জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়েছে। তাঁর অনুপস্থিতিতে গতকাল রোববার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন ও সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে এ বিচার শুরু হয়।
এ নিয়ে গতকাল নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যান। তিনি বহু বছর ধরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) বিচার কার্যক্রম ও বাংলাদেশ নিয়ে লিখে আসছেন।
পোস্টে ডেভিড বার্গম্যান লিখেছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বাংলাদেশে আজ (রোববার) সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাঁর বিচারের প্রথম দিন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে তাঁর কিছু উদ্বেগ রয়েছে:
এক. আসামিপক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত এক আইনজীবী, দুই মক্কেল
ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনার পক্ষে যে আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছেন, তিনি কেবল সাবেক প্রধানমন্ত্রীরই নন, তাঁর সঙ্গে অভিযুক্ত সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানেরও আইনজীবী। আসাদুজ্জামান খানও পলাতক। এটি বড় ধরনের সম্ভাব্য স্বার্থের সংঘাতের সমস্যা তৈরি করে, যা তাঁদের প্রত্যেকের যথাযথ আইনি সুরক্ষাপ্রাপ্তিতে বাধা। কারণ, বিচারে এই দুই অভিযুক্ত ব্যক্তির স্পষ্টতই একেবারে ভিন্ন স্বার্থ থাকতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কিছু নির্দিষ্ট কাজের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ওপর দায় চাপাতে পারেন অথবা এর উল্টোটাও হতে পারে।
প্রত্যেক পলাতক আসামির পক্ষে অবশ্যই আলাদা একজন আইনজীবী থাকা উচিত। সিদ্ধান্তটি ট্রাইব্যুনালকেই নিতে হবে।
দুই. আত্মপক্ষ সমর্থনে প্রস্তুতির সময়
দুই অভিযুক্ত ব্যক্তির রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী ২৫ জুন ২০২৫ তারিখে, অর্থাৎ বিচার শুরুর পাঁচ সপ্তাহ আগে প্রসিকিউশনের সরবরাহ করা সব সাক্ষ্যপ্রমাণ পেয়েছেন। ডেভিড বার্গম্যানের মতে, (এই সময়ের মধ্যে) কোনো আইনজীবীর পক্ষে উভয় মক্কেলের জন্য যথাযথ আত্মপক্ষ সমর্থনের কৌশল তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় গবেষণা ও অন্যান্য কাজ সম্পন্ন করা অসম্ভব। বিশেষ করে যখন আইনজীবী তাঁর মক্কেলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না।
আরও আশ্চর্যজনক বিষয় হলো, শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী তাঁর আত্মপক্ষ সমর্থনের প্রস্তুতির জন্য ট্রাইব্যুনালের কাছে আরও সময় চেয়ে আবেদনও করেননি। যখন বার্গম্যান আইনজীবীকে জিজ্ঞাসা করেন, কেন তিনি আজ শুনানি মুলতবির আবেদন করেননি? তখন তিনি বলেন, ‘যখন প্রয়োজন হবে, তখনই তিনি মুলতবির আবেদন করবেন এবং তিনি আজ প্রথম সাক্ষীকে জেরা করার জন্য প্রস্তুত ছিলেন।’
