রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার কে বি কনভেনশন হলে এএসপি পরিচয়ে অন্য কেউ ঢুকেছে বলে আদালতে দাবি করেছেন সেনাবাহিনীর মেজর সাদিকুল হকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিন। তার ভাষ্য, তার বিরুদ্ধে এখন দোষ চাপানো হচ্ছে। বৃহস্পতিবার,(৭ আগস্ট ২০২৫) ঢাকার মহানগর হাকিম মো. সেফাতুল্লাহর আদালতে রিমান্ড আবেদন শুনানিতে তিনি এ কথা বলেন।
মেজর সাদিকুলের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেয়ার অভিযোগে ইতোমধ্যে তদন্ত আদালত গঠন করেছে সেনাবাহিনী। তার স্ত্রী সুমাইয়া পুলিশের এএসপি পদমর্যাদার কর্মকর্তা বলে এর মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু পোস্ট ছড়িয়ে পড়ে। পরে ২ আগস্ট পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, এই নামে তাদের কোনো এএসপি নেই। পরে গতকাল বুধবার সুমাইয়াকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানানো হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির গুলশান বিভাগের পরিদর্শক জেহাদ হোসেন আসামিকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে আজিজুল হক দিদার, কাইয়ুম হোসেন নয়ন রিমান্ড আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন। আজিজুল হক দিদার বলেন, ‘বিদেশি সংস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থেকে আজকের সরকারকে উৎখাত করার জন্য ভাটারায় একটি কনভেনশন হলে একত্রিত হয়। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করে দেশ স্বাধীন হয়েছে। দুই হাজার ছাত্র-জনতা প্রাণ হারিয়েছে। কয়েক হাজার জন আহত হয়েছেন। এখনও অনেকে চিকিৎসাধীন।
‘তারা চুপচাপ বসে নেই। বিদেশি সংস্থার ইন্ধনে (নামটা বলব না) নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগ সবাই মিলে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করে। ‘অপারেশন ঢাকা ব্লক’ এর নামে ৩০০/৪০০ জন মিলে এএসপি পরিচয়ে হল ভাড়া নেন।’ এ সময় কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা সুমাইয়া জাফরিন বলেন, ‘আমি এ ধরনের পরিচয়ে ভাড়া নেইনি।’
কৌঁসুলি কাইয়ুম হোসেন নয়ন বলেন, ‘সরকারকে ব্যর্থ করতে, জোরালো আন্দোলন করতে নেতাকর্মী সংঘটিত করে দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে। এ আসামি এবং তার স্বামী বিপদগামী সেনাবাহিনীর মেজর মিলে এ চক্রান্ত করে। রাষ্ট্র এ বিষয়ে ওয়াকিবহাল এবং সচেতন।
সরকারকে উৎখাত করার চেষ্টা করছিল তারা। তার সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করছি।’ সুমাইয়া জাফরিনের পক্ষে তার আইনজীবী মোর্শেদ আলম শাহীন রিমান্ড আবেদন বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।
শুনানিতে তিনি বলেন, ‘বাদী মামলায় সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন এ ঘটনার সঙ্গে কে বা কারা জড়িত। সরকার এতো দুর্বল না, বৈঠক করলো আর উৎখাত হয়ে গেল। মামলার এজাহারে তার নাম নাই। গত ১১ জুলাই মামলা আর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৬ আগস্ট। সন্ধিগ্ধ আসামি। কোনো আসামি ১৬৪, ১৬১-এ নাম বলেনি।
‘কোনো আসামি রিমান্ডেও তার নাম বলেনি। সন্ধিগ্ধ হিসেবে গ্রেপ্তার করতে হলে ১৬৪, ১৬১ এ নাম থাকতে হবে। সুস্পষ্ট কারণ ছাড়া কাউকে গ্রেপ্তার করা যাবে না। তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্যও না। আর তিনি যদি অন্যায় করে থাকেন, তা তদন্তে আসবে।’
এরপর আদালতের অনুমতি নিয়ে কথা বলেন সুমাইয়া জাফরিন। তিনি বলেন,‘কে বি কনভেনশন হলে এএসপি পরিচয়ে অন্য কেউ ঢুকেছে। কিন্তু আমার নামে দোষ চাপানো হচ্ছে। কে বি কনভেনশন হলে আগে থেকে সবকিছু অ্যারেঞ্জ করা ছিল। আমি আমার স্বামীর সঙ্গে ওখানে গিয়েছিলাম। ‘ওখানে কী ধরনের কাজ হচ্ছি তা সম্পর্কে আমার জানা ছিল না। কিছু জানার থাকলে আমাকে জিজ্ঞাস করতে পারেন। আমাকে রিমান্ড দিয়েন না স্যার (বিচারক)। আমি কোনো অন্যায় করিনি।’ পরে আদালত তার পাঁচ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেয়।
ভাটারা থানার এসআই জ্যোতির্ময় মণ্ডল গত ১৩ জুলাই সন্ত্রাসবিরোধী আইনে এ মামলা দায়ের করেন। এতে সুমাইয়াসহ মোট ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার, ০৭ আগস্ট ২০২৫
রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার কে বি কনভেনশন হলে এএসপি পরিচয়ে অন্য কেউ ঢুকেছে বলে আদালতে দাবি করেছেন সেনাবাহিনীর মেজর সাদিকুল হকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিন। তার ভাষ্য, তার বিরুদ্ধে এখন দোষ চাপানো হচ্ছে। বৃহস্পতিবার,(৭ আগস্ট ২০২৫) ঢাকার মহানগর হাকিম মো. সেফাতুল্লাহর আদালতে রিমান্ড আবেদন শুনানিতে তিনি এ কথা বলেন।
মেজর সাদিকুলের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেয়ার অভিযোগে ইতোমধ্যে তদন্ত আদালত গঠন করেছে সেনাবাহিনী। তার স্ত্রী সুমাইয়া পুলিশের এএসপি পদমর্যাদার কর্মকর্তা বলে এর মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু পোস্ট ছড়িয়ে পড়ে। পরে ২ আগস্ট পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, এই নামে তাদের কোনো এএসপি নেই। পরে গতকাল বুধবার সুমাইয়াকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানানো হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির গুলশান বিভাগের পরিদর্শক জেহাদ হোসেন আসামিকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে আজিজুল হক দিদার, কাইয়ুম হোসেন নয়ন রিমান্ড আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন। আজিজুল হক দিদার বলেন, ‘বিদেশি সংস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থেকে আজকের সরকারকে উৎখাত করার জন্য ভাটারায় একটি কনভেনশন হলে একত্রিত হয়। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করে দেশ স্বাধীন হয়েছে। দুই হাজার ছাত্র-জনতা প্রাণ হারিয়েছে। কয়েক হাজার জন আহত হয়েছেন। এখনও অনেকে চিকিৎসাধীন।
‘তারা চুপচাপ বসে নেই। বিদেশি সংস্থার ইন্ধনে (নামটা বলব না) নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগ সবাই মিলে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করে। ‘অপারেশন ঢাকা ব্লক’ এর নামে ৩০০/৪০০ জন মিলে এএসপি পরিচয়ে হল ভাড়া নেন।’ এ সময় কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা সুমাইয়া জাফরিন বলেন, ‘আমি এ ধরনের পরিচয়ে ভাড়া নেইনি।’
কৌঁসুলি কাইয়ুম হোসেন নয়ন বলেন, ‘সরকারকে ব্যর্থ করতে, জোরালো আন্দোলন করতে নেতাকর্মী সংঘটিত করে দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে। এ আসামি এবং তার স্বামী বিপদগামী সেনাবাহিনীর মেজর মিলে এ চক্রান্ত করে। রাষ্ট্র এ বিষয়ে ওয়াকিবহাল এবং সচেতন।
সরকারকে উৎখাত করার চেষ্টা করছিল তারা। তার সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করছি।’ সুমাইয়া জাফরিনের পক্ষে তার আইনজীবী মোর্শেদ আলম শাহীন রিমান্ড আবেদন বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।
শুনানিতে তিনি বলেন, ‘বাদী মামলায় সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন এ ঘটনার সঙ্গে কে বা কারা জড়িত। সরকার এতো দুর্বল না, বৈঠক করলো আর উৎখাত হয়ে গেল। মামলার এজাহারে তার নাম নাই। গত ১১ জুলাই মামলা আর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৬ আগস্ট। সন্ধিগ্ধ আসামি। কোনো আসামি ১৬৪, ১৬১-এ নাম বলেনি।
‘কোনো আসামি রিমান্ডেও তার নাম বলেনি। সন্ধিগ্ধ হিসেবে গ্রেপ্তার করতে হলে ১৬৪, ১৬১ এ নাম থাকতে হবে। সুস্পষ্ট কারণ ছাড়া কাউকে গ্রেপ্তার করা যাবে না। তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্যও না। আর তিনি যদি অন্যায় করে থাকেন, তা তদন্তে আসবে।’
এরপর আদালতের অনুমতি নিয়ে কথা বলেন সুমাইয়া জাফরিন। তিনি বলেন,‘কে বি কনভেনশন হলে এএসপি পরিচয়ে অন্য কেউ ঢুকেছে। কিন্তু আমার নামে দোষ চাপানো হচ্ছে। কে বি কনভেনশন হলে আগে থেকে সবকিছু অ্যারেঞ্জ করা ছিল। আমি আমার স্বামীর সঙ্গে ওখানে গিয়েছিলাম। ‘ওখানে কী ধরনের কাজ হচ্ছি তা সম্পর্কে আমার জানা ছিল না। কিছু জানার থাকলে আমাকে জিজ্ঞাস করতে পারেন। আমাকে রিমান্ড দিয়েন না স্যার (বিচারক)। আমি কোনো অন্যায় করিনি।’ পরে আদালত তার পাঁচ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেয়।
ভাটারা থানার এসআই জ্যোতির্ময় মণ্ডল গত ১৩ জুলাই সন্ত্রাসবিরোধী আইনে এ মামলা দায়ের করেন। এতে সুমাইয়াসহ মোট ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।