সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে বিএনপির অবস্থান তুলে ধরেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি জানিয়েছেন, তার দল যেকোনো সময়ে ‘জুলাই সনদ’-এ স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত রয়েছে। তিনি আরও জানান, রাষ্ট্র সংস্কারে জতীয় ঐকমত্য কমিশনের জুলাই সনদের খসড়া হাতে পাওয়ার পর কিছু সংশোধনসহ জবাব দিয়েছে বিএনপি। ওই সনদের খসড়ায় তারা (ঐকমত্য কমিশন) যে অঙ্গীকারনামা দিয়েছে তা নিয়ে বিভ্রান্তির কোনো ‘সুযোগ নেই’ বলেও উল্লেখ করেন সালাহউদ্দিন। সনদ বাস্তবায়নে বিএনপি সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেছে এবং ভবিষ্যতেও করবে বলে জানান তিনি।
সোমবার,(৪ আগস্ট ২০২৫) গুলশানে নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এইসব কথা জানান। জুলাই ঘোষণাপত্র উপস্থাপনের আগের দিন সালাহউদ্দিন জানিয়েছেন, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠের অনুষ্ঠানে বিএনপি এখনও পর্যন্ত কোনো আমন্ত্রণ পায়নি।
ঐকমত্য কমিশনের সংস্কার প্রস্তাব প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন আহমদ জানান, সংস্কার কমিশনের উত্থাপিত ১৯টি মৌলিক বিষয়ের মধ্যে ১২টিতে বিএনপি একমত হয়েছে এবং ৭টিতে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘যে সমস্ত বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলোতে বিএনপি স্বাক্ষর করবে।’
সংস্কার নিয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় ৩০টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের সংলাপের শেষ দিকে এসে দলগুলোর দিক থেকে প্রশ্ন তোলা হয় জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে। কোন প্রক্রিয়ায় বা কীসের ভিত্তিতে সনদ বাস্তবায়ন হবে তা নিয়ে
নানা মত দেয় রাজনৈতিক দলগুলো। এ বিষয়ে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘রাষ্ট্র সংস্কারে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দেয়া প্রস্তাব বাস্তবায়নে তারা অঙ্গীকারাবদ্ধ। পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে দুই বছরের মধ্যে এসব সংস্কার বাস্তবায়নের প্রস্তাবেও বিএনপি একমত হয়েছে।’ তবে সালাহউদ্দিন প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘জুলাই সনদে অঙ্গীকার কি সনদে স্বাক্ষরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে নাকি এটা বাস্তবায়নের জন্য অন্য ধাপে আলোচনা হবে?’
জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়েও কথা বলেন সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, ‘জুলাই ঘোষণাপত্রের ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিক মূল্য আছে। ঘোষণাপত্রের যে প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল তা ফেব্রুয়ারিতেই জবাব দিয়েছে বিএনপি। প্রস্তাবে গত ২৬ মার্চকে উপস্থাপন করা হয়নি। যার সঙ্গে বিএনপি দ্বিমত পোষণ করেছে। বিএনপি মনে করে, এর রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতি চতুর্থ তফসিলের মাধ্যমে দেয়া উচিত।’ বিএনপির প্রস্তাবিত সংশোধনীগুলো মেনে না নেয়া হলে, ঘোষণাপত্র পাঠের পর দল তাদের পরবর্তী প্রতিক্রিয়া জানাবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে বিএনপি সহযোগিতা করছে না বলে যারা প্রশ্ন তুলছেন এবং বলছেন, তাদের বক্তব্যের জবাবে সালাহউদ্দিন আহমদ জোর দিয়ে বলেন, ‘বিএনপি চায় সবকিছু আইনানুগ ও সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমেই হোক।’ যে কোনো অযৌক্তিক প্রস্তাব নির্বাচন বিলম্বিত করার কৌশল বলে মনে করে বিএনপি।
তিনি বিএনপির অতীতে দেয়া সংস্কার প্রস্তাবের কথা তুলে ধরে বলেন, ‘বিএনপির ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা জাতির কাছে আমাদের অনেক আগেই প্রতিশ্রুতি দেয়া। সেই জায়গায় আমাদের উদ্দেশ্য বা আমাদের নিয়ত নিয়ে কেউ যেন কোনো প্রশ্ন না করে। যে সমস্ত বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে সেটা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলক এবং রাজনৈতিক হীনমন্যতার প্রকাশ বলে আমরা মনে করি।’ ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য বজায় রাখার জন্য তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানান।
