কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে পল্লী চিকিৎসকের কাছে জ্বরের চিকিৎসা নিতে গিয়ে নুরজাহান নামে এক শিশুর সারা শরীরের চামড়া পুড়ে কালো হয়ে গেছে। সুস্থ স্বাভাবিক মেয়ের এমন অস্বাভাবিক চেহারা দেখে আতংকিত ও বাকরুদ্ধ হয়ে পরেছেন অভিভাবকরা। এদিকে ফোসকা পরা শরীরে প্রচণ্ড যন্ত্রণা নিয়ে বিছানায় কাতরাচ্ছে শিশু নুরজাহান।
পল্লী চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসার বলি শিশু নুরজাহান
মেয়ের এমন অস্বাভাবিক চেহারা দেখে বাকরুদ্ধ স্বজনরা
কোনো ভুল চিকিৎসা দেননি: চিকিৎসক
যন্ত্রনাকাতর শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ১ আগস্ট রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
যদিও পল্লী চিকিৎসক আলমগীর হোসেনের দাবি, তিনি রোগীকে জ্বরের ওষুধ দিয়েছেন মাত্র। কোনো ভুল চিকিৎসা দেননি।
জানা গেছে, উপজেলার ভারতীয় সীমান্তবর্তী প্রত্যন্ত কেদার ইউনিয়নের টেপরকুটি গ্রামের ইউনুছ আলীর মেয়ে জ্বরে আক্রান্ত হয়। তাকে চিকিৎসার জন্য পাশর্^বর্তী বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের সবেদার মোড় এলাকায় অবস্থিত পল্লী চিকিৎসক আলমগীর হোসেনের নিজস্ব আল মদিনা ফার্মেসির চেম্বারে নিয়ে যান। সেখানে নুরজাহানকে দেখে পল্লী চিকিৎসক আলমগীর হোসেন তিন ধরনের ওষুধ দেন। পরে বাড়িতে এসে ওষুধ সেবনের দু’দিনের মধ্যে নুরজাহানের শরীরের চামড়ায় ছোট ছোট ফোসকা পড়তে থাকে। এরপরই সেগুলো জ্বলতে জ্বলতে চামড়া কালো যায়। দ্রুত আলমগীর হোসেনের সঙ্গে পরামর্শ নিতে যোগাযোগ করা হলে, তিনি চিকিৎসা দিতে টালবাহানা করেন। পরে শরীরের চামড়া উঠে গিয়ে ক্ষতের সৃষ্টি হলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বিষয়টি নিয়ে নুরজাহানের বাবা ইউনুছ আলী জানান, ‘মেয়ের এ অবস্থা দেখে আমরা আতংকিত হয়ে পরি। যেভাবে শরীরের চামড়া পুড়ে যাচ্ছিল তাতে মেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা শঙ্কিত। জানি না মেয়ের জন্য কী পরিণতি অপেক্ষা করছে।’
এ নিয়ে পল্লী চিকিৎসক আলমগীর হোসেন জানান, তিনি ভুল চিকিৎসা দেননি। শুধুমাত্র জ্বরের ওষুধ দিয়েছেন। ওষুধের পাশর্^প্রতিক্রিয়া বিষয়ে তিনি মন্তব্য করেননি। তবে আলমগীর হোসেন দাবি করেন, তিনি সরকারি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত একজন মেডিসিন প্রাকটিশনার। প্রেসকিপশনে তিনি নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দেন। তবে তার ফার্মেসি লাইসেন্সপ্রাপ্ত নয় বলে স্বীকার করেন। এ ব্যাপারে কুড়িগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. স্বপন কুমার রায় বলেন, ওষুধের পাশর্^প্রতিক্রিয়া নির্ণয়ের জন্য প্রতিটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মেডিকেল টিম রয়েছে। তারা প্রতিবেদন দিলে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সোমবার, ০৪ আগস্ট ২০২৫
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে পল্লী চিকিৎসকের কাছে জ্বরের চিকিৎসা নিতে গিয়ে নুরজাহান নামে এক শিশুর সারা শরীরের চামড়া পুড়ে কালো হয়ে গেছে। সুস্থ স্বাভাবিক মেয়ের এমন অস্বাভাবিক চেহারা দেখে আতংকিত ও বাকরুদ্ধ হয়ে পরেছেন অভিভাবকরা। এদিকে ফোসকা পরা শরীরে প্রচণ্ড যন্ত্রণা নিয়ে বিছানায় কাতরাচ্ছে শিশু নুরজাহান।
পল্লী চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসার বলি শিশু নুরজাহান
মেয়ের এমন অস্বাভাবিক চেহারা দেখে বাকরুদ্ধ স্বজনরা
কোনো ভুল চিকিৎসা দেননি: চিকিৎসক
যন্ত্রনাকাতর শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ১ আগস্ট রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
যদিও পল্লী চিকিৎসক আলমগীর হোসেনের দাবি, তিনি রোগীকে জ্বরের ওষুধ দিয়েছেন মাত্র। কোনো ভুল চিকিৎসা দেননি।
জানা গেছে, উপজেলার ভারতীয় সীমান্তবর্তী প্রত্যন্ত কেদার ইউনিয়নের টেপরকুটি গ্রামের ইউনুছ আলীর মেয়ে জ্বরে আক্রান্ত হয়। তাকে চিকিৎসার জন্য পাশর্^বর্তী বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের সবেদার মোড় এলাকায় অবস্থিত পল্লী চিকিৎসক আলমগীর হোসেনের নিজস্ব আল মদিনা ফার্মেসির চেম্বারে নিয়ে যান। সেখানে নুরজাহানকে দেখে পল্লী চিকিৎসক আলমগীর হোসেন তিন ধরনের ওষুধ দেন। পরে বাড়িতে এসে ওষুধ সেবনের দু’দিনের মধ্যে নুরজাহানের শরীরের চামড়ায় ছোট ছোট ফোসকা পড়তে থাকে। এরপরই সেগুলো জ্বলতে জ্বলতে চামড়া কালো যায়। দ্রুত আলমগীর হোসেনের সঙ্গে পরামর্শ নিতে যোগাযোগ করা হলে, তিনি চিকিৎসা দিতে টালবাহানা করেন। পরে শরীরের চামড়া উঠে গিয়ে ক্ষতের সৃষ্টি হলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বিষয়টি নিয়ে নুরজাহানের বাবা ইউনুছ আলী জানান, ‘মেয়ের এ অবস্থা দেখে আমরা আতংকিত হয়ে পরি। যেভাবে শরীরের চামড়া পুড়ে যাচ্ছিল তাতে মেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা শঙ্কিত। জানি না মেয়ের জন্য কী পরিণতি অপেক্ষা করছে।’
এ নিয়ে পল্লী চিকিৎসক আলমগীর হোসেন জানান, তিনি ভুল চিকিৎসা দেননি। শুধুমাত্র জ্বরের ওষুধ দিয়েছেন। ওষুধের পাশর্^প্রতিক্রিয়া বিষয়ে তিনি মন্তব্য করেননি। তবে আলমগীর হোসেন দাবি করেন, তিনি সরকারি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত একজন মেডিসিন প্রাকটিশনার। প্রেসকিপশনে তিনি নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দেন। তবে তার ফার্মেসি লাইসেন্সপ্রাপ্ত নয় বলে স্বীকার করেন। এ ব্যাপারে কুড়িগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. স্বপন কুমার রায় বলেন, ওষুধের পাশর্^প্রতিক্রিয়া নির্ণয়ের জন্য প্রতিটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মেডিকেল টিম রয়েছে। তারা প্রতিবেদন দিলে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।