ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহিত
পরিবেশবিরোধী পলিথিনের ব্যবহাররোধে পরিবেশ অধিদপ্তরের পাশাপাশি সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে পুলিশের এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। শিগগিরই পলিথিন উৎপাদন, বিপণন এবং খুচরা পর্যায়ে বিক্রি ও ব্যবহার বন্ধসহ সবক্ষেত্রেই কার্যকরী ও জোরদার অভিযানে নামছে র্যাব। দেশব্যাপী নিষিদ্ধ পলিথিনের উৎপাদন, পরিবহন ও বিপণন রোধে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বাজার পরিদর্শনকালে এ কথা বলেন র্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) এ কে এম শহিদুর রহমান।
করা হয়
মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এ কথা বলেন।তিনি বলেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ও পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে যে, তারা নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যাপারে জোরদার অভিযান পরিচালনা করছেন। সেই অভিযানে আমরা যেন তাদের সঙ্গে থাকি। সেই লক্ষ্যে আমরা আজকে এখানে এসেছি। আপনারা জানেন যে, নিষিদ্ধ পলিথিন আমাদের পরিবেশের জন্য খুব ক্ষতিকর।
র্যাব ডিজি বলেন, আমাদের দেশের যে ট্রেডিশনাল ক্রাইম, হয়তো কোন ব্যক্তি বা কোন গোষ্ঠীকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। কিন্তু পরিবেশ নষ্ট ও পরিবেশের উপরে যে আক্রমণ সেটি কিন্তু আমাদের মানবজাতি বা প্রাণীজগতেরও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। সুতরাং আমরা যাতে পরিবেশ নষ্ট না করি, আমাদের পরিবেশ যাতে ঠিক থাকে, আমরা যাতে আমাদের পৃথিবীকে ভালো একটা পরিবেশে রাখতে পারি সে জন্যই পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের যে পলিথিনবিরোধী যে অভিযান সেই অভিযানে আমরাও সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছি এবং এই নিষিদ্ধ পলিথিন যাতে ব্যবহার না হয়, এটা যাতে বন্ধ করা যায় সেজন্য আমরা একযোগে কাজ করবো।
তিনি বলেন, পলিথিনের উৎপত্তিস্থল যেখানে তৈরি হয় সে ফ্যাক্টরিগুলো আমরা খুঁজে বের করে বন্ধ করবো। এটা পরিবহনে আমরা বাধা দেব। এখানে (কারওয়ান বাজার) এসেছি আমরা মূলত খুচরা লেভেলে ক্রেতা বিক্রেতারা আসেন তাদেরকে সচেতন করতে। আমরা যদি মানুষকে সচেতন করতে পারি তারা যদি নিজেরাই পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করেন তাহলেও আপনার এটা একটা পজিটিভ কাজ করবে।
তিনি সুস্পষ্ট ও হুঁশিয়ারি বার্তা দিয়ে বলেন, আমরা সব ক্ষেত্রেই অর্থাৎ উৎপাদন, বিপণন এবং খুচরা ব্যবহার সব ক্ষেত্রেই কার্যকরী ব্যবস্থা নিচ্ছি। এরইমধ্যে বিকল্প হিসেবে আপনারা জানেন যে পাটের ব্যাগ ব্যবহারের জন্য উদ্বুদ্ধ করছি এবং কাগজের ব্যাগ যেটা আজকে আমাদের যে এই মোটিভেশনাল প্রোগ্রাম এই প্রোগ্রামে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন।
পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) সৈয়দ ফরহাদ হোসেন (যুগ্ম সচিব) বলেন, আমাদের ডিজি পলিথিনের যে বিকল্প সেই বিকল্প পাটের ব্যাগ এবং কাগজের ব্যাগ সেগুলো কিন্তু আমরা দোকানে দোকানে দিচ্ছি এবং এটা নিয়ে আমরা পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি আমাদের ফেসবুক পেজে প্রচারণাসহ আমরা সর্বস্তরে এটা প্রচারণার জন্য চেষ্টা করছি। তারই ধারাবাহিকতায় আজকে র্যাব আমাদের সঙ্গে সহযোগী হয়ে আমাদের এই কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। এখানে আজকে আমরা খুচরা বাজারে এসেছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন র্যাব ফোর্সেস এর অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স), অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন), র্যাবের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এছাড়াও
