গণ-অভ্যুত্থানের পর গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) ‘কিংস পার্টি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান।
আজ সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবির কার্যালয়ে ‘কর্তৃত্ববাদী সরকার পতন-পরবর্তী এক বছর: প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করলে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘এটা গোপন করার কিছুই নেই। এটি জাতীয় নাগরিক পার্টি, তার সম্পর্কে বলা হয়েছে যে কিংস পার্টি। কারণ, এর সঙ্গে সহযোদ্ধা বা সহযাত্রী হিসেবে যাঁরা আছেন, তাঁদের মধ্যে দুজন সরকারে এখন আছেন। সে হিসেবে কিংস পার্টি।’
টিআইবির গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় রাজনৈতিক দল বা কিংস পার্টি গঠন করা হয়েছে।
গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী রাজনৈতিক ধারা প্রসঙ্গে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ৫ আগস্টের পরবর্তী রাজনৈতিক যাত্রা অশুভ ছিল। ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, ‘ওই দিন বিকেল থেকেই বিদ্যমান রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের একাংশ দলবাজি, চাঁদাবাজি, মামলা–বাণিজ্য শুরু করে এবং গত এক বছর ধরে তা আরও বেড়েছে। এমনকি দলের উচ্চপর্যায় থেকে ব্যবস্থা নিয়েও তা নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। এর ফলে নতুন রাজনৈতিক দলগুলোও তাদের জন্মলগ্ন থেকে একই রোল মডেল অনুসরণ করেছে। দখলবাজি, চাঁদাবাজির মধ্যে নিজেদের নিমজ্জিত করে আত্মঘাতী পথে অগ্রসর হয়েছে।’
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের আগস্ট থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ১১ মাসে দেশে ৪৭১টি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনায় মোট ১২১ জন নিহত এবং ৫ হাজার ১৮৯ জন আহত হয়েছেন। এসব সহিংসতার মধ্যে ৯২ শতাংশে বিএনপি, ২২ শতাংশে আওয়ামী লীগ, ৫ শতাংশে জামায়াত এবং ১ শতাংশে জাতীয় নাগরিক পার্টি জড়িত ছিল বলে গবেষণায় উল্লেখ করা হয়।
টিআইবির পর্যবেক্ষণে আরও বলা হয়েছে, সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগের দখলে থাকা ঢাকা শহরের ৫৩টি পরিবহন টার্মিনাল ও স্ট্যান্ড থেকে প্রতিদিন ২ কোটি ২১ লাখ টাকা চাঁদাবাজি হয়েছে। সিলেটের কোয়ারি ও নদ-নদী থেকে পাথর লুটপাট, সেতু, বাজার, ঘাট, বালুমহাল ও জলমহালের ইজারা নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার ঘটনাও উঠে এসেছে। সেই সঙ্গে করা হয়েছে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রাজনৈতিক মামলা।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ‘মব’ তৈরি, সড়ক অবরোধ, থানা ঘেরাও ও বিক্ষোভের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানো হয়েছে।
সোমবার, ০৪ আগস্ট ২০২৫
গণ-অভ্যুত্থানের পর গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) ‘কিংস পার্টি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান।
আজ সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবির কার্যালয়ে ‘কর্তৃত্ববাদী সরকার পতন-পরবর্তী এক বছর: প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করলে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘এটা গোপন করার কিছুই নেই। এটি জাতীয় নাগরিক পার্টি, তার সম্পর্কে বলা হয়েছে যে কিংস পার্টি। কারণ, এর সঙ্গে সহযোদ্ধা বা সহযাত্রী হিসেবে যাঁরা আছেন, তাঁদের মধ্যে দুজন সরকারে এখন আছেন। সে হিসেবে কিংস পার্টি।’
টিআইবির গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় রাজনৈতিক দল বা কিংস পার্টি গঠন করা হয়েছে।
গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী রাজনৈতিক ধারা প্রসঙ্গে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ৫ আগস্টের পরবর্তী রাজনৈতিক যাত্রা অশুভ ছিল। ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, ‘ওই দিন বিকেল থেকেই বিদ্যমান রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের একাংশ দলবাজি, চাঁদাবাজি, মামলা–বাণিজ্য শুরু করে এবং গত এক বছর ধরে তা আরও বেড়েছে। এমনকি দলের উচ্চপর্যায় থেকে ব্যবস্থা নিয়েও তা নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। এর ফলে নতুন রাজনৈতিক দলগুলোও তাদের জন্মলগ্ন থেকে একই রোল মডেল অনুসরণ করেছে। দখলবাজি, চাঁদাবাজির মধ্যে নিজেদের নিমজ্জিত করে আত্মঘাতী পথে অগ্রসর হয়েছে।’
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের আগস্ট থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ১১ মাসে দেশে ৪৭১টি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনায় মোট ১২১ জন নিহত এবং ৫ হাজার ১৮৯ জন আহত হয়েছেন। এসব সহিংসতার মধ্যে ৯২ শতাংশে বিএনপি, ২২ শতাংশে আওয়ামী লীগ, ৫ শতাংশে জামায়াত এবং ১ শতাংশে জাতীয় নাগরিক পার্টি জড়িত ছিল বলে গবেষণায় উল্লেখ করা হয়।
টিআইবির পর্যবেক্ষণে আরও বলা হয়েছে, সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগের দখলে থাকা ঢাকা শহরের ৫৩টি পরিবহন টার্মিনাল ও স্ট্যান্ড থেকে প্রতিদিন ২ কোটি ২১ লাখ টাকা চাঁদাবাজি হয়েছে। সিলেটের কোয়ারি ও নদ-নদী থেকে পাথর লুটপাট, সেতু, বাজার, ঘাট, বালুমহাল ও জলমহালের ইজারা নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার ঘটনাও উঠে এসেছে। সেই সঙ্গে করা হয়েছে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রাজনৈতিক মামলা।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ‘মব’ তৈরি, সড়ক অবরোধ, থানা ঘেরাও ও বিক্ষোভের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানো হয়েছে।