জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে শুরু হয়েছে ‘৩৬ জুলাই উদ্যাপন’ শীর্ষক দিনব্যাপী অনুষ্ঠান। মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে অনুষ্ঠান শুরু হয়। রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ এসে এতে যোগ দিচ্ছেন।
সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে আয়োজিত এই আয়োজনে ঐতিহাসিক জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করা হবে। বিকেল ৫টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ঘোষণাপত্র পাঠ করবেন। বাংলাদেশ টেলিভিশন অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করবে।
অনুষ্ঠান শুরুর আগে উপস্থিত লোকজন বিভিন্ন স্লোগানে মুখরিত করেন স্থানটি। তাঁরা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দ্রুত বিচার ও বর্তমান সংবিধান বাতিলের দাবি জানান।
অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী নওশীন নওয়ার বলেন, “এক বছর আগে আমাদের ভাই-বোনের রক্তের বিনিময়ে বিজয় এসেছিল। স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পালাতে বাধ্য হয়েছিলেন। আজকে আমরা যেভাবে কথা বলতে পারছি, সেটা হাসিনা থাকলে সম্ভব হতো না। তাই এই দিনটি আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।”
রাজধানীর সদরঘাট থেকে অনুষ্ঠান দেখতে আসা মুহাম্মদ ইউসূফ বলেন, “গত বছরের ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালিয়ে যান। আজ সেই ঘটনার এক বছর পূর্ণ হলো। শহীদ আবু সাঈদ, মুগ্ধসহ যাঁরা জীবন দিয়েছেন, তাঁদের হত্যার বিচার এখনো হয়নি। আমি চাই, অপরাধীদের দ্রুত বিচার হোক।”
র্যাবের মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান দুপুর সাড়ে ১১টার দিকে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, বর্ষপূর্তি উপলক্ষে হওয়া অনুষ্ঠানগুলোর প্রতিটি যেন সফলভাবে শেষ হয়, সে জন্য র্যাব সব সময় সহযোগিতা করে আসছে। আজকের অনুষ্ঠানও সুন্দরভাবে শেষ হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। তাঁর মতে, কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই, তবে র্যাব সর্বোচ্চ প্রস্তুত রয়েছে। প্রয়োজনে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার সক্ষমতা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শিল্পীগোষ্ঠী গান পরিবেশন করছে। বেলা ২টা ২৫ মিনিটে উদ্যাপন করা হবে ফ্যাসিস্টের পলায়নের ক্ষণ। এরপর বিভিন্ন ব্যান্ড পরিবেশন করবে সংগীত। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত চলবে ড্রোন ড্রামা। অনুষ্ঠানের শেষ অংশে আর্টসেল ব্যান্ড পরিবেশন করবে সংগীত।
অনুষ্ঠান ব্যবস্থাপনায় রয়েছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, সহযোগিতায় বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়।
মঙ্গলবার, ০৫ আগস্ট ২০২৫
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে শুরু হয়েছে ‘৩৬ জুলাই উদ্যাপন’ শীর্ষক দিনব্যাপী অনুষ্ঠান। মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে অনুষ্ঠান শুরু হয়। রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ এসে এতে যোগ দিচ্ছেন।
সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে আয়োজিত এই আয়োজনে ঐতিহাসিক জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করা হবে। বিকেল ৫টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ঘোষণাপত্র পাঠ করবেন। বাংলাদেশ টেলিভিশন অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করবে।
অনুষ্ঠান শুরুর আগে উপস্থিত লোকজন বিভিন্ন স্লোগানে মুখরিত করেন স্থানটি। তাঁরা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দ্রুত বিচার ও বর্তমান সংবিধান বাতিলের দাবি জানান।
অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী নওশীন নওয়ার বলেন, “এক বছর আগে আমাদের ভাই-বোনের রক্তের বিনিময়ে বিজয় এসেছিল। স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পালাতে বাধ্য হয়েছিলেন। আজকে আমরা যেভাবে কথা বলতে পারছি, সেটা হাসিনা থাকলে সম্ভব হতো না। তাই এই দিনটি আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।”
রাজধানীর সদরঘাট থেকে অনুষ্ঠান দেখতে আসা মুহাম্মদ ইউসূফ বলেন, “গত বছরের ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালিয়ে যান। আজ সেই ঘটনার এক বছর পূর্ণ হলো। শহীদ আবু সাঈদ, মুগ্ধসহ যাঁরা জীবন দিয়েছেন, তাঁদের হত্যার বিচার এখনো হয়নি। আমি চাই, অপরাধীদের দ্রুত বিচার হোক।”
র্যাবের মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান দুপুর সাড়ে ১১টার দিকে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, বর্ষপূর্তি উপলক্ষে হওয়া অনুষ্ঠানগুলোর প্রতিটি যেন সফলভাবে শেষ হয়, সে জন্য র্যাব সব সময় সহযোগিতা করে আসছে। আজকের অনুষ্ঠানও সুন্দরভাবে শেষ হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। তাঁর মতে, কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই, তবে র্যাব সর্বোচ্চ প্রস্তুত রয়েছে। প্রয়োজনে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার সক্ষমতা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শিল্পীগোষ্ঠী গান পরিবেশন করছে। বেলা ২টা ২৫ মিনিটে উদ্যাপন করা হবে ফ্যাসিস্টের পলায়নের ক্ষণ। এরপর বিভিন্ন ব্যান্ড পরিবেশন করবে সংগীত। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত চলবে ড্রোন ড্রামা। অনুষ্ঠানের শেষ অংশে আর্টসেল ব্যান্ড পরিবেশন করবে সংগীত।
অনুষ্ঠান ব্যবস্থাপনায় রয়েছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, সহযোগিতায় বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়।