দেশের সড়ক ব্যবস্থাকে নিরাপদ করতে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদি রূপরেখা দিয়েছে রোড সেইফটি ফাউন্ডেশন। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এ রূপরেখা তুলে ধরেন সংগঠনের চেয়ারম্যান এ আই মাহবুব উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে দীর্ঘ ৫৪ বছরেও টেকসই পরিবহন কৌশল বাস্তবায়ন না করার কারণে সড়ক পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হয়নি। গড়ে ওঠেনি নিরাপদ জনবান্ধব গণপরিবহন ব্যবস্থা।
স্বাধীন বাংলাদেশে ৩৪ হাজার ৮৯৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৭ হাজার ৩৮২ জন নিহত এবং ৫৯ হাজার ৫৯৭ জন আহত হয়েছে জানিয়ে মাহবুব উদ্দিন বলেন, ‘বর্তমানে সড়ক পরিবহন ব্যবস্থা পূর্বের ধারাবাহিকতায় একেবারে ভেঙে পড়েছে।
‘এই প্রেক্ষাপটে আমরা মনে করি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখনও যদি সড়ক ব্যবস্থাপনা সংস্কার কমিশন গঠনের মাধ্যমে কিছু সুপারিশ বাস্তবায়ন করে বাকিটা পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের জন্য রেখে যায়, তাহলেও পরিস্থিতি উন্নতির একটি সুযোগ থাকবে।’
জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিল পুনর্গঠন
বিদ্যমান জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিল সড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় কার্যকর কোনো ভূমিকা রাখেনি। এ কারণে প্রধান বিচারপতিকে প্রধান করে এ কাউন্সিল পুনর্গঠনের প্রস্তাব করেছে ফাউন্ডেশন। বিআরটিএ, বিআরটিসি ও ডিটিসিএ’তে কারিগরি বিশেষজ্ঞদের নিয়োগ বিআরটিএ, বিআরটিসি ও ডিটিসিএ হচ্ছে পরিবহন খাতের বিশেষায়িত কারিগরি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু এসব প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পদে প্রায়ই প্রশাসন ক্যাডার থেকে এমন কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়, যাদের সড়ক ও মোটরযান বিষয়ে কারিগরি জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা থাকে না।
ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষায় সড়ক-সম্পর্কিত প্রশ্ন রাখা
বিদ্যমান ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার বেশিরভাগ প্রশ্নই যানবাহন সম্পর্কিত। ফলে লাইসেন্সপ্রাপ্ত অনেক চালক সড়ক সম্পর্কিত বিভিন্ন পরিস্থিতি মোকাবেলায় অদক্ষ থাকেন এবং দুর্ঘটনার শিকার হন। এ কারণে ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার বেশির ভাগ প্রশ্ন সড়ক সম্পর্কিত করার প্রস্তাব দিয়েছে রোড সেইফটি ফাউন্ডেশন।
ডাম্পিং নীতিমালা
যানবাহনের আয়ুকাল ও ডাম্পিং স্টেশন বিষয়ে নীতিমালা তৈরি করতে হবে।
সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন খসড়া সড়ক নিরাপত্তা আইনকে দ্রুত চূড়ান্ত করার প্রস্তাব রেখেছে রোড সেইফটি ফাউন্ডেশন।
ট্রাফিক ও পার্কিং
ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন
সড়ক নিরাপত্তা ও যান চলাচলের শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাগুলোকে নিজম্ব পরিকল্পনা ও উদ্যোগে রোড ম্যানেজমেন্ট এবং পার্কিং ম্যানেজমেন্ট ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও উন্নত করতে হবে।
সচেতনতা কার্যক্রমের জন্য আলাদা বরাদ্দ
জাতীয় বাজেটে সড়ক নিরাপত্তায় শিক্ষা-সচেতনতা খাতের জন্য আলাদা অর্থনৈতিক কোড সৃষ্টি করে সড়ক নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ খাতের বরাদ্দ থেকে শতকরা ৩ হারে বরাদ্দের প্রস্তাব দিয়েছে রোড সেইফটি ফাউন্ডেশন।
ট্রাস্ট ফান্ডে ফি বছর ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ
ট্রাস্ট ফান্ড থেকে আর্থিক সহযোগিতা হিসেবে- দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলে ৫ লাখ টাকা, অঙ্গহানি হলে ৩ লাখ টাকা এবং সুস্থ জীবনে ফেরার সম্ভাবনা না থাকলে ১ লাখ টাকা দেওয়ার বিধান রয়েছে। আর্থিক সহযোগিতা পেতে হলে দুর্ঘটনার ৩০ দিনের মধ্যে ট্রাস্টি বোর্ডে আবেদন করতে হয়। এ বিষয়ে ব্যাপক প্রচার চালানোর দাবি জানিয়ে রোড সেইফটি ফাউন্ডেশন বলছে, ট্রাস্ট ফান্ডের জন্য বছরে ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিতে হবে সরকারকে।
