প্রধান উপদেষ্টার জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠের গত ৫ আগস্টের অনুষ্ঠান বাম রাজনৈতিক দলগুলো বর্জন করেছে। অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা যে ঘোষণাপত্র পাঠ করেছেন সেটাকে ‘একপেশে’ এবং ইতিহাসের ‘কিছুটা বিকৃতি’ বলে বাম দলের একাধিক নেতা মন্তব্য করেছেন।
জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ অনুষ্ঠান সম্পর্কে জানতে সংবাদ বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, ও বাংলাদেশ জাসদের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছে। এখানে তাদের প্রতিক্রিয়া তুলে ধরা হলো।
*সিপিবি*
বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ অনুষ্ঠানে না যাওয়ার কারণ হিসেবে সংবাদকে বলেন, ‘অনুষ্ঠানে আমরা যাইনি, না যাওয়ার প্রথম কারণ হলো, আমরাতো ঘোষণাপত্র সম্পর্কে কিছু জানি না, আমাদের সঙ্গে এ সম্পর্কে কথা বলা হয়নি। অনুষ্ঠানে যা পড়া হবে সে সম্পর্কে আমরা কিছুই জানি না। সুতরাং কিছু না জেনে সেখানে যাওয়া মানে সেখানে সাক্ষীগোপাল হওয়া। আমরা সাক্ষীগোপাল হবো না বলেই সেখানে যাইনি।’
ঘোষণাপত্র সম্পর্কে কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে রুহিন হোসেন সংবাদকে বলেন, ‘ঘোষণাপত্রটি আমি সংবাদমাধ্যমে পড়েছি, দেখলাম তাতে ইসিহাসের নানা ধরনের অপ্রাসঙ্গিক কথা আছে, তাতে ইতিহাস যথাযথভাবে প্রতিফলিত হয়নি। বরং অনেক ক্ষেত্রে বিকৃতভাবে তার প্রতিফলন দেখছি। আমার মনে হয়েছে ঘোষণাপত্র জনগণের কাছে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গেছে। আমি এর প্রাসঙ্গিকতা খুঁজে পাচ্ছি না।’
*বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি*
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক জুলাই ঘোষণা পত্র পাঠ অনুষ্ঠানে না যাওয়া সম্পর্কে সংবাদকে বলেন, ‘৫ আগস্টে প্রধান উপদেষ্টার জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ অনুষ্ঠানে আমাদের নিমন্ত্রণ করা হয়েছিল। কিন্তু সিদ্ধান্ত নিয়েই সে অনুষ্ঠানে যাইনি। এক ধরনের গোপনীয়তার মধ্যে যেটা করা হয়েছে সেটাকে আমরা সঠিক মনে করিনি। এভাবে যাওয়াটাকে আমরা অবমাননাকর মনে করি। আমরা সাক্ষীগোপাল হিসেবে সেখানে উপস্থিত থাকতে চাইনি।’
তবে তিনি সংবাদকে বলেন, ‘পঠিত ঘোষণাপত্রের প্রতি আমাদের একটি নৈতিক সমর্থন আছে। কিন্তু ঘোষণাপত্রটি পড়ে মনে হয়েছে যে, এটা খানিকটা একপেশে হয়ে গেছে। আমাদের সঙ্গে আলাপ- আলোচনা করে করলে তা আরও সামাগ্রিক হতে পারতো।’
তিনি বলেন, ‘আমরা জুলাই ঘোষণাপত্রটি কেমন হতে পারে সে সম্পর্কে কিছু পরামর্শ লিখিতভাবে দিয়েছিলাম, কিন্তু সেখান থেকে কিছুই নেয়া হয়নি।’
*বাংলাদেশ জাসদ*
বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরীফ নূরুল আম্বিয়া সংবাদকে বলেছেন, অনুষ্ঠানে যে ঘোষণাপত্র পাঠ করা হবে সে সম্পর্কে তারা আগে জানতেন না। ‘ফলে সেখানে যদি উপস্থিত থাকি তবে আমাদের এক ধরনের দায়বদ্ধতা থেকে যায়। সে জন্যই আমরা যাইনি।’
তিনি সংবাদকে বলেন, ৫ আগস্টে প্রধান উপদেষ্টার জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ অনুষ্ঠানে আমাদের দাওয়াত দেয়া হয়েছিল, নিমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছিল। কি ঘোষণা দেয়া হবে তা আমরা জানতে পারিনি, কাজেই আমরা যাইনি। আমাদের কাছে ঘোষণাপত্রের কপিও পাঠানো হয়নি। সে বিষয়ে আমাদের সঙ্গে কোনো আলোচনাও করা হয়নি।’
ঘোষণাপত্র সম্পর্কে জাসদের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলে, ‘আমাদের প্রতিক্রিয়া কী হবে তা নিয়ে আমরা জরুরি বৈঠক করার প্রয়োজন বোধ করিনি। তবে ঘোষণাপত্রে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে যা বলা হয়েছে, সেখানে অনেক কিছু এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে। যেহেতু অনেক লম্বা ঘোষণাপত্র দিয়েছেন, তাতে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে আরও বিস্তারিত দেয়া যুক্তিযুক্ত হতো বলে আমার মনে হয়েছে। তবে আমি বলতে চাই, সে ঘোষণাপত্রের বিরোধিতা করারও কিছু নেই।’
