জুলাই অভ্যুত্থানে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ৩০ আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বুধবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল-২ এ আদেশ দেয়। একই বেঞ্চের অন্য দুই সদস্য ছিলেন বিচারপতি মো. মঞ্জুরুল বাছিদ এবং বিচারপতি নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।
এদিন কারাগারে থাকা ছয় আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তারা হলেন—সাবেক এসআই আমির হোসেন, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, ছাত্রলীগ কর্মী ইমরান চৌধুরী আকাশ, রাফিউল হাসান রাসেল ও আনোয়ার পারভেজ আপিল।
আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পড়ে শোনানো হয় এবং তাদের জবাব জানতে চাওয়া হয় তারা দোষী কি না। শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে তাদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে। বাকি ২৪ আসামিকে পলাতক দেখিয়ে বিচার কার্যক্রম চলবে।
পরবর্তী শুনানির জন্য ২৭ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন আদালত। ওইদিন প্রসিকিউশনের ওপেনিং স্টেটমেন্ট এবং সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে।
২০২৪ সালের ১৬ জুলাই রংপুরে পুলিশের গুলিতে আবু সাঈদ নিহত হন। ইংরেজি বিভাগের এই শিক্ষার্থী দুই হাত প্রসারিত করে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় গুলিবিদ্ধ হন। তার হত্যার ভিডিও গণমাধ্যমে প্রচার হলে দেশজুড়ে শুরু হয় তীব্র আন্দোলন। ১৭ জুলাই ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়লে ১৯ জুলাই সরকার কারফিউ জারি করেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। তিনি দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান।
পরে অন্তর্বর্তী সরকার এই হত্যাকাণ্ডকে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করে।
ট্রাইব্যুনালের তদন্তে ৩০ জনের সম্পৃক্ততা উঠে আসে। গত ৩০ জুন ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ আমলে নেয় এবং পলাতকদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। এরপর ১৩ জুলাই পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে পলাতকদের হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়। রাষ্ট্র তাদের পক্ষে চারজন আইনজীবী নিয়োগ দেয়, যারা শুনানিতে অংশ নেন।
বুধবার, ০৬ আগস্ট ২০২৫
জুলাই অভ্যুত্থানে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ৩০ আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বুধবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল-২ এ আদেশ দেয়। একই বেঞ্চের অন্য দুই সদস্য ছিলেন বিচারপতি মো. মঞ্জুরুল বাছিদ এবং বিচারপতি নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।
এদিন কারাগারে থাকা ছয় আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তারা হলেন—সাবেক এসআই আমির হোসেন, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, ছাত্রলীগ কর্মী ইমরান চৌধুরী আকাশ, রাফিউল হাসান রাসেল ও আনোয়ার পারভেজ আপিল।
আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পড়ে শোনানো হয় এবং তাদের জবাব জানতে চাওয়া হয় তারা দোষী কি না। শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে তাদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে। বাকি ২৪ আসামিকে পলাতক দেখিয়ে বিচার কার্যক্রম চলবে।
পরবর্তী শুনানির জন্য ২৭ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন আদালত। ওইদিন প্রসিকিউশনের ওপেনিং স্টেটমেন্ট এবং সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে।
২০২৪ সালের ১৬ জুলাই রংপুরে পুলিশের গুলিতে আবু সাঈদ নিহত হন। ইংরেজি বিভাগের এই শিক্ষার্থী দুই হাত প্রসারিত করে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় গুলিবিদ্ধ হন। তার হত্যার ভিডিও গণমাধ্যমে প্রচার হলে দেশজুড়ে শুরু হয় তীব্র আন্দোলন। ১৭ জুলাই ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়লে ১৯ জুলাই সরকার কারফিউ জারি করেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। তিনি দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান।
পরে অন্তর্বর্তী সরকার এই হত্যাকাণ্ডকে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করে।
ট্রাইব্যুনালের তদন্তে ৩০ জনের সম্পৃক্ততা উঠে আসে। গত ৩০ জুন ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ আমলে নেয় এবং পলাতকদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। এরপর ১৩ জুলাই পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে পলাতকদের হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়। রাষ্ট্র তাদের পক্ষে চারজন আইনজীবী নিয়োগ দেয়, যারা শুনানিতে অংশ নেন।