প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ
বিসিএস ক্যাডারের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা জনপ্রশাসন পরিচালনা ও নীতিমালা বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এ কারণে সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে তাদের জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ জরুরি বলে মনে করে রোড সেইফটি ফাউন্ডেশন।
নিরাপত্তা প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি
ইন্টিগ্রেটেড ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম, গ্লোবাল প্ল্যানিং সিস্টেম, সার্ভিলেন্স ক্যামেরা ও রোড ট্রাফিক সেইফটি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বাধ্যতামূলকভাবে চালু করা প্রয়োজন, যা সড়ক নিরাপত্তা, সময়োপযোগী তদারকি ও জবাবাদিহিতা নিশ্চিত করবে।
মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহন দ্রুত প্রত্যাহার
এমন যানবাহনের মাধ্যমে প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনা হচ্ছে জানিয়ে রোড সেইফটি ফাউন্ডেশন একে ‘কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড’ বলে বর্ণনা করছে। সড়ক থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহন দ্রুত প্রত্যাহারের প্রস্তাব করেছে সংগঠনটি। পাশাপাশি নতুন যানবাহন কেনার জন্য মালিকদের সহজ শর্তে ঋণ প্রদানের সুস্পষ্ট নীতিমালা প্রণয়নের প্রস্তাব তাদের।
ঢাকায় কোম্পানি ভিত্তিক বাস সেবার প্রস্তাব
ঢাকার গণপরিবহনে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার জন্য রুট রেশনালাইজেশনের মাধ্যমে কোম্পানি ভিত্তিক বাস সেবা চালুর প্রস্তাব রেখেছে রোড সেইফটি ফাউন্ডেশন। এ ব্যবস্থায় গণপরিবহনে চাঁদাবাজি এবং সড়কে যাত্রী ওঠানোর প্রতিযোগিতা বন্ধ হবে বলে মনে করে তারা।
শিক্ষার্থীদের জন্য বাস সেবা
রোড সেইফটি ফাউন্ডেশন বলছে, রাজধানীর স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য সকালে ও দুপুরে হাজার হাজার প্রাইভেটকার রাস্তায় চলে। তাতে শহরজুড়ে অসহনীয় যানজট ছড়িয়ে পড়ে। এ পরিস্থিতি উত্তরণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য নিজস্ব বাস সেবা চালুর প্রস্তাব রেখেছে সংগঠনটি।
বাইকের গতি নিয়ন্ত্রণ
মোটরসাইকেলের গতি কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ, মানসম্মত হেলমেট ব্যবহার নিশ্চিতকরণ, অপ্রাপ্তবয়স্কদের মোটরসাইকেল চালানো নিরুৎসাহিত করতে আইনের কঠোর প্রয়োগ এবং সংবাদমাধ্যম ও সোশাল মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচারের প্রস্তাব রেখেছে রোড সেইফটি ফাউন্ডেশন।
হাইড্রোলিক পার্কিং স্টেশন তৈরি
রোড সেইফটি ফাউন্ডেশন বলছে, রাজধানীর আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনে পার্কিং ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। এ সমস্যা সমাধানে ঢাকায় বহুতল বিশিষ্ট হাইড্রোলিক পার্কিং স্টেশন তৈরি করার প্রস্তাব দিয়েছে সংগঠনটি।
ছোট যানের নিয়ন্ত্রণ
দেশজুড়ে শহর-গ্রামে আধুনিক নিরাপদ যানবাহন ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি জানিয়ে রোড সেইফটি বলছে, প্রয়োজনের তাগিদেই অটোরিকশা, নসিমন, ভটভটির মতো অনিরাপদ ছোট যানবাহনের প্রচলন ঘটেছে। এসব যানবাহনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত করে নিবন্ধন, চালকদের স্বল্পমেয়াদি প্রশিক্ষণ এবং ছোট-স্বল্পগতির যানবাহনের জন্য নিরাপদ সড়কের নকশা করার প্রস্তাব দিয়েছে তারা। গ্রামীণ সড়কে ভালো বাস সেবা চালু করা যেতে পারে বলে মনে করে সংগঠনটি।
অভিন্ন যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব
সড়ক, রেল ও নৌ পরিবহনের সমন্বয়ে অভিন্ন যোগাযোগ মন্ত্রণালয় গঠনের প্রস্তাব রেখেছে রোড সেইফটি ফাউন্ডেশন।
