বৈঠকের গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়ে এনসিপি নেতারা বললেন তারা ‘ঘুরতে এসেছেন’
সারজিস আলম - হাসনাত আবদুল্লাহ - তাসনিম জারা - নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী - খালেদ সাইফুল্লাহ
জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির দিনে ঢাকায় যখন রাষ্ট্রীয় উদ্যাপন চলছে তখন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পাঁচ শীর্ষ নেতা কক্সবাজারে বেড়াতে এসেছেন। তাদের কক্সবাজারে দেখে স্থানীয়দের মধ্যে নানা রকম গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। তারা একটি হোটেলে সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন এমন খবর বিভিন্ন মহলে ছড়িয়ে পড়ে।
তবে বৈঠকের বিষয়টি ‘অপপ্রচার’ দাবি করে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ বলেছেন, তারা কক্সবাজারে ‘বেড়াতে’ এসেছেন।
বেড়াতে আসা এনসিপির নেতারা হলেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা। সঙ্গে তাসনিম জারার স্বামী খালেদ সাইফুল্লাহও রয়েছেন। তিনি এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক।
কক্সবাজার বিমানবন্দর সূত্র জানায়, মঙ্গলবার,(০৫ আগস্ট ২০২৫) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা থেকে বিমান বাংলাদেশের একটি ফ্লাইটে তারা কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছান। তারা ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহার না করে সাধারণ যাত্রীদের গেইট দিয়ে বেরিয়ে যান।
বিমানবন্দর থেকে তারা সরাসরি শহর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে ইনানির ৫ তারকামানের বিলাসবহুল হোটেল ‘সী পার্ল বীচ রিসোর্টে’ গিয়ে ওঠেন।
এই নেতারা কক্সবাজারে গিয়ে সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন এমন খবর জানাজানি হলে স্থানীয় বিএনপি কর্মীরা তাদের আবাসস্থল সি প্যালেস হোটেলের সামনে ভিড় করেন। তারা একপর্যায়ে বিক্ষোভ করেন। তাদের কক্সবাজার উপস্থিতি জেনে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরাও হোটেলের সামনে চলে আসেন। তারা দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে এনসিপি নেতাদের খোঁজ-খবর নিতে চেষ্টা করেন।
দুপুরের দিকে একটি হোটেলে তারা সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক করছেন বলে কক্সবাজারে খবর ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু হোটেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, পিটার হাস সে হোটেলে ওঠেননি।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে খালেদ সাইফুল্লাহ স্থানীয়
সাংবাদিকদের বলেন, ‘পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক করার বিষয়টি সম্পূর্ণ ভুয়া খবর। আমরা এখানে পিটার হাস কিংবা অন্য কারও সঙ্গে কোনো মিটিং করিনি। এমনকি পিটার হাসের সঙ্গে আমাদের দেখাও হয়নি। আমরা কয়েকজন এখানে ঘুরতে এসেছি।’
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এনসিপির পাঁচ নেতার হঠাৎ কক্সবাজার আগমনের বিষয়টি প্রশাসন কিংবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবগত করা হয়নি। কক্সবাজারের রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে যে, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক করতে কক্সবাজারে গিয়েছেন এই পাঁচ নেতা।
এনসিপির শীর্ষ পাঁচ নেতার ‘আকস্মিক আগমন’ নিয়ে প্রশাসন কিংবা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোনো তথ্য জানে না বলে জানিয়েছে একাধিক সূত্র।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যারীন তাসনিম তাসিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এনসিপির পাঁচ নেতা ইনানির সী পার্ল বীচ রিসোর্টে অবস্থান করছেন। তবে তাদের সফরের উদ্দেশ সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।
কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান বর্ষপূর্তির বিশেষ দিবস দিনে হঠাৎ করে এনসিপির শীর্ষ পাঁচ নেতার কক্সবাজার আগমন এবং শহর থেকে ১৫-২০ কিলোমিটার দূরের পাঁচ তারকা হোটেলে অবস্থানের ঘটনা সন্দেহের সৃষ্টি করেছে। মানুষের মধ্যে নানা কৌতূহলের জন্ম দিচ্ছে। বিশেষ করে তাদের সঙ্গে পিটার হাসের বৈঠকের কথা শুনে লোকজনের মধ্যে সন্দেহ আরও বাড়ছে। তবে পিটার হাসের উপস্থিতির বিষয় নিয়ে তিনি সন্দিহান। এ বিষয়ে তিনি খোঁজখবর নিচ্ছেন।
স্থানীয় বিএনপি নেতারা এই ‘কথিত’ বৈঠককে ‘দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি চরম অবমাননা’ এবং ‘দেশবিরোধী কর্মকাণ্ড’ হিসেবে আখ্যায়িত করে তীব্র নিন্দা জানান। বিএনপি নেতারা হুঁশিয়ারি দেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপ কোনোভাবেই মেনে নেয়া হবে না এবং এই ধরনের অপতৎপরতা প্রতিহত করা হবে।
