রাজধানীর তেজগাঁও কলেজে মারধরের শিকার হওয়া দুই শিক্ষার্থীকে নিজেদের কর্মী দাবি করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপি। তবে ছাত্রদেলের নেতারা বলছেন, ওই দুই শিক্ষার্থী এতদিন ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছেন। কিন্তু ৫ আগস্টের পর তারা ‘বৈষম্যবিরোধী বনে গেছেন’। এ ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কলেজ এলাকায় পাল্টাপাল্টি মিছিল করেছে ছাত্রদল ও এনসিপি।
ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানার ওসি ইমাউল হক বলেন ,‘বিকেলে দুই শিক্ষার্থীকে মারধর ও হেনস্তা করে কয়েকজন শিক্ষার্থী আটকে রেখেছে বলে আমাদের কাছে খবর আসে। ‘আমরা লোকবল নিয়ে ক্যাম্পাসে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এনসিপির একজন এসে তাদের নিজেদের কর্মী বলে দাবি করেন।’ এখনও এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি বলে জানান ওসি।
এনসিপির কেন্দ্রীয় সংগঠক ও ঢাকা মহানগর উত্তরের প্রধান সমন্বয়কারী মুনতাসির মাহমুদ বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনে আমাদের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়া তেজগাঁও কলেজের দুইজন বর্তমান শিক্ষার্থী সুমন ও রাফসানের ওপর হামলা ও তাদের অবরুদ্ধ করে হেনস্তা করেছে ছাত্রদল। ‘তারা প্রিন্সিপাল ম্যাডামের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন, সেখান থেকে তাদের সুকৌশলে নিয়ে এসে প্রথমে সাত নম্বর ভবনের সামনে, পরে অডিটোরামের পাশে মারধর করা হয়।’
তিনি বলেন, ‘মারধর করে তাদের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে অডিটোরিয়ামের ওই খানে অবরুদ্ধ করে রাখে ছাত্রদলের লোকজন। পরে আমরা খবর দিলে পুলিশ এসে তাদের মুক্ত করে। ছাত্রদল এখন তাদের ট্যাগ দেয়ার চেষ্টা করছে।’ তিনি বলেন,
‘কলেজ ক্যাম্পাসে ৯০টির বেশি সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। তবে প্রথমে আমরা কলেজ প্রশাসনের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে জানানো হয় ঘটনাস্থলে তাদের কোনো সিসিটিভি নেই। পরে আমরা সেসব স্থানে সিসিটিভি ক্যামেরা দেখতে পাই। তবে সিসিটিভির নিয়ন্ত্রণ কক্ষে গিয়ে দেখি, যেসব জায়গায় মারধর করেছে, সেসব জায়গার ক্যামেরা বন্ধ।’
ওই দুই শিক্ষার্থী এনসিপির কোনো কমিটিতে আছে কিনা জানতে চাইলে মুনতাসির মাহমুদ বলেন, ‘এনসিপি রাজনৈতিক দল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীক কমিটি দেয়ার কোনো পরিকল্পনা আমাদের (এনসিপির) নেই। কিন্তু যাদের মারধর ও হেনস্তা করা হয়েছে, তারা জুলাই অভ্যুত্থানে আমাদের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন।’ ‘আমরা এ ঘটনার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই, আমরা রাতে এর প্রতিবাদে মিছিল করেছি। আমরা এ ঘটনায় মামলা করব।’
তবে মারধরের শিকার হওয়া দুই ছাত্রকে ছাত্রলীগের কর্মী বলে দাবি করেছেন তেজগাঁও কলেজ ছাত্রদলের সদ্য সাবেক কমিটির সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন খান। তিনি বলেন, ‘তারা এতদিন ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছে। কিন্তু ৫ আগস্টের পর তারা বৈষম্যবিরোধী বনে গেছেন।
‘কলেজ ছাত্রলীগ নেতা শান্তর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার একাধিক ছবি আছে। এসব ছবি নিয়ে কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা কয়েক দিন ধরেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব।’ ছাত্রলীগ কর্মীদের মারধর করার অধিকার ছাত্রদলের আছে কিনা জানতে চাইলে বেলাল হোসেন খান বলেন, ‘তাদের ওপর সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ। ওই দুইজন ছাত্রলীগ হিসেবে কলেজে পরিচিত। ক্যাম্পাসে দেখতে পেয়ে শিক্ষার্থীরা তাদের আটকায়। তখন সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রদলের কয়েক কর্মী ছিলেন।’