পরিবেশ অধিদপ্তরের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (সিনিয়র সহকারী সচিব) আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা উপস্থিত ছিলেন।
দেশব্যাপী নিষিদ্ধ পলিথিনের উৎপাদন, পরিবহন ও বিপণন রোধে পদক্ষেপ সম্পর্কে র্যাব জানিয়েছে, দেশের পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের ক্ষতিকর দিকগুলোর বিরুদ্ধে র্যাবের কার্যক্রম সর্বদা অব্যাহত রয়েছে। মঙ্গলবার র্যাব কর্তৃক রাজধানীর কাওরান বাজারে জনসাধারণ, দোকানদার এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে অবৈধ পলিথিন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জনসচেতনতা মূলক লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
র্যাব জানায়, আইন শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন ছাড়াও দেশের পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের ক্ষতিকর দিকগুলোর বিরুদ্ধেও র্যাবের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশ সরকার পলিথিনের ব্যবহারের উপর বিভিন্ন নির্দেশনা থাকলেও সম্প্রতি নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবহার উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নিষিদ্ধ পলিথিন গোপনে তৈরি করে বাজারজাত করে যাচ্ছে। ফলে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য ক্রমবর্ধমান হুমকির মুখে পড়ছে। পলিথিনের ব্যবহার পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বিপর্যয় ডেকে আনছে। অসাধু ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে র্যাবের গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে। এ অবস্থান র্যাব ফোর্সেস এবং পরিবেশ অধিদপ্তর যৌথভাবে পরিবেশ রক্ষায় বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়েছে-
পরিবেশের ক্ষতিরোধ এবং জনস্বাস্থ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে র্যাব জনসচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সারাদেশে লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে জনগণকে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে জানানো হচ্ছে এবং পরিবেশবান্ধব বিকল্প ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।
এরইমধ্যে র্যাব ঢাকার গুলশান, মিরপুর, কেরাণীগঞ্জ, উত্তরা এবং টঙ্গীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় জনসচেতনামূলক লিফলেট বিতরণ এবং র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অপরাধীদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা এবং জরিমানার আওতায় নিয়ে এসেছে।
নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহারের পরিবর্তে কী কী পরিবেশবান্ধব পণ্য ব্যবহার করা যায় এবং আইন লঙ্ঘনের শাস্তির বিধান সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানানো হচ্ছে।
র্যাব স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং বিভিন্ন পরিবেশ বাদী সংগঠনের সহযোগিতায় এই কার্যক্রম পরিচালনা করছে।গণমাধ্যমের সহযোগিতায় আমাদের দেশের প্রত্যেকটি জনগণকে এই সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দিতে হবে। অবৈধ পলিথিন রোধে র্যাবের এই সম্মিলিত উদ্যোগ শুধু একটি সরকারি কার্যক্রম নয় বরং একটি জাতীয় আন্দোলনের রূপ নিবে বলে মহাপরিচালক আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
একটি দীর্ঘমেয়াদি ও পরিবেশবান্ধব সমাজ গঠনে অবৈধ পলিথিন উৎপাদন, বাজারজাতকরণ এবং ব্যবহার রোধকল্পে জনগণকে আরোও বেশি সচেতন হতে হবে।
এছাড়াও দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে যেকোন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও অন্যান্য অপরাধমূলক কার্যক্রম দমনে র্যাব তার নিয়মিত টহল, গোয়েন্দা নজরদারি এবং আভিযানিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহিত
সোমবার, ১১ আগস্ট ২০২৫
পরিবেশবিরোধী পলিথিনের ব্যবহাররোধে পরিবেশ অধিদপ্তরের পাশাপাশি সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে পুলিশের এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। শিগগিরই পলিথিন উৎপাদন, বিপণন এবং খুচরা পর্যায়ে বিক্রি ও ব্যবহার বন্ধসহ সবক্ষেত্রেই কার্যকরী ও জোরদার অভিযানে নামছে র্যাব। দেশব্যাপী নিষিদ্ধ পলিথিনের উৎপাদন, পরিবহন ও বিপণন রোধে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বাজার পরিদর্শনকালে এ কথা বলেন র্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) এ কে এম শহিদুর রহমান।
করা হয়
মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এ কথা বলেন।তিনি বলেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ও পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে যে, তারা নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যাপারে জোরদার অভিযান পরিচালনা করছেন। সেই অভিযানে আমরা যেন তাদের সঙ্গে থাকি। সেই লক্ষ্যে আমরা আজকে এখানে এসেছি। আপনারা জানেন যে, নিষিদ্ধ পলিথিন আমাদের পরিবেশের জন্য খুব ক্ষতিকর।
র্যাব ডিজি বলেন, আমাদের দেশের যে ট্রেডিশনাল ক্রাইম, হয়তো কোন ব্যক্তি বা কোন গোষ্ঠীকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। কিন্তু পরিবেশ নষ্ট ও পরিবেশের উপরে যে আক্রমণ সেটি কিন্তু আমাদের মানবজাতি বা প্রাণীজগতেরও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। সুতরাং আমরা যাতে পরিবেশ নষ্ট না করি, আমাদের পরিবেশ যাতে ঠিক থাকে, আমরা যাতে আমাদের পৃথিবীকে ভালো একটা পরিবেশে রাখতে পারি সে জন্যই পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের যে পলিথিনবিরোধী যে অভিযান সেই অভিযানে আমরাও সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছি এবং এই নিষিদ্ধ পলিথিন যাতে ব্যবহার না হয়, এটা যাতে বন্ধ করা যায় সেজন্য আমরা একযোগে কাজ করবো।
তিনি বলেন, পলিথিনের উৎপত্তিস্থল যেখানে তৈরি হয় সে ফ্যাক্টরিগুলো আমরা খুঁজে বের করে বন্ধ করবো। এটা পরিবহনে আমরা বাধা দেব। এখানে (কারওয়ান বাজার) এসেছি আমরা মূলত খুচরা লেভেলে ক্রেতা বিক্রেতারা আসেন তাদেরকে সচেতন করতে। আমরা যদি মানুষকে সচেতন করতে পারি তারা যদি নিজেরাই পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করেন তাহলেও আপনার এটা একটা পজিটিভ কাজ করবে।
তিনি সুস্পষ্ট ও হুঁশিয়ারি বার্তা দিয়ে বলেন, আমরা সব ক্ষেত্রেই অর্থাৎ উৎপাদন, বিপণন এবং খুচরা ব্যবহার সব ক্ষেত্রেই কার্যকরী ব্যবস্থা নিচ্ছি। এরইমধ্যে বিকল্প হিসেবে আপনারা জানেন যে পাটের ব্যাগ ব্যবহারের জন্য উদ্বুদ্ধ করছি এবং কাগজের ব্যাগ যেটা আজকে আমাদের যে এই মোটিভেশনাল প্রোগ্রাম এই প্রোগ্রামে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন।
পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) সৈয়দ ফরহাদ হোসেন (যুগ্ম সচিব) বলেন, আমাদের ডিজি পলিথিনের যে বিকল্প সেই বিকল্প পাটের ব্যাগ এবং কাগজের ব্যাগ সেগুলো কিন্তু আমরা দোকানে দোকানে দিচ্ছি এবং এটা নিয়ে আমরা পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি আমাদের ফেসবুক পেজে প্রচারণাসহ আমরা সর্বস্তরে এটা প্রচারণার জন্য চেষ্টা করছি। তারই ধারাবাহিকতায় আজকে র্যাব আমাদের সঙ্গে সহযোগী হয়ে আমাদের এই কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। এখানে আজকে আমরা খুচরা বাজারে এসেছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন র্যাব ফোর্সেস এর অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স), অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন), র্যাবের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এছাড়াও
পরিবেশ অধিদপ্তরের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (সিনিয়র সহকারী সচিব) আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা উপস্থিত ছিলেন।
দেশব্যাপী নিষিদ্ধ পলিথিনের উৎপাদন, পরিবহন ও বিপণন রোধে পদক্ষেপ সম্পর্কে র্যাব জানিয়েছে, দেশের পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের ক্ষতিকর দিকগুলোর বিরুদ্ধে র্যাবের কার্যক্রম সর্বদা অব্যাহত রয়েছে। মঙ্গলবার র্যাব কর্তৃক রাজধানীর কাওরান বাজারে জনসাধারণ, দোকানদার এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে অবৈধ পলিথিন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জনসচেতনতা মূলক লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
র্যাব জানায়, আইন শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন ছাড়াও দেশের পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের ক্ষতিকর দিকগুলোর বিরুদ্ধেও র্যাবের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশ সরকার পলিথিনের ব্যবহারের উপর বিভিন্ন নির্দেশনা থাকলেও সম্প্রতি নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবহার উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নিষিদ্ধ পলিথিন গোপনে তৈরি করে বাজারজাত করে যাচ্ছে। ফলে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য ক্রমবর্ধমান হুমকির মুখে পড়ছে। পলিথিনের ব্যবহার পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বিপর্যয় ডেকে আনছে। অসাধু ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে র্যাবের গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে। এ অবস্থান র্যাব ফোর্সেস এবং পরিবেশ অধিদপ্তর যৌথভাবে পরিবেশ রক্ষায় বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়েছে-
পরিবেশের ক্ষতিরোধ এবং জনস্বাস্থ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে র্যাব জনসচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সারাদেশে লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে জনগণকে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে জানানো হচ্ছে এবং পরিবেশবান্ধব বিকল্প ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।
এরইমধ্যে র্যাব ঢাকার গুলশান, মিরপুর, কেরাণীগঞ্জ, উত্তরা এবং টঙ্গীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় জনসচেতনামূলক লিফলেট বিতরণ এবং র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অপরাধীদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা এবং জরিমানার আওতায় নিয়ে এসেছে।
নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহারের পরিবর্তে কী কী পরিবেশবান্ধব পণ্য ব্যবহার করা যায় এবং আইন লঙ্ঘনের শাস্তির বিধান সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানানো হচ্ছে।
র্যাব স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং বিভিন্ন পরিবেশ বাদী সংগঠনের সহযোগিতায় এই কার্যক্রম পরিচালনা করছে।গণমাধ্যমের সহযোগিতায় আমাদের দেশের প্রত্যেকটি জনগণকে এই সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দিতে হবে। অবৈধ পলিথিন রোধে র্যাবের এই সম্মিলিত উদ্যোগ শুধু একটি সরকারি কার্যক্রম নয় বরং একটি জাতীয় আন্দোলনের রূপ নিবে বলে মহাপরিচালক আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
একটি দীর্ঘমেয়াদি ও পরিবেশবান্ধব সমাজ গঠনে অবৈধ পলিথিন উৎপাদন, বাজারজাতকরণ এবং ব্যবহার রোধকল্পে জনগণকে আরোও বেশি সচেতন হতে হবে।
এছাড়াও দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে যেকোন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও অন্যান্য অপরাধমূলক কার্যক্রম দমনে র্যাব তার নিয়মিত টহল, গোয়েন্দা নজরদারি এবং আভিযানিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।