প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস কর্তৃক ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করার পর রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবার,(০৫ আগস্ট ২০২৫) বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় এই ঘোষণাপত্র পাঠ করা হয়। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এ বিষয়ে তাদের প্রাথমিক মতামত জানিয়েছে, যেখানে কেউ কেউ এটিকে স্বাগত জানালেও অন্যরা হতাশা ব্যক্ত করেছে।
এনসিপির সন্তোষ
নবগঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) জুলাই ঘোষণাপত্রকে স্বাগত জানিয়েছে। দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘জুলাই ঘোষণাপত্র হয়েছে এটাকে স্বাগত জানাই। ভালোভাবে পড়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হবে। এটা যে হয়েছে সেটাকে অভিনন্দন।’
জামায়াতে ইসলামীর হতাশা
তবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এই ঘোষণাপত্র নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছে। দলটির আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের তার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘আমি মনে করি, জুলাইয়ের যে আকাক্সক্ষা এই ঘোষণাপত্রে সেটার তেমন কোনো প্রতিফলন হয়নি। একটা পাশ কাটিয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা আমরা দেখেছি।’ তিনি ঘোষণাপত্র বাস্তবায়নের সময়সীমা স্পষ্ট না করায় এবং এটিকে সংবিধানের প্রস্তাবনায় অন্তর্ভুক্ত না করায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
তাহের বলেন, ‘উনারা যেটা বললেন, আগামী সরকার বাস্তবায়ন করবে। তাহলে বোঝা গেল, এই সরকার কিছু করবে না। অথচ দায়িত্ব হচ্ছে এই সরকারের। এভাবে এত গুরুত্বপূর্ণ একটা ইস্যুকে হালকাভাবে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার যে ঘোষণাপত্র দেখলাম তাতে আমরা হতাশ। এই জাতি হতাশ।’
বিএনপির পর্যবেক্ষণ
বিএনপি জানিয়েছে, তারা ঘোষণাপত্রটি ভালোভাবে পর্যালোচনা করে আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করবে। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘বিএনপি যা যা চায়নি, তারও কিছুটা প্রতিফলন হয়েছে।’ বিএনপির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমদ জানিয়েছেন, প্রধান উপদেষ্টার জাতির উদ্দেশে ভাষণের পর তারা দলের প্রতিক্রিয়া জানাবেন।
ঘোষণাপত্রের মূল বিষয়বস্তু
জুলাই ঘোষণাপত্রে জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। ঘোষণাপত্রে অভ্যুত্থানে সব শহীদকে ‘জাতীয় বীর’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয় এবং তাদের পরিবার ও আহতদের আইনি সুরক্ষা দেয়ার কথা বলা হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয় যে, পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে সংস্কারকৃত সংবিধানের তফসিলে এই ঘোষণাপত্রটি যুক্ত করা হবে।
মঙ্গলবার, ০৫ আগস্ট ২০২৫
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস কর্তৃক ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করার পর রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবার,(০৫ আগস্ট ২০২৫) বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় এই ঘোষণাপত্র পাঠ করা হয়। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এ বিষয়ে তাদের প্রাথমিক মতামত জানিয়েছে, যেখানে কেউ কেউ এটিকে স্বাগত জানালেও অন্যরা হতাশা ব্যক্ত করেছে।
এনসিপির সন্তোষ
নবগঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) জুলাই ঘোষণাপত্রকে স্বাগত জানিয়েছে। দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘জুলাই ঘোষণাপত্র হয়েছে এটাকে স্বাগত জানাই। ভালোভাবে পড়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হবে। এটা যে হয়েছে সেটাকে অভিনন্দন।’
জামায়াতে ইসলামীর হতাশা
তবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এই ঘোষণাপত্র নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছে। দলটির আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের তার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘আমি মনে করি, জুলাইয়ের যে আকাক্সক্ষা এই ঘোষণাপত্রে সেটার তেমন কোনো প্রতিফলন হয়নি। একটা পাশ কাটিয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা আমরা দেখেছি।’ তিনি ঘোষণাপত্র বাস্তবায়নের সময়সীমা স্পষ্ট না করায় এবং এটিকে সংবিধানের প্রস্তাবনায় অন্তর্ভুক্ত না করায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
তাহের বলেন, ‘উনারা যেটা বললেন, আগামী সরকার বাস্তবায়ন করবে। তাহলে বোঝা গেল, এই সরকার কিছু করবে না। অথচ দায়িত্ব হচ্ছে এই সরকারের। এভাবে এত গুরুত্বপূর্ণ একটা ইস্যুকে হালকাভাবে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার যে ঘোষণাপত্র দেখলাম তাতে আমরা হতাশ। এই জাতি হতাশ।’
বিএনপির পর্যবেক্ষণ
বিএনপি জানিয়েছে, তারা ঘোষণাপত্রটি ভালোভাবে পর্যালোচনা করে আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করবে। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘বিএনপি যা যা চায়নি, তারও কিছুটা প্রতিফলন হয়েছে।’ বিএনপির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমদ জানিয়েছেন, প্রধান উপদেষ্টার জাতির উদ্দেশে ভাষণের পর তারা দলের প্রতিক্রিয়া জানাবেন।
ঘোষণাপত্রের মূল বিষয়বস্তু
জুলাই ঘোষণাপত্রে জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। ঘোষণাপত্রে অভ্যুত্থানে সব শহীদকে ‘জাতীয় বীর’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয় এবং তাদের পরিবার ও আহতদের আইনি সুরক্ষা দেয়ার কথা বলা হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয় যে, পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে সংস্কারকৃত সংবিধানের তফসিলে এই ঘোষণাপত্রটি যুক্ত করা হবে।