে যায়। ডাকাতরা ৩ ঘণ্টা ধরে মিলের ভিতরে ছিল। ভোরের দিকে একজন নৈশপ্রহরী কৌশলে তার বাঁধন খুলে মিলের ঘণ্টা (হুইসেল) বাজিয়ে দেয়। আরেকজন প্রহরী মসজিদের মাইকে ডাকাতির ঘটনা সবাইকে জানিয়ে দেয়। খবর পেয়ে মিলের কর্মকর্তারা ছুটে যান ঘটনাস্থলে। এরপর পুলিশও খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান।
নাটোর জেলা পুলিশ সুপার আমজাদ হোসাইন সংবাদকে মুঠোফোনে জানান, নাটোর সুগার মিল বিশাল এলাকাজুড়ে রয়েছে। সেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্বল। পর্যাপ্ত বাউন্ডারি নেই। আখ মাড়াই শেষ। আপাতত মিলটি বন্ধ ছিল। এখন অফ সিজন। বৃষ্টির সময় ঘটনা ঘটছে বলে তারা জানিয়েছেন। ভিতরে লোকজন যন্ত্রপাতি সম্পর্কে জানেন। তাদের সন্দেহ করা হচ্ছে। আর ঘটনাস্থল ও আশপাশের সিসি টিভির ফুটেজসহ অন্যান্য তথ্য-উপাত্ত ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘটনাটি তদন্ত চলছে। ঘটনা সম্পর্কে থানা পুলিশ নিরাপত্তা কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। আশা করি দ্রুততম সময়ে ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করা সম্ভব হবে।
রোববার, ০৩ আগস্ট ২০২৫
নাটোর জেলার রাষ্ট্রীয় সুগার মিলস্ লিমিটেডের ভিতর দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতদল সুগার মিলের নিরাপত্তা কর্মীদেরকে বেঁধে রেখে প্রায় কোটি টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। গতকাল শনিবার গভীর রাত থেকে রোববার,(০৩ আগস্ট ২০২৫) ভোর পর্যন্ত এ ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। ডাকাতদল মিলের ভিতর থেকে ৯০ লাখ ৪০ হাজার টাকার যন্ত্রপাতি নিয়ে গেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এই ঘটনায় রোববার মিলের সহকারী ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) অঞ্জন কুমার রায় বাদী হয়ে নাটোর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
চিনি ভবনের উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৯ নিরাপত্তা সদস্য পুলিশ হেফাজতে
সন্দেহের তীর মিলের ভেতরে থাকা লোকজনের দিকে: জেলা এসপি
ঘটনার পর জেলা পুলিশ সুপার আমজান হোসাইনসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তারা বিষয়টি তদন্ত শুরু করেছেন। ঘটনার নেপথ্য উদ্ঘাটনে নিরাপত্তা প্রহরীসহ ৯ জনকে আটক করা হয়েছে। আর ঘটনায় কারা জড়িত তাদেরকে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে বলে জেলা এসপি সংবাদকে নিশ্চিত করেছেন। সন্দেহের তীর মিলের ভিতরে লোকজন জড়িত থাকার সম্ভবনা রয়েছে। এরপরও তদন্ত অব্যাহত আছে।
ঘটনাটি সম্পর্কে মতিঝিল চিনি ভবনের সচিব মজিবুর রহমান সংবাদকে মুঠোফোনে জানান, রাত ৩টার দিকে প্রচ- বৃষ্টির সময় এই ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ঘটনায় চিনি ভবনের পরিচালক উৎপাদন ও প্রকৌশল সাইদুর রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ থেকে তারা ঘটনা তদন্ত শুরু করবেন।
মামলার বাদী নাটোর সুগার মিলের সহকারী ব্যবস্থাপক অঞ্জন কুমার রায় থানায় লিখিত অভিযোগে বলেছেন, ঘটনাটি রাত ৩টা থেকে সোয়া ৪টার মধ্যে যে কোনো সময়। ঘটনায় ডাকাত দলের সংখ্যা অজ্ঞাত ১০ থেকে ১২ জন হবে। ডাকাতরা সুগার মিলের কারখানার ভিতরের প্রধান গেইটে ভেঙে ভিতরে ঢুকে। তারা কারখানার ১০ জন নিরাপত্তা প্রহরীর হাত ও মুখ বেঁধে সবাইকে একত্রিত করে একটি রুমে নিয়ে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে আটকে রাখে। ওই সময় কয়েকজন নিরাপত্তা প্রহরীকে মারপিট করেছে।
এরপর ডাকাতদল কারখানার ভিতরে থাকা মালামাল লুট করে পিকআপ ট্রাকযোগে নিয়ে যায়। তাদের কথা ও ধরনের বুঝা গেছে তারা নাটোরের স্থানীয় ভাষায় কথা বলছে। আশপাশের জেলার কয়েকজন আছে বলে তাদের কথার্বার্তায় বুঝা গেছে। ডাকাতদলের সদস্যদের মধ্যে কয়েকজনের পরনে লুঙ্গি ও ৩ থেকে ৪ জনের পরনে প্যান্ট, ৪ থেকে ৫ জনের পরনে হাফপ্যান্ট ছিল।