পিটার হাস ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের ১৭তম রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের জুলাই পর্যন্ত তিনি রাষ্ট্রদূত ছিলেন। বর্তমানে তিনি তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) রপ্তানিতে যুক্ত মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জির কৌশলগত উপদেষ্টা হিসেবে কর্মরত।
এনসিপি নেতাদের কক্সবাজারের আসা এবং পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক করার খবর সম্পর্কে জানতে চাইলে হোটেল সী-পার্লের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা কামরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, পিটার হাস বা এ রকম কেউ তাদের হোটেলে আসেননি।
বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে এনসিপি নেতা নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, তারা ঘুরতে কক্সবাজার এসেছেন। পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়টি গুজব ও অপপ্রচার।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তির দিনে ঢাকায় নানা অনুষ্ঠান হচ্ছে। রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে ‘৩৬ জুলাই উদ্যাপন’ শীর্ষক অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে সকালে। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে ঐতিহাসিক জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করা হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বিকেল পাঁচটায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করবেন। এমন দিনে এনসিপির পাঁচ নেতার কক্সবাজারে যাওয়া নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। অনেকের মনেই প্রশ্ন তৈরি করেছে। এই সফরের মূল কারণ কী? তারা কি সত্যিই ব্যক্তিগত অবকাশ যাপনে এসেছেন, নাকি এর আড়ালে লুকিয়ে আছে কোনো গভীর রাজনৈতিক উদ্দেশ্য? এমন দাবি স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের।
এনসিপি নেতা নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমরা ব্যক্তিগত কাজে কক্সবাজারে এসেছি। আমাদের নিয়ে একটা মিডিয়া প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে। মিডিয়া ইনটেনশনালি এই কাজটা করতেছে।’
ঢাকায় যখন বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান চলছে, তখন তারা কেন কক্সবাজারে অবকাশ যাপন করছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দলের সব নেতাই ঢাকায় থাকবেন এমনটা জরুরি নয়।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে এ নিয়ে বিভিন্ন জন বিভিন্ন রকম মন্তব্য করছেন।
বৈঠকের গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়ে এনসিপি নেতারা বললেন তারা ‘ঘুরতে এসেছেন’
সারজিস আলম - হাসনাত আবদুল্লাহ - তাসনিম জারা - নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী - খালেদ সাইফুল্লাহ
মঙ্গলবার, ০৫ আগস্ট ২০২৫
জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির দিনে ঢাকায় যখন রাষ্ট্রীয় উদ্যাপন চলছে তখন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পাঁচ শীর্ষ নেতা কক্সবাজারে বেড়াতে এসেছেন। তাদের কক্সবাজারে দেখে স্থানীয়দের মধ্যে নানা রকম গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। তারা একটি হোটেলে সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন এমন খবর বিভিন্ন মহলে ছড়িয়ে পড়ে।
তবে বৈঠকের বিষয়টি ‘অপপ্রচার’ দাবি করে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ বলেছেন, তারা কক্সবাজারে ‘বেড়াতে’ এসেছেন।
বেড়াতে আসা এনসিপির নেতারা হলেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা। সঙ্গে তাসনিম জারার স্বামী খালেদ সাইফুল্লাহও রয়েছেন। তিনি এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক।
কক্সবাজার বিমানবন্দর সূত্র জানায়, মঙ্গলবার,(০৫ আগস্ট ২০২৫) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা থেকে বিমান বাংলাদেশের একটি ফ্লাইটে তারা কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছান। তারা ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহার না করে সাধারণ যাত্রীদের গেইট দিয়ে বেরিয়ে যান।
বিমানবন্দর থেকে তারা সরাসরি শহর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে ইনানির ৫ তারকামানের বিলাসবহুল হোটেল ‘সী পার্ল বীচ রিসোর্টে’ গিয়ে ওঠেন।
এই নেতারা কক্সবাজারে গিয়ে সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন এমন খবর জানাজানি হলে স্থানীয় বিএনপি কর্মীরা তাদের আবাসস্থল সি প্যালেস হোটেলের সামনে ভিড় করেন। তারা একপর্যায়ে বিক্ষোভ করেন। তাদের কক্সবাজার উপস্থিতি জেনে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরাও হোটেলের সামনে চলে আসেন। তারা দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে এনসিপি নেতাদের খোঁজ-খবর নিতে চেষ্টা করেন।
দুপুরের দিকে একটি হোটেলে তারা সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক করছেন বলে কক্সবাজারে খবর ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু হোটেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, পিটার হাস সে হোটেলে ওঠেননি।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে খালেদ সাইফুল্লাহ স্থানীয়