শুক্রবার, ০৮ আগস্ট ২০২৫
রাজধানীর তেজগাঁও কলেজে মারধরের শিকার হওয়া দুই শিক্ষার্থীকে নিজেদের কর্মী দাবি করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপি। তবে ছাত্রদেলের নেতারা বলছেন, ওই দুই শিক্ষার্থী এতদিন ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছেন। কিন্তু ৫ আগস্টের পর তারা ‘বৈষম্যবিরোধী বনে গেছেন’। এ ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কলেজ এলাকায় পাল্টাপাল্টি মিছিল করেছে ছাত্রদল ও এনসিপি।
ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানার ওসি ইমাউল হক বলেন ,‘বিকেলে দুই শিক্ষার্থীকে মারধর ও হেনস্তা করে কয়েকজন শিক্ষার্থী আটকে রেখেছে বলে আমাদের কাছে খবর আসে। ‘আমরা লোকবল নিয়ে ক্যাম্পাসে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এনসিপির একজন এসে তাদের নিজেদের কর্মী বলে দাবি করেন।’ এখনও এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি বলে জানান ওসি।
এনসিপির কেন্দ্রীয় সংগঠক ও ঢাকা মহানগর উত্তরের প্রধান সমন্বয়কারী মুনতাসির মাহমুদ বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনে আমাদের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়া তেজগাঁও কলেজের দুইজন বর্তমান শিক্ষার্থী সুমন ও রাফসানের ওপর হামলা ও তাদের অবরুদ্ধ করে হেনস্তা করেছে ছাত্রদল। ‘তারা প্রিন্সিপাল ম্যাডামের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন, সেখান থেকে তাদের সুকৌশলে নিয়ে এসে প্রথমে সাত নম্বর ভবনের সামনে, পরে অডিটোরামের পাশে মারধর করা হয়।’
তিনি বলেন, ‘মারধর করে তাদের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে অডিটোরিয়ামের ওই খানে অবরুদ্ধ করে রাখে ছাত্রদলের লোকজন। পরে আমরা খবর দিলে পুলিশ এসে তাদের মুক্ত করে। ছাত্রদল এখন তাদের ট্যাগ দেয়ার চেষ্টা করছে।’ তিনি বলেন,
‘কলেজ ক্যাম্পাসে ৯০টির বেশি সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। তবে প্রথমে আমরা কলেজ প্রশাসনের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে জানানো হয় ঘটনাস্থলে তাদের কোনো সিসিটিভি নেই। পরে আমরা সেসব স্থানে সিসিটিভি ক্যামেরা দেখতে পাই। তবে সিসিটিভির নিয়ন্ত্রণ কক্ষে গিয়ে দেখি, যেসব জায়গায় মারধর করেছে, সেসব জায়গার ক্যামেরা বন্ধ।’
ওই দুই শিক্ষার্থী এনসিপির কোনো কমিটিতে আছে কিনা জানতে চাইলে মুনতাসির মাহমুদ বলেন, ‘এনসিপি রাজনৈতিক দল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীক কমিটি দেয়ার কোনো পরিকল্পনা আমাদের (এনসিপির) নেই। কিন্তু যাদের মারধর ও হেনস্তা করা হয়েছে, তারা জুলাই অভ্যুত্থানে আমাদের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন।’ ‘আমরা এ ঘটনার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই, আমরা রাতে এর প্রতিবাদে মিছিল করেছি। আমরা এ ঘটনায় মামলা করব।’
তবে মারধরের শিকার হওয়া দুই ছাত্রকে ছাত্রলীগের কর্মী বলে দাবি করেছেন তেজগাঁও কলেজ ছাত্রদলের সদ্য সাবেক কমিটির সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন খান। তিনি বলেন, ‘তারা এতদিন ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছে। কিন্তু ৫ আগস্টের পর তারা বৈষম্যবিরোধী বনে গেছেন।
‘কলেজ ছাত্রলীগ নেতা শান্তর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার একাধিক ছবি আছে। এসব ছবি নিয়ে কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা কয়েক দিন ধরেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব।’ ছাত্রলীগ কর্মীদের মারধর করার অধিকার ছাত্রদলের আছে কিনা জানতে চাইলে বেলাল হোসেন খান বলেন, ‘তাদের ওপর সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ। ওই দুইজন ছাত্রলীগ হিসেবে কলেজে পরিচিত। ক্যাম্পাসে দেখতে পেয়ে শিক্ষার্থীরা তাদের আটকায়। তখন সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রদলের কয়েক কর্মী ছিলেন।’