জুলাই সনদে কিছু সংস্কারে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য হলেও তা সাংবিধানিক ও আইনগতভাবে কীভাবে বাস্তবায়ন হবে—সে প্রশ্নে এখনো অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে। এতে সংস্কারের পথে ধাক্কা লাগার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে এবং রাজনৈতিক সংকট আরও ঘনীভূত হওয়ার ঝুঁকি দেখা দিয়েছে বলে মনে করছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
আজ সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে এক সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। ‘কর্তৃত্ববাদী সরকার পতন-পরবর্তী এক বছর: প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক এই গবেষণা উপস্থাপন করেন টিআইবির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো শাহজাদা এম আকরাম ও মো. জুলকারনাইন। প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিচার, নির্বাচন ও প্রশাসনিক খাতে উদ্যোগ নেওয়া হলেও অন্তর্বর্তী সরকার বিগত এক বছরে নানা চ্যালেঞ্জে পড়েছে। সুশাসনের আলোকে বিচার ও প্রশাসনে ঘাটতি থাকায় দুর্নীতিমুক্ত ও জবাবদিহিমূলক সরকার গঠনের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি।
টিআইবির মতে, সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশ বাস্তবায়নে অগ্রগতি নেই বললেই চলে। কিছু ক্ষেত্রে সুপারিশ বেছে নিয়ে বাস্তবায়নের চেষ্টা হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমলাতান্ত্রিক জটিলতা বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। একইসঙ্গে স্পষ্ট রোডম্যাপের অভাবে জনগণের আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণে ‘অ্যাড-হক’ বা তড়িঘড়ি মনোভাব লক্ষ্য করা গেছে। প্রশাসনের অভ্যন্তরে সমন্বয়ের অভাব ও সিদ্ধান্তহীনতা স্পষ্ট হয়েছে। দলীয় প্রভাবমুক্ত প্রশাসনের প্রতিশ্রুতি থাকলেও বাস্তবে একদলীয়করণ থেকে আরেক দলীয়করণের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, যা প্রশাসনের স্থিতিশীলতা ও কার্যকারিতা ব্যাহত করছে।
গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া পক্ষগুলোর নিজস্ব এজেন্ডা সামনে আসায় রাষ্ট্র সংস্কারের পথ আরও জটিল হয়ে উঠেছে বলে টিআইবির পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে। বড় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মৌলিক সংস্কার নিয়ে মতভেদও স্পষ্ট।
সোমবার, ০৪ আগস্ট ২০২৫
জুলাই সনদে কিছু সংস্কারে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য হলেও তা সাংবিধানিক ও আইনগতভাবে কীভাবে বাস্তবায়ন হবে—সে প্রশ্নে এখনো অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে। এতে সংস্কারের পথে ধাক্কা লাগার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে এবং রাজনৈতিক সংকট আরও ঘনীভূত হওয়ার ঝুঁকি দেখা দিয়েছে বলে মনে করছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
আজ সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে এক সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। ‘কর্তৃত্ববাদী সরকার পতন-পরবর্তী এক বছর: প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক এই গবেষণা উপস্থাপন করেন টিআইবির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো শাহজাদা এম আকরাম ও মো. জুলকারনাইন। প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিচার, নির্বাচন ও প্রশাসনিক খাতে উদ্যোগ নেওয়া হলেও অন্তর্বর্তী সরকার বিগত এক বছরে নানা চ্যালেঞ্জে পড়েছে। সুশাসনের আলোকে বিচার ও প্রশাসনে ঘাটতি থাকায় দুর্নীতিমুক্ত ও জবাবদিহিমূলক সরকার গঠনের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি।
টিআইবির মতে, সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশ বাস্তবায়নে অগ্রগতি নেই বললেই চলে। কিছু ক্ষেত্রে সুপারিশ বেছে নিয়ে বাস্তবায়নের চেষ্টা হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমলাতান্ত্রিক জটিলতা বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। একইসঙ্গে স্পষ্ট রোডম্যাপের অভাবে জনগণের আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণে ‘অ্যাড-হক’ বা তড়িঘড়ি মনোভাব লক্ষ্য করা গেছে। প্রশাসনের অভ্যন্তরে সমন্বয়ের অভাব ও সিদ্ধান্তহীনতা স্পষ্ট হয়েছে। দলীয় প্রভাবমুক্ত প্রশাসনের প্রতিশ্রুতি থাকলেও বাস্তবে একদলীয়করণ থেকে আরেক দলীয়করণের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, যা প্রশাসনের স্থিতিশীলতা ও কার্যকারিতা ব্যাহত করছে।
গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া পক্ষগুলোর নিজস্ব এজেন্ডা সামনে আসায় রাষ্ট্র সংস্কারের পথ আরও জটিল হয়ে উঠেছে বলে টিআইবির পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে। বড় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মৌলিক সংস্কার নিয়ে মতভেদও স্পষ্ট।