রংপুরের মুচি সম্প্রদায়ের দুইজনকে পিটিয়ে হত্যা
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহিত
‘আমরা চোর নই, আমরা মুচি সম্প্রদায়ের লোক, জুতা-স্যান্ডেল সেলাই করি, আমাদের মারবেন না’- এইভাবে বারবার দুই হাত জোড় করে এবং কারও কারও পায়ে ধরে আকুতি জানিয়েছিলেন রূপলাল দাস ও তার ভাগ্নিজামাই প্রদীপ দাস। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। চোর অপবাদ দিয়ে তাদের নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘটনার ভিডিও ভাইরাল
মব জাস্টিস বন্ধ করে দায়ীদের চিহ্নিত করে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি
৫-৭ শত জনকে অজ্ঞাত আসামি করে হত্যা মামলা
ভিডিও দেখে ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় রাতে চারজনকে গ্রেপ্তার
এদিকে হাত জোড় করে বাঁচার আকুতি ও মারধর না করার অনুনয়-বিনয় করা একটি ভিডিও সোমবার,(১১ আগস্ট ২০২৫) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে রংপুরসহ সারাদেশে তোলপাড় শুরু হয়। ভিডিও দেখে অনেকে ঘটনাটিকে ‘মব জাস্টিস’ বলে আখ্যায়িত করে বলেন, এভাবে পিটিয়ে হত্যা করা চরম অমানবিক এবং মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন। তারা এই বীভৎস মব জাস্টিস বন্ধ করে দায়ীদের চিহ্নিত করে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান।
এই অমানবিক ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার রাতে রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের বুড়িরহাট এলাকায়। নিহত রূপলাল দাস (৪০) তারাগঞ্জ উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের ঘনিরামপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং প্রদীপ দাস রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার বালুয়াভাটা গ্রামের বাসিন্দা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, একটি ভ্যানে বসে আছেন রূপলাল দাস ও প্রদীপ দাস। তাদের ভ্যান আটকে কিছু মানুষ নানা প্রশ্ন করছেন এবং প্লাস্টিকের বস্তা খুলতে বলছেন। বস্তায় থাকা প্লাস্টিকের বোতলে বাংলা মদ দেখে মব সৃষ্টিকারীরা নানান প্রশ্নের পাশাপাশি তাদের মারধর শুরু করেন। কেউ ঘুষি মারছেন, কেউ লাথি মেরে ভ্যান থেকে ফেলে দিচ্ছেন। আবার ভ্যানে বসিয়ে উদ্ভট প্রশ্ন করছেন।
রূপলাল দাস বলেন, ‘আমরা মুচি সম্প্রদায়, আমার মেয়ের বিয়ে হবে। এজন্য আমাদের সম্প্রদায়ের প্রথা অনুযায়ী বাংলা মদ নিয়ে যাচ্ছি।’ এ সময় মেহেদী হাসান নামে এক যুবক বারবার তাদের মারধর না করার অনুরোধ জানাচ্ছিলেন এবং পুলিশকে খবর দেয়ার কথা বলে মবকে শান্ত করার চেষ্টা করছিলেন।
তখনও রূপলাল বলছিলেন, ‘আমি চোর না, ডাকাতও না। মুচি, তারাগঞ্জ বাজারে জুতা সেলাই করি।’ কিন্তু উপস্থিত এক ব্যক্তি উচ্চৈঃস্বরে বলেন, ‘তুই চোর, ডাকাতের বাপ।’ একপর্যায়ে রূপলাল প্রস্রাব করতে চাইলে মব ভেবে বসে যে তিনি পালাবেন, তাই তাকে নামতে দেয়া হয়নি। তখনই গণপিটুনি শুরু হয়। রূপলাল বারবার বলছিলেন, ‘আমাকে মারবেন না, বাঁচান, আমি চোর না।’ অবশেষে তিনি ভ্যান থেকে লুটিয়ে পড়েন।