বার্গম্যান মনে করেন, হাসিনার যদি নিজস্ব আইনজীবী উপস্থিত থাকতেন, তাহলে তাঁরা নিশ্চয়ই শুনানি মুলতবির আবেদন করতেন। আর বাস্তবতা হলো, বর্তমান রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী এই আবেদন করেননি, যা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার যুদ্ধাপরাধ মামলায় (যেখানে তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার রায় হয়েছিল এবং যেটি শেখ হাসিনার সরকারের আমলে সিদ্ধান্ত হয়েছিল) ২০১৩ সালের আপিল বিভাগের একটি রায় ব্যবহার করে প্রসিকিউটররা আসামিপক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবীকে প্রথম সাক্ষীকে জেরা করা থেকে বিরত রাখেন। এই জেরা ছিল পূর্বে তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে যা বলেছিলেন এবং আজ আদালতে যা বলেছেন, দুই বক্তব্যের মধ্যে বৈপরীত্য নিয়ে। এ ধরনের জেরা বাংলাদেশের সাধারণ ফৌজদারি আদালতগুলোয় একটি প্রচলিত প্রথা।
ডেভিড বার্গম্যান লিখেছেন, এটি এক ধরনের পরিহাস, এমনকি এর চেয়েও শক্তিশালী কোনো শব্দ দিয়েও একে ব্যাখ্যা করা যায়!—প্রসিকিউশন আইনজীবীরা যা করেছেন, সেটি খুবই চোখে পড়ার মতো। এক দশক আগে ১৯৭১ সালের যুদ্ধ নিয়ে অনুষ্ঠিত আগের বিচারগুলোতে, যেখানে মূলত জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের বিচার হয়েছিল, তৎকালীন প্রসিকিউটররাও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের দুটি সাক্ষ্যের মধ্যে থাকা বৈপরীত্য তুলে ধরা থেকে বিরত রাখতে চেয়েছিলেন।
তখন জামায়াতের আইনজীবীরা, যাঁদের মধ্যে তাজুল ইসলাম ও অন্য অনেকে এখন প্রসিকিউটর দলের অংশ, তাঁরা প্রসিকিউশনের বিরুদ্ধে জোরালো যুক্তি দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, এটি খুবই অন্যায়, কারণ এটি তাঁদের সাক্ষীর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করছে।
যখন কাদের মোল্লার মামলায় বিষয়টি আপিল বিভাগে ওঠে, তখন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা তাঁর রায়ে প্রসিকিউশনের পক্ষ নিয়ে বলেছিলেন, আইসিটি আইন ও বিধিতে এ সুযোগ নেই।
ডেভিড বার্গম্যান লিখেছেন, এখন আমরা এমন একটি পরিস্থিতি দেখছি, যেখানে বর্তমানে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম সেই একই আপিল বিভাগের রায় ব্যবহার করছেন, যে রায়ের ফলে তিনি একসময় যাঁদের পক্ষে আইনি লড়াই করেছিলেন তাঁদের একজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছিল। সেই একই নিয়ম তিনি এখন প্রয়োগ করতে চাইছেন, যা তিনি অতীতে আসামিপক্ষের আইনজীবীদের জন্য অত্যন্ত অন্যায্য বলে মনে করেছিলেন। আর ট্রাইব্যুনাল বিচারকেরা তা মেনে নিয়েছেন।
যখন বার্গম্যান তাজুল ইসলামকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন, তখন তিনি বলেন, ‘আইন পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত এটি আপিল বিভাগের নির্দেশনা।’
জেরার শেষে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান আসামিপক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবীকে ‘একটি ভালো জেরা’ করার জন্য অভিনন্দন জানান, যা বার্গম্যানের মতে ছিল অদ্ভুত। কারণ, আসামিপক্ষের আইনজীবীর জেরা করার ক্ষমতা যখন উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো হয়েছে, তখন তিনি কীভাবে এমন মন্তব্য করতে পারেন, তা পরিষ্কার নয়।
ডেভিড বার্গম্যানের মতে, যদি ট্রাইব্যুনাল আপিল বিভাগের সেসব রায় অনুসরণ করতে থাকেন, যা এখন সাধারণত অত্যন্ত বিতর্কিত ও অন্যায্য বলে বিবেচিত, তাহলে সরকারের উচিত আইন পরিবর্তন করা। যাতে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে সাক্ষীরা যা বলেছিলেন ও আদালতে যা বলেছেন, দুটোর মধ্যে বৈপরীত্যের ভিত্তিতে তাঁদের জেরা করার সুযোগ পান।