বুধবার, ০৬ আগস্ট ২০২৫
প্রধান উপদেষ্টার জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠের গত ৫ আগস্টের অনুষ্ঠান বাম রাজনৈতিক দলগুলো বর্জন করেছে। অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা যে ঘোষণাপত্র পাঠ করেছেন সেটাকে ‘একপেশে’ এবং ইতিহাসের ‘কিছুটা বিকৃতি’ বলে বাম দলের একাধিক নেতা মন্তব্য করেছেন।
জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ অনুষ্ঠান সম্পর্কে জানতে সংবাদ বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, ও বাংলাদেশ জাসদের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছে। এখানে তাদের প্রতিক্রিয়া তুলে ধরা হলো।
*সিপিবি*
বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ অনুষ্ঠানে না যাওয়ার কারণ হিসেবে সংবাদকে বলেন, ‘অনুষ্ঠানে আমরা যাইনি, না যাওয়ার প্রথম কারণ হলো, আমরাতো ঘোষণাপত্র সম্পর্কে কিছু জানি না, আমাদের সঙ্গে এ সম্পর্কে কথা বলা হয়নি। অনুষ্ঠানে যা পড়া হবে সে সম্পর্কে আমরা কিছুই জানি না। সুতরাং কিছু না জেনে সেখানে যাওয়া মানে সেখানে সাক্ষীগোপাল হওয়া। আমরা সাক্ষীগোপাল হবো না বলেই সেখানে যাইনি।’
ঘোষণাপত্র সম্পর্কে কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে রুহিন হোসেন সংবাদকে বলেন, ‘ঘোষণাপত্রটি আমি সংবাদমাধ্যমে পড়েছি, দেখলাম তাতে ইসিহাসের নানা ধরনের অপ্রাসঙ্গিক কথা আছে, তাতে ইতিহাস যথাযথভাবে প্রতিফলিত হয়নি। বরং অনেক ক্ষেত্রে বিকৃতভাবে তার প্রতিফলন দেখছি। আমার মনে হয়েছে ঘোষণাপত্র জনগণের কাছে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গেছে। আমি এর প্রাসঙ্গিকতা খুঁজে পাচ্ছি না।’
*বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি*
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক জুলাই ঘোষণা পত্র পাঠ অনুষ্ঠানে না যাওয়া সম্পর্কে সংবাদকে বলেন, ‘৫ আগস্টে প্রধান উপদেষ্টার জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ অনুষ্ঠানে আমাদের নিমন্ত্রণ করা হয়েছিল। কিন্তু সিদ্ধান্ত নিয়েই সে অনুষ্ঠানে যাইনি। এক ধরনের গোপনীয়তার মধ্যে যেটা করা হয়েছে সেটাকে আমরা সঠিক মনে করিনি। এভাবে যাওয়াটাকে আমরা অবমাননাকর মনে করি। আমরা সাক্ষীগোপাল হিসেবে সেখানে উপস্থিত থাকতে চাইনি।’
তবে তিনি সংবাদকে বলেন, ‘পঠিত ঘোষণাপত্রের প্রতি আমাদের একটি নৈতিক সমর্থন আছে। কিন্তু ঘোষণাপত্রটি পড়ে মনে হয়েছে যে, এটা খানিকটা একপেশে হয়ে গেছে। আমাদের সঙ্গে আলাপ- আলোচনা করে করলে তা আরও সামাগ্রিক হতে পারতো।’
তিনি বলেন, ‘আমরা জুলাই ঘোষণাপত্রটি কেমন হতে পারে সে সম্পর্কে কিছু পরামর্শ লিখিতভাবে দিয়েছিলাম, কিন্তু সেখান থেকে কিছুই নেয়া হয়নি।’
*বাংলাদেশ জাসদ*
বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরীফ নূরুল আম্বিয়া সংবাদকে বলেছেন, অনুষ্ঠানে যে ঘোষণাপত্র পাঠ করা হবে সে সম্পর্কে তারা আগে জানতেন না। ‘ফলে সেখানে যদি উপস্থিত থাকি তবে আমাদের এক ধরনের দায়বদ্ধতা থেকে যায়। সে জন্যই আমরা যাইনি।’
তিনি সংবাদকে বলেন, ৫ আগস্টে প্রধান উপদেষ্টার জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ অনুষ্ঠানে আমাদের দাওয়াত দেয়া হয়েছিল, নিমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছিল। কি ঘোষণা দেয়া হবে তা আমরা জানতে পারিনি, কাজেই আমরা যাইনি। আমাদের কাছে ঘোষণাপত্রের কপিও পাঠানো হয়নি। সে বিষয়ে আমাদের সঙ্গে কোনো আলোচনাও করা হয়নি।’
ঘোষণাপত্র সম্পর্কে জাসদের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলে, ‘আমাদের প্রতিক্রিয়া কী হবে তা নিয়ে আমরা জরুরি বৈঠক করার প্রয়োজন বোধ করিনি। তবে ঘোষণাপত্রে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে যা বলা হয়েছে, সেখানে অনেক কিছু এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে। যেহেতু অনেক লম্বা ঘোষণাপত্র দিয়েছেন, তাতে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে আরও বিস্তারিত দেয়া যুক্তিযুক্ত হতো বলে আমার মনে হয়েছে। তবে আমি বলতে চাই, সে ঘোষণাপত্রের বিরোধিতা করারও কিছু নেই।’