তখনও ভ্যানে বসা ছিলেন প্রদীপ দাস। মব সৃষ্টিকারীদের কারও কণ্ঠে শোনা যায়, ‘শালারা মাল খেয়ে এসেছে, অভিনয় করছে।’ ভিডিওতে দেখা যায়, ভ্যানে থাকা বস্তা থেকে প্লাস্টিকের ছোট বোতল বের করে নাকের কাছে নিয়ে শুঁকছেন এক যুবক। কিছুক্ষণ পর তিনি বলে ওঠেন, ‘এ ভাই, দয়া করি আমাকে ধরো’- বলেই মাটিতে পড়ে যান। তাকে কোলে করে সরিয়ে নেয়া হয়। কিন্তু ততক্ষণে শতাধিক ব্যক্তি আবারও রূপলাল ও প্রদীপকে মারধর শুরু করে। তাদের আত্মচিৎকার ও বাঁচার আকুতি মব সৃষ্টিকারীদের মন গলাতে পারেনি; অব্যাহত থাকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন।
রাত ৯টার দিকে রূপলাল ও প্রদীপকে তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রূপলালকে মৃত ঘোষণা করেন এবং প্রদীপের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। গভীর রাতে তাকে হাসপাতালে নেয়ার পর গতকাল রোববার সকালে তিনিও মারা যান।
প্রত্যক্ষদর্শী শাহিন নামে এক যুবক জানান, রাত সাড়ে ৯টার দিকে খবর ছড়িয়ে পড়ে যে অজ্ঞান করে ভ্যান ছিনতাই করতে গিয়ে ধরা পড়েছে দুই চোর। গিয়ে দেখি শত শত মানুষের ভিড়। ভ্যানে বসা দুজন হাত জোড় করে প্রাণভিক্ষা চাইছেন, কিন্তু কেউ তাদের কথা শুনছে না। একপর্যায়ে তাদের পেটাতে পেটাতে বুড়িরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে দেখি তারা অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে আছেন।
বুড়িরহাট বাজারের এক ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ১০-১২ দিন আগে বুড়িরহাটে ১৫ বছরের এক কিশোরকে জবাই করে হত্যা ও ভ্যান ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনার পর ‘চোর ধরা পড়েছে’ গুজব ছড়িয়ে দুজনকে হত্যা করা হয়েছে। পরে জানা যায়, নিহতরা মুচি সম্প্রদায়ের এবং তাদের কাছে কয়েক বোতল বাংলা মদ পাওয়া গেছে। ‘মুচিরা বাংলা মদ খায়, কিন্তু তারা চোর বা ছিনতাইকারী নন’- বলেন ওই ব্যবসায়ী। ‘তাদের পরিচয় জানার পর মব জাস্টিসের নামে হত্যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
তারাগঞ্জ থানার ওসি এম এ ফারুখ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রূপলালকে মৃত এবং প্রদীপকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। গতকাল রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর লাশ নিয়ে এলাকাবাসী বিক্ষোভ করে, রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়ক অবরোধ করে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। দুই ঘণ্টা পর সেনাবাহিনী ও পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
গণপিটুনিতে দুজন নিহতের ঘটনায় বুড়িরহাট এলাকা পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে। সেনাবাহিনী ও পুলিশ সারাদিন ওই এলাকায় টহল দিয়েছে। বাজার ও আশপাশের গ্রাম প্রায় জনশূন্য, দোকানপাটও অধিকাংশ বন্ধ।
রূপলালের স্ত্রী ভারতী রানী গতকাল রোববার দুপুরে তারাগঞ্জ থানায় ৫-৭শত জনকে অজ্ঞাত আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন। ওসি এম এ ফারুখ জানান, ভিডিও ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় রাতে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন- সয়ার ইউনিয়নের বালাপুর গ্রামের এবাদত হোসেন (২৭), বুড়িরহাট এলাকার আখতারুল ইসলাম (৪৫), রফিকুল ইসলাম (৩৩) ও রহিমাপুরের মিজানুর রহমান (২২)। পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