সাংবাদিকদের বলেন, ‘পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক করার বিষয়টি সম্পূর্ণ ভুয়া খবর। আমরা এখানে পিটার হাস কিংবা অন্য কারও সঙ্গে কোনো মিটিং করিনি। এমনকি পিটার হাসের সঙ্গে আমাদের দেখাও হয়নি। আমরা কয়েকজন এখানে ঘুরতে এসেছি।’
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এনসিপির পাঁচ নেতার হঠাৎ কক্সবাজার আগমনের বিষয়টি প্রশাসন কিংবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবগত করা হয়নি। কক্সবাজারের রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে যে, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক করতে কক্সবাজারে গিয়েছেন এই পাঁচ নেতা।
এনসিপির শীর্ষ পাঁচ নেতার ‘আকস্মিক আগমন’ নিয়ে প্রশাসন কিংবা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোনো তথ্য জানে না বলে জানিয়েছে একাধিক সূত্র।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যারীন তাসনিম তাসিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এনসিপির পাঁচ নেতা ইনানির সী পার্ল বীচ রিসোর্টে অবস্থান করছেন। তবে তাদের সফরের উদ্দেশ সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।
কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান বর্ষপূর্তির বিশেষ দিবস দিনে হঠাৎ করে এনসিপির শীর্ষ পাঁচ নেতার কক্সবাজার আগমন এবং শহর থেকে ১৫-২০ কিলোমিটার দূরের পাঁচ তারকা হোটেলে অবস্থানের ঘটনা সন্দেহের সৃষ্টি করেছে। মানুষের মধ্যে নানা কৌতূহলের জন্ম দিচ্ছে। বিশেষ করে তাদের সঙ্গে পিটার হাসের বৈঠকের কথা শুনে লোকজনের মধ্যে সন্দেহ আরও বাড়ছে। তবে পিটার হাসের উপস্থিতির বিষয় নিয়ে তিনি সন্দিহান। এ বিষয়ে তিনি খোঁজখবর নিচ্ছেন।
স্থানীয় বিএনপি নেতারা এই ‘কথিত’ বৈঠককে ‘দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি চরম অবমাননা’ এবং ‘দেশবিরোধী কর্মকাণ্ড’ হিসেবে আখ্যায়িত করে তীব্র নিন্দা জানান। বিএনপি নেতারা হুঁশিয়ারি দেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপ কোনোভাবেই মেনে নেয়া হবে না এবং এই ধরনের অপতৎপরতা প্রতিহত করা হবে।
পিটার হাস ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের ১৭তম রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের জুলাই পর্যন্ত তিনি রাষ্ট্রদূত ছিলেন। বর্তমানে তিনি তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) রপ্তানিতে যুক্ত মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জির কৌশলগত উপদেষ্টা হিসেবে কর্মরত।
এনসিপি নেতাদের কক্সবাজারের আসা এবং পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক করার খবর সম্পর্কে জানতে চাইলে হোটেল সী-পার্লের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা কামরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, পিটার হাস বা এ রকম কেউ তাদের হোটেলে আসেননি।
বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে এনসিপি নেতা নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, তারা ঘুরতে কক্সবাজার এসেছেন। পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়টি গুজব ও অপপ্রচার।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তির দিনে ঢাকায় নানা অনুষ্ঠান হচ্ছে। রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে ‘৩৬ জুলাই উদ্যাপন’ শীর্ষক অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে সকালে। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে ঐতিহাসিক জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করা হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বিকেল পাঁচটায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করবেন। এমন দিনে এনসিপির পাঁচ নেতার কক্সবাজারে যাওয়া নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। অনেকের মনেই প্রশ্ন তৈরি করেছে। এই সফরের মূল কারণ কী? তারা কি সত্যিই ব্যক্তিগত অবকাশ যাপনে এসেছেন, নাকি এর আড়ালে লুকিয়ে আছে কোনো গভীর রাজনৈতিক উদ্দেশ্য? এমন দাবি স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের।
এনসিপি নেতা নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমরা ব্যক্তিগত কাজে কক্সবাজারে এসেছি। আমাদের নিয়ে একটা মিডিয়া প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে। মিডিয়া ইনটেনশনালি এই কাজটা করতেছে।’
ঢাকায় যখন বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান চলছে, তখন তারা কেন কক্সবাজারে অবকাশ যাপন করছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দলের সব নেতাই ঢাকায় থাকবেন এমনটা জরুরি নয়।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে এ নিয়ে বিভিন্ন জন বিভিন্ন রকম মন্তব্য করছেন।