সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন ও আচরণ বিধিমালার চূড়ান্ত রূপ দিতে বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একই দিনে ইসির কাছে নির্বাচন আয়োজনের অনুরোধপত্র পাঠিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব আখতার আহমেদসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।
সভায় রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের আচরণ বিধিমালা এবং আরপিও সংশোধন প্রস্তাব চূড়ান্ত করার বিষয়টি আলোচনার মূল এজেন্ডা। নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ জানিয়েছেন, কমিশন সভায় প্রায় তিন ডজন সংশোধনী প্রস্তাব চূড়ান্ত হতে পারে। এতে প্রবাসীদের পোস্টাল ব্যালট ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) অপব্যবহার ঠেকাতে আচরণবিধিতে নিষেধাজ্ঞা যোগ করার বিষয়টিও আছে।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে যে বিষয়গুলোতে সম্মতি মিলবে, সেগুলোও আরপিওতে অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ রয়েছে। কমিশনের অনুমোদন পেলে এসব প্রস্তাব আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিংয়ের জন্য পাঠাবে ইসি সচিবালয়। এরপর তা উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদনের জন্য উত্থাপন করা হবে। সরকারের অনুমোদন পেলে সংশোধনীগুলো অধ্যাদেশ আকারে জারি হবে।
ইতোমধ্যে সীমানা আইন, ভোটার তালিকা ও ভোটকেন্দ্র স্থাপন নীতিমালাসহ পর্যবেক্ষক সংক্রান্ত একাধিক আইন-বিধি সংশোধন করা হয়েছে এবং আবেদন আহ্বানও করা হয়েছে। আরও তিনটি আইন—নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা, নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) ও ইসি সচিবালয় আইন—এখন আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
এদিকে, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষ থেকে রোজার আগেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের অনুরোধ জানিয়ে বুধবার ইসিকে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। এর মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচন আয়োজনে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানানো হলো।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচন কমিশন এখন তফসিল ঘোষণার দিকে এগোচ্ছে। ডিসেম্বরের শেষার্ধে তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে বলে এর আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন সিইসি নাসির উদ্দিন।
ফেব্রুয়ারিতে ভোট: নির্বাচন কমিশনকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের চিঠি
বৃহস্পতিবার, ০৭ আগস্ট ২০২৫
সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন ও আচরণ বিধিমালার চূড়ান্ত রূপ দিতে বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একই দিনে ইসির কাছে নির্বাচন আয়োজনের অনুরোধপত্র পাঠিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব আখতার আহমেদসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।
সভায় রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের আচরণ বিধিমালা এবং আরপিও সংশোধন প্রস্তাব চূড়ান্ত করার বিষয়টি আলোচনার মূল এজেন্ডা। নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ জানিয়েছেন, কমিশন সভায় প্রায় তিন ডজন সংশোধনী প্রস্তাব চূড়ান্ত হতে পারে। এতে প্রবাসীদের পোস্টাল ব্যালট ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) অপব্যবহার ঠেকাতে আচরণবিধিতে নিষেধাজ্ঞা যোগ করার বিষয়টিও আছে।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে যে বিষয়গুলোতে সম্মতি মিলবে, সেগুলোও আরপিওতে অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ রয়েছে। কমিশনের অনুমোদন পেলে এসব প্রস্তাব আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিংয়ের জন্য পাঠাবে ইসি সচিবালয়। এরপর তা উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদনের জন্য উত্থাপন করা হবে। সরকারের অনুমোদন পেলে সংশোধনীগুলো অধ্যাদেশ আকারে জারি হবে।
ইতোমধ্যে সীমানা আইন, ভোটার তালিকা ও ভোটকেন্দ্র স্থাপন নীতিমালাসহ পর্যবেক্ষক সংক্রান্ত একাধিক আইন-বিধি সংশোধন করা হয়েছে এবং আবেদন আহ্বানও করা হয়েছে। আরও তিনটি আইন—নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা, নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) ও ইসি সচিবালয় আইন—এখন আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
এদিকে, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষ থেকে রোজার আগেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের অনুরোধ জানিয়ে বুধবার ইসিকে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। এর মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচন আয়োজনে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানানো হলো।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচন কমিশন এখন তফসিল ঘোষণার দিকে এগোচ্ছে। ডিসেম্বরের শেষার্ধে তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে বলে এর আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন সিইসি নাসির উদ্দিন।
ফেব্রুয়ারিতে ভোট: নির্বাচন কমিশনকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের চিঠি