সোমবার, ০৪ আগস্ট ২০২৫
সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে বিএনপির অবস্থান তুলে ধরেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি জানিয়েছেন, তার দল যেকোনো সময়ে ‘জুলাই সনদ’-এ স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত রয়েছে। তিনি আরও জানান, রাষ্ট্র সংস্কারে জতীয় ঐকমত্য কমিশনের জুলাই সনদের খসড়া হাতে পাওয়ার পর কিছু সংশোধনসহ জবাব দিয়েছে বিএনপি। ওই সনদের খসড়ায় তারা (ঐকমত্য কমিশন) যে অঙ্গীকারনামা দিয়েছে তা নিয়ে বিভ্রান্তির কোনো ‘সুযোগ নেই’ বলেও উল্লেখ করেন সালাহউদ্দিন। সনদ বাস্তবায়নে বিএনপি সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেছে এবং ভবিষ্যতেও করবে বলে জানান তিনি।
সোমবার,(৪ আগস্ট ২০২৫) গুলশানে নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এইসব কথা জানান। জুলাই ঘোষণাপত্র উপস্থাপনের আগের দিন সালাহউদ্দিন জানিয়েছেন, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠের অনুষ্ঠানে বিএনপি এখনও পর্যন্ত কোনো আমন্ত্রণ পায়নি।
ঐকমত্য কমিশনের সংস্কার প্রস্তাব প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন আহমদ জানান, সংস্কার কমিশনের উত্থাপিত ১৯টি মৌলিক বিষয়ের মধ্যে ১২টিতে বিএনপি একমত হয়েছে এবং ৭টিতে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘যে সমস্ত বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলোতে বিএনপি স্বাক্ষর করবে।’
সংস্কার নিয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় ৩০টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের সংলাপের শেষ দিকে এসে দলগুলোর দিক থেকে প্রশ্ন তোলা হয় জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে। কোন প্রক্রিয়ায় বা কীসের ভিত্তিতে সনদ বাস্তবায়ন হবে তা নিয়ে
নানা মত দেয় রাজনৈতিক দলগুলো। এ বিষয়ে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘রাষ্ট্র সংস্কারে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দেয়া প্রস্তাব বাস্তবায়নে তারা অঙ্গীকারাবদ্ধ। পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে দুই বছরের মধ্যে এসব সংস্কার বাস্তবায়নের প্রস্তাবেও বিএনপি একমত হয়েছে।’ তবে সালাহউদ্দিন প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘জুলাই সনদে অঙ্গীকার কি সনদে স্বাক্ষরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে নাকি এটা বাস্তবায়নের জন্য অন্য ধাপে আলোচনা হবে?’
জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়েও কথা বলেন সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, ‘জুলাই ঘোষণাপত্রের ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিক মূল্য আছে। ঘোষণাপত্রের যে প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল তা ফেব্রুয়ারিতেই জবাব দিয়েছে বিএনপি। প্রস্তাবে গত ২৬ মার্চকে উপস্থাপন করা হয়নি। যার সঙ্গে বিএনপি দ্বিমত পোষণ করেছে। বিএনপি মনে করে, এর রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতি চতুর্থ তফসিলের মাধ্যমে দেয়া উচিত।’ বিএনপির প্রস্তাবিত সংশোধনীগুলো মেনে না নেয়া হলে, ঘোষণাপত্র পাঠের পর দল তাদের পরবর্তী প্রতিক্রিয়া জানাবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে বিএনপি সহযোগিতা করছে না বলে যারা প্রশ্ন তুলছেন এবং বলছেন, তাদের বক্তব্যের জবাবে সালাহউদ্দিন আহমদ জোর দিয়ে বলেন, ‘বিএনপি চায় সবকিছু আইনানুগ ও সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমেই হোক।’ যে কোনো অযৌক্তিক প্রস্তাব নির্বাচন বিলম্বিত করার কৌশল বলে মনে করে বিএনপি।
তিনি বিএনপির অতীতে দেয়া সংস্কার প্রস্তাবের কথা তুলে ধরে বলেন, ‘বিএনপির ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা জাতির কাছে আমাদের অনেক আগেই প্রতিশ্রুতি দেয়া। সেই জায়গায় আমাদের উদ্দেশ্য বা আমাদের নিয়ত নিয়ে কেউ যেন কোনো প্রশ্ন না করে। যে সমস্ত বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে সেটা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলক এবং রাজনৈতিক হীনমন্যতার প্রকাশ বলে আমরা মনে করি।’ ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য বজায় রাখার জন্য তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানান।