সোমবার ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়’ শিরোনামে যুবদলের সমাবেশে শহীদ পরিবারের সদস্যদের হাতে আর্থিক অনুদান তুলে দেন মির্জা ফখরুল ইসলাম -সংবাদ
জনগণের জীবনমান উন্নয়নে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চায় বিএনপি। এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নে জনগণের সমর্থন প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন বিএনপি নেতারা। দেশে গণতন্ত্রের উত্তরণকে বাধাগ্রস্ত করতে ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত চলছে বলেও মন্তব্য করেন তারা। নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলেও অভিযোগ তাদের।
১৭ বছরের আন্দোলনে ত্যাগীদের স্বীকৃতি দেবে বিএনপি:
তারেক রহমান
গণতন্ত্রের উত্তরণ ঠেকাতে ষড়যন্ত্র চলছে: মির্জা ফখরুল
ভোট এই সরকারের কাছ থেকে আমরা আদায় করেই ছাড়বো: মির্জা আব্বাস
সোমবার,(৪ আগস্ট ২০২৫) বিকেলে রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণে এক সমাবেশে এসব কথা বলেন বিএনপি নেতারা। ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়’ শিরোনামে জাতীয়তাবাদী যুবদল এই সমাবেশের আয়োজন করে।
সমাবেশে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, ‘বিএনপি শুধু জুলাই গণঅভ্যুত্থান নয়, গত ১৭ বছরের আন্দোলনে সব ত্যাগীকে স্বীকৃতি দেবে।’ তারেক বলেন, ‘জনগণের জীবনমান উন্নয়নে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চায় বিএনপি। এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নে জনগণের সমর্থন প্রয়োজন। শুধু প্রতিশ্রুতি নয়, এই প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন দেখতে চায় জনগণ।’
ক্ষমতায় গেলে সারাদেশে হেলথ কেয়ার ব্যবস্থা চালু করা, দেশের ভেতরে ও বাইরে কর্মসংস্থানের পরিবেশ তৈরি করা এবং পরিবেশ রক্ষায় আগামী ৫ বছরে ২৫ থেকে ৩০ কোটি গাছ লাগানোর প্রতিশ্রুতি দেন বিএনপির এই শীর্ষ নেতা। প্রশাসনিক সহায়তায় নেতৃত্ব পাওয়া যায়, তবে জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারলে নেতা হওয়া সম্ভব বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
‘দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র চলছে, যাতে দেশ গণতন্ত্রের পথে ফিরে যেতে না পারে’ এমন অভিযোগ করে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা একটা দুঃসময় পার হয়ে এসেছি। দীর্ঘ সময় পার হয়ে একটা যুগসন্ধিক্ষণে এসেছি, যখন আমরা গণতন্ত্রের দিকে এগিয়ে যাওয়ার একটা স্বপ্ন দেখছি, সুযোগ পেয়েছি। তখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে আমাদের সামনে দেখা দিয়েছে একটা ধ্বংসপ্রাপ্ত অর্থনীতি ও ধ্বংসপ্রাপ্ত রাজনৈতিক কাঠামো। অথচ এটাকে ভিত্তি করেই আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।’ বিএনপিকেই বারবার এমন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যখনই দেশ ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়, যখনই অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যায়, তখনই বিএনপির কাঁধে দায়িত্ব এসে যায় এটাকে পুনর্গঠনের জন্য।’
বিএনপি মহাসচিব দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে ‘ড্রিম’ আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘আমরা আশা করছি, আমাদের নেতা তারেক রহমান সাহেব আমাদেরকে পথ দেখাচ্ছেন;
অর্থনীতি সম্পর্কে, রাজনীতি সম্পর্কে যে কথাগুলো বলছেন; তাতে তিনি দেশের সামনে স্বপ্ন তুলে ধরছেন। সেই স্বপ্ন শুনে আমার মার্টিন লুথার কিং এর একটি কথাই মনে হয় সেই ঐতিহাসিক কথা ‘আই হেভ এ ড্রিম’। তারেক রহমান হেস এ ‘ড্রিম’। ইনশাল্লাহ সেই ড্রিম নিয়ে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবো এবং আমরা জয় করবো। উই শেল ওভার কাম ইনশাল্লাহ।’
গণতন্ত্র উত্তরণের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র চলছে উল্লেখ করে সবাইকে সর্তক থাকার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘আজকে একটা ষড়যন্ত্র চলছে, একটা চক্রান্ত চলছে। দেশে আবার একটা অস্থিরতা সৃষ্টি করা যেন বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ট্রানজিশন সঠিক মত না হয়।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র হচ্ছে দাবি করে বলেন, ‘একটি কথা শুনলাম, মাজেদ নাকি সাজেদ নামে একজন মেজর দেশে বসে চক্রান্ত করছে সরকারকে বিপদে ফেলতে। কিংবা দেশে একটা ঘটনা ঘটাবে। এই সমস্ত চক্রান্ত কিন্তু আমরা বুঝি। এসব বানানো নাটক শুরু করেছে যাতে নির্বাচনটা পেছানো যায়, যাতে নির্বাচনটা না হয়।’
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘কিন্তু একটা কথা মনে রাখবেন, দেশের মানুষ ১৭ বছর আন্দোলন করেছে ভোটের জন্যে। এই ভোট এই সরকারের কাছ থেকে আমরা আদায় করেই ছাড়বো। সরকারের পেছনে সরকারের ভিতরে বাইরে যতই ষড়যন্ত্র চলুক কোনো ষড়যন্ত্রকেই বিএনপি অপ্রতিরুদ্ধ মনে করে না।’ প্রয়োজনে আরও ১৭ বছর আন্দোলন করতে হলেও কোনো অরাজক পরিস্থিতি কিংবা কোনো স্বৈরশাসককে প্রতিষ্ঠিত হতে দেয়া হবে না বলে সতর্ক বার্তা দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত যুবদলের ৭৮টি শহীদ পরিবারের সদস্যদের সম্মাননা ও আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হয়। এছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকেও সম্মাননা দেওয়া হয়। যুবদলের সভাপতি এম আবদুল মোনায়েম মুন্নার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সোমবার ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়’ শিরোনামে যুবদলের সমাবেশে শহীদ পরিবারের সদস্যদের হাতে আর্থিক অনুদান তুলে দেন মির্জা ফখরুল ইসলাম -সংবাদ
সোমবার, ০৪ আগস্ট ২০২৫
জনগণের জীবনমান উন্নয়নে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চায় বিএনপি। এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নে জনগণের সমর্থন প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন বিএনপি নেতারা। দেশে গণতন্ত্রের উত্তরণকে বাধাগ্রস্ত করতে ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত চলছে বলেও মন্তব্য করেন তারা। নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলেও অভিযোগ তাদের।
১৭ বছরের আন্দোলনে ত্যাগীদের স্বীকৃতি দেবে বিএনপি:
তারেক রহমান
গণতন্ত্রের উত্তরণ ঠেকাতে ষড়যন্ত্র চলছে: মির্জা ফখরুল
ভোট এই সরকারের কাছ থেকে আমরা আদায় করেই ছাড়বো: মির্জা আব্বাস
সোমবার,(৪ আগস্ট ২০২৫) বিকেলে রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণে এক সমাবেশে এসব কথা বলেন বিএনপি নেতারা। ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়’ শিরোনামে জাতীয়তাবাদী যুবদল এই সমাবেশের আয়োজন করে।
সমাবেশে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, ‘বিএনপি শুধু জুলাই গণঅভ্যুত্থান নয়, গত ১৭ বছরের আন্দোলনে সব ত্যাগীকে স্বীকৃতি দেবে।’ তারেক বলেন, ‘জনগণের জীবনমান উন্নয়নে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চায় বিএনপি। এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নে জনগণের সমর্থন প্রয়োজন। শুধু প্রতিশ্রুতি নয়, এই প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন দেখতে চায় জনগণ।’