রংপুরের মুচি সম্প্রদায়ের দুইজনকে পিটিয়ে হত্যা
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহিত
সোমবার, ১১ আগস্ট ২০২৫
‘আমরা চোর নই, আমরা মুচি সম্প্রদায়ের লোক, জুতা-স্যান্ডেল সেলাই করি, আমাদের মারবেন না’- এইভাবে বারবার দুই হাত জোড় করে এবং কারও কারও পায়ে ধরে আকুতি জানিয়েছিলেন রূপলাল দাস ও তার ভাগ্নিজামাই প্রদীপ দাস। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। চোর অপবাদ দিয়ে তাদের নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘটনার ভিডিও ভাইরাল
মব জাস্টিস বন্ধ করে দায়ীদের চিহ্নিত করে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি
৫-৭ শত জনকে অজ্ঞাত আসামি করে হত্যা মামলা
ভিডিও দেখে ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় রাতে চারজনকে গ্রেপ্তার
এদিকে হাত জোড় করে বাঁচার আকুতি ও মারধর না করার অনুনয়-বিনয় করা একটি ভিডিও সোমবার,(১১ আগস্ট ২০২৫) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে রংপুরসহ সারাদেশে তোলপাড় শুরু হয়। ভিডিও দেখে অনেকে ঘটনাটিকে ‘মব জাস্টিস’ বলে আখ্যায়িত করে বলেন, এভাবে পিটিয়ে হত্যা করা চরম অমানবিক এবং মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন। তারা এই বীভৎস মব জাস্টিস বন্ধ করে দায়ীদের চিহ্নিত করে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান।
এই অমানবিক ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার রাতে রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের বুড়িরহাট এলাকায়। নিহত রূপলাল দাস (৪০) তারাগঞ্জ উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের ঘনিরামপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং প্রদীপ দাস রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার বালুয়াভাটা গ্রামের বাসিন্দা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, একটি ভ্যানে বসে আছেন রূপলাল দাস ও প্রদীপ দাস। তাদের ভ্যান আটকে কিছু মানুষ নানা প্রশ্ন করছেন এবং প্লাস্টিকের বস্তা খুলতে বলছেন। বস্তায় থাকা প্লাস্টিকের বোতলে বাংলা মদ দেখে মব সৃষ্টিকারীরা নানান প্রশ্নের পাশাপাশি তাদের মারধর শুরু করেন। কেউ ঘুষি মারছেন, কেউ লাথি মেরে ভ্যান থেকে ফেলে দিচ্ছেন। আবার ভ্যানে বসিয়ে উদ্ভট প্রশ্ন করছেন।
রূপলাল দাস বলেন, ‘আমরা মুচি সম্প্রদায়, আমার মেয়ের বিয়ে হবে। এজন্য আমাদের সম্প্রদায়ের প্রথা অনুযায়ী বাংলা মদ নিয়ে যাচ্ছি।’ এ সময় মেহেদী হাসান নামে এক যুবক বারবার তাদের মারধর না করার অনুরোধ জানাচ্ছিলেন এবং পুলিশকে খবর দেয়ার কথা বলে মবকে শান্ত করার চেষ্টা করছিলেন।
তখনও রূপলাল বলছিলেন, ‘আমি চোর না, ডাকাতও না। মুচি, তারাগঞ্জ বাজারে জুতা সেলাই করি।’ কিন্তু উপস্থিত এক ব্যক্তি উচ্চৈঃস্বরে বলেন, ‘তুই চোর, ডাকাতের বাপ।’ একপর্যায়ে রূপলাল প্রস্রাব করতে চাইলে মব ভেবে বসে যে তিনি পালাবেন, তাই তাকে নামতে দেয়া হয়নি। তখনই গণপিটুনি শুরু হয়। রূপলাল বারবার বলছিলেন, ‘আমাকে মারবেন না, বাঁচান, আমি চোর না।’ অবশেষে তিনি ভ্যান থেকে লুটিয়ে পড়েন।
