আওয়ামী লীগ সরকারের সময় অনুষ্ঠিত ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী নির্বাহী হাকিমদের তথ্য সংগ্রহ করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই তিনটি নির্বাচনকে ‘জনগণের ভোট ছাড়া’ অনুষ্ঠিত বলে অভিযোগ করে বিএনপি যে মামলা দায়ের করেছে, তার তদন্তে থাকা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এ সংক্রান্ত তথ্য চেয়েছে।
বিষয়টি মাথায় রেখে ইসি সচিবালয় জেলার ডিসি এবং ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনারদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে। ইসির উপসচিব মনির হোসেন স্বাক্ষরিত ওই চিঠি বুধবার পাঠানো হয়। চিঠিতে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনে নিয়োজিত নির্বাহী হাকিমদের নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট নম্বর, মোবাইল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে।
সংসদ নির্বাচনে আচরণবিধি বাস্তবায়ন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দেড় হাজারের বেশি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও ইসির চাহিদা অনুযায়ী বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটও নিয়োজিত থাকেন।
পিবিআই ২৪ জুলাইয়ের মধ্যে এসব তথ্য চেয়েছে। এর আগে রিটার্নিং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসারদের তথ্যও চেয়েছিল তারা। ইসি সচিব আখতার আহমেদ জানিয়েছেন, তথ্য দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
বিএনপি গত ২২ জুন দায়ের করা মামলায় অভিযোগ করেছে, ২০১৪ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে অনুষ্ঠিত তিনটি সংসদ নির্বাচনে ইসি তার সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন না করে বরং ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে ভোট ছাড়াই নির্বাচন আয়োজন করেছে। ওই মামলায় সে সময় দায়িত্বে থাকা নির্বাচন কমিশনারদের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও আসামি করা হয়েছে।
২০১৪ সালের নির্বাচনে সিইসি ছিলেন কাজী রকিব উদ্দিন আহমদ, ২০১৮ সালে কে এম নূরুল হুদা এবং ২০২৪ সালে দায়িত্বে ছিলেন কাজী হাবিবুল আউয়াল। এর মধ্যে নূরুল হুদা ও হাবিবুল আউয়ালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর আওয়ামী লীগ সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে। এরপর ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীনেই অনুষ্ঠিত হয়।
২০১৪ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে বিএনপিসহ অধিকাংশ বিরোধী দল অংশ নেয়নি। ফলে ২০১৪ সালের নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ১৫৩টিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন। আর ২০২৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিজেদের শরিক ও বিদ্রোহীদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামে, যেটিকে ‘আমি আর ডামি’ নির্বাচন বলা হয়।
২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করে অংশ নিলেও ভোট আগের রাতে সিলমারা, কারচুপির অভিযোগে নির্বাচনটি ‘নীশিরাতের নির্বাচন’ হিসেবে পরিচিতি পায়।
এই তিন নির্বাচনের অনিয়ম তদন্তে অন্তর্বর্তী সরকার একটি কমিশন গঠন করেছে। কমিশনটি নির্বাচন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা বিশ্লেষণ করে দায় নির্ধারণ এবং ভবিষ্যতের জন্য সুপারিশ প্রস্তুত করবে।
বুধবার, ০৬ আগস্ট ২০২৫
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় অনুষ্ঠিত ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী নির্বাহী হাকিমদের তথ্য সংগ্রহ করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই তিনটি নির্বাচনকে ‘জনগণের ভোট ছাড়া’ অনুষ্ঠিত বলে অভিযোগ করে বিএনপি যে মামলা দায়ের করেছে, তার তদন্তে থাকা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এ সংক্রান্ত তথ্য চেয়েছে।
বিষয়টি মাথায় রেখে ইসি সচিবালয় জেলার ডিসি এবং ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনারদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে। ইসির উপসচিব মনির হোসেন স্বাক্ষরিত ওই চিঠি বুধবার পাঠানো হয়। চিঠিতে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনে নিয়োজিত নির্বাহী হাকিমদের নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট নম্বর, মোবাইল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে।
সংসদ নির্বাচনে আচরণবিধি বাস্তবায়ন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দেড় হাজারের বেশি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও ইসির চাহিদা অনুযায়ী বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটও নিয়োজিত থাকেন।
পিবিআই ২৪ জুলাইয়ের মধ্যে এসব তথ্য চেয়েছে। এর আগে রিটার্নিং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসারদের তথ্যও চেয়েছিল তারা। ইসি সচিব আখতার আহমেদ জানিয়েছেন, তথ্য দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
বিএনপি গত ২২ জুন দায়ের করা মামলায় অভিযোগ করেছে, ২০১৪ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে অনুষ্ঠিত তিনটি সংসদ নির্বাচনে ইসি তার সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন না করে বরং ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে ভোট ছাড়াই নির্বাচন আয়োজন করেছে। ওই মামলায় সে সময় দায়িত্বে থাকা নির্বাচন কমিশনারদের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও আসামি করা হয়েছে।
২০১৪ সালের নির্বাচনে সিইসি ছিলেন কাজী রকিব উদ্দিন আহমদ, ২০১৮ সালে কে এম নূরুল হুদা এবং ২০২৪ সালে দায়িত্বে ছিলেন কাজী হাবিবুল আউয়াল। এর মধ্যে নূরুল হুদা ও হাবিবুল আউয়ালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর আওয়ামী লীগ সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে। এরপর ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীনেই অনুষ্ঠিত হয়।
২০১৪ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে বিএনপিসহ অধিকাংশ বিরোধী দল অংশ নেয়নি। ফলে ২০১৪ সালের নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ১৫৩টিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন। আর ২০২৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিজেদের শরিক ও বিদ্রোহীদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামে, যেটিকে ‘আমি আর ডামি’ নির্বাচন বলা হয়।
২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করে অংশ নিলেও ভোট আগের রাতে সিলমারা, কারচুপির অভিযোগে নির্বাচনটি ‘নীশিরাতের নির্বাচন’ হিসেবে পরিচিতি পায়।
এই তিন নির্বাচনের অনিয়ম তদন্তে অন্তর্বর্তী সরকার একটি কমিশন গঠন করেছে। কমিশনটি নির্বাচন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা বিশ্লেষণ করে দায় নির্ধারণ এবং ভবিষ্যতের জন্য সুপারিশ প্রস্তুত করবে।