সোমবার, ০৪ আগস্ট ২০২৫
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়েছে। তাঁর অনুপস্থিতিতে গতকাল রোববার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন ও সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে এ বিচার শুরু হয়।
এ নিয়ে গতকাল নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যান। তিনি বহু বছর ধরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) বিচার কার্যক্রম ও বাংলাদেশ নিয়ে লিখে আসছেন।
পোস্টে ডেভিড বার্গম্যান লিখেছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বাংলাদেশে আজ (রোববার) সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাঁর বিচারের প্রথম দিন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে তাঁর কিছু উদ্বেগ রয়েছে:
এক. আসামিপক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত এক আইনজীবী, দুই মক্কেল
ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনার পক্ষে যে আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছেন, তিনি কেবল সাবেক প্রধানমন্ত্রীরই নন, তাঁর সঙ্গে অভিযুক্ত সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানেরও আইনজীবী। আসাদুজ্জামান খানও পলাতক। এটি বড় ধরনের সম্ভাব্য স্বার্থের সংঘাতের সমস্যা তৈরি করে, যা তাঁদের প্রত্যেকের যথাযথ আইনি সুরক্ষাপ্রাপ্তিতে বাধা। কারণ, বিচারে এই দুই অভিযুক্ত ব্যক্তির স্পষ্টতই একেবারে ভিন্ন স্বার্থ থাকতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কিছু নির্দিষ্ট কাজের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ওপর দায় চাপাতে পারেন অথবা এর উল্টোটাও হতে পারে।
প্রত্যেক পলাতক আসামির পক্ষে অবশ্যই আলাদা একজন আইনজীবী থাকা উচিত। সিদ্ধান্তটি ট্রাইব্যুনালকেই নিতে হবে।
দুই. আত্মপক্ষ সমর্থনে প্রস্তুতির সময়
দুই অভিযুক্ত ব্যক্তির রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী ২৫ জুন ২০২৫ তারিখে, অর্থাৎ বিচার শুরুর পাঁচ সপ্তাহ আগে প্রসিকিউশনের সরবরাহ করা সব সাক্ষ্যপ্রমাণ পেয়েছেন। ডেভিড বার্গম্যানের মতে, (এই সময়ের মধ্যে) কোনো আইনজীবীর পক্ষে উভয় মক্কেলের জন্য যথাযথ আত্মপক্ষ সমর্থনের কৌশল তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় গবেষণা ও অন্যান্য কাজ সম্পন্ন করা অসম্ভব। বিশেষ করে যখন আইনজীবী তাঁর মক্কেলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না।
আরও আশ্চর্যজনক বিষয় হলো, শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী তাঁর আত্মপক্ষ সমর্থনের প্রস্তুতির জন্য ট্রাইব্যুনালের কাছে আরও সময় চেয়ে আবেদনও করেননি। যখন বার্গম্যান আইনজীবীকে জিজ্ঞাসা করেন, কেন তিনি আজ শুনানি মুলতবির আবেদন করেননি? তখন তিনি বলেন, ‘যখন প্রয়োজন হবে, তখনই তিনি মুলতবির আবেদন করবেন এবং তিনি আজ প্রথম সাক্ষীকে জেরা করার জন্য প্রস্তুত ছিলেন।’
