উন্নয়ন কাজের অর্থ আত্মসাতের মামলায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার,(৭ আগস্ট ২০২৫) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব।
দুদকের প্রসিকিউশন বিভাগের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকার মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে কলিমউল্লাহকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অর্থ আত্মসাতের এ মামলায় কলিমউল্লাহর সঙ্গে আসামি করা হয়েছে আরও চারজনকে। তারা হলেন-বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও প্রকল্প পরিচালক এ কে এম নূর-উন-নবী, সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী ও দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সদস্য সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, ঠিকাদার মো. আ. সালাম বাচ্চু এবং এম এম হাবিবুর রহমান।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে চার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। অর্থ আত্মসাতের এ মামলায় এদিন ৫ আসামির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞাও আসে একই আদালত থেকে। দুদকের সহকারী পরিচালক মিনহাজ বিন ইসলামের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেয় আদালত।
অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে ২০১৩ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত এ পদে দায়িত্ব পালন করেন অধ্যাপক এ কে এম নূর-উন-নবী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপির) উপ-উপাচার্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনের কারণে তিনি ব্যাপক পরিচিতি পান। উপাচার্য হিসেবে কলিমউল্লাহর বিরুদ্ধে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ছিল, তিনি ক্যাম্পাসে যান না। ঢাকায় লিয়াজোঁ অফিস থেকেই দায়িত্ব পালন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংগঠন ‘অধিকার সুরক্ষা পরিষদ’ এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের ৩১ মে পর্যন্ত দায়িত্বের ১ হাজার ৪৬০ দিনের মধ্যে ১ হাজার ২২০ দিন তিনি অনুপস্থিতি ছিলেন। অনুপস্থিতির পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে সে সময়। তবে তখনকার আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণে তিনি পুরো মেয়াদ উপাচার্য থাকার সুযোগ পান।
বৃহস্পতিবার, ০৭ আগস্ট ২০২৫
উন্নয়ন কাজের অর্থ আত্মসাতের মামলায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার,(৭ আগস্ট ২০২৫) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব।
দুদকের প্রসিকিউশন বিভাগের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকার মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে কলিমউল্লাহকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অর্থ আত্মসাতের এ মামলায় কলিমউল্লাহর সঙ্গে আসামি করা হয়েছে আরও চারজনকে। তারা হলেন-বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও প্রকল্প পরিচালক এ কে এম নূর-উন-নবী, সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী ও দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সদস্য সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, ঠিকাদার মো. আ. সালাম বাচ্চু এবং এম এম হাবিবুর রহমান।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে চার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। অর্থ আত্মসাতের এ মামলায় এদিন ৫ আসামির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞাও আসে একই আদালত থেকে। দুদকের সহকারী পরিচালক মিনহাজ বিন ইসলামের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেয় আদালত।
অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে ২০১৩ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত এ পদে দায়িত্ব পালন করেন অধ্যাপক এ কে এম নূর-উন-নবী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপির) উপ-উপাচার্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনের কারণে তিনি ব্যাপক পরিচিতি পান। উপাচার্য হিসেবে কলিমউল্লাহর বিরুদ্ধে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ছিল, তিনি ক্যাম্পাসে যান না। ঢাকায় লিয়াজোঁ অফিস থেকেই দায়িত্ব পালন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংগঠন ‘অধিকার সুরক্ষা পরিষদ’ এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের ৩১ মে পর্যন্ত দায়িত্বের ১ হাজার ৪৬০ দিনের মধ্যে ১ হাজার ২২০ দিন তিনি অনুপস্থিতি ছিলেন। অনুপস্থিতির পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে সে সময়। তবে তখনকার আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণে তিনি পুরো মেয়াদ উপাচার্য থাকার সুযোগ পান।