তখনও ভ্যানে বসা ছিলেন প্রদীপ দাস। মব সৃষ্টিকারীদের কারও কণ্ঠে শোনা যায়, ‘শালারা মাল খেয়ে এসেছে, অভিনয় করছে।’ ভিডিওতে দেখা যায়, ভ্যানে থাকা বস্তা থেকে প্লাস্টিকের ছোট বোতল বের করে নাকের কাছে নিয়ে শুঁকছেন এক যুবক। কিছুক্ষণ পর তিনি বলে ওঠেন, ‘এ ভাই, দয়া করি আমাকে ধরো’- বলেই মাটিতে পড়ে যান। তাকে কোলে করে সরিয়ে নেয়া হয়। কিন্তু ততক্ষণে শতাধিক ব্যক্তি আবারও রূপলাল ও প্রদীপকে মারধর শুরু করে। তাদের আত্মচিৎকার ও বাঁচার আকুতি মব সৃষ্টিকারীদের মন গলাতে পারেনি; অব্যাহত থাকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন।
রাত ৯টার দিকে রূপলাল ও প্রদীপকে তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রূপলালকে মৃত ঘোষণা করেন এবং প্রদীপের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। গভীর রাতে তাকে হাসপাতালে নেয়ার পর গতকাল রোববার সকালে তিনিও মারা যান।
প্রত্যক্ষদর্শী শাহিন নামে এক যুবক জানান, রাত সাড়ে ৯টার দিকে খবর ছড়িয়ে পড়ে যে অজ্ঞান করে ভ্যান ছিনতাই করতে গিয়ে ধরা পড়েছে দুই চোর। গিয়ে দেখি শত শত মানুষের ভিড়। ভ্যানে বসা দুজন হাত জোড় করে প্রাণভিক্ষা চাইছেন, কিন্তু কেউ তাদের কথা শুনছে না। একপর্যায়ে তাদের পেটাতে পেটাতে বুড়িরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে দেখি তারা অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে আছেন।
বুড়িরহাট বাজারের এক ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ১০-১২ দিন আগে বুড়িরহাটে ১৫ বছরের এক কিশোরকে জবাই করে হত্যা ও ভ্যান ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনার পর ‘চোর ধরা পড়েছে’ গুজব ছড়িয়ে দুজনকে হত্যা করা হয়েছে। পরে জানা যায়, নিহতরা মুচি সম্প্রদায়ের এবং তাদের কাছে কয়েক বোতল বাংলা মদ পাওয়া গেছে। ‘মুচিরা বাংলা মদ খায়, কিন্তু তারা চোর বা ছিনতাইকারী নন’- বলেন ওই ব্যবসায়ী। ‘তাদের পরিচয় জানার পর মব জাস্টিসের নামে হত্যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
তারাগঞ্জ থানার ওসি এম এ ফারুখ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রূপলালকে মৃত এবং প্রদীপকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। গতকাল রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর লাশ নিয়ে এলাকাবাসী বিক্ষোভ করে, রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়ক অবরোধ করে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। দুই ঘণ্টা পর সেনাবাহিনী ও পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
গণপিটুনিতে দুজন নিহতের ঘটনায় বুড়িরহাট এলাকা পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে। সেনাবাহিনী ও পুলিশ সারাদিন ওই এলাকায় টহল দিয়েছে। বাজার ও আশপাশের গ্রাম প্রায় জনশূন্য, দোকানপাটও অধিকাংশ বন্ধ।
রূপলালের স্ত্রী ভারতী রানী গতকাল রোববার দুপুরে তারাগঞ্জ থানায় ৫-৭শত জনকে অজ্ঞাত আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন। ওসি এম এ ফারুখ জানান, ভিডিও ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় রাতে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন- সয়ার ইউনিয়নের বালাপুর গ্রামের এবাদত হোসেন (২৭), বুড়িরহাট এলাকার আখতারুল ইসলাম (৪৫), রফিকুল ইসলাম (৩৩) ও রহিমাপুরের মিজানুর রহমান (২২)। পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।