অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ এবং ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়সীমা নির্ধারণকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। এ ঘোষণাকে ‘ঐতিহাসিক’ আখ্যা দিয়ে দলটি মনে করছে, এর মাধ্যমে বাংলাদেশে রাজনৈতিক অচলাবস্থা কেটে গণতন্ত্রে উত্তরণের পথ সুগম হবে।
বুধবার,(৬ আগস্ট ২০২৫) পৃথক কর্মসূচিতে দলের শীর্ষ নেতারা এই প্রতিক্রিয়া জানান। সকালে গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের আনুষ্ঠানিক অবস্থান তুলে ধরেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত বিজয় র্যালিপূর্ব সমাবেশে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
‘চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের’ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত বিজয় র্যালি সমাবেশে প্রধান উপদেষ্টার জুলাই ঘোষণাপত্র এবং নির্বাচনের সময়সীমা
ঘোষণাকে স্বাগত জানান। মতভেদ থাকলেও দেশের স্বার্থে ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য ধরে রাখার আহ্বান জানিয়ে তারেক বলেন, ‘বিভিন্ন ইস্যুতে মতভেদ থাকবে। কিন্তু জাতীয় কোনো ইস্যুতে, গণতন্ত্রের প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যেন মুখ দেখাদেখি বন্ধ না হয়। গণতন্ত্র ও আইনের শাসন না থাকলে কেউই নিরাপদ নয়। ফ্যাসিবাদের শাসনামলে কেউই নিরাপদ ছিল না।’
নির্বাচনের সুযোগ কাজে লাগানোর তাগিদ দিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতা নিশ্চিত করতে পারলে ভবিষ্যতে আর কেউ ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার সুযোগ পাবে না।’ বিজয় মিছিলকে তিনি অন্ধকার থেকে আলোর পথের যাত্রা হিসেবে অভিহিত করেন।
সকালে সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল জুলাই ঘোষণাপত্রকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘বিএনপি বিশ্বাস করে জুলাই ঘোষণাপত্রে থাকা অঙ্গীকার পালনের মাধ্যমে একটি নতুন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের রূপান্তর শুরু হবে। এই ঐতিহাসিক ঘোষণা বাংলাদেশে রাজনৈতিক অচলাবস্থা কাটিয়ে উঠবে এবং গণতন্ত্র উত্তরণের পথকে সুগম করবে।’
বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব বলে মন্তব্য করেন তিনি। দেশের জনগণ নির্বাচনের জন্য উন্মুখ হয়ে আছে এবং তারাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রহরী হিসেবে দাঁড়াবে বলেও মনে করেন তিনি। ফখরুলের আশা সরকার ও নির্বাচন কমিশন একটি সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের সব ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রশংসা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রফেসর ইউনূস নিশ্চয়ই এখন পর্যন্ত যত কাজ করে এসেছেন, তাতে উনি প্রমাণ করেছেন ভবিষ্যতেও তিনি নির্বাচনকে সুষ্ঠু অবাধ করার জন্য এমন কিছু করবেন না যা প্রশ্নবিদ্ধ হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘জুলাই ঘোষণাপত্র অনুযায়ী পরবর্তী নির্বাচিত সংসদই সংবিধানের যাবতীয় সংস্কার বাস্তবায়ন করবে এবং এটাই বৈধ সাংবিধানিক প্রক্রিয়া।’
গতকাল মঙ্গলবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে দলের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া চূড়ান্ত করা হয়। বৈঠকে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে সভাপতিত্ব করেন তারেক রহমান।
বুধবার, ০৬ আগস্ট ২০২৫
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ এবং ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়সীমা নির্ধারণকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। এ ঘোষণাকে ‘ঐতিহাসিক’ আখ্যা দিয়ে দলটি মনে করছে, এর মাধ্যমে বাংলাদেশে রাজনৈতিক অচলাবস্থা কেটে গণতন্ত্রে উত্তরণের পথ সুগম হবে।
বুধবার,(৬ আগস্ট ২০২৫) পৃথক কর্মসূচিতে দলের শীর্ষ নেতারা এই প্রতিক্রিয়া জানান। সকালে গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের আনুষ্ঠানিক অবস্থান তুলে ধরেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত বিজয় র্যালিপূর্ব সমাবেশে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
‘চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের’ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত বিজয় র্যালি সমাবেশে প্রধান উপদেষ্টার জুলাই ঘোষণাপত্র এবং নির্বাচনের সময়সীমা
ঘোষণাকে স্বাগত জানান। মতভেদ থাকলেও দেশের স্বার্থে ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য ধরে রাখার আহ্বান জানিয়ে তারেক বলেন, ‘বিভিন্ন ইস্যুতে মতভেদ থাকবে। কিন্তু জাতীয় কোনো ইস্যুতে, গণতন্ত্রের প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যেন মুখ দেখাদেখি বন্ধ না হয়। গণতন্ত্র ও আইনের শাসন না থাকলে কেউই নিরাপদ নয়। ফ্যাসিবাদের শাসনামলে কেউই নিরাপদ ছিল না।’
নির্বাচনের সুযোগ কাজে লাগানোর তাগিদ দিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতা নিশ্চিত করতে পারলে ভবিষ্যতে আর কেউ ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার সুযোগ পাবে না।’ বিজয় মিছিলকে তিনি অন্ধকার থেকে আলোর পথের যাত্রা হিসেবে অভিহিত করেন।
সকালে সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল জুলাই ঘোষণাপত্রকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘বিএনপি বিশ্বাস করে জুলাই ঘোষণাপত্রে থাকা অঙ্গীকার পালনের মাধ্যমে একটি নতুন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের রূপান্তর শুরু হবে। এই ঐতিহাসিক ঘোষণা বাংলাদেশে রাজনৈতিক অচলাবস্থা কাটিয়ে উঠবে এবং গণতন্ত্র উত্তরণের পথকে সুগম করবে।’
বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব বলে মন্তব্য করেন তিনি। দেশের জনগণ নির্বাচনের জন্য উন্মুখ হয়ে আছে এবং তারাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রহরী হিসেবে দাঁড়াবে বলেও মনে করেন তিনি। ফখরুলের আশা সরকার ও নির্বাচন কমিশন একটি সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের সব ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রশংসা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রফেসর ইউনূস নিশ্চয়ই এখন পর্যন্ত যত কাজ করে এসেছেন, তাতে উনি প্রমাণ করেছেন ভবিষ্যতেও তিনি নির্বাচনকে সুষ্ঠু অবাধ করার জন্য এমন কিছু করবেন না যা প্রশ্নবিদ্ধ হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘জুলাই ঘোষণাপত্র অনুযায়ী পরবর্তী নির্বাচিত সংসদই সংবিধানের যাবতীয় সংস্কার বাস্তবায়ন করবে এবং এটাই বৈধ সাংবিধানিক প্রক্রিয়া।’
গতকাল মঙ্গলবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে দলের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া চূড়ান্ত করা হয়। বৈঠকে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে সভাপতিত্ব করেন তারেক রহমান।