বুধবার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার্থীরা -সংবাদ
দীর্ঘ ১৫ দিনের নিস্তব্ধতা ভেঙে কিছুটা প্রাণ ফিরেছে মাইলস্টোন ক্যাম্পাসে। যদিও এখনও শোক কাটেনি। আছে ভয়, শঙ্কা। আর এসবের মধ্যে শ্রেণীকক্ষে ফিরেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী।
বিমান বিধ্বস্তের ঘটনার দুই সপ্তাহ পর ক্লাস ও পরীক্ষা শুরু হয়েছে রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে। বুধবার,(৬ আগস্ট ২০২৫) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে প্রতিষ্ঠানটির কলেজ শাখার অধীনে দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হয়। একইসঙ্গে শুরু হয়েছে নবম শ্রেণীর অর্ধবার্ষিকী ও দশম শ্রেণীর প্রাক নির্বাচনী পরীক্ষাও।
দ্বাদশ শ্রেণীর ক্লাস এবং নবম-দশম শ্রেণীর পরীক্ষা শুরু
শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ এ ক্যাম্পাসের অনেকেই মানসিক ‘ট্রমার’ মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন
ক্যাম্পাসের কাউন্সেলিং বিভাগে কাজ চলছে। প্রধান শিক্ষক বলছেন, এটা খুবই দীর্ঘমেয়াদি একটা বিষয়
মাইলস্টোনের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহ বুলবুল এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘সকাল থেকে রুটিন অনুযায়ী নির্ধারিত ক্লাস পরীক্ষা শুরু হয়েছে। শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন।’ গত রোববার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির কলেজ শাখার নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে এসেছিল। তবে ওই দিন কোনো ক্লাস কার্যক্রম হয়নি। শিক্ষার্থীরা যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতদের স্মরণে ও আহতদের সুস্থতা কামনায় দোয়া এবং শোক অনুষ্ঠানে অংশ নেন সেদিন।
গত ২১ জুলাই দুপুরে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসের একটি ভবনের মুখে বিধ্বস্ত হয়। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এই বিমান দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত যে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের বেশির ভাগই শিশু। দুর্ঘটনার পরদিন রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হয়।
গত কয়েকদিনে হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেছে ৯ শিক্ষার্থী। এখনও জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটসহ কয়েকটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে আরও কয়েকজন। দুর্ঘটনার পর কয়েক দফা ছুটি বাড়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি। বিমান বিধ্বস্তের পর থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ এ ক্যাম্পাসের অনেকেই এমন মানসিক ‘ট্রমার’ মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে কাউন্সেলিং সেন্টার খোলা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব শিক্ষার্থীকে এর আওতায় আনা হবে বলে মাইলস্টোনের স্কুল শাখার প্রধান শিক্ষক খাদিজা আক্তার জানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘এটা আসলে খুবই দীর্ঘমেয়াদি একটা বিষয়, স্বল্প সময়ের বিষয় নয়। জরুরি ভিত্তিতে যাদের প্রয়োজন, তারাই এখন এর আওতায় আসছে। ধীরে ধীরে সব শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষককে এর আওতায় আনা হবে।’ ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা নিয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়েও কাজ হচ্ছে। সরকারের যতগুলো মেন্টাল হেলথ উইং আছে, এটা নিয়ে কাজ শুরু করেছে।
বুধবার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার্থীরা -সংবাদ
বুধবার, ০৬ আগস্ট ২০২৫
দীর্ঘ ১৫ দিনের নিস্তব্ধতা ভেঙে কিছুটা প্রাণ ফিরেছে মাইলস্টোন ক্যাম্পাসে। যদিও এখনও শোক কাটেনি। আছে ভয়, শঙ্কা। আর এসবের মধ্যে শ্রেণীকক্ষে ফিরেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী।
বিমান বিধ্বস্তের ঘটনার দুই সপ্তাহ পর ক্লাস ও পরীক্ষা শুরু হয়েছে রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে। বুধবার,(৬ আগস্ট ২০২৫) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে প্রতিষ্ঠানটির কলেজ শাখার অধীনে দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হয়। একইসঙ্গে শুরু হয়েছে নবম শ্রেণীর অর্ধবার্ষিকী ও দশম শ্রেণীর প্রাক নির্বাচনী পরীক্ষাও।
দ্বাদশ শ্রেণীর ক্লাস এবং নবম-দশম শ্রেণীর পরীক্ষা শুরু
শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ এ ক্যাম্পাসের অনেকেই মানসিক ‘ট্রমার’ মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন
ক্যাম্পাসের কাউন্সেলিং বিভাগে কাজ চলছে। প্রধান শিক্ষক বলছেন, এটা খুবই দীর্ঘমেয়াদি একটা বিষয়
মাইলস্টোনের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহ বুলবুল এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘সকাল থেকে রুটিন অনুযায়ী নির্ধারিত ক্লাস পরীক্ষা শুরু হয়েছে। শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন।’ গত রোববার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির কলেজ শাখার নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে এসেছিল। তবে ওই দিন কোনো ক্লাস কার্যক্রম হয়নি। শিক্ষার্থীরা যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতদের স্মরণে ও আহতদের সুস্থতা কামনায় দোয়া এবং শোক অনুষ্ঠানে অংশ নেন সেদিন।
গত ২১ জুলাই দুপুরে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসের একটি ভবনের মুখে বিধ্বস্ত হয়। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এই বিমান দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত যে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের বেশির ভাগই শিশু। দুর্ঘটনার পরদিন রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হয়।
গত কয়েকদিনে হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেছে ৯ শিক্ষার্থী। এখনও জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটসহ কয়েকটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে আরও কয়েকজন। দুর্ঘটনার পর কয়েক দফা ছুটি বাড়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি। বিমান বিধ্বস্তের পর থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ এ ক্যাম্পাসের অনেকেই এমন মানসিক ‘ট্রমার’ মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে কাউন্সেলিং সেন্টার খোলা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব শিক্ষার্থীকে এর আওতায় আনা হবে বলে মাইলস্টোনের স্কুল শাখার প্রধান শিক্ষক খাদিজা আক্তার জানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘এটা আসলে খুবই দীর্ঘমেয়াদি একটা বিষয়, স্বল্প সময়ের বিষয় নয়। জরুরি ভিত্তিতে যাদের প্রয়োজন, তারাই এখন এর আওতায় আসছে। ধীরে ধীরে সব শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষককে এর আওতায় আনা হবে।’ ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা নিয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়েও কাজ হচ্ছে। সরকারের যতগুলো মেন্টাল হেলথ উইং আছে, এটা নিয়ে কাজ শুরু করেছে।