ডাকাতদল মালামাল লুট করে ট্রাকযোগে নিয়ে পালিয়ে যায়। ডাকাতরা চলে যাওয়ার পর নিরাপত্তা প্রহরীরা হাতের বাঁধন খুলে চিৎকার করলে মিলের লোকজন ঘটনা জানতে পারে।
লুটকৃত মালামালের মধ্যে রয়েছে, মিল হাউজ গান মেটাল জার্নাল বিয়ারিং। প্রতিটি বিয়ারিংয়ের ওজন ১৬০ কেজি। এই ধরনের ১০টি বিয়ারিং। যার মূল্য প্রায় ৪৫ লাখ টাকা। ওয়েল্ডিং ক্যাবল ১ পিস। মূল্য ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। বিভিন্ন সাইজের ব্রাশ শ্যাফট (ওজন প্রায় ৩শ’ কেজি) ১২টি। মূল্য ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। বিভিন্ন পাম্পের ইম্মেরাল ব্রাশ ৮ পিস। মূল্য প্রায় ৪ লাখ টাকা। বিভিন্ন পাম্পের ইনারপ্লেট ৪ পিস। মূল্য ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা, মিল হাউজের ফিটিং বুশ, ২ পিস। মূল্য ২০ হাজার টাকা। নিরাপ পাম্প ১ পিস। মূল্য প্রায় ৩ লাখ টাকা। ব্যবহৃত আলমারির দরকারি ট্যুলস। মূল্য ৫ লাখ টাকা, মোলাসেল পাম্পের স্টার ও রোটর ব্রাশ ২ পিস। মূল্য ২ লাখ টাকা। মিল হাউজের স্ক্রীল্ড জুন পাম্প ২টি, মূল্য ৬ লাখ টাকা। পুরনো বাতিলকৃত বিভিন্ন সাইজের বুশ ৬০টি। মূল্য ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। ওয়েব্রিজের মালামাল ওলাড সেল-৫ টনের ১৯টিসহ বিভিন্ন মালামাল। মূল্য ২ লাখ টাকা। ইলেকট্রিক্যাল তারসহ বিভিন্ন প্রকারের মালামাল। যার মূল্য ১০ লাখ টাকাসহ লুণ্ঠিত মালামালের আনুমানিক মূল্য ৯০ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
সুগার মিলের সহকারী ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) সংবাদকে জানান, নাটোরে প্রায় ৩৫ একর জায়গার ওপর এই সুগার মিলস্। এতে কারাখানা ছাড়াও আবাসিক, কলোনি, স্কুল, খেলার মাঠ, ভিতরে পুকুরসহ অন্যান্য স্থাপনা রয়েছে। ১৯৮৪ সাল থেকে এই চিনিরকলটি চালু আছে। প্রতিবছর গড়ে ৬ হাজারের বেশি টন চিনি উৎপাদন করা হয়। ১১৮০ জন জনবল থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে ৫২৫ জন জনবল আছে।
সুগার মিলের নিরাপত্তার দায়িত্বে আছে ৩৮ জন শ্রমিক। তারা আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে তিন শিফটে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। ঘটনার দিন রাতে ভিতরে ৮ জন নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছিল। ডাকাতির সময় ওই এলাকায় প্রচণ্ড বৃষ্টি হচ্ছিল। এর মধ্যে ডাকাতি ও ট্রাকযোগে মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে।
ঘটনার পর মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আখলাসুর উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, বৃষ্টির সময় রাতে প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন ডাকাত মিলের ভিতর ঢুকে নৈশপ্রহরীকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে হাত-পা ও মুখ বেঁধে মালামাল লুট করে ট্রাক ভর্তি করে নিয়ে যায়। ডাকাতরা ৩ ঘণ্টা ধরে মিলের ভিতরে ছিল। ভোরের দিকে একজন নৈশপ্রহরী কৌশলে তার বাঁধন খুলে মিলের ঘণ্টা (হুইসেল) বাজিয়ে দেয়। আরেকজন প্রহরী মসজিদের মাইকে ডাকাতির ঘটনা সবাইকে জানিয়ে দেয়। খবর পেয়ে মিলের কর্মকর্তারা ছুটে যান ঘটনাস্থলে। এরপর পুলিশও খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান।
নাটোর জেলা পুলিশ সুপার আমজাদ হোসাইন সংবাদকে মুঠোফোনে জানান, নাটোর সুগার মিল বিশাল এলাকাজুড়ে রয়েছে। সেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্বল। পর্যাপ্ত বাউন্ডারি নেই। আখ মাড়াই শেষ। আপাতত মিলটি বন্ধ ছিল। এখন অফ সিজন। বৃষ্টির সময় ঘটনা ঘটছে বলে তারা জানিয়েছেন। ভিতরে লোকজন যন্ত্রপাতি সম্পর্কে জানেন। তাদের সন্দেহ করা হচ্ছে। আর ঘটনাস্থল ও আশপাশের সিসি টিভির ফুটেজসহ অন্যান্য তথ্য-উপাত্ত ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘটনাটি তদন্ত চলছে। ঘটনা সম্পর্কে থানা পুলিশ নিরাপত্তা কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। আশা করি দ্রুততম সময়ে ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করা সম্ভব হবে।