পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, ফাইল ছবি
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে ভারতকে চিঠি দিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে এ বিষয়ে দিল্লি থেকে ইতিবাচক উত্তর আসেনি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। সোমবার বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের একথা জানান তিনি।
শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত আনার সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘এ বিষয়ে নতুন কোনো তথ্য নেই। বিচারের সম্মুখীন করতে ভারতের কাছে শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়েছে বাংলাদেশ। তবে ভারত থেকে ইতিবাচক কোনো উত্তর আসেনি। বাংলাদেশ এ বিষয়ে অপেক্ষা করছে।’ তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে শেখ হাসিনার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কেউ আসুক আর না আসুক, তার জন্য তো বিচার আটকে থাকে না।’
এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা চাওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘সরকার প্রয়োজন মনে করলে সহযোগিতা নিতে পারে। তবে এ মুহূর্তে কোনো প্রয়োজন দেখছি না।’
ভারতের ‘পুশইন’ নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান সম্পর্কে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘পুশইন নিয়ে কোনো নীতি নেই। ভারতে কোনো বাংলাদেশি অবৈধভাবে বসবাস করলে তাকে তারা (ভারত) আটক করতে পারে। বিষয়টি আমাদের জানাবে, বাংলাদেশ তার নাগরিকত্ব নিশ্চিত করবে এবং এরপর তারা ফেরত পাঠাবে। পুশইন হচ্ছে এ ব্যবস্থার একটি ব্যত্যয়। এ নিয়ে আমরা আপত্তি জানিয়েছি।’
সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল—‘পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক কেমন হবে, সেটা এক সময় ভারতের মনোভাবের ওপর নির্ভর ছিল। এখন কি সেটা কাজ করে?’—উত্তরে তৌহিদ হোসেন বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক কেমন হবে, সেটা আমরা ডিসাইড করবো না, একইভাবে আমরা চাই, বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক কেমন হবে, সেটা ভারত নিশ্চয়ই ডিসাইড (ঠিক) করবে না।
পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আসন্ন ঢাকা সফরকালে কী কী আলোচনা হবে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের ইস্যু আছে, স্বার্থের প্রশ্ন আছে, ব্যবসা-বাণিজ্য আছে, তার সবকিছুই টেবিলে থাকবে। কোনটা কতটুকু এগুতে পারবো, সেটা আপনারা জানতে পারবেন মিটিং শেষ হওয়ার পর।
তিনি বলেন, আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক চাই। এটা আউট অব দ্যা ওয়ে বড় কোনো কিছু না, আবার ডেলিবারেটলি (ইচ্ছাকৃতভাবে) তাদের সঙ্গে আমরা সম্পর্ক ভালো রাখবো না, এরকম একটা সিদ্ধান্ত আগে ছিল, সেটা থেকেও বের হয়ে আসতে চাই। অন্যান্য আরও ১০টা দেশের সঙ্গে আমাদের যে সম্পর্ক আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে সেটা চাই। তেমনই আমরা চেষ্টা করছি।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরে ১৯৭১ সালের গণহত্যার ক্ষমা ও দেনা-পাওনার বিষয়টি থাকবে কি না জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, প্রতিটি ইস্যুই টেবিলে থাকবে, তবে যেটা ৫০ বছরে পারা যায়নি, সেটা যে আমরা চট করে পারবো, এমন কোনো কথা নেই। আমরা এটা প্রাগমেটিক ওয়েতে এগিয়ে যাবো। একটা ইস্যু যেন আরেকটা ইস্যুতে আটকে না থাকে।
পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার আগামী ২৩ আগস্ট দুই দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন। ২০১২ সালের পর পাকিস্তানের কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এটিই প্রথম বাংলাদেশ সফর হতে চলেছে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, ফাইল ছবি
সোমবার, ০৪ আগস্ট ২০২৫
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে ভারতকে চিঠি দিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে এ বিষয়ে দিল্লি থেকে ইতিবাচক উত্তর আসেনি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। সোমবার বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের একথা জানান তিনি।
শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত আনার সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘এ বিষয়ে নতুন কোনো তথ্য নেই। বিচারের সম্মুখীন করতে ভারতের কাছে শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়েছে বাংলাদেশ। তবে ভারত থেকে ইতিবাচক কোনো উত্তর আসেনি। বাংলাদেশ এ বিষয়ে অপেক্ষা করছে।’ তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে শেখ হাসিনার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কেউ আসুক আর না আসুক, তার জন্য তো বিচার আটকে থাকে না।’
এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা চাওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘সরকার প্রয়োজন মনে করলে সহযোগিতা নিতে পারে। তবে এ মুহূর্তে কোনো প্রয়োজন দেখছি না।’
ভারতের ‘পুশইন’ নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান সম্পর্কে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘পুশইন নিয়ে কোনো নীতি নেই। ভারতে কোনো বাংলাদেশি অবৈধভাবে বসবাস করলে তাকে তারা (ভারত) আটক করতে পারে। বিষয়টি আমাদের জানাবে, বাংলাদেশ তার নাগরিকত্ব নিশ্চিত করবে এবং এরপর তারা ফেরত পাঠাবে। পুশইন হচ্ছে এ ব্যবস্থার একটি ব্যত্যয়। এ নিয়ে আমরা আপত্তি জানিয়েছি।’
সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল—‘পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক কেমন হবে, সেটা এক সময় ভারতের মনোভাবের ওপর নির্ভর ছিল। এখন কি সেটা কাজ করে?’—উত্তরে তৌহিদ হোসেন বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক কেমন হবে, সেটা আমরা ডিসাইড করবো না, একইভাবে আমরা চাই, বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক কেমন হবে, সেটা ভারত নিশ্চয়ই ডিসাইড (ঠিক) করবে না।
পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আসন্ন ঢাকা সফরকালে কী কী আলোচনা হবে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের ইস্যু আছে, স্বার্থের প্রশ্ন আছে, ব্যবসা-বাণিজ্য আছে, তার সবকিছুই টেবিলে থাকবে। কোনটা কতটুকু এগুতে পারবো, সেটা আপনারা জানতে পারবেন মিটিং শেষ হওয়ার পর।
তিনি বলেন, আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক চাই। এটা আউট অব দ্যা ওয়ে বড় কোনো কিছু না, আবার ডেলিবারেটলি (ইচ্ছাকৃতভাবে) তাদের সঙ্গে আমরা সম্পর্ক ভালো রাখবো না, এরকম একটা সিদ্ধান্ত আগে ছিল, সেটা থেকেও বের হয়ে আসতে চাই। অন্যান্য আরও ১০টা দেশের সঙ্গে আমাদের যে সম্পর্ক আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে সেটা চাই। তেমনই আমরা চেষ্টা করছি।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরে ১৯৭১ সালের গণহত্যার ক্ষমা ও দেনা-পাওনার বিষয়টি থাকবে কি না জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, প্রতিটি ইস্যুই টেবিলে থাকবে, তবে যেটা ৫০ বছরে পারা যায়নি, সেটা যে আমরা চট করে পারবো, এমন কোনো কথা নেই। আমরা এটা প্রাগমেটিক ওয়েতে এগিয়ে যাবো। একটা ইস্যু যেন আরেকটা ইস্যুতে আটকে না থাকে।
পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার আগামী ২৩ আগস্ট দুই দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন। ২০১২ সালের পর পাকিস্তানের কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এটিই প্রথম বাংলাদেশ সফর হতে চলেছে।