রোববার, ১০ আগস্ট ২০২৫
দেশের সড়ক ব্যবস্থাকে নিরাপদ করতে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদি রূপরেখা দিয়েছে রোড সেইফটি ফাউন্ডেশন। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এ রূপরেখা তুলে ধরেন সংগঠনের চেয়ারম্যান এ আই মাহবুব উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে দীর্ঘ ৫৪ বছরেও টেকসই পরিবহন কৌশল বাস্তবায়ন না করার কারণে সড়ক পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হয়নি। গড়ে ওঠেনি নিরাপদ জনবান্ধব গণপরিবহন ব্যবস্থা।
স্বাধীন বাংলাদেশে ৩৪ হাজার ৮৯৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৭ হাজার ৩৮২ জন নিহত এবং ৫৯ হাজার ৫৯৭ জন আহত হয়েছে জানিয়ে মাহবুব উদ্দিন বলেন, ‘বর্তমানে সড়ক পরিবহন ব্যবস্থা পূর্বের ধারাবাহিকতায় একেবারে ভেঙে পড়েছে।
‘এই প্রেক্ষাপটে আমরা মনে করি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখনও যদি সড়ক ব্যবস্থাপনা সংস্কার কমিশন গঠনের মাধ্যমে কিছু সুপারিশ বাস্তবায়ন করে বাকিটা পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের জন্য রেখে যায়, তাহলেও পরিস্থিতি উন্নতির একটি সুযোগ থাকবে।’
জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিল পুনর্গঠন
বিদ্যমান জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিল সড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় কার্যকর কোনো ভূমিকা রাখেনি। এ কারণে প্রধান বিচারপতিকে প্রধান করে এ কাউন্সিল পুনর্গঠনের প্রস্তাব করেছে ফাউন্ডেশন। বিআরটিএ, বিআরটিসি ও ডিটিসিএ’তে কারিগরি বিশেষজ্ঞদের নিয়োগ বিআরটিএ, বিআরটিসি ও ডিটিসিএ হচ্ছে পরিবহন খাতের বিশেষায়িত কারিগরি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু এসব প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পদে প্রায়ই প্রশাসন ক্যাডার থেকে এমন কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়, যাদের সড়ক ও মোটরযান বিষয়ে কারিগরি জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা থাকে না।
ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষায় সড়ক-সম্পর্কিত প্রশ্ন রাখা
বিদ্যমান ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার বেশিরভাগ প্রশ্নই যানবাহন সম্পর্কিত। ফলে লাইসেন্সপ্রাপ্ত অনেক চালক সড়ক সম্পর্কিত বিভিন্ন পরিস্থিতি মোকাবেলায় অদক্ষ থাকেন এবং দুর্ঘটনার শিকার হন। এ কারণে ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার বেশির ভাগ প্রশ্ন সড়ক সম্পর্কিত করার প্রস্তাব দিয়েছে রোড সেইফটি ফাউন্ডেশন।
ডাম্পিং নীতিমালা
যানবাহনের আয়ুকাল ও ডাম্পিং স্টেশন বিষয়ে নীতিমালা তৈরি করতে হবে।
সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন খসড়া সড়ক নিরাপত্তা আইনকে দ্রুত চূড়ান্ত করার প্রস্তাব রেখেছে রোড সেইফটি ফাউন্ডেশন।
ট্রাফিক ও পার্কিং
ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন
সড়ক নিরাপত্তা ও যান চলাচলের শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাগুলোকে নিজম্ব পরিকল্পনা ও উদ্যোগে রোড ম্যানেজমেন্ট এবং পার্কিং ম্যানেজমেন্ট ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও উন্নত করতে হবে।
সচেতনতা কার্যক্রমের জন্য আলাদা বরাদ্দ
জাতীয় বাজেটে সড়ক নিরাপত্তায় শিক্ষা-সচেতনতা খাতের জন্য আলাদা অর্থনৈতিক কোড সৃষ্টি করে সড়ক নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ খাতের বরাদ্দ থেকে শতকরা ৩ হারে বরাদ্দের প্রস্তাব দিয়েছে রোড সেইফটি ফাউন্ডেশন।
ট্রাস্ট ফান্ডে ফি বছর ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ
ট্রাস্ট ফান্ড থেকে আর্থিক সহযোগিতা হিসেবে- দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলে ৫ লাখ টাকা, অঙ্গহানি হলে ৩ লাখ টাকা এবং সুস্থ জীবনে ফেরার সম্ভাবনা না থাকলে ১ লাখ টাকা দেওয়ার বিধান রয়েছে। আর্থিক সহযোগিতা পেতে হলে দুর্ঘটনার ৩০ দিনের মধ্যে ট্রাস্টি বোর্ডে আবেদন করতে হয়। এ বিষয়ে ব্যাপক প্রচার চালানোর দাবি জানিয়ে রোড সেইফটি ফাউন্ডেশন বলছে, ট্রাস্ট ফান্ডের জন্য বছরে ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিতে হবে সরকারকে।
