alt

জাতীয়

ভয়াবহ ভাঙনে নিঃস্ব শরণখোলার শত শত ‘পরিবার’

মানচিত্র থেকে হারিয়ে যেতে পারে দক্ষিণের উপকূলীয় শরণখোলার জনপদ

প্রতিনিধি, শরণখোলা : শুক্রবার, ০৮ আগস্ট ২০২৫

বাগেরহাট জেলার উপকূলীয় উপজেলা শরণখোলায় ভয়াবহ নদীভাঙনের কারণে শতশত মানুষ নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। ভাঙনের তীব্রতায় ইতোমধ্যেই রিং বাঁধসহ শত বিঘা আবাদি জমি, বসতঘর, গাছপালা এবং স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের শরণখোলা বাজার থেকে তেড়াবেকা, চালিতাবুনিয়া ও বগী এলাকা পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার রিং বাঁধের বিভিন্ন পয়েন্টে ধসে পড়ছে। নদীর পানির তীব্র স্রোতে প্রতিনিয়ত ভাঙন সৃষ্টি করে নতুন নতুন এলাকা গ্রাস করছে।

ভুক্তভোগী মো. হালিম, মো. ইউসুফ, রহিমা বেগম ও জাহানারা বেগম জানান, আমাদের জমি-জমা, বসতঘর, গাছপালা সব নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। এখন পরিবার নিয়ে আতঙ্কে আছি, ভাঙনের পাশে কোনো রকম ছাপড়া দিয়ে বসবাস করছি। কখন আবার নদীর ভয়াবহ ভাঙন আরও এগিয়ে আসে এই দুশ্চিন্তা সারাক্ষণ।

স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে নদীভাঙন তীব্র রূপ নিলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড কিংবা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থায়ী কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। মাঝে মাঝে ভাঙনকবলিত অংশে সাময়িক সংস্কার কাজ হলেও তা কার্যকর হয়নি।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতারা বলেন, পরিস্থিতি এখন চরমে। দ্রুত টেকসই রিংবাঁধ নির্মাণ না হলে অচিরেই বিস্তীর্ণ জনপদ মানচিত্র থেকে মুছে যেতে পারে।

স্থানীয়রা আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে নদীগুলোর প্রবাহ ও পানির তীব্রতা আগের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী হচ্ছে। ফলে প্রতিবছর উপকূলীয় অঞ্চলের নদীবাঁধ ও জনপদ মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়ছে। সময়মতো টেকসই প্রতিরোধ ব্যবস্থা না নিলে ভবিষৎতে শরণখোলার

মতো আরও অনেক জনপদ বিলীন হয়ে যেতে পারে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুদীপ্ত কুমার সিংহ বলেন, বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার সহায়তায় পূর্বে যেভাবে সংস্কার করা হয়েছিল, এবারও প্রয়োজনে স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে রিংবাঁধ মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হবে।

ছবি

চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে রাজধানীতে ৭০৭ মামলা, গ্রেপ্তার ৫,০৭৯ জন

ছবি

কর্মচারীকে মালিক সাজিয়ে ৪৮ কোটি টাকা লোপাট

ছবি

৩ বিভাগে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

ছবি

ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ১৯০ জন

ছবি

চাঁদপুরে কম দামে মিলছে সাগরের ইলিশ, অপরিবর্তিত পদ্মা-মেঘনার বড় ইলিশ

ছবি

‘হিট প্রকল্পে’ অনিয়ম ও পক্ষপাতের অভিযোগ শাবিপ্রবির শিক্ষকদের

ছবি

রাজনীতি নিষিদ্ধ সত্ত্বেও ছাত্রদলের একযোগে ১৮ হল কমিটি

ছবি

বেগমগঞ্জে জলাবদ্ধতা: পানিবন্দী এখনও হাজারো পরিবার

ছবি

পার্বত্য চট্টগ্রামের ১০০ স্কুলে শিগগির স্টারলিংক ইন্টারনেট চালু

ছবি

কলকাতায় আওয়ামী লীগের ‘পার্টি অফিস’, চলছে ‘কার্যক্রম’

ছবি

লালবাগে বাসার নিচ থেকে রক্তাক্ত কলেজ ছাত্রকে উদ্ধার, পরে মৃত্যু

ছবি

জামায়াত কি ‘বিএনপিবিরোধী’ জোট গঠনে নেমেছে?

ছবি

পিআর পদ্ধতি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র হতে পারে, সন্দেহ হাফিজের

ছবি

তেজগাঁও কলেজে ছাত্রদলের বিরুদ্ধে এনসিপি কর্মীদের মারধরের অভিযোগ

ছবি

কোপানোর ‘ভিডিও ধারণ করায়’ খুন হন সাংবাদিক তুহিন

ছবি

আগামী সপ্তাহে জুলাই সনদ ‘বাস্তবায়ন’ নিয়ে আবার বসবে ঐকমত্য কমিশন

তামাবিল দিয়ে ভারত থেকে দেশে ফিরলেন ২২ বাংলাদেশি

ছবি

সকাল থেকেই বৃষ্টি, ভারী বর্ষণের শঙ্কা তিন বিভাগে

ছবি

তিস্তার ভাঙন: দিশেহারা পীরগাছাবাসী, একপাশে জিও ব্যাগ, অন্যদিকে ড্রেজিং!