বার্গম্যান মনে করেন, হাসিনার যদি নিজস্ব আইনজীবী উপস্থিত থাকতেন, তাহলে তাঁরা নিশ্চয়ই শুনানি মুলতবির আবেদন করতেন। আর বাস্তবতা হলো, বর্তমান রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী এই আবেদন করেননি, যা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার যুদ্ধাপরাধ মামলায় (যেখানে তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার রায় হয়েছিল এবং যেটি শেখ হাসিনার সরকারের আমলে সিদ্ধান্ত হয়েছিল) ২০১৩ সালের আপিল বিভাগের একটি রায় ব্যবহার করে প্রসিকিউটররা আসামিপক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবীকে প্রথম সাক্ষীকে জেরা করা থেকে বিরত রাখেন। এই জেরা ছিল পূর্বে তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে যা বলেছিলেন এবং আজ আদালতে যা বলেছেন, দুই বক্তব্যের মধ্যে বৈপরীত্য নিয়ে। এ ধরনের জেরা বাংলাদেশের সাধারণ ফৌজদারি আদালতগুলোয় একটি প্রচলিত প্রথা।
ডেভিড বার্গম্যান লিখেছেন, এটি এক ধরনের পরিহাস, এমনকি এর চেয়েও শক্তিশালী কোনো শব্দ দিয়েও একে ব্যাখ্যা করা যায়!—প্রসিকিউশন আইনজীবীরা যা করেছেন, সেটি খুবই চোখে পড়ার মতো। এক দশক আগে ১৯৭১ সালের যুদ্ধ নিয়ে অনুষ্ঠিত আগের বিচারগুলোতে, যেখানে মূলত জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের বিচার হয়েছিল, তৎকালীন প্রসিকিউটররাও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের দুটি সাক্ষ্যের মধ্যে থাকা বৈপরীত্য তুলে ধরা থেকে বিরত রাখতে চেয়েছিলেন।
তখন জামায়াতের আইনজীবীরা, যাঁদের মধ্যে তাজুল ইসলাম ও অন্য অনেকে এখন প্রসিকিউটর দলের অংশ, তাঁরা প্রসিকিউশনের বিরুদ্ধে জোরালো যুক্তি দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, এটি খুবই অন্যায়, কারণ এটি তাঁদের সাক্ষীর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করছে।
যখন কাদের মোল্লার মামলায় বিষয়টি আপিল বিভাগে ওঠে, তখন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা তাঁর রায়ে প্রসিকিউশনের পক্ষ নিয়ে বলেছিলেন, আইসিটি আইন ও বিধিতে এ সুযোগ নেই।
ডেভিড বার্গম্যান লিখেছেন, এখন আমরা এমন একটি পরিস্থিতি দেখছি, যেখানে বর্তমানে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম সেই একই আপিল বিভাগের রায় ব্যবহার করছেন, যে রায়ের ফলে তিনি একসময় যাঁদের পক্ষে আইনি লড়াই করেছিলেন তাঁদের একজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছিল। সেই একই নিয়ম তিনি এখন প্রয়োগ করতে চাইছেন, যা তিনি অতীতে আসামিপক্ষের আইনজীবীদের জন্য অত্যন্ত অন্যায্য বলে মনে করেছিলেন। আর ট্রাইব্যুনাল বিচারকেরা তা মেনে নিয়েছেন।
যখন বার্গম্যান তাজুল ইসলামকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন, তখন তিনি বলেন, ‘আইন পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত এটি আপিল বিভাগের নির্দেশনা।’
জেরার শেষে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান আসামিপক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবীকে ‘একটি ভালো জেরা’ করার জন্য অভিনন্দন জানান, যা বার্গম্যানের মতে ছিল অদ্ভুত। কারণ, আসামিপক্ষের আইনজীবীর জেরা করার ক্ষমতা যখন উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো হয়েছে, তখন তিনি কীভাবে এমন মন্তব্য করতে পারেন, তা পরিষ্কার নয়।
ডেভিড বার্গম্যানের মতে, যদি ট্রাইব্যুনাল আপিল বিভাগের সেসব রায় অনুসরণ করতে থাকেন, যা এখন সাধারণত অত্যন্ত বিতর্কিত ও অন্যায্য বলে বিবেচিত, তাহলে সরকারের উচিত আইন পরিবর্তন করা। যাতে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে সাক্ষীরা যা বলেছিলেন ও আদালতে যা বলেছেন, দুটোর মধ্যে বৈপরীত্যের ভিত্তিতে তাঁদের জেরা করার সুযোগ পান।