এন্টিভেনম বা সাপের বিষের প্রতিষেধক শূন্য হয়ে পড়েছে ঠাকুরগাঁও। গত ৮ দিনে জেলায় সাপের দংশনে মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। জেলার সব হাসপাতালে এন্টিভেনম এর অভাবে সময়মতো চিকিৎসা না পেয়ে প্রাণ হারাচ্ছেন সাপে কাটা এসব রোগীরা।
জানা যায়, গত ৮ দিনে সাপের দংশনে মৃত্যু হয়েছে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সীমান্ত এলাকার বড়পলাশবাড়ী ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামের ইসরাইল উদ্দীনের ছেলে সাকিবুল ইসলাম (১০), পীরগঞ্জের স্কুলছাত্র তারেক (১৩), রাণীশংকৈলের কলেজছাত্র মোকসেদ আলী (১৯) এবং হরিপুরের গৃহবধূ সম্পা রানী (৩২) সহ আরও এক জনের। সাপের দংশনে নিহত সাকিবুলের বাবা ইসরাইল উদ্দীন জানান, গত শুক্রবার গভীর রাতে আমার ৫ম শ্রেণীতে পড়া ছেলেটাকে বিষধর সাপে দংশন করে। আমরা জানার পর তাকে প্রথমে বালিয়াডাঙ্গী, পরে হরিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে এন্টিভেনম না পেয়ে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরবর্তীতে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেবার সময় ভোরে তার মৃত্যু হয়। জলজ্যান্ত ছেলেটা আমার কোলের ওপরেই মারা যায়। আমি কিছুই করতে পারিনি। এভাবে সাপের দংশনে বিনা চিকিৎসায় কোনো বাবা মার কোল যেন খালি না হয়ে যায় তাই আমি সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি।
জেলার বিভিন্ন হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানান, ‘বর্ষার সময়ে সাপের দংশনের ঘটনা বেশি হয়। প্রতি বছর জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোতে ভ্যাকসিন পাঠানো হয় বর্ষার শেষের দিকে। অথচ আগে থেকেই মজুদ রাখা উচিত।’ ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন ডা. পমা. আনিছুর রহমান বলেন, ‘চাহিদা পাঠানোর পরও কেন্দ্রীয় ঔষধাগার থেকে এন্টিভেনম পাওয়া যায়নি। সেখানেও এর সংকট রয়েছে। তারপরও আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত কিছু এন্টিভেনম আনার।’
সোমবার, ১১ আগস্ট ২০২৫
এন্টিভেনম বা সাপের বিষের প্রতিষেধক শূন্য হয়ে পড়েছে ঠাকুরগাঁও। গত ৮ দিনে জেলায় সাপের দংশনে মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। জেলার সব হাসপাতালে এন্টিভেনম এর অভাবে সময়মতো চিকিৎসা না পেয়ে প্রাণ হারাচ্ছেন সাপে কাটা এসব রোগীরা।
জানা যায়, গত ৮ দিনে সাপের দংশনে মৃত্যু হয়েছে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সীমান্ত এলাকার বড়পলাশবাড়ী ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামের ইসরাইল উদ্দীনের ছেলে সাকিবুল ইসলাম (১০), পীরগঞ্জের স্কুলছাত্র তারেক (১৩), রাণীশংকৈলের কলেজছাত্র মোকসেদ আলী (১৯) এবং হরিপুরের গৃহবধূ সম্পা রানী (৩২) সহ আরও এক জনের। সাপের দংশনে নিহত সাকিবুলের বাবা ইসরাইল উদ্দীন জানান, গত শুক্রবার গভীর রাতে আমার ৫ম শ্রেণীতে পড়া ছেলেটাকে বিষধর সাপে দংশন করে। আমরা জানার পর তাকে প্রথমে বালিয়াডাঙ্গী, পরে হরিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে এন্টিভেনম না পেয়ে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরবর্তীতে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেবার সময় ভোরে তার মৃত্যু হয়। জলজ্যান্ত ছেলেটা আমার কোলের ওপরেই মারা যায়। আমি কিছুই করতে পারিনি। এভাবে সাপের দংশনে বিনা চিকিৎসায় কোনো বাবা মার কোল যেন খালি না হয়ে যায় তাই আমি সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি।
জেলার বিভিন্ন হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানান, ‘বর্ষার সময়ে সাপের দংশনের ঘটনা বেশি হয়। প্রতি বছর জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোতে ভ্যাকসিন পাঠানো হয় বর্ষার শেষের দিকে। অথচ আগে থেকেই মজুদ রাখা উচিত।’ ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন ডা. পমা. আনিছুর রহমান বলেন, ‘চাহিদা পাঠানোর পরও কেন্দ্রীয় ঔষধাগার থেকে এন্টিভেনম পাওয়া যায়নি। সেখানেও এর সংকট রয়েছে। তারপরও আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত কিছু এন্টিভেনম আনার।’