ক্ষমতায় গেলে সারাদেশে হেলথ কেয়ার ব্যবস্থা চালু করা, দেশের ভেতরে ও বাইরে কর্মসংস্থানের পরিবেশ তৈরি করা এবং পরিবেশ রক্ষায় আগামী ৫ বছরে ২৫ থেকে ৩০ কোটি গাছ লাগানোর প্রতিশ্রুতি দেন বিএনপির এই শীর্ষ নেতা। প্রশাসনিক সহায়তায় নেতৃত্ব পাওয়া যায়, তবে জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারলে নেতা হওয়া সম্ভব বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
‘দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র চলছে, যাতে দেশ গণতন্ত্রের পথে ফিরে যেতে না পারে’ এমন অভিযোগ করে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা একটা দুঃসময় পার হয়ে এসেছি। দীর্ঘ সময় পার হয়ে একটা যুগসন্ধিক্ষণে এসেছি, যখন আমরা গণতন্ত্রের দিকে এগিয়ে যাওয়ার একটা স্বপ্ন দেখছি, সুযোগ পেয়েছি। তখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে আমাদের সামনে দেখা দিয়েছে একটা ধ্বংসপ্রাপ্ত অর্থনীতি ও ধ্বংসপ্রাপ্ত রাজনৈতিক কাঠামো। অথচ এটাকে ভিত্তি করেই আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।’ বিএনপিকেই বারবার এমন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যখনই দেশ ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়, যখনই অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যায়, তখনই বিএনপির কাঁধে দায়িত্ব এসে যায় এটাকে পুনর্গঠনের জন্য।’
বিএনপি মহাসচিব দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে ‘ড্রিম’ আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘আমরা আশা করছি, আমাদের নেতা তারেক রহমান সাহেব আমাদেরকে পথ দেখাচ্ছেন;
অর্থনীতি সম্পর্কে, রাজনীতি সম্পর্কে যে কথাগুলো বলছেন; তাতে তিনি দেশের সামনে স্বপ্ন তুলে ধরছেন। সেই স্বপ্ন শুনে আমার মার্টিন লুথার কিং এর একটি কথাই মনে হয় সেই ঐতিহাসিক কথা ‘আই হেভ এ ড্রিম’। তারেক রহমান হেস এ ‘ড্রিম’। ইনশাল্লাহ সেই ড্রিম নিয়ে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবো এবং আমরা জয় করবো। উই শেল ওভার কাম ইনশাল্লাহ।’
গণতন্ত্র উত্তরণের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র চলছে উল্লেখ করে সবাইকে সর্তক থাকার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘আজকে একটা ষড়যন্ত্র চলছে, একটা চক্রান্ত চলছে। দেশে আবার একটা অস্থিরতা সৃষ্টি করা যেন বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ট্রানজিশন সঠিক মত না হয়।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র হচ্ছে দাবি করে বলেন, ‘একটি কথা শুনলাম, মাজেদ নাকি সাজেদ নামে একজন মেজর দেশে বসে চক্রান্ত করছে সরকারকে বিপদে ফেলতে। কিংবা দেশে একটা ঘটনা ঘটাবে। এই সমস্ত চক্রান্ত কিন্তু আমরা বুঝি। এসব বানানো নাটক শুরু করেছে যাতে নির্বাচনটা পেছানো যায়, যাতে নির্বাচনটা না হয়।’
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘কিন্তু একটা কথা মনে রাখবেন, দেশের মানুষ ১৭ বছর আন্দোলন করেছে ভোটের জন্যে। এই ভোট এই সরকারের কাছ থেকে আমরা আদায় করেই ছাড়বো। সরকারের পেছনে সরকারের ভিতরে বাইরে যতই ষড়যন্ত্র চলুক কোনো ষড়যন্ত্রকেই বিএনপি অপ্রতিরুদ্ধ মনে করে না।’ প্রয়োজনে আরও ১৭ বছর আন্দোলন করতে হলেও কোনো অরাজক পরিস্থিতি কিংবা কোনো স্বৈরশাসককে প্রতিষ্ঠিত হতে দেয়া হবে না বলে সতর্ক বার্তা দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত যুবদলের ৭৮টি শহীদ পরিবারের সদস্যদের সম্মাননা ও আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হয়। এছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকেও সম্মাননা দেওয়া হয়। যুবদলের সভাপতি এম আবদুল মোনায়েম মুন্নার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।