বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমেদ অভিযোগ করে বলেছেন, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করার চেষ্টা করছে এবং জনগণের আত্মত্যাগকে ভুলিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকে বিলম্বিত করতে দলটি এখন পিআর পদ্ধতির বাণী আওড়াচ্ছে।’ এসব নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র হতে পারে বলে আশঙ্কা তার।
শুক্রবার,(৮ আগস্ট ২০২৫) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। ‘গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি: দ্রুত বিচার সম্পন্ন, মৌলিক সংস্কার ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে অগ্নিসেনা সোশ্যাল ফাউন্ডেশন ও আমাদের নতুন বাংলাদেশ।
জামায়াতের বিরুদ্ধে ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগ তুলে সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী নতুন নতুন তত্ত্ব নিয়ে হাজির হচ্ছে। জামায়াত নেতারা জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে এমন মন্তব্য করেছেন যা থেকে
মনে হয় বাংলাদেশের মানুষ ইতিহাস ভুলে গেছে।’ তিনি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা এবং ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ উভয়েরই বিরোধিতা করেছিল।’ হাফিজ উদ্দিনের মতে, ইতিহাস নিয়ে জামায়াতের এই অবস্থান জাতির জন্য হুমকিস্বরূপ।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে হাফিজ বলেন, ‘কিছু রাজনৈতিক দল নিজেদের জামানত বাতিলের ভয়ে নির্বাচন বিলম্বিত করার জন্য আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতির কথা বলছে।’ এগুলো নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র হতে পারে বলে শঙ্কা তার। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘দেশের সাধারণ মানুষ পিআর পদ্ধতি বোঝে না এবং তারা সরাসরি তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে চায়।’ তার মতে, বিদ্যমান পদ্ধতিতেই আগামী জাতীয় নির্বাচন হওয়া উচিত।
হাফিজ আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত থেকে নির্বাচন বানচালের জন্য সহিংসতা সৃষ্টির চক্রান্ত করতে পারেন।’ দেশবাসীকে এ বিষয়ে সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর পার হলেও পুলিশ বাহিনীর কোনো সংস্কার না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেন তিনি। হাফিজ বলেন, ‘পুলিশ বাহিনীকে পেটোয়া বাহিনী হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল এবং দেশকে একটি পুলিশ স্টেটে পরিণত করা হয়েছিল।’ এই পুলিশ বাহিনীকে দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব কিনা, তা নিয়ে তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেন। র্যাবকে নির্বাচনে দায়িত্ব দেয়ার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেতৃত্বাধীন কমিটি র?্যাব বিলুপ্তির সুপারিশ করেছিল।’
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ও তার সহকর্মীরা কৃতি হলেও রাজনীতিতে অনভিজ্ঞ বলে মন্তব্য করেন হাফিজ। তবে ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দেয়ায় তিনি ইউনূসকে ধন্যবাদ জানান।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মনিরুজ্জামান এবং রেজাবুদ্দৌলা চৌধুরী। সভায় সভাপতিত্ব করেন অগ্নিসেনা সোশ্যাল ফাউন্ডেশনের সভাপতি জহিরুল হক।
শুক্রবার, ০৮ আগস্ট ২০২৫
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমেদ অভিযোগ করে বলেছেন, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করার চেষ্টা করছে এবং জনগণের আত্মত্যাগকে ভুলিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকে বিলম্বিত করতে দলটি এখন পিআর পদ্ধতির বাণী আওড়াচ্ছে।’ এসব নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র হতে পারে বলে আশঙ্কা তার।
শুক্রবার,(৮ আগস্ট ২০২৫) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। ‘গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি: দ্রুত বিচার সম্পন্ন, মৌলিক সংস্কার ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে অগ্নিসেনা সোশ্যাল ফাউন্ডেশন ও আমাদের নতুন বাংলাদেশ।
জামায়াতের বিরুদ্ধে ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগ তুলে সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী নতুন নতুন তত্ত্ব নিয়ে হাজির হচ্ছে। জামায়াত নেতারা জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে এমন মন্তব্য করেছেন যা থেকে
মনে হয় বাংলাদেশের মানুষ ইতিহাস ভুলে গেছে।’ তিনি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা এবং ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ উভয়েরই বিরোধিতা করেছিল।’ হাফিজ উদ্দিনের মতে, ইতিহাস নিয়ে জামায়াতের এই অবস্থান জাতির জন্য হুমকিস্বরূপ।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে হাফিজ বলেন, ‘কিছু রাজনৈতিক দল নিজেদের জামানত বাতিলের ভয়ে নির্বাচন বিলম্বিত করার জন্য আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতির কথা বলছে।’ এগুলো নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র হতে পারে বলে শঙ্কা তার। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘দেশের সাধারণ মানুষ পিআর পদ্ধতি বোঝে না এবং তারা সরাসরি তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে চায়।’ তার মতে, বিদ্যমান পদ্ধতিতেই আগামী জাতীয় নির্বাচন হওয়া উচিত।
হাফিজ আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত থেকে নির্বাচন বানচালের জন্য সহিংসতা সৃষ্টির চক্রান্ত করতে পারেন।’ দেশবাসীকে এ বিষয়ে সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর পার হলেও পুলিশ বাহিনীর কোনো সংস্কার না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেন তিনি। হাফিজ বলেন, ‘পুলিশ বাহিনীকে পেটোয়া বাহিনী হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল এবং দেশকে একটি পুলিশ স্টেটে পরিণত করা হয়েছিল।’ এই পুলিশ বাহিনীকে দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব কিনা, তা নিয়ে তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেন। র্যাবকে নির্বাচনে দায়িত্ব দেয়ার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেতৃত্বাধীন কমিটি র?্যাব বিলুপ্তির সুপারিশ করেছিল।’
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ও তার সহকর্মীরা কৃতি হলেও রাজনীতিতে অনভিজ্ঞ বলে মন্তব্য করেন হাফিজ। তবে ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দেয়ায় তিনি ইউনূসকে ধন্যবাদ জানান।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মনিরুজ্জামান এবং রেজাবুদ্দৌলা চৌধুরী। সভায় সভাপতিত্ব করেন অগ্নিসেনা সোশ্যাল ফাউন্ডেশনের সভাপতি জহিরুল হক।