আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল চলতি বছরের ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আবুল ফজল মোহাম্মদ সানাউল্লাহ। প্রবাসী ভোটারদের জন্য পোস্টাল ব্যালটের ব্যবস্থা এবং রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের জন্য আচরণবিধি চূড়ান্ত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার,(৭ আগস্ট ২০২৫) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই তথ্য জানান। এর আগে বেলা ১১টায় গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) ১৯৭২ (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ এবং রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা চূড়ান্ত করতে নির্বাচন কমিশনাররা বৈঠক করে অনুমোদন করা হয়।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দীনের সভাপতিত্বে নির্বাচন ভবনে তার সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় চার নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ, তাহমিদা আহমদ, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ, ইসি সচিব আখতার আহমেদসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ সানাউল্লাহ জানান, প্রধান উপদেষ্টা ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে রমজানের আগে নির্বাচন আয়োজনের জন্য ইসিকে চিঠি দিয়েছেন এবং বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
গতকাল বুধবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে পাঠানো এক পত্রে অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়। ইসি সানাউল্লাহ উল্লেখ করেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইঙ্গিত দিয়েছেন যে ভোটের নির্ধারিত তারিখের দুই মাস আগে তফসিল ঘোষণা করা হবে, সেই হিসেবেই ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণার ধারণা করা হচ্ছে। তবে তফসিলটি ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই ঘোষণা করা হবে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি ‘না’ বলেন। সে হিসেবে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে তফসিল ঘোষণা হতে পারে বলে ধারণা করা যায়।
নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ সানাউল্লাহ প্রবাসী ভোটারদের ভোটদান প্রক্রিয়ার বিস্তারিত তুলে ধরেন। প্রবাসী ভোটারদের জন্য কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে জানিয়ে ইসি সানাউল্লাহ বলেন, ‘আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকে প্রবাসীদের জন্য ভোটার অ্যাডুকেশন কার্যক্রম শুরু হবে। ভোট দেয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে তিন সপ্তাহ সময় দেয়া হবে। সময় সাশ্রয়ের জন্য প্রবাসীদের কাছে প্রার্থীর নাম ছাড়া শুধু প্রতীক সম্বলিত ব্যালট পাঠানো হবে। সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি বাংলাদেশ পোস্ট অফিসের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হবে। কোনো আসনে কোনো প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হলে, সেই আসনে পোস্টাল ব্যালট পাঠানো বন্ধ করে দেয়া হবে।’ পোস্টাল ব্যালটে প্রতি এক লাখ প্রবাসী ভোটারের জন্য আনুমানিক ছয় থেকে সাত কোটি টাকা খরচ হতে পারে বলে ধারণা দেন তিনি।
তিনি আরও জানান, ভোটার তালিকা আইন অনুযায়ী, আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত যারা ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবেন, তারা আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন। এছাড়া প্রবাসীদের পাশাপাশি দেশে আইনি হেফাজতে থাকা ব্যক্তি, সরকারি কর্মচারী এবং নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরাও পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেয়ার সুযোগ পাবেন।
বৃহস্পতিবার, ০৭ আগস্ট ২০২৫
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল চলতি বছরের ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আবুল ফজল মোহাম্মদ সানাউল্লাহ। প্রবাসী ভোটারদের জন্য পোস্টাল ব্যালটের ব্যবস্থা এবং রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের জন্য আচরণবিধি চূড়ান্ত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার,(৭ আগস্ট ২০২৫) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই তথ্য জানান। এর আগে বেলা ১১টায় গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) ১৯৭২ (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ এবং রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা চূড়ান্ত করতে নির্বাচন কমিশনাররা বৈঠক করে অনুমোদন করা হয়।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দীনের সভাপতিত্বে নির্বাচন ভবনে তার সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় চার নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ, তাহমিদা আহমদ, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ, ইসি সচিব আখতার আহমেদসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ সানাউল্লাহ জানান, প্রধান উপদেষ্টা ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে রমজানের আগে নির্বাচন আয়োজনের জন্য ইসিকে চিঠি দিয়েছেন এবং বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
গতকাল বুধবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে পাঠানো এক পত্রে অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়। ইসি সানাউল্লাহ উল্লেখ করেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইঙ্গিত দিয়েছেন যে ভোটের নির্ধারিত তারিখের দুই মাস আগে তফসিল ঘোষণা করা হবে, সেই হিসেবেই ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণার ধারণা করা হচ্ছে। তবে তফসিলটি ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই ঘোষণা করা হবে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি ‘না’ বলেন। সে হিসেবে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে তফসিল ঘোষণা হতে পারে বলে ধারণা করা যায়।
নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ সানাউল্লাহ প্রবাসী ভোটারদের ভোটদান প্রক্রিয়ার বিস্তারিত তুলে ধরেন। প্রবাসী ভোটারদের জন্য কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে জানিয়ে ইসি সানাউল্লাহ বলেন, ‘আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকে প্রবাসীদের জন্য ভোটার অ্যাডুকেশন কার্যক্রম শুরু হবে। ভোট দেয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে তিন সপ্তাহ সময় দেয়া হবে। সময় সাশ্রয়ের জন্য প্রবাসীদের কাছে প্রার্থীর নাম ছাড়া শুধু প্রতীক সম্বলিত ব্যালট পাঠানো হবে। সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি বাংলাদেশ পোস্ট অফিসের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হবে। কোনো আসনে কোনো প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হলে, সেই আসনে পোস্টাল ব্যালট পাঠানো বন্ধ করে দেয়া হবে।’ পোস্টাল ব্যালটে প্রতি এক লাখ প্রবাসী ভোটারের জন্য আনুমানিক ছয় থেকে সাত কোটি টাকা খরচ হতে পারে বলে ধারণা দেন তিনি।
তিনি আরও জানান, ভোটার তালিকা আইন অনুযায়ী, আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত যারা ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবেন, তারা আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন। এছাড়া প্রবাসীদের পাশাপাশি দেশে আইনি হেফাজতে থাকা ব্যক্তি, সরকারি কর্মচারী এবং নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরাও পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেয়ার সুযোগ পাবেন।