‘অসম্পূর্ণ’ জুলাই ঘোষণাপত্রের ‘নীরব প্রতিবাদেই’ কক্সবাজার: হাসনাত

কুড়িগ্রামে তরুণী ধর্ষণ, মূল আসামি বাপ্পী গ্রেপ্তার

গবেষণা: পাঁচশ’ শিশুর সবার রক্তেই সিসা!

এএসপি পরিচয়ে কে বি কনভেনশনে ঢুকেছে অন্য কেউ: সুমাইয়া

‘রাজনীতির ভবিষ্যৎ ভাবতে’ সাগর পাড়ে গিয়েছিলেন পাটওয়ারী

বেরোবির সাবেক উপাচার্য কলিমউল্লাহ কারাগারে

ছবি

বিপর্যস্ত তথ্য আপা: ৭২ দিনের মাথায় স্বস্তির আশ্বাস দিলো সরকার

ছবি

মুক্তেশ্বরী নদী ভরাট করে প্লট বিক্রির সাইনবোর্ড!

ছবি

মানিলন্ডারিং : ১০ বছরের সাজা থেকে জি কে শামীম খালাস

কার্নিশে ঝুলে থাকা তরুণকে গুলি: ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল

ছবি

বক্তব্য শুনতে চাইলো আদালত, খায়রুল হক বললেন না কিছুই

ছবি

নির্বিচারে গ্রেপ্তার ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ‘পুনরাবৃত্তি’ দেখছে আসক

ইউনূস সরকারের এক বছরের ‘সাফল্য’ তুলে ধরলেন প্রেস সচিব

ছবি

ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল: ইসি সানাউল্লাহ

ছবি

অন্তর্বর্তী সরকারের দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু, প্রধান কাজ ‘সুন্দর’ নির্বাচন: মুহাম্মদ ইউনূস

গণঅভ্যুত্থানে নিহত অজ্ঞাত ছয়জনকে এক বছর পর দাফন

ছবি

বসুন্ধরায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ‘গোপন বৈঠক’: মেজর সাদিকুলের স্ত্রী জাফরিন ৫ দিনের রিমান্ডে

tab

জাতীয়

ভয়াবহ ভাঙনে নিঃস্ব শরণখোলার শত শত ‘পরিবার’

মানচিত্র থেকে হারিয়ে যেতে পারে দক্ষিণের উপকূলীয় শরণখোলার জনপদ

প্রতিনিধি, শরণখোলা

শুক্রবার, ০৮ আগস্ট ২০২৫

বাগেরহাট জেলার উপকূলীয় উপজেলা শরণখোলায় ভয়াবহ নদীভাঙনের কারণে শতশত মানুষ নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। ভাঙনের তীব্রতায় ইতোমধ্যেই রিং বাঁধসহ শত বিঘা আবাদি জমি, বসতঘর, গাছপালা এবং স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের শরণখোলা বাজার থেকে তেড়াবেকা, চালিতাবুনিয়া ও বগী এলাকা পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার রিং বাঁধের বিভিন্ন পয়েন্টে ধসে পড়ছে। নদীর পানির তীব্র স্রোতে প্রতিনিয়ত ভাঙন সৃষ্টি করে নতুন নতুন এলাকা গ্রাস করছে।

ভুক্তভোগী মো. হালিম, মো. ইউসুফ, রহিমা বেগম ও জাহানারা বেগম জানান, আমাদের জমি-জমা, বসতঘর, গাছপালা সব নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। এখন পরিবার নিয়ে আতঙ্কে আছি, ভাঙনের পাশে কোনো রকম ছাপড়া দিয়ে বসবাস করছি। কখন আবার নদীর ভয়াবহ ভাঙন আরও এগিয়ে আসে এই দুশ্চিন্তা সারাক্ষণ।

স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে নদীভাঙন তীব্র রূপ নিলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড কিংবা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থায়ী কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। মাঝে মাঝে ভাঙনকবলিত অংশে সাময়িক সংস্কার কাজ হলেও তা কার্যকর হয়নি।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতারা বলেন, পরিস্থিতি এখন চরমে। দ্রুত টেকসই রিংবাঁধ নির্মাণ না হলে অচিরেই বিস্তীর্ণ জনপদ মানচিত্র থেকে মুছে যেতে পারে।

স্থানীয়রা আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে নদীগুলোর প্রবাহ ও পানির তীব্রতা আগের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী হচ্ছে। ফলে প্রতিবছর উপকূলীয় অঞ্চলের নদীবাঁধ ও জনপদ মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়ছে। সময়মতো টেকসই প্রতিরোধ ব্যবস্থা না নিলে ভবিষৎতে শরণখোলার

মতো আরও অনেক জনপদ বিলীন হয়ে যেতে পারে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুদীপ্ত কুমার সিংহ বলেন, বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার সহায়তায় পূর্বে যেভাবে সংস্কার করা হয়েছিল, এবারও প্রয়োজনে স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে রিংবাঁধ মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হবে।

back to top