প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ
বিসিএস ক্যাডারের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা জনপ্রশাসন পরিচালনা ও নীতিমালা বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এ কারণে সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে তাদের জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ জরুরি বলে মনে করে রোড সেইফটি ফাউন্ডেশন।
নিরাপত্তা প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি
ইন্টিগ্রেটেড ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম, গ্লোবাল প্ল্যানিং সিস্টেম, সার্ভিলেন্স ক্যামেরা ও রোড ট্রাফিক সেইফটি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বাধ্যতামূলকভাবে চালু করা প্রয়োজন, যা সড়ক নিরাপত্তা, সময়োপযোগী তদারকি ও জবাবাদিহিতা নিশ্চিত করবে।
মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহন দ্রুত প্রত্যাহার
এমন যানবাহনের মাধ্যমে প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনা হচ্ছে জানিয়ে রোড সেইফটি ফাউন্ডেশন একে ‘কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড’ বলে বর্ণনা করছে। সড়ক থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহন দ্রুত প্রত্যাহারের প্রস্তাব করেছে সংগঠনটি। পাশাপাশি নতুন যানবাহন কেনার জন্য মালিকদের সহজ শর্তে ঋণ প্রদানের সুস্পষ্ট নীতিমালা প্রণয়নের প্রস্তাব তাদের।
ঢাকায় কোম্পানি ভিত্তিক বাস সেবার প্রস্তাব
ঢাকার গণপরিবহনে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার জন্য রুট রেশনালাইজেশনের মাধ্যমে কোম্পানি ভিত্তিক বাস সেবা চালুর প্রস্তাব রেখেছে রোড সেইফটি ফাউন্ডেশন। এ ব্যবস্থায় গণপরিবহনে চাঁদাবাজি এবং সড়কে যাত্রী ওঠানোর প্রতিযোগিতা বন্ধ হবে বলে মনে করে তারা।
শিক্ষার্থীদের জন্য বাস সেবা
রোড সেইফটি ফাউন্ডেশন বলছে, রাজধানীর স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য সকালে ও দুপুরে হাজার হাজার প্রাইভেটকার রাস্তায় চলে। তাতে শহরজুড়ে অসহনীয় যানজট ছড়িয়ে পড়ে। এ পরিস্থিতি উত্তরণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য নিজস্ব বাস সেবা চালুর প্রস্তাব রেখেছে সংগঠনটি।
বাইকের গতি নিয়ন্ত্রণ
মোটরসাইকেলের গতি কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ, মানসম্মত হেলমেট ব্যবহার নিশ্চিতকরণ, অপ্রাপ্তবয়স্কদের মোটরসাইকেল চালানো নিরুৎসাহিত করতে আইনের কঠোর প্রয়োগ এবং সংবাদমাধ্যম ও সোশাল মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচারের প্রস্তাব রেখেছে রোড সেইফটি ফাউন্ডেশন।
হাইড্রোলিক পার্কিং স্টেশন তৈরি
রোড সেইফটি ফাউন্ডেশন বলছে, রাজধানীর আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনে পার্কিং ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। এ সমস্যা সমাধানে ঢাকায় বহুতল বিশিষ্ট হাইড্রোলিক পার্কিং স্টেশন তৈরি করার প্রস্তাব দিয়েছে সংগঠনটি।
ছোট যানের নিয়ন্ত্রণ
দেশজুড়ে শহর-গ্রামে আধুনিক নিরাপদ যানবাহন ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি জানিয়ে রোড সেইফটি বলছে, প্রয়োজনের তাগিদেই অটোরিকশা, নসিমন, ভটভটির মতো অনিরাপদ ছোট যানবাহনের প্রচলন ঘটেছে। এসব যানবাহনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত করে নিবন্ধন, চালকদের স্বল্পমেয়াদি প্রশিক্ষণ এবং ছোট-স্বল্পগতির যানবাহনের জন্য নিরাপদ সড়কের নকশা করার প্রস্তাব দিয়েছে তারা। গ্রামীণ সড়কে ভালো বাস সেবা চালু করা যেতে পারে বলে মনে করে সংগঠনটি।
অভিন্ন যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব
সড়ক, রেল ও নৌ পরিবহনের সমন্বয়ে অভিন্ন যোগাযোগ মন্ত্রণালয় গঠনের প্রস্তাব রেখেছে রোড সেইফটি ফাউন্ডেশন।